যাদের কাছে পৃথিবী মানেই যুদ্ধবিগ্রহ আর বোমার শব্দ by শামীমুল হক
কি নির্মম চিত্র। ভয়াবহ দৃশ্য। শরীরে রক্তমাখা দুটি ছোট শিশু। একজনের কোলে আরেকজন। অক্সিজেন মাক্স একটি। দুজনেরই প্রয়োজন অক্সিজেন।
আট কি নয় বছরের বড় বোন তার কোলে থাকা ছোট বোনের মুখে ধরলো মাক্সটি। হাত ধরা অবস্থায়ই পৃথিবী থেকে বিদায় নেয় বড় বোন। ফেসবুকে ভাইরাল হওয়া আরেকটি ছবি- লাইন ধরে মানুষ যাচ্ছে গোরস্থানে। সবার হাতে সাদা কাফনে মোড়ানো লাশ। ছবি দুটি বিশ্বের সকল শান্তিকামী মানুষকে নাড়া দিয়েছে। তাদের হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হচ্ছে। বিদ্রোহী নির্মূলে সিরিয়া সরকারের এমন বর্বর হামলা কাঁদিয়েছে মানুষকে। সরকারি সেনাদের বোমা হামলায় লাশের শহরে পরিণত হয় সিরিয়ার বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত ইস্টার্ন ঘৌওতা এলাকা। বোমা হামলার সময় আকাশ ধোঁয়ার কুণ্ডলীতে ছেয়ে যায়। মুহূর্তেই ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয় গোটা এলাকা। ভয়ে বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়ে যায় মানুষজন। গগনবিদারী কান্না ছড়িয়ে পড়ে গোটা সিরিয়ায়। সেখানকার অধিবাসীরা জানিয়েছেন গত কয়েক বছরের মধ্যে একদিনে এমন বোমা হামলা তারা দেখেননি। বিদ্রোহীদের নিয়ন্ত্রণে থাকা এলাকাগুলো পুনরুদ্ধারে ফেব্রুয়ারির শুরু থেকেই আক্রমণ জোরদার করেছে প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের অনুগত সেনারা। রাজধানী দামেস্কের কাছে যেসব এলাকা এখনো বিদ্রোহীদের দখলে, ইস্টার্ন ঘৌওতা সে সবের অন্যতম। কিন্তু বিদ্রোহী নির্মূলে দেশের সাধারণ মানুষ ও শিশুদের ওপর এমন বর্বর হামলা বিশ্ব বিবেককে কতটুকু নাড়া দিয়েছে। বর্বর এই হামলার বিরুদ্ধে শুধু ধিক্কার, শোক আর নিন্দা জানাচ্ছে পশ্চিমা রাষ্ট্রগুলো। কিন্তু এই শব্দগুলো কি যুদ্ধ থামাতে যথেষ্ট। জাতিসংঘ অবশ্য যুদ্ধ বিরতির আহ্বান জানিয়ে আসছে। কিন্তু এ আহ্বান সরকার কিংবা বিদ্রোহী কারো কানেই পৌঁছাচ্ছে না। বর্তমানে সেখানকার মানুষজন অবরুদ্ধ অবস্থায় দিন কাটাচ্ছে। পর্যাপ্ত খাবার ও পানি সংকটের পাশাপাশি ন্যূনতম চিকিৎসা সেবা থেকেও বঞ্চিত হচ্ছে তারা। বিধ্বস্ত, বিপর্যয় অবস্থার মধ্যেই বিশ্ব সম্প্রদায় অনেকটা নীরব। এ শহরটি ধ্বংসের হাত থেকে বাঁচাতে দৃশ্যত কিছুই করা যাচ্ছে না। বিশ্বের অনেক মানবাধিকার সংগঠন বিবৃতি দিচ্ছে। কিন্তু প্রভাবশালী রাষ্ট্রগুলো শক্তিশালী ভূমিকা রাখছে না। অবশ্য যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেক্স টিলারসন এই নৃশংসতা বন্ধ না হওয়ার জন্য রাশিয়াকে দায়ী করেছেন। টিলারসন সিরিয়ার এ ঘটনায় তার দেশের উদ্বেগের কথাও জানান। অবশ্য বিশ্ব সিরিয়ার এ সংকট নিরসন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের হাতে বলে মনে করেন। কিন্তু রাশিয়া বর্বর এ হামলার ব্যাপারে একেবারেই নিশ্চুপ। রক্তমাখা শিশুর লাশ, শিশু সন্তানকে জড়িয়ে ধরে পিতার আহাজারি আর কত? যেসব শিশু বেঁচে আছে তাদের কাছে পৃথিবী মানেই যুদ্ধবিগ্রহ, ভয় আর আতঙ্ক। হিংসা, হানাহানি আর বোমার শব্দই তাদের কাছে পৃথিবী। এ অবস্থা থেকে সিরিয়াকে মুক্ত করতে বিশ্ব সম্প্রদায় কি এগিয়ে আসবে?
আট কি নয় বছরের বড় বোন তার কোলে থাকা ছোট বোনের মুখে ধরলো মাক্সটি। হাত ধরা অবস্থায়ই পৃথিবী থেকে বিদায় নেয় বড় বোন। ফেসবুকে ভাইরাল হওয়া আরেকটি ছবি- লাইন ধরে মানুষ যাচ্ছে গোরস্থানে। সবার হাতে সাদা কাফনে মোড়ানো লাশ। ছবি দুটি বিশ্বের সকল শান্তিকামী মানুষকে নাড়া দিয়েছে। তাদের হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হচ্ছে। বিদ্রোহী নির্মূলে সিরিয়া সরকারের এমন বর্বর হামলা কাঁদিয়েছে মানুষকে। সরকারি সেনাদের বোমা হামলায় লাশের শহরে পরিণত হয় সিরিয়ার বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত ইস্টার্ন ঘৌওতা এলাকা। বোমা হামলার সময় আকাশ ধোঁয়ার কুণ্ডলীতে ছেয়ে যায়। মুহূর্তেই ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয় গোটা এলাকা। ভয়ে বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়ে যায় মানুষজন। গগনবিদারী কান্না ছড়িয়ে পড়ে গোটা সিরিয়ায়। সেখানকার অধিবাসীরা জানিয়েছেন গত কয়েক বছরের মধ্যে একদিনে এমন বোমা হামলা তারা দেখেননি। বিদ্রোহীদের নিয়ন্ত্রণে থাকা এলাকাগুলো পুনরুদ্ধারে ফেব্রুয়ারির শুরু থেকেই আক্রমণ জোরদার করেছে প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের অনুগত সেনারা। রাজধানী দামেস্কের কাছে যেসব এলাকা এখনো বিদ্রোহীদের দখলে, ইস্টার্ন ঘৌওতা সে সবের অন্যতম। কিন্তু বিদ্রোহী নির্মূলে দেশের সাধারণ মানুষ ও শিশুদের ওপর এমন বর্বর হামলা বিশ্ব বিবেককে কতটুকু নাড়া দিয়েছে। বর্বর এই হামলার বিরুদ্ধে শুধু ধিক্কার, শোক আর নিন্দা জানাচ্ছে পশ্চিমা রাষ্ট্রগুলো। কিন্তু এই শব্দগুলো কি যুদ্ধ থামাতে যথেষ্ট। জাতিসংঘ অবশ্য যুদ্ধ বিরতির আহ্বান জানিয়ে আসছে। কিন্তু এ আহ্বান সরকার কিংবা বিদ্রোহী কারো কানেই পৌঁছাচ্ছে না। বর্তমানে সেখানকার মানুষজন অবরুদ্ধ অবস্থায় দিন কাটাচ্ছে। পর্যাপ্ত খাবার ও পানি সংকটের পাশাপাশি ন্যূনতম চিকিৎসা সেবা থেকেও বঞ্চিত হচ্ছে তারা। বিধ্বস্ত, বিপর্যয় অবস্থার মধ্যেই বিশ্ব সম্প্রদায় অনেকটা নীরব। এ শহরটি ধ্বংসের হাত থেকে বাঁচাতে দৃশ্যত কিছুই করা যাচ্ছে না। বিশ্বের অনেক মানবাধিকার সংগঠন বিবৃতি দিচ্ছে। কিন্তু প্রভাবশালী রাষ্ট্রগুলো শক্তিশালী ভূমিকা রাখছে না। অবশ্য যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেক্স টিলারসন এই নৃশংসতা বন্ধ না হওয়ার জন্য রাশিয়াকে দায়ী করেছেন। টিলারসন সিরিয়ার এ ঘটনায় তার দেশের উদ্বেগের কথাও জানান। অবশ্য বিশ্ব সিরিয়ার এ সংকট নিরসন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের হাতে বলে মনে করেন। কিন্তু রাশিয়া বর্বর এ হামলার ব্যাপারে একেবারেই নিশ্চুপ। রক্তমাখা শিশুর লাশ, শিশু সন্তানকে জড়িয়ে ধরে পিতার আহাজারি আর কত? যেসব শিশু বেঁচে আছে তাদের কাছে পৃথিবী মানেই যুদ্ধবিগ্রহ, ভয় আর আতঙ্ক। হিংসা, হানাহানি আর বোমার শব্দই তাদের কাছে পৃথিবী। এ অবস্থা থেকে সিরিয়াকে মুক্ত করতে বিশ্ব সম্প্রদায় কি এগিয়ে আসবে?
No comments