সাজা কমছে চেক ডিজঅনারে: যুক্ত হচ্ছে ঋণের বিপরীতে চেক না রাখার বিধান by আরাফাত মুন্না
জেল-জরিমানার
বিধান কমিয়ে সংধোশন করা হচ্ছে নেগোশিয়েবল ইনস্ট্রুমেন্ট অ্যাক্ট (এনআই
অ্যাক্ট)। চেক ডিজঅনারের ঘটনায় আইনগত প্রতিকার পাওয়ার জন্য এই আইনটি
ব্যবহার করা হয়ে থাকে। আইনের কয়েকটি ধারার অপব্যবহার বৃদ্ধি পাওয়া এবং
প্রচলিত অন্যান্য আইনের সঙ্গে এর কয়েকটি ধারা সাংঘর্ষিক হওয়ায় আইনটি
সংশোধনের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। সংশোধিত আইনের খসড়া চূড়ান্ত করে গত ৩১
ডিসেম্বর তা আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছে আইন কমিশন। একই সঙ্গে কমিশনের
ওয়েবসাইটেও আইনের খসড়া প্রকাশ করা হয়েছে। খসড়ায় দেখা গেছে, আইনটি আপসযোগ্য
করার পাশাপাশি জেল-জরিমানা কমানোর সুপারিশ করেছে আইন কমিশন। একই সঙ্গে ঋণের
বিপরীতে জামানত হিসেবে চেক না রাখার বিধান যুক্ত করার পাশাপাশি দায়রা
আদালতের পরিবর্তে প্রথম শ্রেণির জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বা মেট্রোপলিটন
ম্যাজিস্ট্রেট আদালতেই এই আইনে দায়ের করা মামলার বিচার ভার দেওয়ার প্রস্তাব
দেওয়া হয়েছে। কমিশন বলছে, এসব সংধোধন করা হলে, একদিকে যেমন বিচারপ্রার্থী ও
আসামির ভোগান্তি লাঘব করবে, অন্যদিকে দেশের আদালতগুলোতে থাকা পাহাড়সমান
মামলার জট নিরসনেও সহায়ক হবে।
সংশোধিত আইনের বিষয়ে আইন কমিশনের চেয়ারম্যান ও সাবেক প্রধান বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হক বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, এর আগে এনআই অ্যাক্টের নতুন ১৩৮-১৪১ ধারা যুক্ত করার পর থেকে ১৩৮ ধারায় ফৌজদারি মামলা দায়েরের সংখ্যা গাণিতিক হারে বেড়েছে। একই সঙ্গে এর অপপ্রয়োগ তথা হয়রানিও ব্যাপক বৃদ্ধি পায়। বিভিন্ন ব্যক্তি, আইনজীবী এবং ভুক্তভোগীর কাছ থেকে আসা অনুরোধ বিবেচনায় নিয়ে আইন কমিশন আইনটির কয়েকটি ধারা যুগোপযোগী ও নাগরিকবান্ধব করার লক্ষ্যে গবেষণা কাজ শুরু করে। তিনি বলেন, দেশের বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তা, আইনজীবী ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করে এবং উচ্চ আদালতের রায়ের নির্দেশনা, সামাজিক ও অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপটসহ গবেষণায় প্রাপ্ত তথ্য-উপাত্তের ভিত্তিতে সংশোধনীগুলো প্রস্তাব করা হয়েছে।
আইনের খসড়া ও কমিশনের সুপারিশ পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, এতে প্রচলিত আইনের চারটি বিষয় সংশোধন ও সংযোজন করা হয়েছে। বিদ্যমান আইনে ১৩৮ (১) ধারায় চেক প্রতারণা সংক্রান্ত মামলায় এক বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড অথবা সংশ্লিষ্ট চেকে বর্ণিত টাকার তিনগুণ পর্যন্ত জরিমানা অথবা উভয় প্রকার দণ্ড দেওয়ার বিধান রয়েছে। এক্ষেত্রে প্রস্তাবিত আইনে ১৩৮ (১) ধারা সংশোধন করে জরিমানা দিগুণ করার পাশাপাশি কারাদণ্ড এক বছর থেকে কমিয়ে ছয় মাস করার প্রস্তাব করা হয়েছে। এ বিষয়ে সুপারিশে আইন কমিশন বলেছে, “এনআই অ্যাক্টের ১৩৮ ধারায় বর্ণিত অপর্যাপ্ত তহবিলের কারণে চেক ডিজঅনারজনিত অপরাধের শাস্তি ‘এক বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড অথবা চেকে বর্ণিত টাকার তিনগুণ পর্যন্ত জরিমানা অথবা উভয় দণ্ড’, যা ন্যায়সঙ্গত ও যুক্তিসঙ্গত নয়। এ আইনটি মূলত আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত একটি আইন। এ আইনের মূল উদ্দেশ্য আর্থিক লেনদেন সহজতর ও দ্রুততর করা, কাউকে শাস্তি দেওয়া নয়। দেশে প্রচলিত ঋণ আদায় সংক্রান্ত বিভিন্ন আইনে সর্বোচ্চ দ্বিগুণ পরিমাণ জরিমানার বিধান রয়েছে।”
সংশোধিত খসড়ায় প্রচলিত আইনের ১৩৮ (৩) ধারা সংশোধন করে ঋণের বিপরীতে জামানত হিসেবে কোনো ব্যাংক চেক না রাখার বিধান প্রস্তাব করা হয়েছে। এ বিষয়ে আইন কমিশন বলেছে, ‘কেবল স্বাক্ষরিত ফাঁকা চেক ব্যবহার সংক্রান্ত কোনো বিধান এই আইনে নেই। ঋণদাতা (ব্যক্তি, ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান) ঋণ গ্রহীতার কাছ থেকে ঋণের বিপরীতে অলিখিত (কেবল স্বাক্ষরিত) চেক রেখে পরবর্তীতে নিজেদের ইচ্ছামতো পূরণ করে নেয়। পরে ওই চেক সংশ্লিষ্ট ব্যাংকে উপস্থাপন করে ডিজঅনারও করিয়ে নেয়। এরপর ১৩৮ ধারায় ফৌজদারি মামলা এবং একই ঋণের বিপরীতে জমা রাখা দলিলপত্র ব্যবহার করে অর্থঋণ আদালতে দেওয়ানি মামলা দায়ের করে। এতে ঋণগ্রহীতা মারাত্মক ভোগান্তির শিকার হয়। এ অবস্থায় ঋণের বিপরীতে জামানত হিসেবে কোনো চেক রাখা যাবে না মর্মে শর্ত ১৩৮ ধারায় সংযোজন করা হলে অযাচিত মামলার সংখ্যা হ্রাস পেয়ে চলমান মামলাজট নিরসনে সহায়ক হবে।
সংশোধিত নতুন আইনে ১৪১ (সি) সংশোধন করে আপসযোগ্য করার প্রস্তাব করা হয়েছে। এ বিষয়ে আইন কমিশনের যুক্তি হচ্ছে, ‘ফৌজদারি কার্যবিধি ১৮৯৮ এর ৩৪৫ ধারা এবং পেনাল কোড ১৮৬০ অনুযায়ী এ ধরনের অপরাধকে (যেগুলোর সর্বোচ্চ সাজা সাত বছর বা তার নিচে) আপসযোগ্য করা হয়েছে। অন্যদিকে এনআই অ্যাক্টের ১৩৮ ধারায় বর্ণিত অপরাধটি আপসযোগ্য না হওয়ায় পক্ষগণের ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও আদালত আপসের ভিত্তিতে মামলা নিষ্পত্তি করতে পারে না। এতে এ ধরনের মামলা নিষ্পত্তিতে অহেতুক জটিলতা ও বিলম্ব হয়।’ কমিশন আরও বলেছে, ‘১৩৮ ধারার অপরাধটি আপসযোগ্য হলে দ্রুততার সঙ্গে মামলা নিষ্পত্তি হয়ে পক্ষগণের দুর্ভোগ লাঘব হবে। অন্যদিকে দেশের ফৌজদারি আদালতগুলোর মামলাজটও হ্রাস পাবে।’
প্রচলিত এনআই অ্যাক্ট ১৮৮১ এর ১৪১ ধারার (সি) অনুযায়ী দায়রা আদালতকে চেক ডিজঅনারসহ এ সংক্রান্ত মামলা নিষ্পত্তির এখতিয়ার দেওয়া হয়েছে। এক্ষেত্রে নতুন সংশোধিত আইনের খসড়ায় ১৪১ (সি) এর পরে ক্লজ (ডি) যুক্ত করে দায়রা আদালতকে প্রদত্ত এখতিয়ার সংশোধনক্রমে প্রথম শ্রেণির জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটকে এখতিয়ার প্রদান করার কথা বলা হয়েছে। এ বিষয়ে আইন কমিশনের যুক্তি হচ্ছে, ‘১৪১ ধারায় দায়রা আদালতকে ১৩৮ ধারার অপরাধের বিচার এখতিয়ার দেওয়া হয়েছে। যা এদেশের অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে বাস্তবসম্মত নয়। ১৩৮ ধারার মামলাগুলো দ্রুত ও সহজে নিষ্পত্তিযোগ্য, যার বিচারের জন্য একজন প্রথম শ্রেণির জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটই যথেষ্ট যোগ্যতাসম্পন্ন।’
১৮৮১ সালের নেগোশিয়েবল ইনস্ট্রুমেন্ট আইনে ১৯৯৪ সালে নোটারি পাবলিকের বিষয়টি বাদ দিয়ে চেক বাউন্সের বিধানগুলো প্রতিস্থাপন করা হয়। এতে নোটারি পাবলিক নিয়োগের বিধানসংবলিত আইনটির ১৭ নম্বর অধ্যায়টি প্রতিস্থাপন করা হয় চেক ধারাগুলোর মাধ্যমে। প্রতিস্থাপিত ১৩৮ ধারায় বলা হয়েছে, অর্থ না থাকা বা অন্য কোনো কারণে চেক বাউন্স বিষয়ে মামলা হলে চেকদাতার (আসামির) এক বছর কারাদণ্ড ও চেকের অঙ্কের দ্বিগুণ পরিমাণ পর্যন্ত অর্থ জরিমানা হবে। ২০০০ সালে তা আবারও সংশোধন করে চেকে উল্লিখিত অর্থের তিনগুণ পর্যন্ত অর্থদণ্ডের বিধান রাখা হয়। আর ২০০৬ সালে তা পুনরায় সংশোধন করে বলা হয়, আপিল করতে হলে জরিমানার অর্ধেক টাকা জমা দিয়ে আপিল করতে হবে।
সংশোধিত আইনের বিষয়ে আইন কমিশনের চেয়ারম্যান ও সাবেক প্রধান বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হক বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, এর আগে এনআই অ্যাক্টের নতুন ১৩৮-১৪১ ধারা যুক্ত করার পর থেকে ১৩৮ ধারায় ফৌজদারি মামলা দায়েরের সংখ্যা গাণিতিক হারে বেড়েছে। একই সঙ্গে এর অপপ্রয়োগ তথা হয়রানিও ব্যাপক বৃদ্ধি পায়। বিভিন্ন ব্যক্তি, আইনজীবী এবং ভুক্তভোগীর কাছ থেকে আসা অনুরোধ বিবেচনায় নিয়ে আইন কমিশন আইনটির কয়েকটি ধারা যুগোপযোগী ও নাগরিকবান্ধব করার লক্ষ্যে গবেষণা কাজ শুরু করে। তিনি বলেন, দেশের বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তা, আইনজীবী ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করে এবং উচ্চ আদালতের রায়ের নির্দেশনা, সামাজিক ও অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপটসহ গবেষণায় প্রাপ্ত তথ্য-উপাত্তের ভিত্তিতে সংশোধনীগুলো প্রস্তাব করা হয়েছে।
আইনের খসড়া ও কমিশনের সুপারিশ পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, এতে প্রচলিত আইনের চারটি বিষয় সংশোধন ও সংযোজন করা হয়েছে। বিদ্যমান আইনে ১৩৮ (১) ধারায় চেক প্রতারণা সংক্রান্ত মামলায় এক বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড অথবা সংশ্লিষ্ট চেকে বর্ণিত টাকার তিনগুণ পর্যন্ত জরিমানা অথবা উভয় প্রকার দণ্ড দেওয়ার বিধান রয়েছে। এক্ষেত্রে প্রস্তাবিত আইনে ১৩৮ (১) ধারা সংশোধন করে জরিমানা দিগুণ করার পাশাপাশি কারাদণ্ড এক বছর থেকে কমিয়ে ছয় মাস করার প্রস্তাব করা হয়েছে। এ বিষয়ে সুপারিশে আইন কমিশন বলেছে, “এনআই অ্যাক্টের ১৩৮ ধারায় বর্ণিত অপর্যাপ্ত তহবিলের কারণে চেক ডিজঅনারজনিত অপরাধের শাস্তি ‘এক বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড অথবা চেকে বর্ণিত টাকার তিনগুণ পর্যন্ত জরিমানা অথবা উভয় দণ্ড’, যা ন্যায়সঙ্গত ও যুক্তিসঙ্গত নয়। এ আইনটি মূলত আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত একটি আইন। এ আইনের মূল উদ্দেশ্য আর্থিক লেনদেন সহজতর ও দ্রুততর করা, কাউকে শাস্তি দেওয়া নয়। দেশে প্রচলিত ঋণ আদায় সংক্রান্ত বিভিন্ন আইনে সর্বোচ্চ দ্বিগুণ পরিমাণ জরিমানার বিধান রয়েছে।”
সংশোধিত খসড়ায় প্রচলিত আইনের ১৩৮ (৩) ধারা সংশোধন করে ঋণের বিপরীতে জামানত হিসেবে কোনো ব্যাংক চেক না রাখার বিধান প্রস্তাব করা হয়েছে। এ বিষয়ে আইন কমিশন বলেছে, ‘কেবল স্বাক্ষরিত ফাঁকা চেক ব্যবহার সংক্রান্ত কোনো বিধান এই আইনে নেই। ঋণদাতা (ব্যক্তি, ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান) ঋণ গ্রহীতার কাছ থেকে ঋণের বিপরীতে অলিখিত (কেবল স্বাক্ষরিত) চেক রেখে পরবর্তীতে নিজেদের ইচ্ছামতো পূরণ করে নেয়। পরে ওই চেক সংশ্লিষ্ট ব্যাংকে উপস্থাপন করে ডিজঅনারও করিয়ে নেয়। এরপর ১৩৮ ধারায় ফৌজদারি মামলা এবং একই ঋণের বিপরীতে জমা রাখা দলিলপত্র ব্যবহার করে অর্থঋণ আদালতে দেওয়ানি মামলা দায়ের করে। এতে ঋণগ্রহীতা মারাত্মক ভোগান্তির শিকার হয়। এ অবস্থায় ঋণের বিপরীতে জামানত হিসেবে কোনো চেক রাখা যাবে না মর্মে শর্ত ১৩৮ ধারায় সংযোজন করা হলে অযাচিত মামলার সংখ্যা হ্রাস পেয়ে চলমান মামলাজট নিরসনে সহায়ক হবে।
সংশোধিত নতুন আইনে ১৪১ (সি) সংশোধন করে আপসযোগ্য করার প্রস্তাব করা হয়েছে। এ বিষয়ে আইন কমিশনের যুক্তি হচ্ছে, ‘ফৌজদারি কার্যবিধি ১৮৯৮ এর ৩৪৫ ধারা এবং পেনাল কোড ১৮৬০ অনুযায়ী এ ধরনের অপরাধকে (যেগুলোর সর্বোচ্চ সাজা সাত বছর বা তার নিচে) আপসযোগ্য করা হয়েছে। অন্যদিকে এনআই অ্যাক্টের ১৩৮ ধারায় বর্ণিত অপরাধটি আপসযোগ্য না হওয়ায় পক্ষগণের ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও আদালত আপসের ভিত্তিতে মামলা নিষ্পত্তি করতে পারে না। এতে এ ধরনের মামলা নিষ্পত্তিতে অহেতুক জটিলতা ও বিলম্ব হয়।’ কমিশন আরও বলেছে, ‘১৩৮ ধারার অপরাধটি আপসযোগ্য হলে দ্রুততার সঙ্গে মামলা নিষ্পত্তি হয়ে পক্ষগণের দুর্ভোগ লাঘব হবে। অন্যদিকে দেশের ফৌজদারি আদালতগুলোর মামলাজটও হ্রাস পাবে।’
প্রচলিত এনআই অ্যাক্ট ১৮৮১ এর ১৪১ ধারার (সি) অনুযায়ী দায়রা আদালতকে চেক ডিজঅনারসহ এ সংক্রান্ত মামলা নিষ্পত্তির এখতিয়ার দেওয়া হয়েছে। এক্ষেত্রে নতুন সংশোধিত আইনের খসড়ায় ১৪১ (সি) এর পরে ক্লজ (ডি) যুক্ত করে দায়রা আদালতকে প্রদত্ত এখতিয়ার সংশোধনক্রমে প্রথম শ্রেণির জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটকে এখতিয়ার প্রদান করার কথা বলা হয়েছে। এ বিষয়ে আইন কমিশনের যুক্তি হচ্ছে, ‘১৪১ ধারায় দায়রা আদালতকে ১৩৮ ধারার অপরাধের বিচার এখতিয়ার দেওয়া হয়েছে। যা এদেশের অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে বাস্তবসম্মত নয়। ১৩৮ ধারার মামলাগুলো দ্রুত ও সহজে নিষ্পত্তিযোগ্য, যার বিচারের জন্য একজন প্রথম শ্রেণির জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটই যথেষ্ট যোগ্যতাসম্পন্ন।’
১৮৮১ সালের নেগোশিয়েবল ইনস্ট্রুমেন্ট আইনে ১৯৯৪ সালে নোটারি পাবলিকের বিষয়টি বাদ দিয়ে চেক বাউন্সের বিধানগুলো প্রতিস্থাপন করা হয়। এতে নোটারি পাবলিক নিয়োগের বিধানসংবলিত আইনটির ১৭ নম্বর অধ্যায়টি প্রতিস্থাপন করা হয় চেক ধারাগুলোর মাধ্যমে। প্রতিস্থাপিত ১৩৮ ধারায় বলা হয়েছে, অর্থ না থাকা বা অন্য কোনো কারণে চেক বাউন্স বিষয়ে মামলা হলে চেকদাতার (আসামির) এক বছর কারাদণ্ড ও চেকের অঙ্কের দ্বিগুণ পরিমাণ পর্যন্ত অর্থ জরিমানা হবে। ২০০০ সালে তা আবারও সংশোধন করে চেকে উল্লিখিত অর্থের তিনগুণ পর্যন্ত অর্থদণ্ডের বিধান রাখা হয়। আর ২০০৬ সালে তা পুনরায় সংশোধন করে বলা হয়, আপিল করতে হলে জরিমানার অর্ধেক টাকা জমা দিয়ে আপিল করতে হবে।
No comments