জ্বীনে মেরেছে শিশু আইমানকে?
মানবজমিন: দুই দিন আগে নিজ বাড়ির রান্নাঘরে মিলেছে ৫ বছরের শিশু আইমানের রক্তমাখা মরদেহ। এর আগে দু’দিন নিখোঁজ ছিল শিশুটি। খোঁজে পাওয়ার পর বলা হচ্ছে-শিশু আইমানকে জ্বীনে মেরে রান্নাঘরে লুকিয়ে রেখেছে। শিশুটির পরিবারের লোকজনই এমন দাবি করছেন। তিন চাচা-চাচী ও তাদের স্বজনদের সুরে প্রতিবেশীদের অনেকেও এই কথা বিশ্বাস করছে এখন। ছেলে হারিয়ে পাগল প্রায় মায়ের মুখেও একই কথা।
‘আমার ছেলেকে জ্বীনে মেরে লুকিয়ে রেখেছে।’ সদ্য দ্বিতীয় সন্তানের মা হওয়ায় তার চোখে-মুখে আতঙ্কের ছাপ স্পষ্ট। যদি এই সন্তানেরও একই পরিণতি হয়Ñ এমন শঙ্কা তাড়া করে ফিরছে মাকে।
চট্টগ্রামের বোয়ালখালী পৌরসভার কাউন্সিলর ইসমাইল হোসেন চৌধুরী আবু বলেন, আইমান হক কায়েপের বাবা এজহারুল হকও নিরব, নিথর হয়ে গেছেন। ছেলে তো চলেই গেছে এখন কিছু বলেও আর কি লাভÑ এমন চিন্তা থেকে থানায় অভিযোগ করেন নি তারা। তবে নিখোঁজ হওয়ার আগে একটি সাধারণ ডায়েরী করেছিলেন। যার সূত্র ধরে পুলিশ থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করেছেন।
পুলিশও বিশ্বাস করতে চাইছেন না, শিশু আইমান হক কায়েপকে জ্বীনে মেরে নিজ বাড়ির রান্নাঘরে লুকিয়ে রেখেছে। বরং প্রাথমিক সুরতহাল রিপোর্ট এবং আলামতে আইমান হক কায়েপকে হত্যা করা হয়েছে বলেই ধারণা পুলিশের। আর এই হত্যাকান্ডের জন্য শিশু আইমানের পরিবারের দিকেই আঙুল তুলছেন বোয়ালখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হিমাংশু কুমার দাস রানা।
তিনি বলেন, জ্বীন কেন একটা শিশুকে মর্মান্তিকভাবে হত্যা করবে। আর হলেও পুলিশ তা জানতে চায়। ঘটনার আলামত ও সম্ভাব্য তথ্য উপাত্ত সামনে রেখে এ হত্যাকান্ডের তদন্ত চলছে বলে জানান তিনি।
ওসি আরও বলেন, আইমান হক কায়েপের লাশ উদ্ধারের সময় তার নাকে রক্তমাখা ছিল। তার মলদ্বার ছিল অস্বাভাবিক। জিহ্বা বাহির হওয়া ছিল। এ থেকে বোঝা যায় তাকে গলাটিপে হত্যা করা হয়েছে।
তাছাড়া যে রান্নাঘরে সবসময় রান্নার কাজ চলে। পরিবারের সবাই যাতায়াত করে সেখানে নিখোঁজ দু‘দিন তার লাশ পাওয়া যায়নি। দু‘দিন পর হঠাৎ লাশ এলো কোথা থেকে। নাকি জ্বীনে রেখে গেছে? এই প্রশ্নের উত্তর খোঁজা হচ্ছে বলে জানান ওসি।
প্রসঙ্গত, চট্টগ্রামের বোয়ালখারী পৌরসভার পূর্বগোমদন্ডী দরপপাড়া বদরুছ মেহের চেয়ারম্যান বাড়ীর এজাহারুল হকের বড় ছেলে আইমান হক কায়েপ গত বৃহস্পতিবার নিখোঁজ হয়। তাকে অনেক খোঁজাখুঁঁিজর পর না পেয়ে শুক্রবার সকালে আইমানের চাচাতো ভাই শওকত হোসাইন থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন।
কিন্তু শনিবার দুপুরে নিজ বাড়ির রান্নাঘরের কোণায় লুকানো শিশু আইমান হক কায়েপের মরদেহ পাওয়া যায়। খবর পেয়ে পুলিশ তার মরদেহ উদ্ধার করে সুরতহাল রিপোর্ট এবং আলামত সংগ্রহ শেষে রবিবার সকালে ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে মরদেহটি প্রেরণ করে।
ময়না তদন্তের প্রতিবেদন হাতে পেলে মৃত্যুর বিস্তারিত কারণ জানা যাবে বলে জানান থানার উপপরিদর্শক মো. দেলোয়ার হোসেন।
প্রতিবেশিরা জানান, আইমানের বাবা চার ভাইয়ের মধ্যে তৃতীয়। আইমানের বড় চাচা পরিবার নিয়ে পৃথক বসবাস করলেও বাকিরা যৌথভাবে থাকেন। আইমানের বাবা এলাকায় ক্ষুদ্র ব্যবসা করেন ও চাচারা সবাই প্রবাসী। পরিবারে তিন চাচী ও চাচাতো ভাইরা আছেন। আইমানের বাবা এজাহারুল হক গত ৩০শে অক্টোবর দ্বিতীয় সন্তানের জনক হন। এ নিয়ে আনন্দে মেতেছিল পরিবারটি। আইমান নিখোঁজ ও মৃত্যুর ঘটনায় ¤¬ান হয়ে যায় সব আনন্দ।
‘আমার ছেলেকে জ্বীনে মেরে লুকিয়ে রেখেছে।’ সদ্য দ্বিতীয় সন্তানের মা হওয়ায় তার চোখে-মুখে আতঙ্কের ছাপ স্পষ্ট। যদি এই সন্তানেরও একই পরিণতি হয়Ñ এমন শঙ্কা তাড়া করে ফিরছে মাকে।
চট্টগ্রামের বোয়ালখালী পৌরসভার কাউন্সিলর ইসমাইল হোসেন চৌধুরী আবু বলেন, আইমান হক কায়েপের বাবা এজহারুল হকও নিরব, নিথর হয়ে গেছেন। ছেলে তো চলেই গেছে এখন কিছু বলেও আর কি লাভÑ এমন চিন্তা থেকে থানায় অভিযোগ করেন নি তারা। তবে নিখোঁজ হওয়ার আগে একটি সাধারণ ডায়েরী করেছিলেন। যার সূত্র ধরে পুলিশ থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করেছেন।
পুলিশও বিশ্বাস করতে চাইছেন না, শিশু আইমান হক কায়েপকে জ্বীনে মেরে নিজ বাড়ির রান্নাঘরে লুকিয়ে রেখেছে। বরং প্রাথমিক সুরতহাল রিপোর্ট এবং আলামতে আইমান হক কায়েপকে হত্যা করা হয়েছে বলেই ধারণা পুলিশের। আর এই হত্যাকান্ডের জন্য শিশু আইমানের পরিবারের দিকেই আঙুল তুলছেন বোয়ালখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হিমাংশু কুমার দাস রানা।
তিনি বলেন, জ্বীন কেন একটা শিশুকে মর্মান্তিকভাবে হত্যা করবে। আর হলেও পুলিশ তা জানতে চায়। ঘটনার আলামত ও সম্ভাব্য তথ্য উপাত্ত সামনে রেখে এ হত্যাকান্ডের তদন্ত চলছে বলে জানান তিনি।
ওসি আরও বলেন, আইমান হক কায়েপের লাশ উদ্ধারের সময় তার নাকে রক্তমাখা ছিল। তার মলদ্বার ছিল অস্বাভাবিক। জিহ্বা বাহির হওয়া ছিল। এ থেকে বোঝা যায় তাকে গলাটিপে হত্যা করা হয়েছে।
তাছাড়া যে রান্নাঘরে সবসময় রান্নার কাজ চলে। পরিবারের সবাই যাতায়াত করে সেখানে নিখোঁজ দু‘দিন তার লাশ পাওয়া যায়নি। দু‘দিন পর হঠাৎ লাশ এলো কোথা থেকে। নাকি জ্বীনে রেখে গেছে? এই প্রশ্নের উত্তর খোঁজা হচ্ছে বলে জানান ওসি।
প্রসঙ্গত, চট্টগ্রামের বোয়ালখারী পৌরসভার পূর্বগোমদন্ডী দরপপাড়া বদরুছ মেহের চেয়ারম্যান বাড়ীর এজাহারুল হকের বড় ছেলে আইমান হক কায়েপ গত বৃহস্পতিবার নিখোঁজ হয়। তাকে অনেক খোঁজাখুঁঁিজর পর না পেয়ে শুক্রবার সকালে আইমানের চাচাতো ভাই শওকত হোসাইন থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন।
কিন্তু শনিবার দুপুরে নিজ বাড়ির রান্নাঘরের কোণায় লুকানো শিশু আইমান হক কায়েপের মরদেহ পাওয়া যায়। খবর পেয়ে পুলিশ তার মরদেহ উদ্ধার করে সুরতহাল রিপোর্ট এবং আলামত সংগ্রহ শেষে রবিবার সকালে ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে মরদেহটি প্রেরণ করে।
ময়না তদন্তের প্রতিবেদন হাতে পেলে মৃত্যুর বিস্তারিত কারণ জানা যাবে বলে জানান থানার উপপরিদর্শক মো. দেলোয়ার হোসেন।
প্রতিবেশিরা জানান, আইমানের বাবা চার ভাইয়ের মধ্যে তৃতীয়। আইমানের বড় চাচা পরিবার নিয়ে পৃথক বসবাস করলেও বাকিরা যৌথভাবে থাকেন। আইমানের বাবা এলাকায় ক্ষুদ্র ব্যবসা করেন ও চাচারা সবাই প্রবাসী। পরিবারে তিন চাচী ও চাচাতো ভাইরা আছেন। আইমানের বাবা এজাহারুল হক গত ৩০শে অক্টোবর দ্বিতীয় সন্তানের জনক হন। এ নিয়ে আনন্দে মেতেছিল পরিবারটি। আইমান নিখোঁজ ও মৃত্যুর ঘটনায় ¤¬ান হয়ে যায় সব আনন্দ।
No comments