স্কার্ফ ছাড়াই...
দু’বছর
আগের কথা। তখন সৌদি আরব সফরে এসেছিলেন সেই সময়ের ফার্স্টলেডি মিশেল ওবামা।
কিন্তু মুসলিম দেশটিতে তিনি হেডস্কার্ফ পরেন নি বলে সমালোচনার তীর
ছুড়েছিলেন বর্তমান প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প। তিনি বলেছিলেন, হেডস্কার্ফ
না পরে মিশেল ওবামা ইসলামিক দেশটিকে অবমাননা করেছেন। কিন্তু এবার তার সঙ্গে
সৌদি আরব সফরে এলেন তারই স্ত্রী, ফার্স্টলেডি মেলানিয়া ট্রাম্প ও ফার্স্ট
ডটার ইভানকা ট্রাম্প। কিন্তু তাদের কেউই হেডস্কার্ফ পরেন নি। এ নিয়ে
টুঁ-শব্দটি পর্যন্ত করেন নি ডনাল্ড ট্রাম্প। ফলে সমালোচকরা বলছেন, মিশেল
ওবামা হেডস্কার্ফ না পরায় যদি সৌদি আরবকে অবমাননা করা হয় তাহলে মেলানিয়া,
ইভানকা ট্রাম্প সেই একই ধারা অনুসরণ করায় কি সৌদি আরবকে অবমাননা করা হয় না?
বিষয়টি নিয়ে পশ্চিমা দুনিয়ায় ব্যাপক সমালোচনা হচ্ছে। অনলাইন ডেইলি মেইল
লিখেছে, শনিবার সকালে সৌদি আরবের মাটি স্পর্শ করে ট্রাম্প, ফার্স্টলেডি,
ফার্স্টডটার সহ অন্যদের বহনকারী বিমান। এ সময় মেলানিয়া ট্রাম্প ছিলেন
পুরোপুরি কালো একটি পোশাক পরা। তাদেরকে নিয়ে রিয়াদে বাদশাহ খালিদ
আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এয়ারফোর্স ওয়ানের বিমান অবতরণ করার পর তা থেকে
বেরিয়ে আসেন মেলানিয়া। এ সময় তার ভাবধারা ছিল পুরোপুরি রক্ষণশীল। ৪৭ বছর
বয়সী এই সাবেক মডেলের পরনে ছিল স্টিলটোস। ধারণা করা হয় এটি স্টেলা
ম্যাককার্টনির ১৪৯৫ পাউন্ড দামের কালো জাম্পসুট। কোমরে একটি চওড়া স্বর্ণের
বেল্ট। কিন্তু তার মাথায় কোনো স্কার্ফ ছিল না। অথচ দু’বছর আগে ২০১৫ সালের
জানুয়ারিতে সৌদি আরবের বাদশাহ আবদুল্লাহ মারা যাওয়ায় তার প্রতি শ্রদ্ধা
জানাতে সৌদি আরব সফরে আসেন তখনকার প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। তার সঙ্গে
ছিলেন ফার্স্টলেডি মিশেল ওবামা। তিনিও মাথায় তখন স্কার্ফ পরেন নি। তা নিয়ে
টুইটারে ডনাল্ড ট্রাম্প লিখেছিলেন, অনেকেই বলছেন, এটা বিস্ময়কর যে, সৌদি
আরবে স্কার্ফ পরতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন মিসেস ওবামা। এতে তারা (সৌদি আরব)
অপমানিত হয়েছে। আমাদের তো অনেক শত্রু আছে। তাহলে এবার কি সৌদি আরবকে সম্মান
দেখানো হলো! এ প্রশ্ন জনে জনে।
No comments