স্বীকৃতি নিঃসন্দেহে দায়িত্ব আরও কয়েকগুণ বাড়িয়ে দেয়
* শুনেছি আপনি অসুস্থ। এখন কেমন আছেন?
** এ মুহূর্তে অনেক বেশি ভালো থাকতে পারলে বোধহয় ভালো আছি কথাটি বলতে পারতাম। ভালো নেই। কারণ অনেক বেশি অসুস্থবোধ করছি। খুব বেশি কিছু বলতে পারব না হয়তো এ মুহূর্তে।
* জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার-১৫ তে আজীবন সম্মাননা পেয়েছেন। কেমন লাগছে?
** যে কোনো প্রাপ্তিই অনেক ভালোলাগার। এর আগে সঙ্গীত পরিচালক হিসেবে জাতীয় পুরস্কার পেয়েছিলাম। সেটি আমার কাছে অন্যরকম ভালোলাগা ছিল। এতদিন পর আবার আজীবনের জন্য আমাকে সম্মানিত করল। অনেক ভালো লাগছে। আল্লাহর কাছে শুকরিয়া এমন একটা জায়গায় আমাকে নিয়ে আসার জন্য। সবার কাছে আমি কৃতজ্ঞ। এখন আমি এতটাই অসুস্থ যে, নিজের শয়নকক্ষ ছাড়া অন্য কোনো কক্ষে যাবারও শক্তি নেই। তাই আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করি তিনি যেন আমাকে পুরস্কার গ্রহণের সময়ের আগে সুস্থ করে তোলেন। আমি নিজে উপস্থিত থেকে এই সম্মানা গ্রহণ করতে চাই।
* এ সম্মাননা আপনাকে দায়িত্বের জায়গায় থেকে কতটুকু উদ্বুদ্ধ করবে বলে মনে করেন?
** একজন শিল্পীর এমনিতেই অনেক বেশি দায়িত্ব থাকে। আর যখন তা সবার কাছ থেকে স্বীকৃতি পায় তা নিঃসন্দেহে তার দায়িত্ব আরও কয়েকগুণ বাড়িয়ে দেয়। আমার জায়গা থেকে সব সময় এ সম্মাননার মর্যাদা রাখার চেষ্টা করব।
* গানের সঙ্গে পথচলা কিভাবে?
** আমার আব্বা শিল্পী আব্বাস উদ্দিন আহমদ। সঙ্গীত পরিবারের সদস্য হিসেবে আমি ছোটবেলায় আব্বার কাছে গানের তালিম নিতে শুরু করি। কথা বলার আগে থেকে গান গাওয়া শুরু করেছি। মা সারাক্ষণ গুন গুন করতেন, বাড়িতে গ্রামোফোন বাজত। শুনে শুনে মাথার মধ্যে সুর ঢুকে গিয়েছিল। গানের হাতেখড়ি হয় শ্রদ্ধেয় শিল্পী সোহরাব হোসেনের কাছে। পরে কলকাতায় ওস্তাদ কাদের জামেরি, ওস্তাদ ইউসুফ খান কোরাইশীর কাছে গান শিখেছি।
* সঙ্গীত পরিচালক হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন বলেছিলেন...
** ১৯৬০ সালে ‘রাজধানীর বুকে’ চলচ্চিত্রে রবীন ঘোষের সঙ্গে সঙ্গীত পরিচালনা করি। আমিই প্রথম নারী হিসেবে বাংলা চলচ্চিত্রে সঙ্গীত পরিচালনা করেছি তখন। সে সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী ছিলাম। সে সময় গানগুলো বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছিল। পরে একক সঙ্গীত পরিচালনা করলাম ‘মেঘের অনেক রং’ নামের একটি মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক চলচ্চিত্রে। কিন্তু সঙ্গীত পরিচালক হিসেবে জাতীয় পুরস্কার পাব কখনও ভাবিনি। সেই প্রাপ্তিটা ছিল অন্যরকম। পরে আরও কিছু কাজ করা হয়েছিল।
* চলচ্চিত্রের গানেও আপনার সফল পদচারণা ছিল...
** চলচ্চিত্রে গান করার ইচ্ছা ছিল না। যখন আমার ১৮ বছর-সবার কথা রাখতেই চলচ্চিত্রে গান গেয়েছিলাম। ফতেহ লোহানীর পরিচালনায় একটি ছবিতে গান করি। এর আগে ‘এ দেশ তোমার আমার’ ছবিতে প্লেব্যাক করেছিলাম। বাংলা এবং উর্দু অনেক জনপ্রিয় সিনেমায় আমি গান গেয়েছি। আমার গাওয়া ‘যে জন প্রেমের ভাব জানে না’, ‘যার ছায়া পড়েছে মনের আয়নাতে’, ‘প্রাণ সখীরে, ঐ শোন কদম্বতলে বংশী বাজায় কে’, ‘পদ্মার ঢেউরে মোর শূন্য হৃদয় পদ্মা নিয়ে যা যারে’ এসব গান বেশ জনপ্রিয় হয়েছিল।
সাদিয়া ন্যান্সী
** এ মুহূর্তে অনেক বেশি ভালো থাকতে পারলে বোধহয় ভালো আছি কথাটি বলতে পারতাম। ভালো নেই। কারণ অনেক বেশি অসুস্থবোধ করছি। খুব বেশি কিছু বলতে পারব না হয়তো এ মুহূর্তে।
* জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার-১৫ তে আজীবন সম্মাননা পেয়েছেন। কেমন লাগছে?
** যে কোনো প্রাপ্তিই অনেক ভালোলাগার। এর আগে সঙ্গীত পরিচালক হিসেবে জাতীয় পুরস্কার পেয়েছিলাম। সেটি আমার কাছে অন্যরকম ভালোলাগা ছিল। এতদিন পর আবার আজীবনের জন্য আমাকে সম্মানিত করল। অনেক ভালো লাগছে। আল্লাহর কাছে শুকরিয়া এমন একটা জায়গায় আমাকে নিয়ে আসার জন্য। সবার কাছে আমি কৃতজ্ঞ। এখন আমি এতটাই অসুস্থ যে, নিজের শয়নকক্ষ ছাড়া অন্য কোনো কক্ষে যাবারও শক্তি নেই। তাই আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করি তিনি যেন আমাকে পুরস্কার গ্রহণের সময়ের আগে সুস্থ করে তোলেন। আমি নিজে উপস্থিত থেকে এই সম্মানা গ্রহণ করতে চাই।
* এ সম্মাননা আপনাকে দায়িত্বের জায়গায় থেকে কতটুকু উদ্বুদ্ধ করবে বলে মনে করেন?
** একজন শিল্পীর এমনিতেই অনেক বেশি দায়িত্ব থাকে। আর যখন তা সবার কাছ থেকে স্বীকৃতি পায় তা নিঃসন্দেহে তার দায়িত্ব আরও কয়েকগুণ বাড়িয়ে দেয়। আমার জায়গা থেকে সব সময় এ সম্মাননার মর্যাদা রাখার চেষ্টা করব।
* গানের সঙ্গে পথচলা কিভাবে?
** আমার আব্বা শিল্পী আব্বাস উদ্দিন আহমদ। সঙ্গীত পরিবারের সদস্য হিসেবে আমি ছোটবেলায় আব্বার কাছে গানের তালিম নিতে শুরু করি। কথা বলার আগে থেকে গান গাওয়া শুরু করেছি। মা সারাক্ষণ গুন গুন করতেন, বাড়িতে গ্রামোফোন বাজত। শুনে শুনে মাথার মধ্যে সুর ঢুকে গিয়েছিল। গানের হাতেখড়ি হয় শ্রদ্ধেয় শিল্পী সোহরাব হোসেনের কাছে। পরে কলকাতায় ওস্তাদ কাদের জামেরি, ওস্তাদ ইউসুফ খান কোরাইশীর কাছে গান শিখেছি।
* সঙ্গীত পরিচালক হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন বলেছিলেন...
** ১৯৬০ সালে ‘রাজধানীর বুকে’ চলচ্চিত্রে রবীন ঘোষের সঙ্গে সঙ্গীত পরিচালনা করি। আমিই প্রথম নারী হিসেবে বাংলা চলচ্চিত্রে সঙ্গীত পরিচালনা করেছি তখন। সে সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী ছিলাম। সে সময় গানগুলো বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছিল। পরে একক সঙ্গীত পরিচালনা করলাম ‘মেঘের অনেক রং’ নামের একটি মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক চলচ্চিত্রে। কিন্তু সঙ্গীত পরিচালক হিসেবে জাতীয় পুরস্কার পাব কখনও ভাবিনি। সেই প্রাপ্তিটা ছিল অন্যরকম। পরে আরও কিছু কাজ করা হয়েছিল।
* চলচ্চিত্রের গানেও আপনার সফল পদচারণা ছিল...
** চলচ্চিত্রে গান করার ইচ্ছা ছিল না। যখন আমার ১৮ বছর-সবার কথা রাখতেই চলচ্চিত্রে গান গেয়েছিলাম। ফতেহ লোহানীর পরিচালনায় একটি ছবিতে গান করি। এর আগে ‘এ দেশ তোমার আমার’ ছবিতে প্লেব্যাক করেছিলাম। বাংলা এবং উর্দু অনেক জনপ্রিয় সিনেমায় আমি গান গেয়েছি। আমার গাওয়া ‘যে জন প্রেমের ভাব জানে না’, ‘যার ছায়া পড়েছে মনের আয়নাতে’, ‘প্রাণ সখীরে, ঐ শোন কদম্বতলে বংশী বাজায় কে’, ‘পদ্মার ঢেউরে মোর শূন্য হৃদয় পদ্মা নিয়ে যা যারে’ এসব গান বেশ জনপ্রিয় হয়েছিল।
সাদিয়া ন্যান্সী
No comments