দুর্নীতির অনুসন্ধানে নবাবগঞ্জ ভূমি অফিসে দুদক টিম
ঢাকার অদূরে নবাবগঞ্জ ভূমি অফিসে দুর্নীতির অনুসন্ধান শুরু করেছে দুদক। রোববার দুদকের একটি টিম ওই অফিসে উপস্থিত হয়ে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জিজ্ঞাসাবাদ করে। হাইকোর্টের দেয়া এক রুলের পরিপ্রেক্ষিতে দুদক নবাবগঞ্জের ভূমি অফিসের দুর্নীতির অনুসন্ধানে নেমেছে। ২ এপ্রিল ‘নবাবগঞ্জ ভূমি অফিস ঘুষের হাট’ শিরোনামে যুগান্তরের প্রথম পাতায় একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। প্রতিবেদনে খোদ এসি ল্যান্ড শাহনাজ মিথুন মুন্নি দুর্নীতি সিন্ডিকেটের সঙ্গে জড়িত বলে উল্লেখ করা হয়। ওই প্রতিবেদনের ভিত্তিতে হাটকোর্ট স্বপ্রণোদিত হয়ে রুল জারি করে দুদককে অভিযোগ তদন্তের নির্দেশ দেন। প্রতিবেদনটি ছাপা হওয়ায় নড়েচড়ে বসে সারা দেশের ভূমি অফিসসহ মন্ত্রণালয়। প্রতিবেদন প্রকাশের পর ঢাকা জেলা প্রশাসন বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করে। সরাসরি ঘুষ লেনদেনের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে সার্ভেয়ার মুস্তফা জামান আব্বাছি ও নাজিরের দায়িত্ব পালনকারী গৌর গোপাল সাহাকে অন্যত্র বদলি করা হয়। যুগান্তরের অনুসন্ধানে এ দু'জন সরাসরি ঘুষ নেন বলে সচিত্র তথ্যপ্রমাণ পাওয়া যায়। এছাড়া তাদের বদলিই প্রমাণ করে যে, এ অফিসে নামে-বেনামে ব্যাপক ঘুষ লেনদেনের মাধ্যমে নামজারি, জমাভাগ ও খারিজের কাজ হয়ে থাকে। এদিকে যুগান্তরের প্রতিবেদনটি সাধারণ মানুষের ভেতর জমে থাকা ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ ঘটিয়েছে বলে জানিয়েছেন বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষ।
কিন্তু যার বিরুদ্ধে অভিযোগের তীর সেই এসি ল্যান্ড বহাল তবিয়তেই আছেন। শুরু থেকেই একটি মহলবিশেষ তাকে রক্ষা করার চেষ্টা করে আসছে। রোববার দুদকের উপসহকারী পরিচালক আহসানুল কবিরের নেতৃত্বে একটি টিম নবাবগঞ্জ ভূমি অফিসে উপস্থিত হয়ে কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের পৃথকভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করে। সহকারী কমিশনার (ভূমি) শাহনাজ মিথুন মুন্নি অসুস্থতার কারণে ছুটিতে রয়েছেন। এ কারণে তদন্ত টিম তাকে পরে জিজ্ঞাসাবাদ করবে বলে জানা গেছে। এদিন সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত দুদক টিম ভূমি অফিসে অবস্থান করে। দুদক টিম নবাবগঞ্জ উপজেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের সঙ্গে কথা বলে তাদের মতামত নেয়। ভূমি অফিস পরিদর্শনের সময় দুদক কর্মকর্তারা দালালের আনাগোনাও পর্যবেক্ষণ করেন। তারা বেশ কয়েকজন চিহ্নিত দালাল সম্পর্কে অনুসন্ধান চালান এবং বিভিন্ন কাজে আসা লোকজনের কাছ থেকে খোঁজখবর নেন। আকস্মিক দুদক টিমের পরিদর্শনের কথা জানতে পেরে উৎসুক মানুষ অফিসের আশপাশে ভিড় করেন। জানতে চাইলে, দুর্নীতি দমন কমিশনের উপ-সহকারী পরিচালক আহসানুল কবির বলেন, প্রাথমিক অবস্থায় আমরা খোঁজখবর নিয়েছি। এসি ল্যান্ড শারীরিক অসুস্থতার কারণে ছুটিতে আছেন। তাই পরে আরও তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। এ সংক্রান্ত আরও খবর
No comments