রাজধানীতে স্ত্রী ও সিলেটে স্বামীর লাশ উদ্ধার
রাজধানীর মধুবাগ এলাকা থেকে শনিবার সন্ধ্যায় তাসলিমা (২৩) নামে এক গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। অপর দিকে দুপুরে তার স্বামী সুজন মিয়ার (২৫) লাশ উদ্ধার করা হয়েছে সিলেটের দক্ষিণ সুরমা এলাকা থেকে। পুলিশের ধারণা, শুক্রবার স্ত্রীকে হত্যার পর স্বামী সিলেটে গিয়ে আত্মহত্যা করেছে। রমনা থানার ওসি মশিউর রহমান যুগান্তরকে জানান, শনিবার রাতে তাসলিমার লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়। স্বামীর লাশ উদ্ধারের বিষয়ে বিস্তারিত জানতে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে। ওসি জানান, স্থানীয়দের কাছ থেকে খবর পেয়ে মুধবাগ এলাকার ৩৫৭/১২/এ/বি ঝিলপাড়ের বাসা থেকে তাসলিমার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ঘটনাস্থল থেকে শনিবার রাতে এসআই মোজাফফর হোসেন যুগান্তরকে জানান, যে বাসা থেকে তাসলিমার লাশ উদ্ধার করা হয়েছে সেটি দোতলা ভবন। তবে দ্বিতীয়তলায় টিনশেড। ওই ভবনে বেশ কিছু রুম আছে। প্রত্যেকটি রুম পৃথকভাবে ভাড়া দেয়া হয়েছে। দ্বিতীয়তলার একটি রুম ভাড়া নিয়ে চলতি মাসেই সুজন এবং তাসলিমা সেখানে ওঠেন। তারা ফ্লোরিং করে থাকতেন। ফ্লোর থেকে শোয়া অবস্থায় লাশ উদ্ধার করা হয়। ওই রুমে তেমন কোনো আসবাবপত্র নেই বলেও মোজাফফর হোসেন জানান।
স্থানীয়দের বরাত দিয়ে এসআই জানান, সুজন ও তাসলিমা তাদের রুম থেকে খুব একটা বের হতেন না। একসময় তারা দু’জনই গার্মেন্টসে চাকরি করতেন। পরে গ্রামের বাড়ি চলে যান। সম্প্রতি তারা আবার ঢাকায় আসেন। তাসলিমার বাবার বাড়ি গাইবান্ধা জেলার সাদুল্লাপুর উপজেলার হাসানপুর গ্রামে। সুজন মিয়ার বাবার নাম নওশাদ মিয়া। গ্রামের বাড়ি রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার মহেশপুর গ্রামে। এসআই মোজাফফর হোসেন আরও জানান, তাসলিমার গলায় কালো দাগ আছে। ধারণা করা হচ্ছে তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে। লাশ দেখে মনে হচ্ছে, শুক্রবার রাত ১২টার পর যে কোনো সময় তাকে হত্যা করা হয়েছে। সিলেটের দক্ষিণ সুরমা থানার ওসি হারুন আর রশিদ জানান, এলাকাবাসীর কাছ থেকে খবর পেয়ে শনিবার দুপুর ১২টার দিকে দক্ষিণ সুরমার বড়ইকান্দি গ্রামের গেদামিয়ার কলোনি থেকে সুজনের লাশ উদ্ধার করা হয়। ময়নাতদন্ত শেষে লাশ পরিবারের সদস্যদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। ওসি আরও জানান, সুজনের লাশ একটি গাছে ঝুলছিল। গলায় রশি পেঁচিয়ে সুজন আত্মহত্যা করেছে। এ বিষয়ে একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে।
No comments