এডিবি পাঁচ বছরে ৭০ হাজার কোটি টাকা সহায়তা দেবে
আগামী পাঁচ বছরে বাংলাদেশকে প্রায় ৭০ হাজার কোটি টাকা (৮৫০ কোটি মার্কিন ডলার) ঋণ সহায়তা দেবে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)। ঋণ সহায়তার পরিকল্পনায় এ লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে এডিবি। ঢাকায় চার দিনের সফরের প্রথম দিন শুক্রবার যুগান্তরকে এ তথ্য জানিয়েছেন এডিবির বিকল্প নির্বাহী পরিচালক মাহবুব আহমেদ। আজ তিনি অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের সঙ্গে বৈঠক করবেন। সফর শেষে সোমবার তিনি ঢাকা ত্যাগ করবেন। আগামী ৫ থেকে ৭ মে জাপানে অনুষ্ঠিত হবে এডিবির বার্ষিক সভা। তিন দিনব্যাপী ওই বৈঠকে গভর্নর সদস্যরা অংশ নেবেন। প্রত্যেক দেশের অর্থমন্ত্রী এর গভর্নর সদস্য।
অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতও এতে যোগ দেবেন। মাহবুব আহমেদ যুগান্তরকে বলেন, এডিবির কাছে লোন নিয়ে ভালো অবস্থানে আছে বাংলাদেশ। অর্থনীতির বড় দিকগুলোর বাস্তবায়নে এডিবির ঋণের সঠিক ব্যবহার নিয়ে এশিয়া ডেভেলপমেন্ট আউট লুকে বাংলাদেশের প্রশংসা করা হয়েছে। এতে এডিবির সদস্যদের সফলতার কথায় উদাহরণ হিসেবে বাংলাদেশের নাম উল্লেখ করা হয়। কারণ অন্যান্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশ সবচেয়ে বেশি ঋণ ব্যবহার করেছে এবং সাফল্যের সঙ্গে এডিবির রিসোর্স ব্যবহার করতে পারছে। তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশকে ঋণ দেয়ার ক্ষেত্রে এডিবি আগ্রহী। কারণ ঋণটা বাংলাদেশ সফলভাবে ব্যবহার করতে পারে। এডিবি মনে করে, এই উন্নয়নের সুফল পাচ্ছে বাংলাদেশের জনগণ। অনেক দেশ লোন নিয়ে খরচও করতে পারে না। মাহবুব আহমেদ বলেন, এডিবির চিফ ইকোনমিস্ট ইয়াসু ইউক্লিন সাবাদা একটি বই লিখছেন। সেখানে তিনি ‘বাংলাদেশ : মিরাক্যাল অ্যান্ড চ্যালেঞ্জেস’ নামে একটি চ্যাপ্টার রেখেছেন। এ বছর বইটি বের হবে। এতে বাংলাদেশের অনেক প্রশংসা করা হয়েছে। সেখানে বাংলাদেশের অবস্থান ভালো বলে উল্লেখ করা হয়েছে। জানা গেছে, ১৯৬৬ সালে এডিবির কার্যক্রম শুরু করেছে। ফলে ২০১৬ সালে ৫০তম বছর। ফলে এবারের বৈঠকটি অন্য বৈঠকের চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মনে করা হচ্ছে। বিশেষ করে ৫০ বছরে এশিয়ার উন্নয়নের ক্ষেত্রে এডিবির ইতিবাচক ও কার্যকর ভূমিকা নিয়েও সেখানে আলোচনা হবে। গভর্নর সদস্যদের কাছে অগ্রগতি প্রতিবেদন তুলে ধরা হবে। পাশাপাাশি ২০৩০ সালের মধ্যে এডিবির কর্মপরিকল্পনাও নির্ধারণ করা হবে। উল্লেখ্য, এডিবির বিকল্প নির্বাহী পরিচালক হিসেবে মাহবুব আহমেদ ফেব্রুয়ারিতে যোগ দিয়েছেন। ২০১৯ সাল পর্যন্ত তিনি দায়িত্ব পালন করবেন। এর আগে তিনি অর্থ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন।
No comments