‘পৃথিবীকে ধ্বংস করে দিতে চান কিম জং উন’
উত্তর
কোরিয়ার নেতা কিম জং উন বিশ্বকে ধ্বংস করে দিতে চান। তাই এক্ষেত্রে তার
হাতের খেলনা না হয়ে যুক্তরাষ্ট্রকে ধৈর্য্য ধরার আহ্বান জানিয়েছেন
ফিলিপাইনের প্রেসিডেন্ট রড্রিগো দুতের্তে। ওদিকে উত্তর কোরিয়া পরিস্থিতিকে
অত্যন্ত উত্তেজনাকর বলে আখ্যায়িত করেছেন পোপ ফ্রাঁসিস। এক্ষেত্রে উত্তর
কোরিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে সমঝোতার জন্য নরওয়ের মতো তৃতীয় কোনো দেশের
প্রতি এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। এ খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা
রয়টার্স ও অনলাইন স্কাই নিউজ। শনিবার প্রেসিডেন্ট দুতের্তে যুক্তরাষ্ট্রের
প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, উত্তর কোরিয়ার সর্বশেষ ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার পর
ধৈর্য্য প্রদর্শন করুন। কিম জং উনের হাতের খেলনা হওয়া এড়িয়ে যান। কারণ,
কিম জং উন বিশ্বকে ধ্বংস করে দিতে চান। এ সময় তিনি উল্লেখ করেন,
যুক্তরাষ্ট্র ও উত্তর কোরিয়ার মধ্যে যে ভয়াবহ, উত্তেজনাকর পরিস্থিতি সৃষ্টি
হয়েছে তা নিয়ে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় দেখা দিয়েছে মারাত্মক উদ্বেগ। তিনি আরো
বলেন, একটি ভুল পদক্ষেপই ঘটিয়ে দিতে পারে বিপর্যয়। আর তাতে একটি পারমাণবিক
যুদ্ধের প্রথম শিকার হবে এশিয়া। যুক্তরাষ্ট্র, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া ও চীন
এমন এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে সময় নষ্ট করছে, যে কিনা ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা
চালিয়েই আনন্দ পায়। উল্লেখ্য, এসোসিয়েশন অব সাউথ ইস্ট এশিয়ান নেশনস-এর
(আসিয়ান) বর্তমান চেয়ারম্যান প্রেসিডেন্ট দুতের্তে। শনিবার দিনশেষে
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পকে ফোন করার কথা তার। এ ফোনে
কিমের বিরুদ্ধে যুদ্ধে না যেতে তিনি ট্রাম্পকে আহ্বান জানাবেন বলে
জানিয়েছেন। তবে ট্রাম্পকে ফোন করেছেন কিনা তা জানা যায় নি। আসিয়ান
সম্মেলনের পরে রাজধানী ম্যানিলায় তিনি যুক্তরাষ্ট্র ও উত্তর কোরিয়াকে
উদ্দেশ্য করে বলেছিলেন, দৃশ্যত এই দুটি দেশ তাদের খেলনা নিয়ে খেলছে। কিন্তু
এই খেলনাগুলো প্রকৃত অর্থে কোনো বিনোদন নয়। ওদিকে মিশরের রাজধানী কায়রো
সফর শেষে পোপ ফ্রাঁসিস সতর্কতা উচ্চারণ করেছেন। তিনি বলেছেন, যদি এই দুটি
দেশের মধ্যে কোনো যুদ্ধ লাগে তাহলে মানবিকতার সৎগুণ ধ্বংস হয়ে যাবে। তার
ভাষায়, আমি সব নেতার প্রতি আহ্বান জানাই এবং জানিয়ে যাবো, বিভিন্ন দেশের
নেতাদের কাছে আহ্বান জানাই কূটনৈতিক উপায়ে সঙ্কট সমাধানের একটি উপায় বের
করার জন্য। বিশ্বে এমন অনেক সুযোগ রয়েছে। অনেক মধ্যস্থতাকারী রয়েছে, যারা
এক্ষেত্রে এগিয়ে আসতে পারে। উদাহরণ হিসেবে নরওয়ের নাম বলা যেতে পারে।
উল্লেখ্য, ১৯৯০ এর দশকের শুরুতে ফিলিস্তিন ও ইসরাইলের মধ্যে একটি ভাল
চুক্তি করতে সক্ষম হয়েছিল নরওয়ে। ওই চুক্তি অসলো চুক্তি নামে পরিচিত। পোপ
ফ্রাঁসিস এক্ষেত্রে জাতিসংঘের প্রতিও আহ্বান জানান। তিনি বলেন, এরই মধ্যে
অনেক পানি গড়িয়ে গেছে। আগামী মাসে ইউরোপ সফরে আসার কথা রয়েছে প্রেসিডেন্ট
ডনাল্ড ট্রাম্পের। তখন তার সঙ্গে সাক্ষাতের আগ্রহ প্রকাশ করেছেন পোপ।
No comments