দেশকে ভয়ংকর পথে ঠেলে দেবেন হিলারি
মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান পার্টির প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প অভিযোগ করেছেন, তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী হিলারি ক্লিনটনের অভিবাসন নীতি খুব নরম। শনিবার টেক্সাস অঙ্গরাজ্যে নির্বাচনী প্রচার চালাতে গিয়ে হিলারির অভিবাসন নীতির কঠোর সমালোচনা করে এ কথা বলেন ট্রাম্প। আগামী ৮ নভেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। দিন যতই ঘনিয়ে আসছে, দেখা যাচ্ছে দুই প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বীর মধ্যে ব্যবধান ক্রমেই কমছে। সাত সপ্তাহ আগেই দুজনের মধ্যে জোর লড়াইয়ের সম্ভাবনা প্রবল হয়ে উঠছে। প্রচারণার ভাষাও ক্রমেই বেশি করে তিক্ত হয়ে উঠছে। টেক্সাসের সমাবেশে ট্রাম্প বলেন, হিলারি ক্লিনটন প্রেসিডেন্ট হলে সীমান্তে নিয়ন্ত্রণ একেবারে বন্ধ করে দেবেন। আর এর ফলে পুরো দেশ এক ভয়ানক পরিস্থিতির মুখে পড়বে। অভিবাসন ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্বাচনী লড়াইয়ের একটি বড় হাতিয়ার। অভিবাসীদের বিষয়ে তিনি প্রথম থেকেই কঠোর অবস্থান নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। তাঁদের নিয়ে বিরূপ মন্তব্যও করেছেন আকছার। কয়েক মাস আগে ট্রাম্প বলে বসেন, যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ সীমান্তের প্রতিবেশী মেক্সিকো থেকে আসা অনেক অভিবাসীই মাদক চোরাচালানি ও ধর্ষক। শনিবারের সভায় ট্রাম্প দৃশ্যত এটা নিশ্চিত করলেন, অভিবাসীদের মুখের কথায় আক্রমণ তিনি চালাতেই থাকবেন। তাতে স্প্যানিশভাষী ভোটারদের বিরাগভাজন হওয়ার আশঙ্কা থাকলেও সে পথ ছাড়ছেন না।
সভায় ট্রাম্প অভিযোগ করে বলেন, অনিবন্ধিত অভিবাসীদের হাতে যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকেরা প্রতিদিন নিহত হচ্ছে। তিনি বলেন, ‘দিন দিন আমাদের সীমান্ত উন্মুক্ত হচ্ছে। নির্দোষ মার্কিন নাগরিকেরা হামলার শিকার হচ্ছে, মারা যাচ্ছে বিনা কারণে।’ ট্রাম্প সরকারের সমালোচনা করে বলেন, ‘আমরা প্রতিদিন আইন প্রয়োগে ব্যর্থ হচ্ছি। স্নেহময় বাবা তাঁর সন্তান হারানোর ঝুঁকির মধ্যে থাকছেন।’ রিপাবলিকান প্রার্থী আরও বলেন, হিলারি প্রেসিডেন্ট হলে নির্বাহী আদেশের ক্ষমতাবলে অবৈধ অভিবাসীদের জন্য সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করে দেবেন। ক্ষমতায় আসার ১০০ দিনের মধ্যে তিনি অবৈধ অভিবাসীদের জন্য সামাজিক নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্য সুবিধা নিশ্চিত করার বন্দোবস্ত করবেন। লঙ্ঘন করবেন সংবিধান। পুরো দেশকেই ভয়ংকর পথে ঠেলে দেবেন তিনি। সভায় থাকা ট্রাম্প সমর্থকদেরও কেউ কেউ বলেন, তাঁদের বন্ধু বা পরিবারের সদস্যরা অবৈধ অভিবাসীদের হাতে নিহত হয়েছেন। ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রার্থী হিলারি ক্লিনটন অভিবাসন নীতি শিথিল করার পক্ষে। এ বিষয়ে তিনি একাধিকবার বলেছেন, কেবল ভয়ানক সন্ত্রাসী ও অপরাধীদের তিনি ফেরত পাঠাবেন। হিলারির এ নীতি ট্রাম্পের নীতির ঠিক বিপরীত। ট্রাম্প বলেছেন, তিনি প্রেসিডেন্ট হলে মেক্সিকোর সঙ্গে সীমান্তে দেয়াল দেবেন। আবার অবৈধ অভিবাসীদের ঢালাওভাবে ধরে ধরে ফেরত পাঠাবেন। এদিকে হিলারির পক্ষে নির্বাচনী প্রচারণায় নেমেছেন ডেমোক্র্যাটদের মধ্যে অধিকতর উদার বলে পরিচিত বার্নি স্যান্ডার্স ও এলিজাবেথ ওয়ারেন। দুজন গত শনিবার ওহাইওতে নির্বাচনী সমাবেশে যোগ দেন।
সভায় ট্রাম্প অভিযোগ করে বলেন, অনিবন্ধিত অভিবাসীদের হাতে যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকেরা প্রতিদিন নিহত হচ্ছে। তিনি বলেন, ‘দিন দিন আমাদের সীমান্ত উন্মুক্ত হচ্ছে। নির্দোষ মার্কিন নাগরিকেরা হামলার শিকার হচ্ছে, মারা যাচ্ছে বিনা কারণে।’ ট্রাম্প সরকারের সমালোচনা করে বলেন, ‘আমরা প্রতিদিন আইন প্রয়োগে ব্যর্থ হচ্ছি। স্নেহময় বাবা তাঁর সন্তান হারানোর ঝুঁকির মধ্যে থাকছেন।’ রিপাবলিকান প্রার্থী আরও বলেন, হিলারি প্রেসিডেন্ট হলে নির্বাহী আদেশের ক্ষমতাবলে অবৈধ অভিবাসীদের জন্য সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করে দেবেন। ক্ষমতায় আসার ১০০ দিনের মধ্যে তিনি অবৈধ অভিবাসীদের জন্য সামাজিক নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্য সুবিধা নিশ্চিত করার বন্দোবস্ত করবেন। লঙ্ঘন করবেন সংবিধান। পুরো দেশকেই ভয়ংকর পথে ঠেলে দেবেন তিনি। সভায় থাকা ট্রাম্প সমর্থকদেরও কেউ কেউ বলেন, তাঁদের বন্ধু বা পরিবারের সদস্যরা অবৈধ অভিবাসীদের হাতে নিহত হয়েছেন। ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রার্থী হিলারি ক্লিনটন অভিবাসন নীতি শিথিল করার পক্ষে। এ বিষয়ে তিনি একাধিকবার বলেছেন, কেবল ভয়ানক সন্ত্রাসী ও অপরাধীদের তিনি ফেরত পাঠাবেন। হিলারির এ নীতি ট্রাম্পের নীতির ঠিক বিপরীত। ট্রাম্প বলেছেন, তিনি প্রেসিডেন্ট হলে মেক্সিকোর সঙ্গে সীমান্তে দেয়াল দেবেন। আবার অবৈধ অভিবাসীদের ঢালাওভাবে ধরে ধরে ফেরত পাঠাবেন। এদিকে হিলারির পক্ষে নির্বাচনী প্রচারণায় নেমেছেন ডেমোক্র্যাটদের মধ্যে অধিকতর উদার বলে পরিচিত বার্নি স্যান্ডার্স ও এলিজাবেথ ওয়ারেন। দুজন গত শনিবার ওহাইওতে নির্বাচনী সমাবেশে যোগ দেন।
No comments