জামদানি ফজলি আম নকশিকাঁথা তুমি কার? by ইফতেখার মাহমুদ
খ্রিষ্টপূর্ব
৩০০ বছর আগে প্রাচীন ভারতীয় অর্থশাস্ত্রবিদ কৌটিল্য তাঁর অর্থশাস্ত্র
বইতে ঢাকাই মসলিন ও জামদানির কথা উল্লেখ করেছেন। ১৪ শতকের মুসলিম পরিব্রাজক
ইবনে বতুতার লেখায়ও ঢাকার অদূরে সোনারগাঁয়ে জামদানি তৈরির কথা লিপিবদ্ধ
আছে। অথচ এই বাংলাদেশের মাটি, পানি ও মানুষের সৃজনশীল উদ্যোগের সঙ্গে
যুক্ত জামদানি শাড়ি আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃতি পেয়েছে ভারতীয় পণ্য হিসেবে।
এই স্বীকৃতির আনুষ্ঠানিক নাম জিওগ্রাফিক্যাল ইনডেক্স (জিআই) বা ভৌগোলিক
নির্দেশক। উপাধ্যায় জামদানি নামে একটি পণ্যের জিআই নিবন্ধন নিয়েছে ভারতের
অন্ধ্র প্রদেশ। শুধু তা-ই না, আন্তর্জাতিক মেধাস্বত্ব প্রতিষ্ঠান বা
ওয়াইপিওতে নকশিকাঁথার জিআই নিবন্ধন পেয়েছে ভারত। নিবন্ধন পেয়েছে তিন প্রকার
আম—ফজলি, হিমসাগর ও লক্ষ্মণভোগের, যেগুলো বাংলাদেশের
রাজশাহী-চাঁপাইনবাবগঞ্জের ঐতিহ্যবাহী জাত বলে আমরা জানি। বাংলাদেশের পক্ষ
থেকে এখনো এই পণ্যগুলো নিজেদের দাবি করে নিবন্ধন চাওয়া হয়নি। ফলে
আন্তর্জাতিক পরিসরে এগুলোর আদি উৎপত্তিস্থল ভারত হিসেবে চিহ্নিত হচ্ছে।
তবে দেরিতে হলেও টনক নড়েছে বাংলাদেশের। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এখনো খুব দেরি
হয়ে যায়নি। কেননা, নিবন্ধনদাতা আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানে সালিস বসিয়ে
নিজেদের ঐতিহ্যের ইতিমধ্যে হাতছাড়া মালিকানা ফেরত পাওয়ার সুযোগ পাবে
বাংলাদেশ। চলতি সপ্তাহের মধ্যে বাংলাদেশ জামদানি শাড়িকে নিজেদের ভৌগোলিক
নির্দেশক পণ্য হিসেবে ঘোষণা দিতে চাইছে। সরকারের ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প
করপোরেশনের (বিসিক) পক্ষ থেকে এ ব্যাপারে আবেদন করার পর যাচাই-বাছাই শেষে
ওই দাবির পক্ষে একটি গেজেট প্রকাশের জন্য ছাপাখানায় পাঠানো হয়েছে। বিশ্ব
বাণিজ্য সংস্থার (ডব্লিউটিও) ট্রিপস চুক্তিতে বিশ্বের সবগুলো দেশকে তার
ভূমিতে উৎপাদিত পণ্য, বস্তু ও জ্ঞান নিবন্ধন করার এখতিয়ার দেওয়া হয়েছে।
এগুলোকে বলা হয় ওই দেশের ভৌগোলিক নির্দেশক পণ্য (জিআই)। মেধাস্বত্ব-বিষয়ক
বৈশ্বিক সংস্থা ওয়াইপিওর নিয়ম অনুযায়ী, বাংলাদেশে ওই নিবন্ধন দেওয়ার
এখতিয়ার দেওয়া হয়েছে শিল্প মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন প্রতিষ্ঠান পেটেন্ট,
ডিজাইন অ্যান্ড ট্রেড মার্কস অধিদপ্তরকে। তবে নিবন্ধন প্রক্রিয়া শুরুর আগে
প্রতিটি দেশকে নিজেদের আইন ও বিধিমালা তৈরি করতে হয়। বাংলাদেশ দেরিতে হলেও
সেই আইন করেছে ২০১৩ সালে। আর বিধিমালা করা হয়েছে ২০১৫ সালে। এরপর সরকারের
বিভিন্ন সংস্থার কাছে শিল্প মন্ত্রণালয় থেকে জিআইয়ের জন্য আবেদন চাওয়া হয়।
কিন্তু বাংলাদেশের কী কী পণ্য জিআই হতে পারে, এখন পর্যন্ত সরকারি
সংস্থাগুলোর পক্ষ থেকে তার কোনো জরিপই হয়নি। প্রতিটি সংস্থা নিজস্ব জ্ঞান
ও উদ্যোগে জিআই আবেদন করছে। বিপরীতে ভারত ১৯৯০ সাল থেকে জিআই নিবন্ধন
শুরু করে দিয়েছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে শিল্প মন্ত্রণালয়ের সচিব মো.
মোশাররফ হোসাইন ভূঁইয়া প্রথম আলোকে বলেন, আইন ও বিধিমালা অনুমোদন হওয়ার
পর তাঁরা সবগুলো সরকারি সংস্থার পাশাপাশি প্রতিটি জেলা প্রশাসককে চিঠি
দিয়েছেন। জেলার ভৌগোলিক নির্দেশক পণ্যের তালিকা পাঠাতে বলা হয়েছে। এগুলোর
মধ্য থেকে যাচাই-বাছাই করে জিআই নিবন্ধন দেওয়া হবে। বাংলাদেশের জামদানি ও
নকশিকাঁথা এবং ফজলিসহ আমের বেশ কিছু জাত ভারত নিবন্ধন দেওয়া বিষয়ে সরকারের
পরিকল্পনা সম্পর্কে জানতে চাইলে মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া বলেন, ‘ভারত
নিবন্ধন নেওয়াতে আমাদের কোনো সমস্যা নেই। আমরা ওই পণ্যগুলোর নাম কিছুটা
পরিবর্তন করে বাংলাদেশের নামে নিবন্ধন দিব।’ পেটেন্ট, ডিজাইন অ্যান্ড ট্রেড
মার্কস অধিদপ্তরের কাছে সুগন্ধি চাল কালিজিরা ও কাটারিভোগকে বাংলাদেশের
জিআই পণ্য হিসেবে ঘোষণা দেওয়ার আবেদন করেছে বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট
(ব্রি)। ব্রি আরও ১৮টি দেশি ধানের জাত এবং বাংলাদেশ মৎস্য অধিদপ্তর ইলিশ
মাছের জিআই আবেদনের প্রস্তুতিও শেষ করে এনেছে। পেটেন্ট, ডিজাইন অ্যান্ড
ট্রেড মার্কস অধিদপ্তরের ডেপুটি রেজিস্ট্রার (ডব্লিউটিও, আন্তর্জাতিক
সম্পর্ক ও জিআই) মহিউদ্দিন আল ফারুক প্রথম আলোকে বলেন, ‘জিআই আবেদন করতে
পারে এমন সবগুলো সরকারি ও বেসরকারি সংস্থার সঙ্গে বৈঠক করেছি আমরা। তাদের
সঙ্গে এখনো নিয়মিত আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছি। এর ফলাফল হিসেবেই জামদানির জিআই
আবেদন চূড়ান্ত করে আমরা গেজেট প্রকাশ করতে যাচ্ছি। কালিজিরা ও কাটারিভোগ
ধানের নিবন্ধনের গেজেটও দ্রুত প্রকাশ করা হবে।’
মেধাস্বত্ব-বিষয়ক বৈশ্বিক সংস্থা ওয়াইপোর পরামর্শক ও বাংলা একাডেমির সাবেক পরিচালক কবি নুরুল হুদা বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী ৩৫ পণ্য ও জ্ঞানের একটি তালিকা প্রস্তুত করেছিলেন। এর বাইরে বিচ্ছিন্নভাবে বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থা ও বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলাদেশের জিআইয়ের সম্ভাব্য তালিকা করা হয়েছে। কিন্তু সরকারিভাবে ওই তালিকাকে স্বীকৃতি দেওয়া বা ওই তালিকাকে ভিত্তি করে একটি জাতীয় তথ্যভান্ডার গড়ে তোলা হয়নি। ওয়াইপিওর নিয়ম অনুযায়ী জিআই হিসেবে আবেদনের পর তা যাচাই-বাছাই করে গেজেট আকারে প্রকাশ করা হয়। গেজেট প্রকাশের দুই মাসের মধ্যে দেশের ভেতরে অন্য কোনো সংস্থা, প্রতিষ্ঠান ও গোষ্ঠী ওই পণ্যের জিআই হিসেবে দাবিদার না হলে তা চূড়ান্ত নিবন্ধন বা অনুমোদন পেয়ে যায়। এই প্রক্রিয়ায় ভারত ইতিমধ্যে ২১৮টি পণ্যের জিআই নিবন্ধন করেছে। ওই পণ্যগুলোর মধ্যে কমপক্ষে ১৫ থেকে ২০টি পণ্য বাংলাদেশেও ঐতিহাসিকভাবে উৎপাদিত হয় বলে বেশ কয়েকটি গবেষণায় বেরিয়ে এসেছে। এ ব্যাপারে কবি নুরুল হুদা প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমরা অনেক দিন থেকে বাংলাদেশের জিআই আবেদনের প্রক্রিয়া শুরু করার জন্য বলে আসছি। এর মধ্যে ভারত একে একে জামদানি, ফজলি আম চালসহ অনেক কিছুর জিআই নিয়ে গেছে। ফলে আমাদের আর দেরি না করে বেসরকারি পর্যায়ে কাজ করে এমন বিশেষজ্ঞদের নিয়ে একটি কমিশন গঠন করা উচিত, যারা সরকারকে জিআই কার্যক্রমে সহায়তা দেবে।’ মেধাস্বত্ব গবেষক ও তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থা ‘আমাদের গ্রাম’-এর পরিচালক রেজা সেলিম এ ব্যাপারে প্রথম আলোকে বলেন, জিআই বিষয়ে আমাদের একটি আইন ও বিধিমালা হয়েছে। এটা খুবই ইতিবাচক দিক। তবে বিশ্বের অন্যান্য দেশ যেভাবে দ্রুতগতিতে তাদের পণ্যের জিআই নিবন্ধন দিচ্ছে, তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাংলাদেশকে এগোতে হবে। নয়তো আমাদের আরও অনেক পণ্যের জিআই হাতছাড়া হয়ে যাবে। বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বারি) ফল, শাক-সবজি, কন্দালজাতীয় ফসলের মোট ২০০টি জাত ও বাংলাদেশ মৎস্য অধিদপ্তর ইলিশ মাছের জিআই নিবন্ধন আবেদন করার প্রস্তুতি নিচ্ছে। জীবন্ত কোনো কিছুর জিআই নিবন্ধন করাতে এর আঙ্গিক ও কৌলিক পরীক্ষা করতে হয়। বারি থেকে ইতিমধ্যে আমের আটটি জাতের আঙ্গিক বা মরফোলজিক্যাল মূল্যায়ন হয়ে গেছে। কৌলিক মূল্যায়ন এখনো বাকি আছে। তবে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বারি) থেকে দুই বছর ধরে আমের ১২টি জাত, মরিচের চারটি, লিচুর পাঁচটি, কলার চারটি জাতের জিআই নিবন্ধন নেওয়ার জন্য কাজ শুরু করেছে। তবে এখনো তারা জিআই পাওয়ার পুরো প্রক্রিয়া শেষ করে আনতে পারেনি। ভারত যে ফজলি, লক্ষণভোগ ও হিমসাগরের জিআই নিবন্ধন নিয়েছে, সেই একই জাতের নিবন্ধন পেতে বারি থেকেও উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে বারির মহাপরিচালক মো. রফিকুল ইসলাম মণ্ডল প্রথম আলোকে বলেন, ‘ফজলি আম যে ভারত নিবন্ধন করেছে, তা আপনার কাছ থেকে প্রথম শুনলাম। তবে আমরা শুধু ফজলি আম না, অন্য আরও ১২টি আমের জাতের নিবন্ধন পাওয়ার জন্য কাজ শুরু করেছি।’ এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ব্রির পরিচালক (প্রশাসন) শাহজাহান কবির প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমাদের নিজস্ব জাতের কয়েক হাজার ধানের জাত আছে। পর্যায়ক্রমে আমরা সবগুলো জিআই নিবন্ধন করাব। প্রাথমিকভাবে আমরা ওই ২০টি জাতের নিবন্ধন আবেদন করছি।’
মৎস্য অধিদপ্তরের জাটকা প্রকল্পের পরিচালক জাহিদ হাবিব প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমরা ইলিশের জিআই আবেদনের কাজ প্রায় শেষ করে এনেছি। খুব দ্রুতই তা শিল্প মন্ত্রণালয়ের কাছে জমা দেব।’
মেধাস্বত্ব-বিষয়ক বৈশ্বিক সংস্থা ওয়াইপোর পরামর্শক ও বাংলা একাডেমির সাবেক পরিচালক কবি নুরুল হুদা বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী ৩৫ পণ্য ও জ্ঞানের একটি তালিকা প্রস্তুত করেছিলেন। এর বাইরে বিচ্ছিন্নভাবে বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থা ও বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলাদেশের জিআইয়ের সম্ভাব্য তালিকা করা হয়েছে। কিন্তু সরকারিভাবে ওই তালিকাকে স্বীকৃতি দেওয়া বা ওই তালিকাকে ভিত্তি করে একটি জাতীয় তথ্যভান্ডার গড়ে তোলা হয়নি। ওয়াইপিওর নিয়ম অনুযায়ী জিআই হিসেবে আবেদনের পর তা যাচাই-বাছাই করে গেজেট আকারে প্রকাশ করা হয়। গেজেট প্রকাশের দুই মাসের মধ্যে দেশের ভেতরে অন্য কোনো সংস্থা, প্রতিষ্ঠান ও গোষ্ঠী ওই পণ্যের জিআই হিসেবে দাবিদার না হলে তা চূড়ান্ত নিবন্ধন বা অনুমোদন পেয়ে যায়। এই প্রক্রিয়ায় ভারত ইতিমধ্যে ২১৮টি পণ্যের জিআই নিবন্ধন করেছে। ওই পণ্যগুলোর মধ্যে কমপক্ষে ১৫ থেকে ২০টি পণ্য বাংলাদেশেও ঐতিহাসিকভাবে উৎপাদিত হয় বলে বেশ কয়েকটি গবেষণায় বেরিয়ে এসেছে। এ ব্যাপারে কবি নুরুল হুদা প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমরা অনেক দিন থেকে বাংলাদেশের জিআই আবেদনের প্রক্রিয়া শুরু করার জন্য বলে আসছি। এর মধ্যে ভারত একে একে জামদানি, ফজলি আম চালসহ অনেক কিছুর জিআই নিয়ে গেছে। ফলে আমাদের আর দেরি না করে বেসরকারি পর্যায়ে কাজ করে এমন বিশেষজ্ঞদের নিয়ে একটি কমিশন গঠন করা উচিত, যারা সরকারকে জিআই কার্যক্রমে সহায়তা দেবে।’ মেধাস্বত্ব গবেষক ও তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থা ‘আমাদের গ্রাম’-এর পরিচালক রেজা সেলিম এ ব্যাপারে প্রথম আলোকে বলেন, জিআই বিষয়ে আমাদের একটি আইন ও বিধিমালা হয়েছে। এটা খুবই ইতিবাচক দিক। তবে বিশ্বের অন্যান্য দেশ যেভাবে দ্রুতগতিতে তাদের পণ্যের জিআই নিবন্ধন দিচ্ছে, তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাংলাদেশকে এগোতে হবে। নয়তো আমাদের আরও অনেক পণ্যের জিআই হাতছাড়া হয়ে যাবে। বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বারি) ফল, শাক-সবজি, কন্দালজাতীয় ফসলের মোট ২০০টি জাত ও বাংলাদেশ মৎস্য অধিদপ্তর ইলিশ মাছের জিআই নিবন্ধন আবেদন করার প্রস্তুতি নিচ্ছে। জীবন্ত কোনো কিছুর জিআই নিবন্ধন করাতে এর আঙ্গিক ও কৌলিক পরীক্ষা করতে হয়। বারি থেকে ইতিমধ্যে আমের আটটি জাতের আঙ্গিক বা মরফোলজিক্যাল মূল্যায়ন হয়ে গেছে। কৌলিক মূল্যায়ন এখনো বাকি আছে। তবে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বারি) থেকে দুই বছর ধরে আমের ১২টি জাত, মরিচের চারটি, লিচুর পাঁচটি, কলার চারটি জাতের জিআই নিবন্ধন নেওয়ার জন্য কাজ শুরু করেছে। তবে এখনো তারা জিআই পাওয়ার পুরো প্রক্রিয়া শেষ করে আনতে পারেনি। ভারত যে ফজলি, লক্ষণভোগ ও হিমসাগরের জিআই নিবন্ধন নিয়েছে, সেই একই জাতের নিবন্ধন পেতে বারি থেকেও উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে বারির মহাপরিচালক মো. রফিকুল ইসলাম মণ্ডল প্রথম আলোকে বলেন, ‘ফজলি আম যে ভারত নিবন্ধন করেছে, তা আপনার কাছ থেকে প্রথম শুনলাম। তবে আমরা শুধু ফজলি আম না, অন্য আরও ১২টি আমের জাতের নিবন্ধন পাওয়ার জন্য কাজ শুরু করেছি।’ এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ব্রির পরিচালক (প্রশাসন) শাহজাহান কবির প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমাদের নিজস্ব জাতের কয়েক হাজার ধানের জাত আছে। পর্যায়ক্রমে আমরা সবগুলো জিআই নিবন্ধন করাব। প্রাথমিকভাবে আমরা ওই ২০টি জাতের নিবন্ধন আবেদন করছি।’
মৎস্য অধিদপ্তরের জাটকা প্রকল্পের পরিচালক জাহিদ হাবিব প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমরা ইলিশের জিআই আবেদনের কাজ প্রায় শেষ করে এনেছি। খুব দ্রুতই তা শিল্প মন্ত্রণালয়ের কাছে জমা দেব।’
No comments