বঙ্গবন্ধু বললেন, দেখে যাও, তোমাদের প্রধানমন্ত্রী কী খায়
বঙ্গবন্ধুর
দুপুরের খাওয়ার সময় হওয়ায় তিনি আমাকে আমন্ত্রণ জানালেন তাঁর সঙ্গে খেতে।
দুজনে তাঁর দুপুরের বিশ্রামকক্ষে গেলাম। সেখানে সংস্থাপন বিভাগের অতিরিক্ত
সেক্রেটারি ও বঙ্গবন্ধুর ভগ্নিপতি সৈয়দ হোসেন একটি ফাইলে দস্তখত নেয়ার জন্য
অপেক্ষা করছিলেন। তিনি বললেন যে সকাল থেকে অপেক্ষা করছেন, কিন্তু সময়মতো
বঙ্গবন্ধুর কাছে আসার সুযোগ পাননি। তাই তিনি খাওয়ার সময় এসেছেন।
বঙ্গবন্ধুকে কিছুটা যেন অন্যমনস্ক ও পরিশ্রান্ত দেখাচ্ছিল। বললেন, ‘কিছু
মনে করো না। আজকে ফাইল নিয়ে যাও, কাল এসো।’ সৈয়দ হোসেন তবু যখন অনুনয়ের
ভঙ্গিতে দাঁড়িয়েই রইলেন, বঙ্গবন্ধু কিছুটা বিরক্তির সুরেই বললেন, ‘আজকে
যাও।’ সৈয়দ হোসেন চলে গেলেন। দু-এক মিনিটের মধ্যে হাতমুখ ধুয়ে এসে বসলেন
খাবার টেবিলে। আমার জন্যও একটি প্লেট- সামনাসামনি। টিফিন ক্যারিয়ারে খাবার
ছিল। কিছু সবজি, ইলিশ মাছের মাথাসহ দু-এক টুকরা মাছ ও ডাল। কেউ জানত না,
বঙ্গবন্ধুর মেহমান থাকবে। তাই রোজকার মতো খাবারই তাঁর জন্য পাঠানো হয়েছে।
অতিথির জন্য সে খাবার যথেষ্ট উঁচুমানের হবে না মনে করে বঙ্গবন্ধু ক্ষণিকের
জন্য হলেও অপ্রতিভ হলেন। বললেন, ‘খলিল, তোমরা তো অনেক ভালো খাও। তোমাকে
ডেকে এনে আজ একটু অভুক্তই রাখব হয়তো। কিন্তু এটাও দেখে যাও, তোমাদের দেশের
প্রধানমন্ত্রী কী খায়।’
প্রয়াত মেজর জেনারেল এম খলিলুর রহমান ‘কাছ থেকে দেখা ১৯৭৩-১৯৭৫’ শীর্ষক বইতে এসব কথা লিখেছেন। প্রথমা থেকে প্রকাশিত এ বইতে আরও লেখা হয়েছে, খাওয়া শুরু হলো। সবজি খাওয়া শেষ হলে দুই টুকরা মাছ তিনি নিজেই দুই পাতে দিলেন। ইলিশের মাথাটা সকলে পছন্দ করে না বেশি কাঁটা বলে। আবার যারা পছন্দ করে, তাদের প্রিয় খাদ্য এই মাথা। বঙ্গবন্ধুর জন্য পাঠানো হয়েছে বলে বুঝলাম যে ইলিশের মাথা তাঁর প্রিয়। বললাম, ‘স্যার, আপনি মাথাটা খান। আমি মাথা বিশেষ পছন্দ করি না।’ কথাটা মিথ্যে, আসলে আমি নিজেও পছন্দ করি। হয়তো বুঝতে পারলেন, কিংবা একা মাথাটা খাওয়া কিছুটা স্বার্থপরতার মতো দেখাবে মনে করে মাথাটা তিনি অত্যন্ত সুচারুভাবে দুই ভাগে ভাগ করলেন এবং এক ভাগ আমাকে দিলেন। ব্যাপারটি ছোট কিন্তু মনে রাখার মতো।
তিনি যখন ইলিশ মাছের মাথা ভাগ করার মতো কিছুটা দুরূহ কাজ অত্যন্ত যত্ন ও নিপুণতার সঙ্গে করছিলেন, তখন আমার মন চলে গেল ১৯৪৩-৪৪ সালের কলকাতা বেকার হোস্টেলে। আমরা মাঝেমধ্যে তাসের খেলা ‘রামি’ খেলতাম। খেলতাম বিছানায় বসেই; কারণ, অত চেয়ার ছিল না। অতএব, একজনের বিছানায় পাঁচজন বসতাম। তাস থাকত বিছানার কেন্দ্রস্থলে। অন্য সবাই তাস বাটত পাঁচ ভাগেই। বাটার পর সবাই নিজের ভাগ নিয়ে নিত। কিন্তু বঙ্গবন্ধু তাসগুলো এমনভাবে ফেলতেন যে তা প্রত্যেক খেলোয়াড়ের কোলের কাছে গিয়ে পড়ত এবং পরের তাসটিও আগের তাসের ওপরেই পড়ত। আমার মনে হতো, তিনি যদি ক্রীড়াবিদ হতেন, নিশ্চয়ই ভালো খেলোয়াড় হতেন। তিনি মাঠের খেলা খেলেছিলেন কি না জানি না, কোনো দিন দেখিনি। তবে রাজনৈতিক মাঠে তিনি খেলেছেন। ইতিহাস সাক্ষী, তিনি অদ্বিতীয় না হলেও পৃথিবীর ইতিহাসের সেরা রাজনৈতিক খেলোয়াড়দের সারিতেই তাঁর স্থান।
খাবার শেষে তিনি নিত্যকার অভ্যাসমতো খাটের শিয়রের কাঠটির ওপর বালিশ রেখে তাতে ভর করে আরাম করে আধশোয়া অবস্থায় আমাকে পাশের চেয়ারটা দেখিয়ে বললেন, ‘বসো।’ বসার পর একথা-সেকথার পর তুললেন বাকশাল প্রসঙ্গ। বাকশালের প্রস্তাবিত গঠনতন্ত্র আমার মোটামুটি জানাই ছিল। অতএব, তাঁর বক্তব্য সংক্ষিপ্ত করেই বললেন, ‘বুঝলে খলিল, আমি এরকম একটা ‘সিস্টেম’ প্রবর্তন করতে চাই, যেখানে সমগ্র জাতি অংশগ্রহণ করবে। যেমন: রাজনীতিক, অর্থনীতিবিদ, অন্যান্য পেশার লোক- এমনকি পুলিশও। এঁরা সবাই একই দলের সদস্য হবেন। কেউ এই দলে কেউ ওই দলে, আবার দলে দলে মারামারি, ফলে জাতির মধ্যে বিভক্তি ও শৃঙ্খলাহীনতা, এসব থাকবে না। সবাই মিলেমিশে দেশের উন্নয়ন করবে। এজন্য দেশে মাত্র একটি রাজনৈতিক দল হবে। তার নাম হবে বাংলাদেশ কৃষক শ্রমিক আওয়ামী লীগ, সংক্ষেপে বাকশাল। পত্রিকার সংখ্যাও কমিয়ে মাত্র কয়েকটা করা হবে। তাদের কাজ হবে সরকারের কাজকর্ম ও ভবিষ্যতের পরিকল্পনা জনগণকে বোঝানো ও তাদের উদ্বুদ্ধ করা। আর নির্বাচনে কোটি কোটি টাকার খরচ না করে দল থেকে প্রতিটি পদের জন্য তিনজনকে মনোনয়ন দেয়া হবে। এ তিনজনের মধ্যে জনগণ যাকে খুশি ভোট দিয়ে নির্বাচিত করবে। এটাই হবে মোটামুটি সিস্টেম।’ এটুকু বলেই জিজ্ঞেস করলেন, ‘খলিল, তুমি কী বলো?’
বুঝলাম, একটি বাহিনীর প্রধান হিসেবে আমাকে তিনি বাকশাল বোঝাতে ও এই ধারণায় দীক্ষিত করার জন্যই ডেকেছেন। বিষয়টি সম্বন্ধে আমি আগেই ভেবে রেখেছিলাম, বন্ধুবান্ধব ও শুভানুধ্যায়ীদের সঙ্গে এ নিয়ে আলোচনাও হয়েছে। অতএব, সময়ক্ষেপণ না করে উত্তর দিলাম, ‘স্যার, (তাঁর জীবিতকালে আমি তাঁকে ‘বঙ্গবন্ধু’ বলে সম্বোধন করিনি কখনো। মুখ দিয়ে আসতও না) আপনি রাজনীতিক আর আমি সিপাহি এবং তাদের পরিচালক। আমি আপনার এই রাজনৈতিক ‘সিস্টেম’ (সিস্টেম কথাটা বঙ্গবন্ধুই ব্যবহার করতেন, এমনকি বক্তৃতায়ও) বুঝি না। বুঝবার চেষ্টাও করি না, বুঝবার প্রয়োজনও তেমন অনুভব করি না। তবে একটা কথা এখানে পরিষ্কারভাবে বলে রাখি, চাকরিতে আমি আপনার কথায়ই যোগদান করেছি। যত দিন চাকরিতে আছি, ততদিন আপনার চলার পথে আপনার সঙ্গেই থাকব।’
উত্তর শুনে বঙ্গবন্ধু মনে হলো একটি ক্ষুদ্র নিঃশ্বাস ফেললেন। আধশোয়া অবস্থা থেকে মাথা বালিশে এলিয়ে দিয়ে শুয়েই পড়লেন। ছাদের দিকে দৃষ্টি নিবদ্ধ করে এক মুহূর্ত ভাবলেন। তারপর বললেন, ‘খলিল, আমিই কি আর বুঝি?’
কথাটা শুনে আমি কিছুটা হলেও স্তম্ভিত হয়ে গেলাম। তবে বুঝলাম, কথাটা সত্য। যদিও আমার সামনে প্রকাশ করা হয়তো তাঁর ঠিক হয়নি। কারণ, এটা তাঁর একবারে মনের ভেতরের কথা। আমি আজও ভাবি, সেদিন তিনি ওভাবে আমার সামনে স্বগতোক্তি করলেন কেন? হয়তো ধরে নিয়েছিলেন, আমার মাধ্যমে কথাটা প্রকাশ পাবে না। এতদিন পায়ওনি।
তিনি ছাদের দিকে তাকিয়ে কী যেন ভাবছিলেন। আর আমি মনে মনে বলছিলাম সোহরাওয়ার্দী ছিলেন গণতন্ত্রের মানসপুত্র। আপনি সারা জীবন গণতন্ত্রের জন্য সংগ্রাম করেছেন। এজন্য প্রাণদানের জন্যও প্রস্তুত ছিলেন। আজ স্বাধীন বাংলাদেশের শাসনকাজ হাতে নিয়ে কিছুটা ব্যর্থ হয়েছেন। কিন্তু তাই বলে আপনি গণতন্ত্র ত্যাগ করবেন?
প্রয়াত মেজর জেনারেল এম খলিলুর রহমান ‘কাছ থেকে দেখা ১৯৭৩-১৯৭৫’ শীর্ষক বইতে এসব কথা লিখেছেন। প্রথমা থেকে প্রকাশিত এ বইতে আরও লেখা হয়েছে, খাওয়া শুরু হলো। সবজি খাওয়া শেষ হলে দুই টুকরা মাছ তিনি নিজেই দুই পাতে দিলেন। ইলিশের মাথাটা সকলে পছন্দ করে না বেশি কাঁটা বলে। আবার যারা পছন্দ করে, তাদের প্রিয় খাদ্য এই মাথা। বঙ্গবন্ধুর জন্য পাঠানো হয়েছে বলে বুঝলাম যে ইলিশের মাথা তাঁর প্রিয়। বললাম, ‘স্যার, আপনি মাথাটা খান। আমি মাথা বিশেষ পছন্দ করি না।’ কথাটা মিথ্যে, আসলে আমি নিজেও পছন্দ করি। হয়তো বুঝতে পারলেন, কিংবা একা মাথাটা খাওয়া কিছুটা স্বার্থপরতার মতো দেখাবে মনে করে মাথাটা তিনি অত্যন্ত সুচারুভাবে দুই ভাগে ভাগ করলেন এবং এক ভাগ আমাকে দিলেন। ব্যাপারটি ছোট কিন্তু মনে রাখার মতো।
তিনি যখন ইলিশ মাছের মাথা ভাগ করার মতো কিছুটা দুরূহ কাজ অত্যন্ত যত্ন ও নিপুণতার সঙ্গে করছিলেন, তখন আমার মন চলে গেল ১৯৪৩-৪৪ সালের কলকাতা বেকার হোস্টেলে। আমরা মাঝেমধ্যে তাসের খেলা ‘রামি’ খেলতাম। খেলতাম বিছানায় বসেই; কারণ, অত চেয়ার ছিল না। অতএব, একজনের বিছানায় পাঁচজন বসতাম। তাস থাকত বিছানার কেন্দ্রস্থলে। অন্য সবাই তাস বাটত পাঁচ ভাগেই। বাটার পর সবাই নিজের ভাগ নিয়ে নিত। কিন্তু বঙ্গবন্ধু তাসগুলো এমনভাবে ফেলতেন যে তা প্রত্যেক খেলোয়াড়ের কোলের কাছে গিয়ে পড়ত এবং পরের তাসটিও আগের তাসের ওপরেই পড়ত। আমার মনে হতো, তিনি যদি ক্রীড়াবিদ হতেন, নিশ্চয়ই ভালো খেলোয়াড় হতেন। তিনি মাঠের খেলা খেলেছিলেন কি না জানি না, কোনো দিন দেখিনি। তবে রাজনৈতিক মাঠে তিনি খেলেছেন। ইতিহাস সাক্ষী, তিনি অদ্বিতীয় না হলেও পৃথিবীর ইতিহাসের সেরা রাজনৈতিক খেলোয়াড়দের সারিতেই তাঁর স্থান।
খাবার শেষে তিনি নিত্যকার অভ্যাসমতো খাটের শিয়রের কাঠটির ওপর বালিশ রেখে তাতে ভর করে আরাম করে আধশোয়া অবস্থায় আমাকে পাশের চেয়ারটা দেখিয়ে বললেন, ‘বসো।’ বসার পর একথা-সেকথার পর তুললেন বাকশাল প্রসঙ্গ। বাকশালের প্রস্তাবিত গঠনতন্ত্র আমার মোটামুটি জানাই ছিল। অতএব, তাঁর বক্তব্য সংক্ষিপ্ত করেই বললেন, ‘বুঝলে খলিল, আমি এরকম একটা ‘সিস্টেম’ প্রবর্তন করতে চাই, যেখানে সমগ্র জাতি অংশগ্রহণ করবে। যেমন: রাজনীতিক, অর্থনীতিবিদ, অন্যান্য পেশার লোক- এমনকি পুলিশও। এঁরা সবাই একই দলের সদস্য হবেন। কেউ এই দলে কেউ ওই দলে, আবার দলে দলে মারামারি, ফলে জাতির মধ্যে বিভক্তি ও শৃঙ্খলাহীনতা, এসব থাকবে না। সবাই মিলেমিশে দেশের উন্নয়ন করবে। এজন্য দেশে মাত্র একটি রাজনৈতিক দল হবে। তার নাম হবে বাংলাদেশ কৃষক শ্রমিক আওয়ামী লীগ, সংক্ষেপে বাকশাল। পত্রিকার সংখ্যাও কমিয়ে মাত্র কয়েকটা করা হবে। তাদের কাজ হবে সরকারের কাজকর্ম ও ভবিষ্যতের পরিকল্পনা জনগণকে বোঝানো ও তাদের উদ্বুদ্ধ করা। আর নির্বাচনে কোটি কোটি টাকার খরচ না করে দল থেকে প্রতিটি পদের জন্য তিনজনকে মনোনয়ন দেয়া হবে। এ তিনজনের মধ্যে জনগণ যাকে খুশি ভোট দিয়ে নির্বাচিত করবে। এটাই হবে মোটামুটি সিস্টেম।’ এটুকু বলেই জিজ্ঞেস করলেন, ‘খলিল, তুমি কী বলো?’
বুঝলাম, একটি বাহিনীর প্রধান হিসেবে আমাকে তিনি বাকশাল বোঝাতে ও এই ধারণায় দীক্ষিত করার জন্যই ডেকেছেন। বিষয়টি সম্বন্ধে আমি আগেই ভেবে রেখেছিলাম, বন্ধুবান্ধব ও শুভানুধ্যায়ীদের সঙ্গে এ নিয়ে আলোচনাও হয়েছে। অতএব, সময়ক্ষেপণ না করে উত্তর দিলাম, ‘স্যার, (তাঁর জীবিতকালে আমি তাঁকে ‘বঙ্গবন্ধু’ বলে সম্বোধন করিনি কখনো। মুখ দিয়ে আসতও না) আপনি রাজনীতিক আর আমি সিপাহি এবং তাদের পরিচালক। আমি আপনার এই রাজনৈতিক ‘সিস্টেম’ (সিস্টেম কথাটা বঙ্গবন্ধুই ব্যবহার করতেন, এমনকি বক্তৃতায়ও) বুঝি না। বুঝবার চেষ্টাও করি না, বুঝবার প্রয়োজনও তেমন অনুভব করি না। তবে একটা কথা এখানে পরিষ্কারভাবে বলে রাখি, চাকরিতে আমি আপনার কথায়ই যোগদান করেছি। যত দিন চাকরিতে আছি, ততদিন আপনার চলার পথে আপনার সঙ্গেই থাকব।’
উত্তর শুনে বঙ্গবন্ধু মনে হলো একটি ক্ষুদ্র নিঃশ্বাস ফেললেন। আধশোয়া অবস্থা থেকে মাথা বালিশে এলিয়ে দিয়ে শুয়েই পড়লেন। ছাদের দিকে দৃষ্টি নিবদ্ধ করে এক মুহূর্ত ভাবলেন। তারপর বললেন, ‘খলিল, আমিই কি আর বুঝি?’
কথাটা শুনে আমি কিছুটা হলেও স্তম্ভিত হয়ে গেলাম। তবে বুঝলাম, কথাটা সত্য। যদিও আমার সামনে প্রকাশ করা হয়তো তাঁর ঠিক হয়নি। কারণ, এটা তাঁর একবারে মনের ভেতরের কথা। আমি আজও ভাবি, সেদিন তিনি ওভাবে আমার সামনে স্বগতোক্তি করলেন কেন? হয়তো ধরে নিয়েছিলেন, আমার মাধ্যমে কথাটা প্রকাশ পাবে না। এতদিন পায়ওনি।
তিনি ছাদের দিকে তাকিয়ে কী যেন ভাবছিলেন। আর আমি মনে মনে বলছিলাম সোহরাওয়ার্দী ছিলেন গণতন্ত্রের মানসপুত্র। আপনি সারা জীবন গণতন্ত্রের জন্য সংগ্রাম করেছেন। এজন্য প্রাণদানের জন্যও প্রস্তুত ছিলেন। আজ স্বাধীন বাংলাদেশের শাসনকাজ হাতে নিয়ে কিছুটা ব্যর্থ হয়েছেন। কিন্তু তাই বলে আপনি গণতন্ত্র ত্যাগ করবেন?
No comments