ডেইলি স্টার বন্ধ ও সম্পাদক-প্রকাশকের শাস্তি দাবি সংসদে
ইংরেজি
দৈনিক দ্য ডেইলি স্টার বন্ধ ও এর সম্পাদক এবং প্রকাশকের শাস্তির দাবি
করেছেন সংসদ সদস্যরা। গতকাল জাতীয় সংসদে অনির্ধারিত আলোচনায় তারা এ দাবি
তুলেন। এমপিরা তাদের বক্তব্যে বলেন, সাংবাদিকতার নীতি না মেনে এবং তথ্য
যাচাই না করে গোয়েন্দা সংস্থার সরবরাহ করা তথ্য প্রকাশ করেছে ডেইলি স্টার।
এর মাধ্যমে সম্পাদক মাহফুজ আনাম রাষ্ট্রদ্রোহী অপরাধ করেছেন।
পয়েন্ট অব অর্ডারে দাঁড়িয়ে সরকারি দলের ৫ জন, স্বতন্ত্র ২ এমপি ও জাসদের এক এমপি এ প্রসঙ্গে কথা বলেন। বিরোধী দল জাতীয় পার্টির এমপিরা উপস্থিত থাকলেও তারা এ নিয়ে কোনো বক্তব্য রাখেননি। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে গতকাল মাগরিবের নামাজের পর অনির্ধারিত এ বিতর্কের সূত্রপাত করেন সরকারি দলের সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার ফজলে নূর তাপস। বিতর্কে অংশ নেন সরকারি দলের আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, শামসুল হক টুকু, ওয়ারেসাত হোসেন বেলাল, নূরজাহান বেগম, জাসদের মইনউদ্দীন খান বাদল, স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য হাজী মোহাম্মদ সেলিম ও তাহজীব আলম সিদ্দিকী। আরও বেশ ক’জন সংসদ সদস্য এ বিষয়ে বক্তব্য রাখতে চাইলে স্পিকার আর কাউকে ফ্লোর না দিয়ে দিনের পরবর্তী কার্যসূচিতে প্রবেশ করলে অনির্ধারিত এ বিতর্কের অবসান হয়। ব্যারিস্টার ফজলে নূর তাপস অবিলম্বে ডেইলি স্টার সম্পাদক মাহফুজ আনামের পদত্যাগ এবং রাষ্ট্রদ্রোহিতার অভিযোগে গ্রেপ্তার করে তার বিচারের দাবি জানান। তিনি বলেন, ওয়ান ইলেভেনের সময় মিথ্যা অপবাদ দিয়ে সাজানো গল্প ছাপানো ও মিথ্যা প্রচারণা চালানোর জন্য অবিলম্বে মাহফুজ আনামের পদত্যাগ এবং অনতিবিলম্বে পত্রিকাটি (ডেইলি স্টার) বন্ধের দাবি করছি। তিনি বলেন, মাহফুজ আনামের মতো লোকের অসাংবিধানিক সরকারকে এবং গণতন্ত্রকে নস্যাৎ করার জন্য সারা জীবনই ষড়যন্ত্র করে গেছেন, এখনও করছেন। এটা আর কোনভাবে বরদাশত করা যায় না। সংবিধানের আর্টিকেল-৭(১) বিভিন্ন ধারা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ওনার (মাহফুজ আনাম) যে কার্যক্রম তা এর আওতায় রাষ্ট্রদ্রোহিতায় পড়ে। সুতরাং তার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহিতার মামলা এনে বিচার করার দাবি করছি। ফজলে নূর তাপস বলেন, মাহফুজ আনাম সাংবাদিকতা নামক মহান পেশাকে কলঙ্কিত করেছেন। তাই তার আর কোনো পত্রিকার সম্পাদক থাকার অধিকার নেই এবং পেশাকে কলঙ্কিত করার জন্য উনি যাতে আর সাংবাদিকতা করতে না পারেন তার ব্যবস্থা করতে হবে। তিনি আরও বলেন, ট্রান্সকমের মালিক লতিফুর রহমান একজন করাপ্ট এবং তিনি সন্ত্রাসী বাহিনী উলফার সঙ্গে জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া গেছে। সুতরাং এদের বিরুদ্ধেও আশু ব্যবস্থা নেয়া প্রয়োজন।
জাসদের কার্যকরী সভাপতি মইনউদ্দীন খান বাদল বলেন, মিথ্যা বেসাতী দিয়ে খবরের ডালা সাজিয়ে কোনো ব্যক্তি-গোষ্ঠী দেশের ক্ষতি করলে অবশ্যই তার বিচার হতে হবে। এই সংসদে অনেক এমপি আছেন যারা সংবাদপত্রের স্বাধীনতার জন্য আজীবন লড়াই-সংগ্রাম করেছেন। কিন্তু যাদের স্বাধীনতার জন্য লড়ছি, তারা যদি স্বাধীনতাকে বর্ম বানিয়ে সমগ্র জাতিকে আক্রান্ত করে- সেক্ষেত্রে সাজার কথা বলা হয়েছে। মাহফুজ আনাম বিচারের আগেই পেপার ট্রায়াল করে ফেলেছেন, তা উনি স্বীকারও করেছেন। যথেষ্ট আত্ম-সম্মানবোধ থাকলে প্রথমেই মাহফুজ আনামের পদত্যাগ করে প্রায়শ্চিত্ত করা উচিত। থুক্কু করে পার পাবেন না। সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শামসুল হক টুকু বলেন, ওয়ান ইলেভেনে মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্বদানকারী আওয়ামী লীগকে নিশ্চিহ্ন করার নানা ষড়যন্ত্র হয়েছে। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনাকে রাজনীতিতে উৎখাত এমনকি হত্যা করার ষড়যন্ত্র করা হয়েছিল। এই ষড়যন্ত্র সফল করতে মাহফুজ আনামরা মিথ্যা প্রপাগান্ডা চালিয়ে দেশবাসীকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করেছেন। আত্মস্বীকৃত অপরাধী মাহফুজ আনামকে জাতি কোনদিন ক্ষমা করতে পারে না। মাহফুজ আনামরা যত বড় শক্তিশালী সম্পাদক হোক না কেন তার বিরুদ্ধে দ্রুত আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে হবে। কেননা এরা এখনও দেশবিরোধী নানা ষড়যন্ত্র চালাচ্ছেন।
সরকারি দলের আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন বলেন, ডেইলি স্টার সম্পাদক মাহফুজ আনাম জাতির সামনে স্বীকার করেছেন যে উনি ওয়ান ইলেভেনে তার পত্রিকায় মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ করেছেন। সম্পাদক দায়ী হলে মালিক হলে প্রকাশক দায়ী নন, এটা ভাবার অবকাশ নেই। তারা মূলত বাংলাদেশকে বিরাজনীতিকরণ, দেশের সম্ভাবনাকে নস্যাৎ এবং গরিব মানুষের বেঁচে থাকার অধিকারকে ধ্বংস করার জন্য বঙ্গবন্ধু কন্যার বিরুদ্ধে এই ষড়যন্ত্র করেছেন। আসলে তারা ষড়যন্ত্র করে পিছনের দরজা দিয়ে ক্ষমতা গ্রহণ করতে চান। তাই এই পরিকল্পিত মিথ্যাচারের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক এবং তাকে আদালতের কাঠগড়ায় এনে সমুচিত বিচার করা হোক। যাতে ভবিষ্যতে তারা এধরনের ষড়যন্ত্র করা থেকে বিরত থাকতে বাধ্য হন। তিনি আরও বলেন, মাহফুজ আনামরা প্রায়শই আমাদের ছবক দেয়ার চেষ্টা করেন। তাদের খুব আকাঙ্ক্ষা তাদের গাড়িতে পতাকা লাগবে। কিন্তু জনগণ তাদের সঙ্গে নেই। জনগণ এই সমস্ত ব্যক্তিদের পছন্দ করে না। যদি গাড়িতে পতাকা লাগাতে হয় মাহফুজ আনামদের উচিত রাজনীতিবিদ হওয়া, মানুষের কাছে যাওয়া, সুইপারের সঙ্গে কোলাকোলি করা, শ্রমিকদের শরীরের ঘাম নিজের শরীরে লাগানো এবং শেখ হাসিনার মতো দেশের প্রত্যেকটি এলাকায় ঘুরে জনগণের সমর্থন আদায় করা। কিন্তু তা না করে, এসি রুমে বসে, এসি গাড়িতে চড়ে ওই মিডিয়ার সুযোগ নিয়ে বড় বড় ছবক দেবেন, রাজনীতিবিদদের বোকা বানাবার চেষ্টা করবেন, চরিত্র হননের চেষ্টা করবেন- তাহলে রাজনীতির মাঠে এসে আমাদের বিরুদ্ধে কথা বলুন। মানুষ যদি গ্রহণ করে তাহলে সফল হবেন। কিন্তু আমরা জানি মানুষের সঙ্গে আপনাদের কোনো সম্পর্ক নেই। সরকারি দলের সংসদ সদস্য ওয়ারেসাত হোসেন বেলাল মাহফুজ আনামের গ্রেপ্তার দাবি করে বলেন, সাংবাদিকতা হচ্ছে রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ। কিন্তু একজন সম্পাদক-প্রকাশক মাহফুজ আনাম সাংবাদিকতার নামে একটি কলঙ্কজনক অধ্যায়ের সঙ্গে লিপ্ত ছিলেন। শুধু ব্যক্তিগত স্বার্থ চরিতার্থ করতে মাহফুজ আনাম এসব করেছেন। উনাদের টাকা-পয়সার উৎস কোথায় তা দেশবাসী ভালো করেই জানে। এদের কাছ থেকে কীভাবে সৎ সাংবাদিকতা কোনদিনই আশা করা যায় না। তিনি বলেন, ওয়ান ইলেভেনে যারা রাজনীতির চরিত্র হনন করে বি-রাজনীতিকরণ করার ষড়যন্ত্র করেছে, এখনও তারা সেই ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে। এসব ব্যক্তিবর্গকে কোনোভাবেই ক্ষমা করা ঠিক হবে না। এরা যাতে আর সাংবাদিকতা পেশার সঙ্গে জড়িত না থাকতে পারে সেজন্য তাদের প্রকৃত মুখোশ জাতির সামনে তুলে ধরতে হবে। স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য হাজী মোহাম্মদ সেলিম অবিলম্বে ওয়ান ইলেভেনের ষড়যন্ত্রের সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তার করে বিচারের দাবি জানিয়ে বলেন, এতো বছর পর দেশের বিরুদ্ধে অবস্থানের জন্য আলবদর-আলশামসদের বিচার হলে কেন মাহফুজ আনামদেরও বিচার হবে না। তাদেরও সাজা পেতে হবে। কোনো কোনো ভুল হলো মৃত্যুতুল্য, কোনো কোনো ভুল হলো বিষতুল্য। মাহফুজ আনাম ভুল স্বীকার করার পর তাকে অবশ্যই বিচারের আওতায় আনা উচিত। স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য তাহজীব আলম সিদ্দিকী বলেন, ডেইলি স্টার সম্পাদক মাহফুজ আনাম ভয়ে বিবেককে জলাঞ্জলী দিতে বাধ্য হয়েছিলেন। আমাদের অধিবেশনেও অনেকে বসে আছেন, যারাও ওয়ান ইলেভেনে বিবেককে জলাঞ্জলী দিয়েছিলেন। সরকারি দলের সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য নুরজাহান বেগম বলেন, ওয়ান ইলেভেনের সময় ১১টি মাস বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনাকে সম্পূর্ণ মিথ্যা অপবাদ দিয়ে কারাগারে আটক রাখা হয়েছিল। যা সম্পূর্ণ মৌলিক ও মানবাধিকারের পরিপন্থি। আজকে এসে মাহফুজ আনামরা স্বীকার করছেন মিথ্যা সংবাদ পরিবেশন করে জীবনে সবচেয়ে বড় ভুল করেছেন। উনি আমাদের নৈতিকতার প্রশ্ন তুলেন, বাস্তবে উনিই সবচেয়ে বড় অনৈতিক কাজটি করেছেন। তিনি দোষ স্বীকার করায় এখন নতুন করে সাক্ষ্য-প্রমাণের কোনো প্রয়োজন নেই। বরং মাহফুজ আনামের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে হবে।
পয়েন্ট অব অর্ডারে দাঁড়িয়ে সরকারি দলের ৫ জন, স্বতন্ত্র ২ এমপি ও জাসদের এক এমপি এ প্রসঙ্গে কথা বলেন। বিরোধী দল জাতীয় পার্টির এমপিরা উপস্থিত থাকলেও তারা এ নিয়ে কোনো বক্তব্য রাখেননি। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে গতকাল মাগরিবের নামাজের পর অনির্ধারিত এ বিতর্কের সূত্রপাত করেন সরকারি দলের সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার ফজলে নূর তাপস। বিতর্কে অংশ নেন সরকারি দলের আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, শামসুল হক টুকু, ওয়ারেসাত হোসেন বেলাল, নূরজাহান বেগম, জাসদের মইনউদ্দীন খান বাদল, স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য হাজী মোহাম্মদ সেলিম ও তাহজীব আলম সিদ্দিকী। আরও বেশ ক’জন সংসদ সদস্য এ বিষয়ে বক্তব্য রাখতে চাইলে স্পিকার আর কাউকে ফ্লোর না দিয়ে দিনের পরবর্তী কার্যসূচিতে প্রবেশ করলে অনির্ধারিত এ বিতর্কের অবসান হয়। ব্যারিস্টার ফজলে নূর তাপস অবিলম্বে ডেইলি স্টার সম্পাদক মাহফুজ আনামের পদত্যাগ এবং রাষ্ট্রদ্রোহিতার অভিযোগে গ্রেপ্তার করে তার বিচারের দাবি জানান। তিনি বলেন, ওয়ান ইলেভেনের সময় মিথ্যা অপবাদ দিয়ে সাজানো গল্প ছাপানো ও মিথ্যা প্রচারণা চালানোর জন্য অবিলম্বে মাহফুজ আনামের পদত্যাগ এবং অনতিবিলম্বে পত্রিকাটি (ডেইলি স্টার) বন্ধের দাবি করছি। তিনি বলেন, মাহফুজ আনামের মতো লোকের অসাংবিধানিক সরকারকে এবং গণতন্ত্রকে নস্যাৎ করার জন্য সারা জীবনই ষড়যন্ত্র করে গেছেন, এখনও করছেন। এটা আর কোনভাবে বরদাশত করা যায় না। সংবিধানের আর্টিকেল-৭(১) বিভিন্ন ধারা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ওনার (মাহফুজ আনাম) যে কার্যক্রম তা এর আওতায় রাষ্ট্রদ্রোহিতায় পড়ে। সুতরাং তার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহিতার মামলা এনে বিচার করার দাবি করছি। ফজলে নূর তাপস বলেন, মাহফুজ আনাম সাংবাদিকতা নামক মহান পেশাকে কলঙ্কিত করেছেন। তাই তার আর কোনো পত্রিকার সম্পাদক থাকার অধিকার নেই এবং পেশাকে কলঙ্কিত করার জন্য উনি যাতে আর সাংবাদিকতা করতে না পারেন তার ব্যবস্থা করতে হবে। তিনি আরও বলেন, ট্রান্সকমের মালিক লতিফুর রহমান একজন করাপ্ট এবং তিনি সন্ত্রাসী বাহিনী উলফার সঙ্গে জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া গেছে। সুতরাং এদের বিরুদ্ধেও আশু ব্যবস্থা নেয়া প্রয়োজন।
জাসদের কার্যকরী সভাপতি মইনউদ্দীন খান বাদল বলেন, মিথ্যা বেসাতী দিয়ে খবরের ডালা সাজিয়ে কোনো ব্যক্তি-গোষ্ঠী দেশের ক্ষতি করলে অবশ্যই তার বিচার হতে হবে। এই সংসদে অনেক এমপি আছেন যারা সংবাদপত্রের স্বাধীনতার জন্য আজীবন লড়াই-সংগ্রাম করেছেন। কিন্তু যাদের স্বাধীনতার জন্য লড়ছি, তারা যদি স্বাধীনতাকে বর্ম বানিয়ে সমগ্র জাতিকে আক্রান্ত করে- সেক্ষেত্রে সাজার কথা বলা হয়েছে। মাহফুজ আনাম বিচারের আগেই পেপার ট্রায়াল করে ফেলেছেন, তা উনি স্বীকারও করেছেন। যথেষ্ট আত্ম-সম্মানবোধ থাকলে প্রথমেই মাহফুজ আনামের পদত্যাগ করে প্রায়শ্চিত্ত করা উচিত। থুক্কু করে পার পাবেন না। সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শামসুল হক টুকু বলেন, ওয়ান ইলেভেনে মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্বদানকারী আওয়ামী লীগকে নিশ্চিহ্ন করার নানা ষড়যন্ত্র হয়েছে। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনাকে রাজনীতিতে উৎখাত এমনকি হত্যা করার ষড়যন্ত্র করা হয়েছিল। এই ষড়যন্ত্র সফল করতে মাহফুজ আনামরা মিথ্যা প্রপাগান্ডা চালিয়ে দেশবাসীকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করেছেন। আত্মস্বীকৃত অপরাধী মাহফুজ আনামকে জাতি কোনদিন ক্ষমা করতে পারে না। মাহফুজ আনামরা যত বড় শক্তিশালী সম্পাদক হোক না কেন তার বিরুদ্ধে দ্রুত আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে হবে। কেননা এরা এখনও দেশবিরোধী নানা ষড়যন্ত্র চালাচ্ছেন।
সরকারি দলের আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন বলেন, ডেইলি স্টার সম্পাদক মাহফুজ আনাম জাতির সামনে স্বীকার করেছেন যে উনি ওয়ান ইলেভেনে তার পত্রিকায় মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ করেছেন। সম্পাদক দায়ী হলে মালিক হলে প্রকাশক দায়ী নন, এটা ভাবার অবকাশ নেই। তারা মূলত বাংলাদেশকে বিরাজনীতিকরণ, দেশের সম্ভাবনাকে নস্যাৎ এবং গরিব মানুষের বেঁচে থাকার অধিকারকে ধ্বংস করার জন্য বঙ্গবন্ধু কন্যার বিরুদ্ধে এই ষড়যন্ত্র করেছেন। আসলে তারা ষড়যন্ত্র করে পিছনের দরজা দিয়ে ক্ষমতা গ্রহণ করতে চান। তাই এই পরিকল্পিত মিথ্যাচারের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক এবং তাকে আদালতের কাঠগড়ায় এনে সমুচিত বিচার করা হোক। যাতে ভবিষ্যতে তারা এধরনের ষড়যন্ত্র করা থেকে বিরত থাকতে বাধ্য হন। তিনি আরও বলেন, মাহফুজ আনামরা প্রায়শই আমাদের ছবক দেয়ার চেষ্টা করেন। তাদের খুব আকাঙ্ক্ষা তাদের গাড়িতে পতাকা লাগবে। কিন্তু জনগণ তাদের সঙ্গে নেই। জনগণ এই সমস্ত ব্যক্তিদের পছন্দ করে না। যদি গাড়িতে পতাকা লাগাতে হয় মাহফুজ আনামদের উচিত রাজনীতিবিদ হওয়া, মানুষের কাছে যাওয়া, সুইপারের সঙ্গে কোলাকোলি করা, শ্রমিকদের শরীরের ঘাম নিজের শরীরে লাগানো এবং শেখ হাসিনার মতো দেশের প্রত্যেকটি এলাকায় ঘুরে জনগণের সমর্থন আদায় করা। কিন্তু তা না করে, এসি রুমে বসে, এসি গাড়িতে চড়ে ওই মিডিয়ার সুযোগ নিয়ে বড় বড় ছবক দেবেন, রাজনীতিবিদদের বোকা বানাবার চেষ্টা করবেন, চরিত্র হননের চেষ্টা করবেন- তাহলে রাজনীতির মাঠে এসে আমাদের বিরুদ্ধে কথা বলুন। মানুষ যদি গ্রহণ করে তাহলে সফল হবেন। কিন্তু আমরা জানি মানুষের সঙ্গে আপনাদের কোনো সম্পর্ক নেই। সরকারি দলের সংসদ সদস্য ওয়ারেসাত হোসেন বেলাল মাহফুজ আনামের গ্রেপ্তার দাবি করে বলেন, সাংবাদিকতা হচ্ছে রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ। কিন্তু একজন সম্পাদক-প্রকাশক মাহফুজ আনাম সাংবাদিকতার নামে একটি কলঙ্কজনক অধ্যায়ের সঙ্গে লিপ্ত ছিলেন। শুধু ব্যক্তিগত স্বার্থ চরিতার্থ করতে মাহফুজ আনাম এসব করেছেন। উনাদের টাকা-পয়সার উৎস কোথায় তা দেশবাসী ভালো করেই জানে। এদের কাছ থেকে কীভাবে সৎ সাংবাদিকতা কোনদিনই আশা করা যায় না। তিনি বলেন, ওয়ান ইলেভেনে যারা রাজনীতির চরিত্র হনন করে বি-রাজনীতিকরণ করার ষড়যন্ত্র করেছে, এখনও তারা সেই ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে। এসব ব্যক্তিবর্গকে কোনোভাবেই ক্ষমা করা ঠিক হবে না। এরা যাতে আর সাংবাদিকতা পেশার সঙ্গে জড়িত না থাকতে পারে সেজন্য তাদের প্রকৃত মুখোশ জাতির সামনে তুলে ধরতে হবে। স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য হাজী মোহাম্মদ সেলিম অবিলম্বে ওয়ান ইলেভেনের ষড়যন্ত্রের সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তার করে বিচারের দাবি জানিয়ে বলেন, এতো বছর পর দেশের বিরুদ্ধে অবস্থানের জন্য আলবদর-আলশামসদের বিচার হলে কেন মাহফুজ আনামদেরও বিচার হবে না। তাদেরও সাজা পেতে হবে। কোনো কোনো ভুল হলো মৃত্যুতুল্য, কোনো কোনো ভুল হলো বিষতুল্য। মাহফুজ আনাম ভুল স্বীকার করার পর তাকে অবশ্যই বিচারের আওতায় আনা উচিত। স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য তাহজীব আলম সিদ্দিকী বলেন, ডেইলি স্টার সম্পাদক মাহফুজ আনাম ভয়ে বিবেককে জলাঞ্জলী দিতে বাধ্য হয়েছিলেন। আমাদের অধিবেশনেও অনেকে বসে আছেন, যারাও ওয়ান ইলেভেনে বিবেককে জলাঞ্জলী দিয়েছিলেন। সরকারি দলের সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য নুরজাহান বেগম বলেন, ওয়ান ইলেভেনের সময় ১১টি মাস বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনাকে সম্পূর্ণ মিথ্যা অপবাদ দিয়ে কারাগারে আটক রাখা হয়েছিল। যা সম্পূর্ণ মৌলিক ও মানবাধিকারের পরিপন্থি। আজকে এসে মাহফুজ আনামরা স্বীকার করছেন মিথ্যা সংবাদ পরিবেশন করে জীবনে সবচেয়ে বড় ভুল করেছেন। উনি আমাদের নৈতিকতার প্রশ্ন তুলেন, বাস্তবে উনিই সবচেয়ে বড় অনৈতিক কাজটি করেছেন। তিনি দোষ স্বীকার করায় এখন নতুন করে সাক্ষ্য-প্রমাণের কোনো প্রয়োজন নেই। বরং মাহফুজ আনামের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে হবে।
No comments