মিডিয়ার সঙ্গে কথা নয়, ফাইল চান প্রধান বিচারপতি
সাবেক বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক মিডিয়াতে মামলার রায় ও আদেশ সংক্রান্ত কোনো বক্তব্য না দিয়ে তার কাছে থাকা অনিষ্পত্তিকৃত রায়ের ফাইল অতি স্বত্ত্বর সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলের অফিসে জমা দেবেন বলে আশা প্রকাশ করেছেন প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহা। রোববার বিকেলে সুপ্রিম কোর্টের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার জেনারেল আবু সৈয়দ দিলজার হোসেন স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে প্রধান বিচারপতির এ আশাবাদের কথা জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, '৭ ফেব্রুয়ারি সুপ্রিম কোর্টের বিচারকার্য চলাকালে সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী একটি সংবাদ সম্মেলন করেন, যা ইলেকট্রনিক মিডিয়ার মাধ্যমে প্রধান বিচারপতির গোচরীভূত হয়। সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে এ ধরনের প্রেস কনফারেন্স নজিরবিহীন- একথা উল্লেখ করে বিজ্ঞপ্তিতে প্রধান বিচারপতি আশা প্রকাশ করেন, বর্তমান ও ভবিষ্যতে বিচারপতিবৃন্দ কোর্টের পবিত্রতা ও মর্যাদা বজায় রাখার স্বার্থে এ ধরনের কার্য হতে বিরত থাকবেন। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সংবাদ সম্মেলন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী উল্লেখ করেন "আমার পিজাইডিং জজ, বিচারপতি মো. আবদুল ওয়াহ্হাব মিঞাকে আমার লেখা সমাপ্ত হওয়া রায় ও আদেশগুলো গ্রহণ করার অনুরোধ করলে তিনি অপারগতা প্রকাশ করে বলেন, প্রধান বিচারপতির নির্দেশনা অনুসারে কোনো অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতির লিখিত রায় ও আদেশ গ্রহণ করা যাচ্ছে না।" এ প্রসঙ্গে বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, সাবেক বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরীর উক্ত বক্তব্য প্রধান বিচারপতির নজরে এলে তিনি এর প্রতি বিচারপতি মো. আবদুল ওয়াহ্হাব মিঞার দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। পরে বিচারপতি মো. আবদুল ওয়াহ্হাব মিঞা প্রধান বিচারপতিকে অবহিত করেন, সাবেক বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী তার কাছে লিখিত রায় কিংবা আদেশ গ্রহণ করার জন্য জমা দেননি। এ অবস্থায় প্রধান বিচারপতি আশা প্রকাশ করেন, সাবেক বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক এসব বিষয়ে মিডিয়াতে বক্তব্য না দিয়ে তার কাছে থাকা অনিষ্পত্তিকৃত মামলার ফাইল অতি স্বত্ত্বর সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলের অফিসে জমা দেবেন।
No comments