বার্নি স্যান্ডার্স যেন হ্যামিলনের বাঁশিওয়ালা
যুক্তরাষ্ট্রের
প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে দলীয় বাছাই পর্বের সব তোড়জোড় এখন উত্তর পূর্বের
রাজ্য নিউ হ্যাম্পশায়ারে। ডেমোক্র্যাট দলের প্রার্থী বার্নি স্যান্ডার্স
এগিয়ে আছেন জনমত জরিপে। সিনেটর বার্নি স্যান্ডার্স হ্যামিলনের বাঁশিওয়ালার
মতো আকর্ষণ করছেন তরুণ ভোটারদের। জাতীয়ভাবে জনমতে এগিয়ে থাকা দলের আরেক
প্রার্থী হিলারি ক্লিনটন বিপর্যয় ঠেকানোর শেষ চেষ্টা করছেন।
আগামী মঙ্গলবার দলীয় এই বাছাইপর্ব অনুষ্ঠিত হবে। এ জন্য মরিয়া হয়ে লড়ছেন প্রার্থীরা। নির্বাচনী দৌড় থেকে রিপাবলিকান দলের কে বা কারা সরে দাঁড়াবেন তা নিয়েও চলছে বিস্তর আলাপ।
মাত্র কয়েক’মাস আগেও ডেমোক্র্যাট দলের প্রার্থিতায় হিলারি ক্লিনটনকে অপ্রতিরোধ্য মনে করা হচ্ছিল। বাছাইপর্বের শুরুতেই প্রায় ধরে ফেলেছেন জাতীয়ভাবে বহুল পরিচিত হিলারি ক্লিনটনকে। নিউ হ্যাম্পশায়ারে ব্যাপক ভোটের ব্যবধানে বার্নি স্যান্ডার্স যে হিলারিকে ধরাশায়ী করবেন, তা প্রায় নিশ্চিত।
বার্নি স্যান্ডার্সের পক্ষে ব্যাপক জনমত নিউ হ্যাম্পশায়ারে। ফারাক কমিয়ে আনার জন্য হিলারি ক্লিনটনের প্রধান প্রচারণা কার্যালয় থেকে এক হাজারের বেশি নির্বাচন কর্মীদের মাঠে নামানো হয়েছে। নিউ হ্যাম্পশায়ারের ঘরে ঘরে ফোন করা হচ্ছে। দরজায় কড়া নাড়া হচ্ছে হিলারি ক্লিনটনের নির্বাচনী বার্তা নিয়ে। বার্নি স্যান্ডার্সের পক্ষে তারুণ্যের জোয়ার দেখে হিলারি তরুণদের দ্বিতীয়বার চিন্তা করে ভোট দেওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন।
আমেরিকার জনগণের মধ্যে ধনী গরিবের পার্থক্য, উচ্চ ও মধ্যবিত্তের মধ্যে আয়ের ফারাক নিয়ে সিনেটর বার্নি স্যান্ডার্সের বক্তব্য তরুণ ডেমোক্র্যাট ভোটারদের আকর্ষণ করছে। সবার জন্য স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা এবং শিক্ষা ঋণ ছাড়া উচ্চশিক্ষা নিশ্চিত করার কথা বলছেন বার্নি স্যান্ডার্স। আমেরিকার মধ্যবিত্ত এবং নিম্নবিত্তের নিত্যদিনের হতাশার অবসানের কথা বলছেন তিনি।
২০০৮ সালে প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার পক্ষে যে তরুণ ভোটারদের জাগরণ দেখা গিয়েছিল, বার্নি স্যান্ডার্সের পক্ষে তার পুনরাবৃত্তি দেখা যাচ্ছে।
তরুণ ডেমোক্র্যাটদের মধ্যে এখন হিলারি ক্লিনটনকে নিয়ে নানা সন্দেহ। হিলারিকে প্রাতিষ্ঠানিক রাজনীতির প্রতিনিধি হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। মনে করা হচ্ছে, অন্যদের মতো নির্বাচনী তহবিলে সহায়তার নামে হিলারিও রাজনীতিকে প্রভাবিত করবেন।
আর বার্নি স্যান্ডার্সের নির্বাচনী তহবিল সাধারণ সমর্থকদের চাঁদায় গড়ে উঠেছে। নিউ হ্যাম্পশায়ারের বাছাইপর্বে বার্নি স্যান্ডার্স জিতলে ইতিহাস সৃষ্টি হবে। যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে এর আগে কোনো ইহুদি প্রেসিডেন্ট প্রার্থী বাছাইপর্বের এ পর্যায়েও জয়ী হতে পারেননি।
হিলারি ক্লিনটন এর মধ্যে প্রচারণায় সাউথ ক্যারোলিনা এবং নাভাদা রাজ্যে জোর দিচ্ছেন। এ মাসেই অন্য এ দুটি রাজ্যের বাছাইপর্ব অনুষ্ঠিত হবে। হিলারির স্বামী সাবেক প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন এবং হিলারি কন্যা চেলসি সরাসরি যাবেন রাজ্য দুটির অনেকগুলো প্রচারণা সভায়। জাতীয়ভাবে বার্নি স্যান্ডার্সের সঙ্গে জনমতের ফারাক প্রতিদিন কমছে এবং এ নিয়ে হিলারির প্রচারণা শিবিরে উৎকণ্ঠাও বাড়ছে।
এদিকে রিপাবলিকান শিবিরেও অস্থিরতা এখন চরমে। আইওয়াতে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে হারিয়ে টেড ক্রুজ অনেকটাই চাঙা অবস্থায় আছেন। যদিও নিউ হ্যাম্পশায়ারে ট্রাম্প জনমতে এগিয়ে আছেন। আইওয়াতে হেরে যাওয়ার পর ট্রাম্প অনেকটা সংযত হয়ে কথা বলছেন। প্রতিষ্ঠিত রিপাবলিকানরা এমনিতেই ট্রাম্পকে নিয়ে চিন্তিত। বাছাই পর্বের আগেই নানা বেপরোয়া কথা বলে তিনি মাঠ গরম করেছিলেন। নিজেকে খাঁটি রক্ষণশীল প্রমাণের জন্য তাঁর সব কথাবার্তা রিপাবলিকানদের মূল ভাবধারাকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে বলে দলের অনেক সমর্থকদের অভিমত। জাতীয়ভাবে জনমতে রিপাবলিকানদের মধ্যে ট্রাম্প এখনো এগিয়ে। তবে প্রতিদিন তাঁর জনপ্রিয়তা নামছে।
একসময় যারা রিপাবলিকান দলের অন্যতম প্রার্থী জেব বুশকে নিয়ে আশাবাদী ছিলেন, তারাও এখন হতাশ।
বাছাইপর্বে মোটেই ভালো করছেন না জেব বুশ। শেষ চেষ্টা হিসেবে জেব বুশের পক্ষে মাঠে নেমেছেন তাঁর মা সাবেক ফার্স্টলেডি বারবারা বুশ, ভাই সাবেক প্রেসিডেন্ট জর্জ বুশ।
সাউথ ক্যারোলিনা এবং নাভাদায় নাটকীয় কিছু করতে না পারলে নির্বাচনী দৌড় থেকে সরে পড়তে হতে পারে জেব বুশকে। আইওয়াতে তৃতীয় অবস্থানে থেকে সিনেটর মার্কো রুবিও অনেকটা চাঙা হয়ে উঠেছিলেন। জাতীয়ভাবে রিপাবলিকানদের প্রিয় মার্কো রুবিও নিউ হ্যাম্পশায়ারে কতটা পারবেন, তা নিয়ে উৎকণ্ঠিত তাঁর সমর্থকেরা। আরেক রিপাবলিকান প্রার্থীদের মধ্যে ক্রিস ক্রিস্টি এবং বেন কারসনের ভাগ্যও অনেকটা নির্ধারিত হয়ে যাবে বলে মনে করা হচ্ছে।
ফেব্রুয়ারি মাসের বাছাইপর্বেই যুক্তরাষ্ট্রের আগামী প্রেসিডেন্ট পদের নির্বাচন অনেকটাই নাটকীয় হয়ে উঠবে। ডেমোক্র্যাট দলের দুই প্রার্থীর মধ্যে কে কতটা প্রগতিশীল এ নিয়ে চলছে বিতর্ক। সামাজিক এই বিতর্কে বার্নি স্যান্ডার্স এগিয়ে থাকলেও হিলারি ক্লিনটনকে এখনো প্রেসিডেন্ট পদে নির্বাচনযোগ্য মনে করা হচ্ছে।
রিপাবলিকানদের মধ্যে জাতীয়ভাবে নির্বাচনযোগ্য প্রার্থী নিয়ে নিশ্চিত নয় দলের সমর্থকেরা। আপাতত নিউ হ্যাম্পশায়ারসহ ফেব্রুয়ারি মাসের অন্য দুটি রাজ্যের বাছাইপর্বে কোন প্রার্থী চাঞ্চল্য সৃষ্টি করতে পারেন, তা দেখার অধীর অপেক্ষায় দলের সমর্থকেরা।
আগামী মঙ্গলবার দলীয় এই বাছাইপর্ব অনুষ্ঠিত হবে। এ জন্য মরিয়া হয়ে লড়ছেন প্রার্থীরা। নির্বাচনী দৌড় থেকে রিপাবলিকান দলের কে বা কারা সরে দাঁড়াবেন তা নিয়েও চলছে বিস্তর আলাপ।
মাত্র কয়েক’মাস আগেও ডেমোক্র্যাট দলের প্রার্থিতায় হিলারি ক্লিনটনকে অপ্রতিরোধ্য মনে করা হচ্ছিল। বাছাইপর্বের শুরুতেই প্রায় ধরে ফেলেছেন জাতীয়ভাবে বহুল পরিচিত হিলারি ক্লিনটনকে। নিউ হ্যাম্পশায়ারে ব্যাপক ভোটের ব্যবধানে বার্নি স্যান্ডার্স যে হিলারিকে ধরাশায়ী করবেন, তা প্রায় নিশ্চিত।
বার্নি স্যান্ডার্সের পক্ষে ব্যাপক জনমত নিউ হ্যাম্পশায়ারে। ফারাক কমিয়ে আনার জন্য হিলারি ক্লিনটনের প্রধান প্রচারণা কার্যালয় থেকে এক হাজারের বেশি নির্বাচন কর্মীদের মাঠে নামানো হয়েছে। নিউ হ্যাম্পশায়ারের ঘরে ঘরে ফোন করা হচ্ছে। দরজায় কড়া নাড়া হচ্ছে হিলারি ক্লিনটনের নির্বাচনী বার্তা নিয়ে। বার্নি স্যান্ডার্সের পক্ষে তারুণ্যের জোয়ার দেখে হিলারি তরুণদের দ্বিতীয়বার চিন্তা করে ভোট দেওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন।
আমেরিকার জনগণের মধ্যে ধনী গরিবের পার্থক্য, উচ্চ ও মধ্যবিত্তের মধ্যে আয়ের ফারাক নিয়ে সিনেটর বার্নি স্যান্ডার্সের বক্তব্য তরুণ ডেমোক্র্যাট ভোটারদের আকর্ষণ করছে। সবার জন্য স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা এবং শিক্ষা ঋণ ছাড়া উচ্চশিক্ষা নিশ্চিত করার কথা বলছেন বার্নি স্যান্ডার্স। আমেরিকার মধ্যবিত্ত এবং নিম্নবিত্তের নিত্যদিনের হতাশার অবসানের কথা বলছেন তিনি।
২০০৮ সালে প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার পক্ষে যে তরুণ ভোটারদের জাগরণ দেখা গিয়েছিল, বার্নি স্যান্ডার্সের পক্ষে তার পুনরাবৃত্তি দেখা যাচ্ছে।
তরুণ ডেমোক্র্যাটদের মধ্যে এখন হিলারি ক্লিনটনকে নিয়ে নানা সন্দেহ। হিলারিকে প্রাতিষ্ঠানিক রাজনীতির প্রতিনিধি হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। মনে করা হচ্ছে, অন্যদের মতো নির্বাচনী তহবিলে সহায়তার নামে হিলারিও রাজনীতিকে প্রভাবিত করবেন।
আর বার্নি স্যান্ডার্সের নির্বাচনী তহবিল সাধারণ সমর্থকদের চাঁদায় গড়ে উঠেছে। নিউ হ্যাম্পশায়ারের বাছাইপর্বে বার্নি স্যান্ডার্স জিতলে ইতিহাস সৃষ্টি হবে। যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে এর আগে কোনো ইহুদি প্রেসিডেন্ট প্রার্থী বাছাইপর্বের এ পর্যায়েও জয়ী হতে পারেননি।
হিলারি ক্লিনটন এর মধ্যে প্রচারণায় সাউথ ক্যারোলিনা এবং নাভাদা রাজ্যে জোর দিচ্ছেন। এ মাসেই অন্য এ দুটি রাজ্যের বাছাইপর্ব অনুষ্ঠিত হবে। হিলারির স্বামী সাবেক প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন এবং হিলারি কন্যা চেলসি সরাসরি যাবেন রাজ্য দুটির অনেকগুলো প্রচারণা সভায়। জাতীয়ভাবে বার্নি স্যান্ডার্সের সঙ্গে জনমতের ফারাক প্রতিদিন কমছে এবং এ নিয়ে হিলারির প্রচারণা শিবিরে উৎকণ্ঠাও বাড়ছে।
এদিকে রিপাবলিকান শিবিরেও অস্থিরতা এখন চরমে। আইওয়াতে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে হারিয়ে টেড ক্রুজ অনেকটাই চাঙা অবস্থায় আছেন। যদিও নিউ হ্যাম্পশায়ারে ট্রাম্প জনমতে এগিয়ে আছেন। আইওয়াতে হেরে যাওয়ার পর ট্রাম্প অনেকটা সংযত হয়ে কথা বলছেন। প্রতিষ্ঠিত রিপাবলিকানরা এমনিতেই ট্রাম্পকে নিয়ে চিন্তিত। বাছাই পর্বের আগেই নানা বেপরোয়া কথা বলে তিনি মাঠ গরম করেছিলেন। নিজেকে খাঁটি রক্ষণশীল প্রমাণের জন্য তাঁর সব কথাবার্তা রিপাবলিকানদের মূল ভাবধারাকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে বলে দলের অনেক সমর্থকদের অভিমত। জাতীয়ভাবে জনমতে রিপাবলিকানদের মধ্যে ট্রাম্প এখনো এগিয়ে। তবে প্রতিদিন তাঁর জনপ্রিয়তা নামছে।
একসময় যারা রিপাবলিকান দলের অন্যতম প্রার্থী জেব বুশকে নিয়ে আশাবাদী ছিলেন, তারাও এখন হতাশ।
বাছাইপর্বে মোটেই ভালো করছেন না জেব বুশ। শেষ চেষ্টা হিসেবে জেব বুশের পক্ষে মাঠে নেমেছেন তাঁর মা সাবেক ফার্স্টলেডি বারবারা বুশ, ভাই সাবেক প্রেসিডেন্ট জর্জ বুশ।
সাউথ ক্যারোলিনা এবং নাভাদায় নাটকীয় কিছু করতে না পারলে নির্বাচনী দৌড় থেকে সরে পড়তে হতে পারে জেব বুশকে। আইওয়াতে তৃতীয় অবস্থানে থেকে সিনেটর মার্কো রুবিও অনেকটা চাঙা হয়ে উঠেছিলেন। জাতীয়ভাবে রিপাবলিকানদের প্রিয় মার্কো রুবিও নিউ হ্যাম্পশায়ারে কতটা পারবেন, তা নিয়ে উৎকণ্ঠিত তাঁর সমর্থকেরা। আরেক রিপাবলিকান প্রার্থীদের মধ্যে ক্রিস ক্রিস্টি এবং বেন কারসনের ভাগ্যও অনেকটা নির্ধারিত হয়ে যাবে বলে মনে করা হচ্ছে।
ফেব্রুয়ারি মাসের বাছাইপর্বেই যুক্তরাষ্ট্রের আগামী প্রেসিডেন্ট পদের নির্বাচন অনেকটাই নাটকীয় হয়ে উঠবে। ডেমোক্র্যাট দলের দুই প্রার্থীর মধ্যে কে কতটা প্রগতিশীল এ নিয়ে চলছে বিতর্ক। সামাজিক এই বিতর্কে বার্নি স্যান্ডার্স এগিয়ে থাকলেও হিলারি ক্লিনটনকে এখনো প্রেসিডেন্ট পদে নির্বাচনযোগ্য মনে করা হচ্ছে।
রিপাবলিকানদের মধ্যে জাতীয়ভাবে নির্বাচনযোগ্য প্রার্থী নিয়ে নিশ্চিত নয় দলের সমর্থকেরা। আপাতত নিউ হ্যাম্পশায়ারসহ ফেব্রুয়ারি মাসের অন্য দুটি রাজ্যের বাছাইপর্বে কোন প্রার্থী চাঞ্চল্য সৃষ্টি করতে পারেন, তা দেখার অধীর অপেক্ষায় দলের সমর্থকেরা।
No comments