কঠোর গোপনীয়তা জামায়াতের
পৌরসভা
নির্বাচনে প্রার্থিতা নিয়ে কঠোর গোপনীয়তা রক্ষা করছে জামায়াত। মনোনয়নপত্র
জমা দেয়ার শেষদিনও দলটির প্রার্থীদের নাম পরিচয় প্রকাশ করেনি দলটির নীতি
নির্ধারকরা। হামলা মামলা থেকে প্রার্থীদের রক্ষায় এই কৌশলী ভূমিকা নিয়েছে
বলে জামায়াতের দায়িত্বশীল সূত্র জানায়। দলীয় প্রতীকে প্রথমবারের মতো
অনুষ্ঠিতব্য স্থানীয় সরকার পরিষদের এই নির্বাচনে আওয়ামী লীগ এবং বিএনপির
প্রার্থীরা যখন নানামুখী প্রচার-প্রচারণায় ব্যস্ত, তখন জামায়াত প্রার্থীদের
নীরবতা বেশ কৌতূহলের জন্ম দিচ্ছে। স্বতন্ত্র অথবা জোটবদ্ধ নির্বাচনের
চিন্তা ছিল জামায়াতের। কিন্তু প্রতিকূল পরিস্থিতি বিবেচনা করে এখন যতটা
সম্ভব রাজনৈতিক অবস্থান গোপন রেখে নির্বাচন করতে চাচ্ছে দলটির মেয়র এবং
কাউন্সিলর প্রার্থীরা। জামায়াতের অন্তত তিন তরুণ সদস্যের সঙ্গে আলাপ করে
এমন চিত্র পাওয়া গেছে। তারা বলেন, রাজনৈতিক পরিচয় প্রকাশ হওয়ার সঙ্গে
সঙ্গেই জামায়াত প্রার্থীরা গ্রেপ্তার হতে পারেন অথবা রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের
টার্গেটে পরিণত হবেন এমন আশঙ্কা নীতি নির্ধারকদের। তাই তারা যে কোন উপায়ে
দলীয় পরিচয় আড়ালে রেখে নির্বাচন করতে চান। এজন্য জামায়াতের কোথায় কোন
প্রার্থী কোন পদে নির্বাচন করছেন তা প্রচার বা প্রকাশ করতে চান না
দায়িত্বশীলরা। স্থানীয়ভাবে যার যার অবস্থান বুঝে নির্বাচনী ময়দানে থাকবেন
তৃণমূল নেতা-কর্মী-সমর্থকরা। উদাহরণ হিসেবে বলা হয়, নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ
উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারি মোশাররফ হোসেন বসুরহাট পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র
পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে গতকাল মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। এখানে
কাউন্সিল পদে এ দলের প্রার্থী আছে তিনজন। কিন্তু তারা কেউ এ মুহূর্তে
রাজনৈতিক পরিচয় প্রকাশ করতে চান না। এমনিভাবে কমপক্ষে ৩০ পৌরসভা মেয়র এবং
প্রায় সব পৌরসভায় একাধিক কাউন্সিলর পদে প্রার্থী আছে জামায়াতের। তবে তারা
নির্বাচনের শেষ সময় পর্যন্ত দলীয় ব্যানার ছাড়াই নির্বাচন করতে চান। বিশেষ
করে মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই এবং প্রত্যাহারের শেষ সময় পার হওয়া পর্যন্ত
নির্বাচনী মাঠে টিকে থাকতে চান তারা। এরপর পরিস্থিতি বুঝে প্রার্থীরা যার
যার নির্বাচনী কৌশল ঠিক করবেন বলে দলীয় সূত্র জানায়।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, উপজেলা নির্বাচনের অভিজ্ঞতার আলোকে পৌরসভা নির্বাচনে জামায়াতের মেয়র পদে তেমন আগ্রহ নেই। কারণ, দলটির মাঠ পর্যায়ের প্রায় সব নেতার বিরুদ্ধেই বিভিন্ন অভিযোগে মামলা আছে। তাই নির্বাচিত হলেও পরে সেখানে প্রশাসক বসানো হবে বা সরকার সমর্থক কাউন্সিলরকে মেয়র বানানো হবে এই চিন্তা মাথায় আছে তাদের। দলের উপজেলা চেয়ারম্যানদের বেলায় এমন বহু দৃষ্টান্ত দেখা যাচ্ছে। এ অবস্থায় সমঝোতা করে মেয়র নির্বাচন করতে গেলেও বিপদ আছে। এ জন্য তারা মেয়রের বদলে কাউন্সিলর পদের জন্য আগ্রহী বেশি।
সূত্র মতে, স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী হলেও বিএনপি তথা ধানের শীষের প্রার্থী না থাকলে জামায়াতের প্রার্থীরা চিহ্নিত হয়ে যাবেন। সেক্ষেত্রে হামলা-মামলা-নির্যাতনের আশঙ্কা দেখা দেবে। তাই ধানের শীষের প্রার্থীকে রেখেই নির্বাচন করতে চায় জামায়াত। তবে মেয়র পদে যা-ই হোক, বিএনপির সঙ্গে সমঝোতা করে তারা প্রতিটি পৌরসভায় একাধিক কাউন্সিলর প্রার্থীকে জিতিয়ে আনতে চায়। জামায়াত নেতারা মনে করেন, মেয়র পদটি সবচেয়ে বেশি রাজনৈতিক। সে তুলনায় কাউন্সিলর পদ নিয়ে জাতীয় রাজনীতিতে তেমন প্রভাব পড়ে না। তাই তারা এই পদটিকে পাশ কাটিয়ে কাউন্সিরদের দিয়ে মাঠের রাজনীতিতে শক্তি সঞ্চয় করতে চায়। যাচাই করতে চায় মাঠের রাজনীতিতে দলের প্রভাব এবং সমর্থন। এজন্য ব্যাপকভাবে পরিচিত অথবা দলীয় নেতা হিসেবে চিহ্নিত এমন প্রার্থীদের নেপথ্যে রেখে দলীয় সমর্থক ব্যবসায়ী, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক, পেশাজীবী, সমাজ সেবক ও অপেক্ষাকৃত তরুণকর্মীদের প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, উপজেলা নির্বাচনের অভিজ্ঞতার আলোকে পৌরসভা নির্বাচনে জামায়াতের মেয়র পদে তেমন আগ্রহ নেই। কারণ, দলটির মাঠ পর্যায়ের প্রায় সব নেতার বিরুদ্ধেই বিভিন্ন অভিযোগে মামলা আছে। তাই নির্বাচিত হলেও পরে সেখানে প্রশাসক বসানো হবে বা সরকার সমর্থক কাউন্সিলরকে মেয়র বানানো হবে এই চিন্তা মাথায় আছে তাদের। দলের উপজেলা চেয়ারম্যানদের বেলায় এমন বহু দৃষ্টান্ত দেখা যাচ্ছে। এ অবস্থায় সমঝোতা করে মেয়র নির্বাচন করতে গেলেও বিপদ আছে। এ জন্য তারা মেয়রের বদলে কাউন্সিলর পদের জন্য আগ্রহী বেশি।
সূত্র মতে, স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী হলেও বিএনপি তথা ধানের শীষের প্রার্থী না থাকলে জামায়াতের প্রার্থীরা চিহ্নিত হয়ে যাবেন। সেক্ষেত্রে হামলা-মামলা-নির্যাতনের আশঙ্কা দেখা দেবে। তাই ধানের শীষের প্রার্থীকে রেখেই নির্বাচন করতে চায় জামায়াত। তবে মেয়র পদে যা-ই হোক, বিএনপির সঙ্গে সমঝোতা করে তারা প্রতিটি পৌরসভায় একাধিক কাউন্সিলর প্রার্থীকে জিতিয়ে আনতে চায়। জামায়াত নেতারা মনে করেন, মেয়র পদটি সবচেয়ে বেশি রাজনৈতিক। সে তুলনায় কাউন্সিলর পদ নিয়ে জাতীয় রাজনীতিতে তেমন প্রভাব পড়ে না। তাই তারা এই পদটিকে পাশ কাটিয়ে কাউন্সিরদের দিয়ে মাঠের রাজনীতিতে শক্তি সঞ্চয় করতে চায়। যাচাই করতে চায় মাঠের রাজনীতিতে দলের প্রভাব এবং সমর্থন। এজন্য ব্যাপকভাবে পরিচিত অথবা দলীয় নেতা হিসেবে চিহ্নিত এমন প্রার্থীদের নেপথ্যে রেখে দলীয় সমর্থক ব্যবসায়ী, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক, পেশাজীবী, সমাজ সেবক ও অপেক্ষাকৃত তরুণকর্মীদের প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছে।
No comments