অনশনরত বাংলাদেশীর মুক্তি চেয়ে বিক্ষোভ :মানবাধিকার সমুন্নতের আহ্বান হিলারি ও বার্নি সেন্ডারসের by ইমরান আনসারী
যুক্তরাষ্ট্রের
কারাগারে অনশনরত বাংলাদেশী রাজনৈতিক আশ্রয়প্রার্থীদের মানবাধিকার সমুন্নত
রাখতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন ডেমোক্র্যাট দলীয় প্রেসিডেন্ট
পদপ্রার্থী সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারী ক্লিনটন ও সিনেটর বার্নি
সেন্ডারস। যুক্তরাষ্ট্রের কারাগারে অনশরত ১১৫ বাংলাদেশীর মুক্তির দাবীতে
করা বিক্ষোভের পরিপ্রেক্ষিতে গনমাধ্যমের দৃষ্টি আকর্ষনে এ আহ্বান জানান এই
দুই প্রেসিডেন্ট প্রার্থী। বৃহস্পতিবার যুক্তরাস্ট্রের বিভিন্ন কারাগারে
আটক ১১৫ অনশনরত বাংলাদেশীদের মুক্ত করতে হিলারি ক্লিনটনের নিউ ইয়র্কস্থ
নির্বাচনী ক্যাম্পেইন অফিসের সামনে বিক্ষোভ ও প্রেস ব্রিফিং করেছে
মানবাধিকার সংগঠন ডেসিস রাইজিং আপ এন্ড মুভিং-ড্রাম। বিক্ষোভের তাৎক্ষনিক
ফল হিসেবে ডেমোক্র্যাট দলীয় প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী সিনেটর বার্র্নি
সেন্ডারস বন্দীদের পক্ষে আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দিয়েছেন। অপরদিকে একই বিষয়ে
নিজের অবস্থান তুলে ধরেন হিলারি ক্লিনটন ।
যুক্তরাষ্ট্রে অনুপ্রবেশের দায়ে দেশটির চারটি কারাগারে আটক প্রায় ১০০ কারাবন্দী গত সপ্তাহের বুধবার দুপুর থেকে আমরণ অনশন শুরু করে। এ সপ্তাহের সোমবার থেকে আরো চারটি কারাগারে আটক বাংলাদেশীরা অনশন শুরু করে। এদের সাথে যোগ দেয় আফ্রিকার কয়েকটি দেশের বন্দীরা। যুক্তরাষ্ট্র সরকারের আটকদের দেশে ফিরিয়ে পাঠানোর প্রতিবাদ ও আইনী সুরক্ষা পাবার জন্য তারা এ অনশন শুরু করে। এরা সকলেই প্রায় ১৫ থেকে ২০ টি দেশ ঘুরে যুক্তরাষ্ট্রের সীমান্ত দিয়ে প্রবেশ করে রাজনৈতিক আশ্রয় প্রার্থনা করেছেন। দীর্ঘ প্রায় এক সপ্তাহ ধরে চলা কারাবন্দীদের এ আন্দোলনে তেমন কোনো সাড়া না পাওয়ায় ডেমোক্রেট দলীয় প্রেসিডেন্ট প্রার্থীদের দৃষ্টি আকর্ষন করতেই এ ব্যাতিক্রমী প্রতিবাদ কর্মসূচী ডাক দেয় মানবাধিকার সংগঠন ড্রাম সাউথ এশিয়ান সেন্টার। এ বিক্ষোভে সংহতি প্রকাশ করে বাংলাদেশ সোসাইটি, বেসরকারি সংস্থা নট ওয়ান মোরসহ আটক হওয়া বাংলাদেশীদের আত্মীয় স্বজনরা।
বিক্ষোভের শুরুতে ড্রামের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফাহাদ আহম্মেদ অনশনের সার্বিক অবস্থা তুলে ধরে বলেন, ডেমোক্র্যাট দলীয় প্রেসিডেন্ট প্রার্থীদের আটক ইমগ্রান্টদের বিষয়ে অবস্থান জানতেই এ বিক্ষোভের আয়োজন করা হয়েছে।কারণ জনগন একটু নিরাপদ আশ্রয়ের আশায় যুক্তরাষ্ট্রে এসেছে। বিপরীতে প্রায় দুই বছরের মতো তাদেরকে কারাগারে থাকতে হচ্ছে। এটা মানবতাবিরোধী।
এসময় নিজের অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরেন টেক্সাসের এলপাসো কারাগার থেকে সদ্য মুক্ত হওয়া বাংলাদেশী আমিনুল ইসলাম। এসময় আমিনুল ইসলাম বলেন, জীবন বাঁচাতে ১৫ -১৬ টি রাষ্ট্র পেরিয়ে একটু নিরাপদ আশ্রয়ের জন্য সীমান্ত পেরিয়ে এই দেশে এসেছি। আমরা রাজনৈতিক আশ্রয় চাইবার পরও আমাদের আবেদন নাকচ করে দেয়া হয়েছে। এখানে এসে আমাদের একেকজনকে দেড় থেকে দুই বছর পর্যন্ত কারাজীবন বরণ করতে হয়েছে। আমরা কারাজীবন থেকে মুক্তি চাই। আমাদের আইনগত অধিকার লাভ করতে চাই। এসময় বাংলাদেশ সোসাইটির সেক্রেটারি আবদুর রহিম হাওলাদার বলেন, বাংলাদেশে রাজনৈতিক সহিংসতায় জীবনহানির আশংকায় এসব যুবকরা এদেশে এসেছেন। তাদের ফেরত পাঠানো হলে তাদের জীবন সংকটের মূখে পড়বে।মানবাধিকার সংগঠন নট ওয়ান মোর -এর পরিচালক মারিসা ফ্রাঙ্কো বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের কারাগারে অনশনের ঘটনাই বলে দেয় এদেশের অভিবাসন ব্যবস্থা কতটা নিষ্ঠুর।
হিলারি ক্লিনটনের ক্যাম্পেইন অফিসের সামনে ইংরেজী প্ল্যাকার্ডের পাশাপাশি বাংলায় লিখা ছিল- ‘খাবার নয় , মুক্তি চাই’। ‘আমরা এখানে মরে যাবো, কিন্তু দেশে যাবো না’। বিক্ষোভ চলাকালে হিলারি ক্লিনটনের অনুপুস্থিতিতে তাঁর ক্যাম্পেইন পরিচালক লরেলা পার্লি স্বশরীরে বিক্ষোভকারীদের কথা শুনতে আসেন। বিক্ষোভ শেষে ইমিগ্রান্ট ইস্যুতে হিলারি ক্লিনটনের নৈতিক অবস্থানের কথা তুলে ধরেন পার্লি। পাশাপাশি তিনি আশ্বাস দেন যে অনশরতদের বিষয়ে হিলারি ক্লিনটন শিগগিরই সুনির্দিস্ট বক্তব্য তুলে ধরবেন।
বিক্ষোভের পরপরই অনশনরতদের বিষয়ে আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দেন ডেমোক্র্যাট দলীয় শক্তিশালী প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী সিনেটর বার্নি সেন্ডারস। তিনি তাঁর ওই বিবৃতিতে জানান, যেসব পরিবার রাজনৈতিক আশ্রয় চেয়েছে তাদের ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্র তাঁর আন্তর্জাতিক দায়িত্ববোধের পরিচয় দেবে। ডিটেনশন সেন্টার বন্দ করার আহ্বান জানিয়ে সেন্ডারস আরো বলেন, সকল বেসরকারি ডিটেনশন সেন্টার বন্ধ করতে হবে। কারাগারে নিক্ষেপের পরিবর্তে অন্য কোনো ব্যবস্থা অভিবাসন ব্যবস্থায় সংযুক্ত করা যেতে পারে। সেই সাথে শান্ত ও মার্জিত অভিবাসী বন্দীদেরকে তাদের আত্মীয় স্বজনের কাছে একত্রিত হবার সুযোগ করে দিতে হবে। যেসব স্বজনরা এখন কোর্টের বারান্দায় তাদের জন্য অপেক্ষা করছেন। সেন্ডারসের লিখিত বিবৃতির পরপরই গণমাধ্যম কর্মীরা হিলারি ক্লিনটনের এবিষয়ে তাঁর দৃষ্টি আকর্ষন করলে তিনি জানান, আমি বিক্ষোভের বিষয়টি শুনেছি। অভিবাসী পরিবারগুলোর পক্ষ থেকে এধরণের উদ্যোগ (সরকারের) সিদ্ধান্ত পরিবর্তনে গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা রাখবে। আমি হিলারি ক্লিনটন নিজে বিশ্বাস করি যুক্তরাষ্ট্রের অভিবাসন ও ডিটেনশন ব্যবস্থাপনা আরো মানবিক হওয়া প্রয়োজন এবং প্রত্যেকটি মানুষের মানবিক অধিকার , নিরাপত্তা ও আত্মমর্যাদা যেন সমুন্নত থাকে।
ডেমোক্র্যাট দলীয় প্রার্থীদের দৃষ্টি আকর্ষন করা এ বিক্ষোভটি গুরুত্বের সাথে প্রচার করে যুক্তরাষ্ট্রের মূলধারার সব কয়টি মিডিয়া।
উল্লেখ্য , অবৈধ পথে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করা বিভিন্ন দেশের নাগরিকরা কারাভোগ করছেন। গত সেপ্টেম্বরে টেক্সাসের ডিটেনশন সেন্টারে প্রথম আমরণ অনশন শুরু করে প্রায় অর্ধশত বাংলাদেশী। তখন থেকেই বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠনের চাপের মুখে নভেম্বর পর্যন্ত প্রায় ৩৫ জন ছাড়া পান। যাদের অনেকেই নিউইয়র্কে চলে আসেন।
যুক্তরাষ্ট্রে অনুপ্রবেশের দায়ে দেশটির চারটি কারাগারে আটক প্রায় ১০০ কারাবন্দী গত সপ্তাহের বুধবার দুপুর থেকে আমরণ অনশন শুরু করে। এ সপ্তাহের সোমবার থেকে আরো চারটি কারাগারে আটক বাংলাদেশীরা অনশন শুরু করে। এদের সাথে যোগ দেয় আফ্রিকার কয়েকটি দেশের বন্দীরা। যুক্তরাষ্ট্র সরকারের আটকদের দেশে ফিরিয়ে পাঠানোর প্রতিবাদ ও আইনী সুরক্ষা পাবার জন্য তারা এ অনশন শুরু করে। এরা সকলেই প্রায় ১৫ থেকে ২০ টি দেশ ঘুরে যুক্তরাষ্ট্রের সীমান্ত দিয়ে প্রবেশ করে রাজনৈতিক আশ্রয় প্রার্থনা করেছেন। দীর্ঘ প্রায় এক সপ্তাহ ধরে চলা কারাবন্দীদের এ আন্দোলনে তেমন কোনো সাড়া না পাওয়ায় ডেমোক্রেট দলীয় প্রেসিডেন্ট প্রার্থীদের দৃষ্টি আকর্ষন করতেই এ ব্যাতিক্রমী প্রতিবাদ কর্মসূচী ডাক দেয় মানবাধিকার সংগঠন ড্রাম সাউথ এশিয়ান সেন্টার। এ বিক্ষোভে সংহতি প্রকাশ করে বাংলাদেশ সোসাইটি, বেসরকারি সংস্থা নট ওয়ান মোরসহ আটক হওয়া বাংলাদেশীদের আত্মীয় স্বজনরা।
বিক্ষোভের শুরুতে ড্রামের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফাহাদ আহম্মেদ অনশনের সার্বিক অবস্থা তুলে ধরে বলেন, ডেমোক্র্যাট দলীয় প্রেসিডেন্ট প্রার্থীদের আটক ইমগ্রান্টদের বিষয়ে অবস্থান জানতেই এ বিক্ষোভের আয়োজন করা হয়েছে।কারণ জনগন একটু নিরাপদ আশ্রয়ের আশায় যুক্তরাষ্ট্রে এসেছে। বিপরীতে প্রায় দুই বছরের মতো তাদেরকে কারাগারে থাকতে হচ্ছে। এটা মানবতাবিরোধী।
এসময় নিজের অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরেন টেক্সাসের এলপাসো কারাগার থেকে সদ্য মুক্ত হওয়া বাংলাদেশী আমিনুল ইসলাম। এসময় আমিনুল ইসলাম বলেন, জীবন বাঁচাতে ১৫ -১৬ টি রাষ্ট্র পেরিয়ে একটু নিরাপদ আশ্রয়ের জন্য সীমান্ত পেরিয়ে এই দেশে এসেছি। আমরা রাজনৈতিক আশ্রয় চাইবার পরও আমাদের আবেদন নাকচ করে দেয়া হয়েছে। এখানে এসে আমাদের একেকজনকে দেড় থেকে দুই বছর পর্যন্ত কারাজীবন বরণ করতে হয়েছে। আমরা কারাজীবন থেকে মুক্তি চাই। আমাদের আইনগত অধিকার লাভ করতে চাই। এসময় বাংলাদেশ সোসাইটির সেক্রেটারি আবদুর রহিম হাওলাদার বলেন, বাংলাদেশে রাজনৈতিক সহিংসতায় জীবনহানির আশংকায় এসব যুবকরা এদেশে এসেছেন। তাদের ফেরত পাঠানো হলে তাদের জীবন সংকটের মূখে পড়বে।মানবাধিকার সংগঠন নট ওয়ান মোর -এর পরিচালক মারিসা ফ্রাঙ্কো বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের কারাগারে অনশনের ঘটনাই বলে দেয় এদেশের অভিবাসন ব্যবস্থা কতটা নিষ্ঠুর।
হিলারি ক্লিনটনের ক্যাম্পেইন অফিসের সামনে ইংরেজী প্ল্যাকার্ডের পাশাপাশি বাংলায় লিখা ছিল- ‘খাবার নয় , মুক্তি চাই’। ‘আমরা এখানে মরে যাবো, কিন্তু দেশে যাবো না’। বিক্ষোভ চলাকালে হিলারি ক্লিনটনের অনুপুস্থিতিতে তাঁর ক্যাম্পেইন পরিচালক লরেলা পার্লি স্বশরীরে বিক্ষোভকারীদের কথা শুনতে আসেন। বিক্ষোভ শেষে ইমিগ্রান্ট ইস্যুতে হিলারি ক্লিনটনের নৈতিক অবস্থানের কথা তুলে ধরেন পার্লি। পাশাপাশি তিনি আশ্বাস দেন যে অনশরতদের বিষয়ে হিলারি ক্লিনটন শিগগিরই সুনির্দিস্ট বক্তব্য তুলে ধরবেন।
বিক্ষোভের পরপরই অনশনরতদের বিষয়ে আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দেন ডেমোক্র্যাট দলীয় শক্তিশালী প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী সিনেটর বার্নি সেন্ডারস। তিনি তাঁর ওই বিবৃতিতে জানান, যেসব পরিবার রাজনৈতিক আশ্রয় চেয়েছে তাদের ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্র তাঁর আন্তর্জাতিক দায়িত্ববোধের পরিচয় দেবে। ডিটেনশন সেন্টার বন্দ করার আহ্বান জানিয়ে সেন্ডারস আরো বলেন, সকল বেসরকারি ডিটেনশন সেন্টার বন্ধ করতে হবে। কারাগারে নিক্ষেপের পরিবর্তে অন্য কোনো ব্যবস্থা অভিবাসন ব্যবস্থায় সংযুক্ত করা যেতে পারে। সেই সাথে শান্ত ও মার্জিত অভিবাসী বন্দীদেরকে তাদের আত্মীয় স্বজনের কাছে একত্রিত হবার সুযোগ করে দিতে হবে। যেসব স্বজনরা এখন কোর্টের বারান্দায় তাদের জন্য অপেক্ষা করছেন। সেন্ডারসের লিখিত বিবৃতির পরপরই গণমাধ্যম কর্মীরা হিলারি ক্লিনটনের এবিষয়ে তাঁর দৃষ্টি আকর্ষন করলে তিনি জানান, আমি বিক্ষোভের বিষয়টি শুনেছি। অভিবাসী পরিবারগুলোর পক্ষ থেকে এধরণের উদ্যোগ (সরকারের) সিদ্ধান্ত পরিবর্তনে গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা রাখবে। আমি হিলারি ক্লিনটন নিজে বিশ্বাস করি যুক্তরাষ্ট্রের অভিবাসন ও ডিটেনশন ব্যবস্থাপনা আরো মানবিক হওয়া প্রয়োজন এবং প্রত্যেকটি মানুষের মানবিক অধিকার , নিরাপত্তা ও আত্মমর্যাদা যেন সমুন্নত থাকে।
ডেমোক্র্যাট দলীয় প্রার্থীদের দৃষ্টি আকর্ষন করা এ বিক্ষোভটি গুরুত্বের সাথে প্রচার করে যুক্তরাষ্ট্রের মূলধারার সব কয়টি মিডিয়া।
উল্লেখ্য , অবৈধ পথে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করা বিভিন্ন দেশের নাগরিকরা কারাভোগ করছেন। গত সেপ্টেম্বরে টেক্সাসের ডিটেনশন সেন্টারে প্রথম আমরণ অনশন শুরু করে প্রায় অর্ধশত বাংলাদেশী। তখন থেকেই বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠনের চাপের মুখে নভেম্বর পর্যন্ত প্রায় ৩৫ জন ছাড়া পান। যাদের অনেকেই নিউইয়র্কে চলে আসেন।
No comments