যুক্তরাষ্ট্রে বন্দুকধারীদের গুলিতে নিহত ১৪ আহত ১৭- জঙ্গি হামলা কি না নিশ্চিত নয় এফবিআই
যুক্তরাষ্ট্রের
ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যের দণিাঞ্চলে বুধবার একটি প্রতিবন্ধী
সেবাকেন্দ্রে বন্দুকধারীদের গুলিতে ১৪ জন নিহত ও ১৭ জন আহত হয়েছেন। আহতদের
মধ্যে ১০ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। পরে পুলিশের অভিযানে দুই বন্দুকধারী নিহত
হন। তাদের একজন পুরুষ ও একজন নারী। দু’জনই মুসলিম। এই হামলা ও হত্যাকাণ্ডের
পেছনে কী উদ্দেশ্য ছিল তা খুঁজে বের করতে তদন্ত করছে পুলিশ। তবে এটি জঙ্গি
হামলা কি না, সে ব্যাপারে নিশ্চিত নয় মার্কিন কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা
এফবিআই। মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা এই হামলার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ
প্রকাশ করেছেন এবং অস্ত্র আইন পরিবর্তনে তার প্রস্তাবে ইতিবাচক সাড়া দিতে
আবারো কংগ্রেসের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। খবর এএফপি, বিবিসি ও রয়টার্সের।
স্থানীয় সময় বুধবার বেলা ১১টায় ক্যালিফোর্নিয়ার সান বার্নার্ডিনো কাউন্টির ইনল্যান্ড রিজিওনাল সেন্টার নামের ওই সেবাকেন্দ্রে ঢুকে নির্বিচারে গুলি ছোড়েন দুই বন্দুকধারী। হামলার সময় সেখানে আসন্ন বড়দিন উপলক্ষে একটি অনুষ্ঠান চলছিল। প্রতি বছর ডিসেম্বর মাসে সেখানে এই অনুষ্ঠানটি হয়। হামলার পর পুলিশ ওই এলাকার ঘরে ঘরে তল্লাশি চালাচ্ছে সন্দেহভাজন কেউ লুকিয়ে আছে কি না তা নিশ্চিত হওয়ার জন্য।
পুলিশ বলছে, হামলার সময় পুলিশের অভিযানে নিহত দুই বন্দুকধারীর পরিচয় উদ্ধার করা হয়েছে। তারা হলেন, সৈয়দ রিজওয়ান ফারুক (২৮) ও তাসফিন মালিক (২৭)। তাদের মধ্যে সৈয়দ রিজওয়ান মার্কিন বংশোদ্ভূত। তাদের মধ্যে কী সম্পর্ক তা এখনো জানা যায়নি। তবে কোনো কোনো মিডিয়ার খবরে বলা হয়েছে, তারা স্বামী-স্ত্রী। গোলাগুলির সময় অনেকে ওই সেবাকেন্দ্রের বিভিন্ন ঘরে ঢুকে দরজা বন্ধ করে আত্মরার চেষ্টা করেন। পরে পুলিশ অনেককে সেখান থেকে সরিয়ে নেয়।
সান বার্নার্ডিনো কাউন্টির পুলিশ প্রধান জ্যারড বারগুয়ান বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, হামলায় তৃতীয় কোনো ব্যক্তি জড়িত আছেন বলে প্রাথমিকভাবে তারা ধারণা করেছিলেন। পরে তারা নিশ্চিত হন দুই বন্দুকধারীই হামলায় জড়িত। তিনি আরো জানান, হামলাকারীরা সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়ে অভিযানে নেমেছিলেন। তাদের পরনে ছিল সামরিক হামলা চালানোর পোশাক এবং তারা হ্যান্ডগান ও অ্যাসাল্ট রাইফেল বহন করছিলেন। তাদের কাছে ছিল হাতবোমাও।
সংবাদ সম্মেলনে আরো জানানো হয়, হামলাকারী রিজওয়ান ফারুক ওই কাউন্টির সরকারি স্বাস্থ্য বিভাগে পরিবেশ বিশেষজ্ঞ হিসেবে পাঁচ বছর ধরে কর্মরত ছিলেন। পুলিশ মনে করছে, কর্মেেত্র অসন্তোষের কারণেও এ হামলার ঘটনা ঘটে থাকতে পারে। হামলার আগে সেবাকেন্দ্রের অনুষ্ঠানে ফারুক উপস্থিত ছিলেন বলে পুলিশ নিশ্চিত হয়েছে। সেখানে তর্কাতর্কির একপর্যায়ে রিজওয়ান ফারুক মেজাজ খারাপ করে বেরিয়ে যান। কিছুণ পর তিনি তার সহযোগীকে নিয়ে ফিরে আসেন এবং নির্বিচারে গুলিবর্ষণ শুরু করেন। পুলিশ মনে করে, রাগ করে ওই অনুষ্ঠান থেকে বেরিয়ে যাওয়া ছিল পূর্বপরিকল্পিত। ব্যাপারটি এমন নয় যে, রাগ করে বেরিয়ে গিয়ে ফারুক ভারী অস্ত্র ও কমান্ডো পোশাকে সজ্জিত হয়ে হামলা চালিয়েছেন।
হামলাকারী রিজওয়ান ফারুকের ভগ্নিপতি ফারহান খান বলেন, হামলায় তার কোনো আত্মীয় জড়িত সে খবর জানার পর তিনি স্তম্ভিত হয়ে পড়েছেন। কেন ফারুক এ ধরনের ঘটনায় জড়িত হলো তা আমার বোধগম্য নয়। এক সপ্তাহ আগেও তার সাথে আমার কথা হয়েছে।
ফারুকের সহকর্মীরা লসএঞ্জেলেস টাইমসকে জানান, ফারুক এক সময় সৌদি আরব সফরে যান ও নতুন স্ত্রী নিয়ে সেখান থেকে ফিরে আসেন। তাদের একটি শিশুসন্তান রয়েছে। গত বুধবার সকালে ফারুক ও তার স্ত্রী তাদের সন্তানকে এক আত্মীয়ের কাছে রেখে আসেন। কাউন্সিল অন আমেরিকান-ইসলামিক রিলেসন্সের কর্মকর্তা হুসাম আয়লুস এ তথ্য জানান।
সেবাকেন্দ্রের সভাপতি ম্যাবেথ ফিল্ড বলেন, হামলাকারীদের কী ল্য ছিল তাদের কাছে স্পষ্ট নয়। সেবাকেন্দ্রের যেখানে রোগীদের চিকিৎসা দেয়া হয় সেখানে হামলা হয়নি। যেখানে সম্মেলন বা সামাজিক অনুষ্ঠান হয়, হামলা করা হয়েছে সেখানে।
যুক্তরাষ্ট্রে মাঝে মধ্যেই এ ধরনের সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটছে। ২০১২ সালে কানেকটিকাট অঙ্গরাজ্যের নিউ টাউনের স্যান্ডি হুক প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গুলি করে ২৬ জনকে হত্যা করেন বন্দুকধারীরা। কিছু দিন আগে কলোরাডোর একটি পরিবার পরিকল্পনাকেন্দ্রে গুলি করে পাঁচজনকে হত্যা করা হয়।
স্থানীয় সময় বুধবার বেলা ১১টায় ক্যালিফোর্নিয়ার সান বার্নার্ডিনো কাউন্টির ইনল্যান্ড রিজিওনাল সেন্টার নামের ওই সেবাকেন্দ্রে ঢুকে নির্বিচারে গুলি ছোড়েন দুই বন্দুকধারী। হামলার সময় সেখানে আসন্ন বড়দিন উপলক্ষে একটি অনুষ্ঠান চলছিল। প্রতি বছর ডিসেম্বর মাসে সেখানে এই অনুষ্ঠানটি হয়। হামলার পর পুলিশ ওই এলাকার ঘরে ঘরে তল্লাশি চালাচ্ছে সন্দেহভাজন কেউ লুকিয়ে আছে কি না তা নিশ্চিত হওয়ার জন্য।
পুলিশ বলছে, হামলার সময় পুলিশের অভিযানে নিহত দুই বন্দুকধারীর পরিচয় উদ্ধার করা হয়েছে। তারা হলেন, সৈয়দ রিজওয়ান ফারুক (২৮) ও তাসফিন মালিক (২৭)। তাদের মধ্যে সৈয়দ রিজওয়ান মার্কিন বংশোদ্ভূত। তাদের মধ্যে কী সম্পর্ক তা এখনো জানা যায়নি। তবে কোনো কোনো মিডিয়ার খবরে বলা হয়েছে, তারা স্বামী-স্ত্রী। গোলাগুলির সময় অনেকে ওই সেবাকেন্দ্রের বিভিন্ন ঘরে ঢুকে দরজা বন্ধ করে আত্মরার চেষ্টা করেন। পরে পুলিশ অনেককে সেখান থেকে সরিয়ে নেয়।
সান বার্নার্ডিনো কাউন্টির পুলিশ প্রধান জ্যারড বারগুয়ান বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, হামলায় তৃতীয় কোনো ব্যক্তি জড়িত আছেন বলে প্রাথমিকভাবে তারা ধারণা করেছিলেন। পরে তারা নিশ্চিত হন দুই বন্দুকধারীই হামলায় জড়িত। তিনি আরো জানান, হামলাকারীরা সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়ে অভিযানে নেমেছিলেন। তাদের পরনে ছিল সামরিক হামলা চালানোর পোশাক এবং তারা হ্যান্ডগান ও অ্যাসাল্ট রাইফেল বহন করছিলেন। তাদের কাছে ছিল হাতবোমাও।
সংবাদ সম্মেলনে আরো জানানো হয়, হামলাকারী রিজওয়ান ফারুক ওই কাউন্টির সরকারি স্বাস্থ্য বিভাগে পরিবেশ বিশেষজ্ঞ হিসেবে পাঁচ বছর ধরে কর্মরত ছিলেন। পুলিশ মনে করছে, কর্মেেত্র অসন্তোষের কারণেও এ হামলার ঘটনা ঘটে থাকতে পারে। হামলার আগে সেবাকেন্দ্রের অনুষ্ঠানে ফারুক উপস্থিত ছিলেন বলে পুলিশ নিশ্চিত হয়েছে। সেখানে তর্কাতর্কির একপর্যায়ে রিজওয়ান ফারুক মেজাজ খারাপ করে বেরিয়ে যান। কিছুণ পর তিনি তার সহযোগীকে নিয়ে ফিরে আসেন এবং নির্বিচারে গুলিবর্ষণ শুরু করেন। পুলিশ মনে করে, রাগ করে ওই অনুষ্ঠান থেকে বেরিয়ে যাওয়া ছিল পূর্বপরিকল্পিত। ব্যাপারটি এমন নয় যে, রাগ করে বেরিয়ে গিয়ে ফারুক ভারী অস্ত্র ও কমান্ডো পোশাকে সজ্জিত হয়ে হামলা চালিয়েছেন।
হামলাকারী রিজওয়ান ফারুকের ভগ্নিপতি ফারহান খান বলেন, হামলায় তার কোনো আত্মীয় জড়িত সে খবর জানার পর তিনি স্তম্ভিত হয়ে পড়েছেন। কেন ফারুক এ ধরনের ঘটনায় জড়িত হলো তা আমার বোধগম্য নয়। এক সপ্তাহ আগেও তার সাথে আমার কথা হয়েছে।
ফারুকের সহকর্মীরা লসএঞ্জেলেস টাইমসকে জানান, ফারুক এক সময় সৌদি আরব সফরে যান ও নতুন স্ত্রী নিয়ে সেখান থেকে ফিরে আসেন। তাদের একটি শিশুসন্তান রয়েছে। গত বুধবার সকালে ফারুক ও তার স্ত্রী তাদের সন্তানকে এক আত্মীয়ের কাছে রেখে আসেন। কাউন্সিল অন আমেরিকান-ইসলামিক রিলেসন্সের কর্মকর্তা হুসাম আয়লুস এ তথ্য জানান।
সেবাকেন্দ্রের সভাপতি ম্যাবেথ ফিল্ড বলেন, হামলাকারীদের কী ল্য ছিল তাদের কাছে স্পষ্ট নয়। সেবাকেন্দ্রের যেখানে রোগীদের চিকিৎসা দেয়া হয় সেখানে হামলা হয়নি। যেখানে সম্মেলন বা সামাজিক অনুষ্ঠান হয়, হামলা করা হয়েছে সেখানে।
যুক্তরাষ্ট্রে মাঝে মধ্যেই এ ধরনের সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটছে। ২০১২ সালে কানেকটিকাট অঙ্গরাজ্যের নিউ টাউনের স্যান্ডি হুক প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গুলি করে ২৬ জনকে হত্যা করেন বন্দুকধারীরা। কিছু দিন আগে কলোরাডোর একটি পরিবার পরিকল্পনাকেন্দ্রে গুলি করে পাঁচজনকে হত্যা করা হয়।
No comments