তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন: গণমাধ্যম যে ভূমিকা রাখতে পারে by অরূপ রতন চৌধুরী
বাংলাদেশে
তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন হয়েছে ২০০৫ সালে। আর বর্তমান সরকারের আমলে ধূমপান ও
তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ, সংশোধন আইন ২০১৩ সালে প্রণীত হয়েছে।
কিন্তু বাস্তবতা হলো, এই আইন সম্পর্কে জনগণ যেমন সচেতন নয়, তেমনি যাঁরা
প্রচারমাধ্যমে কাজ করেন, সিনেমা-নাটক তৈরি করেন, তাঁরাও এটা সম্পর্কে অবগত
নন। ফলে নানা সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছে। এটা সবাই জানেন, তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন
হয়েছে, কিন্তু এর কোনো আইন অমান্য করলে কী সাজা হবে বা সে সম্পর্কে আইনে
কী বলা হয়েছে, সেটা সম্পর্কে আমাদের সুস্পষ্ট ধারণা নেই।
পাবলিক প্লেস বলতে কী বোঝায়? আইনে পাবলিক প্লেস হচ্ছে সেই স্থান, যেখানে জনসাধারণ সমবেত হয়, চলাচল করে বা একত্র হয়। যেমন: ১. স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়সহ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, ২. গ্রন্থাগার, ৩. হাসপাতাল, ক্লিনিক, ৪. প্রেক্ষাগৃহ, ৫. প্রদর্শনীকেন্দ্র, ৬. থিয়েটার হল, ৭. রেস্টুরেন্ট, ৮. শিশুপার্ক, ৯. খেলাধুলার স্থান, ১০. পাবলিক পরিবহন—বাস, ট্রেন, স্টিমার, লঞ্চ, ফেরি ইত্যাদি।
আইনের ৭ক ধারা অনুযায়ী, এই পাবলিক প্লেসের মালিক বা নিয়ন্ত্রণকারী ব্যক্তি তাঁর নিয়ন্ত্রণাধীন এলাকা ধূমপানমুক্ত করতে অবশ্যই কিছু পদক্ষেপ নেবেন। যেমন: (ক) ধূমপান থেকে বিরত থাকার জন্য নোটিশ প্রদর্শন, (খ) ধূমপানমুক্ত এলাকায় ছাইদানি না রাখা, (গ) ধূমপানের জন্য নির্ধারিত স্থানে (যদি ধূমপানমুক্ত স্থান থাকার বিধান থাকে) ‘ধূমপানের জন্য নির্ধারিত স্থান’ এবং ‘ধূমপানে মৃত্যু ঘটে’ লেখা নোটিশ প্রদর্শন, (ঘ) কোনো ব্যক্তি ধূমপানমুক্ত এলাকায় ধূমপান করলে ওই এলাকার মালিক বা নিয়ন্ত্রণকারী ব্যক্তি ধূমপায়ীকে ধূমপান না করার জন্য অনুরোধ করবেন, (ঙ) ঘ-এর বিধান অনুসারে ওই ব্যক্তি ধূমপান থেকে বিরত থাকতে অনুরোধ করা সত্ত্বেও কেউ ধূমপান করলে তাঁকে এলাকা ত্যাগ করতে বাধ্য করতে পারবেন এবং কোনো প্রকার সেবা প্রদান থেকে বিরত থাকতে পারেন, এমনকি তিনি আইন প্রয়োগকারী কর্তৃপক্ষের সহায়তা নিতে পারেন।
এই আইন ভঙ্গকারীদের শাস্তির বিধানও আছে। কোনো ব্যক্তি উপধারা (১) লঙ্ঘন করলে তাঁকে অনধিক ৩০০ টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডিত করা হবে, তিনি দ্বিতীয়বার এই আইন ভঙ্গ করলে তাঁকে এর দ্বিগুণ টাকা দণ্ড দেওয়া হবে।
এই আইনের ৫-এর উপধারা ১-এর দফা (ঙ) অনুযায়ী, কোনো সিনেমা বা নাটকে কাহিনির প্রয়োজনে ধূমপানের চিত্র প্রদর্শন অত্যাবশ্যক হলে প্রদর্শনকালে ক্ষতিকর প্রভাব সম্পর্কে নিয়মিতভাবে সতর্কবাণী নিম্নবর্ণিত পদ্ধতিতে পর্দায় প্রদর্শন করতে হবে: ১. তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহারের দৃশ্য প্রদর্শনকালে পর্দার মাঝখানে পর্দার আকারের অন্তত এক-পঞ্চমাংশ স্থানজুড়ে কালো জমিনের ওপর সাদা অক্ষরে বাংলা ভাষায় ‘ধূমপান/ তামাক সেবন মৃত্যু ঘটায়’ শীর্ষক সতর্কবাণী প্রদর্শন করতে হবে। সেই দৃশ্য যতক্ষণ প্রদর্শিত হবে, ততক্ষণ পর্যন্ত সতর্কবাণী প্রদর্শন অব্যাহত রাখতে হবে।
এদিকে চলচ্চিত্র উন্নয়ন সংস্থা (এফডিসি) কিংবা বেতার, টেলিভিশন ভবন ও বিভিন্ন সংবাদপত্র অফিস, প্রাইভেট টিভি চ্যানেলের অফিসগুলো যেহেতু পাবলিক প্লেস, সেহেতু এসব স্থানকেও ধূমপানমুক্ত এলাকা ঘোষণা করা প্রয়োজন।
বর্তমান আইনের আরেকটি উল্লেখযোগ্য দিক হচ্ছে, কোনো ব্যক্তি অনধিক ১৮ বছর বয়সের কোনো ব্যক্তির কাছে তামাক বা তামাকজাত দ্রব্য বিক্রি করতে পারবেন না, অথবা ওই ব্যক্তিকে তামাক বা তামাকজাত দ্রব্য বিপণন বা বিতরণকাজে নিয়োজিত করতে পারবেন না। এই বিধান লঙ্ঘন করলে তাঁকে অনধিক পাঁচ হাজার টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডিত করা হবে, পুনরায় লঙ্ঘনের ক্ষেত্রে তাঁকে দ্বিগুণ হারে দণ্ডিত করা হবে।
তামাকজাত দ্রব্যের বিজ্ঞাপন ও প্রচারণা সম্পর্কে এ আইনে বলা হয়েছে, ক. প্রিন্ট বা ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় ও বাংলাদেশে প্রকাশিত বই, লিফলেট, হ্যান্ডবিল, পোস্টার ছাপানো কাগজ, বিলবোর্ড, সাইনবোর্ডে বা অন্য কোনোভাবে তামাকজাত দ্রব্যের বিজ্ঞাপন প্রচার করা যাবে না। খ. তামাকজাত দ্রব্যের কোনো দান, পুরস্কার, বৃত্তি প্রদান বা স্পনসর নেওয়া যাবে না। কোনো ব্যক্তি এই ধারার বিধান লঙ্ঘন করলে তিনি অনূর্ধ্ব তিন মাস বিনাশ্রম কারাদণ্ড বা অনধিক এক লাখ টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন এবং পুনরায় করলে দ্বিগুণ হারে দণ্ডিত হবেন।
বাংলাদেশে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন থাকা জরুরি। কারণ, বাজেট বক্তৃতায় বলা হয়েছে, এখানে প্রতিবছর প্রায় ৬০ হাজার মানুষ তামাকের কারণে প্রাণ হারায় এবং চার লাখ মানুষ পঙ্গুত্ব বরণ করে, কিন্তু বাস্তবতা আরও ভয়াবহ। এই পরিসংখ্যান ২০০৪ সালের গবেষণায় প্রাপ্ত তথ্য। বর্তমানে প্রতিবছর তামাকজনিত মৃত্যুর সংখ্যা প্রায় আড়াই লাখ। এ কারণে প্রতিদিন প্রায় ৬৮০ জন মানুষ মৃত্যুবরণ করছেন। অর্থাৎ তামাকের কারণে প্রতি ঘণ্টায় ২৮ জন ও প্রতি দুই মিনিটে একজনের মৃত্যু ঘটেছে।
আমরা যদি তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন মেনে না চলি, তবে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম শুধু যে তামাকজনিত রোগে অর্ধেক মারা যাবে তা-ই নয়, তাদের মধ্যে অর্ধেকেরও বেশি তরুণ ধূমপানে মাদকাসক্ত হবে এবং ৪৪ শতাংশ নানা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড বা অপরাধে জড়িয়ে পড়বে। সুতরাং জনসাধারণের উপকার হয় এমন ব্যবস্থা গ্রহণ করা শুধু স্বাস্থ্যসম্মত নয়, এটা আইন ও বিধিসম্মত। অতএব আমরা আশা করব,
যাঁরা টিভি, নাটক, সিনেমা নির্মাণ করেন, তাঁরা এ ব্যাপারে যথেষ্ট আন্তরিক ও আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হবেন, যাতে মানুষ তামাকের এই ব্যবহারের কারণে ক্যানসার, হৃদ্রোগ, স্ট্রোক, গর্ভপাত, মৃত শিশু প্রসবের মতো জটিল পরিস্থিতির শিকার না হয়।
একটি পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, বর্তমানে বাংলাদেশে যারা খুন, রাহাজানি প্রভৃতি অপরাধ করছে, তাদের বেশির ভাগই মাদকাসক্ত। তাই আসুন, প্রচারমাধ্যমে, বিশেষ করে টিভি নাটক ও চলচ্চিত্রে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের বিধিবিধান আমরা মেনে চলি, যাতে দর্শকেরা বিভ্রান্ত না হয় এবং তামাকের ক্ষয়ক্ষতি ও ভয়াবহতা সম্পর্কে সচেতন হয়।
অধ্যাপক ড. অরূপ রতন চৌধুরী: ডেন্টাল সার্জন, বারডেম।
prof.arupratanchoudhury@yahoo.com
পাবলিক প্লেস বলতে কী বোঝায়? আইনে পাবলিক প্লেস হচ্ছে সেই স্থান, যেখানে জনসাধারণ সমবেত হয়, চলাচল করে বা একত্র হয়। যেমন: ১. স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়সহ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, ২. গ্রন্থাগার, ৩. হাসপাতাল, ক্লিনিক, ৪. প্রেক্ষাগৃহ, ৫. প্রদর্শনীকেন্দ্র, ৬. থিয়েটার হল, ৭. রেস্টুরেন্ট, ৮. শিশুপার্ক, ৯. খেলাধুলার স্থান, ১০. পাবলিক পরিবহন—বাস, ট্রেন, স্টিমার, লঞ্চ, ফেরি ইত্যাদি।
আইনের ৭ক ধারা অনুযায়ী, এই পাবলিক প্লেসের মালিক বা নিয়ন্ত্রণকারী ব্যক্তি তাঁর নিয়ন্ত্রণাধীন এলাকা ধূমপানমুক্ত করতে অবশ্যই কিছু পদক্ষেপ নেবেন। যেমন: (ক) ধূমপান থেকে বিরত থাকার জন্য নোটিশ প্রদর্শন, (খ) ধূমপানমুক্ত এলাকায় ছাইদানি না রাখা, (গ) ধূমপানের জন্য নির্ধারিত স্থানে (যদি ধূমপানমুক্ত স্থান থাকার বিধান থাকে) ‘ধূমপানের জন্য নির্ধারিত স্থান’ এবং ‘ধূমপানে মৃত্যু ঘটে’ লেখা নোটিশ প্রদর্শন, (ঘ) কোনো ব্যক্তি ধূমপানমুক্ত এলাকায় ধূমপান করলে ওই এলাকার মালিক বা নিয়ন্ত্রণকারী ব্যক্তি ধূমপায়ীকে ধূমপান না করার জন্য অনুরোধ করবেন, (ঙ) ঘ-এর বিধান অনুসারে ওই ব্যক্তি ধূমপান থেকে বিরত থাকতে অনুরোধ করা সত্ত্বেও কেউ ধূমপান করলে তাঁকে এলাকা ত্যাগ করতে বাধ্য করতে পারবেন এবং কোনো প্রকার সেবা প্রদান থেকে বিরত থাকতে পারেন, এমনকি তিনি আইন প্রয়োগকারী কর্তৃপক্ষের সহায়তা নিতে পারেন।
এই আইন ভঙ্গকারীদের শাস্তির বিধানও আছে। কোনো ব্যক্তি উপধারা (১) লঙ্ঘন করলে তাঁকে অনধিক ৩০০ টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডিত করা হবে, তিনি দ্বিতীয়বার এই আইন ভঙ্গ করলে তাঁকে এর দ্বিগুণ টাকা দণ্ড দেওয়া হবে।
এই আইনের ৫-এর উপধারা ১-এর দফা (ঙ) অনুযায়ী, কোনো সিনেমা বা নাটকে কাহিনির প্রয়োজনে ধূমপানের চিত্র প্রদর্শন অত্যাবশ্যক হলে প্রদর্শনকালে ক্ষতিকর প্রভাব সম্পর্কে নিয়মিতভাবে সতর্কবাণী নিম্নবর্ণিত পদ্ধতিতে পর্দায় প্রদর্শন করতে হবে: ১. তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহারের দৃশ্য প্রদর্শনকালে পর্দার মাঝখানে পর্দার আকারের অন্তত এক-পঞ্চমাংশ স্থানজুড়ে কালো জমিনের ওপর সাদা অক্ষরে বাংলা ভাষায় ‘ধূমপান/ তামাক সেবন মৃত্যু ঘটায়’ শীর্ষক সতর্কবাণী প্রদর্শন করতে হবে। সেই দৃশ্য যতক্ষণ প্রদর্শিত হবে, ততক্ষণ পর্যন্ত সতর্কবাণী প্রদর্শন অব্যাহত রাখতে হবে।
এদিকে চলচ্চিত্র উন্নয়ন সংস্থা (এফডিসি) কিংবা বেতার, টেলিভিশন ভবন ও বিভিন্ন সংবাদপত্র অফিস, প্রাইভেট টিভি চ্যানেলের অফিসগুলো যেহেতু পাবলিক প্লেস, সেহেতু এসব স্থানকেও ধূমপানমুক্ত এলাকা ঘোষণা করা প্রয়োজন।
বর্তমান আইনের আরেকটি উল্লেখযোগ্য দিক হচ্ছে, কোনো ব্যক্তি অনধিক ১৮ বছর বয়সের কোনো ব্যক্তির কাছে তামাক বা তামাকজাত দ্রব্য বিক্রি করতে পারবেন না, অথবা ওই ব্যক্তিকে তামাক বা তামাকজাত দ্রব্য বিপণন বা বিতরণকাজে নিয়োজিত করতে পারবেন না। এই বিধান লঙ্ঘন করলে তাঁকে অনধিক পাঁচ হাজার টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডিত করা হবে, পুনরায় লঙ্ঘনের ক্ষেত্রে তাঁকে দ্বিগুণ হারে দণ্ডিত করা হবে।
তামাকজাত দ্রব্যের বিজ্ঞাপন ও প্রচারণা সম্পর্কে এ আইনে বলা হয়েছে, ক. প্রিন্ট বা ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় ও বাংলাদেশে প্রকাশিত বই, লিফলেট, হ্যান্ডবিল, পোস্টার ছাপানো কাগজ, বিলবোর্ড, সাইনবোর্ডে বা অন্য কোনোভাবে তামাকজাত দ্রব্যের বিজ্ঞাপন প্রচার করা যাবে না। খ. তামাকজাত দ্রব্যের কোনো দান, পুরস্কার, বৃত্তি প্রদান বা স্পনসর নেওয়া যাবে না। কোনো ব্যক্তি এই ধারার বিধান লঙ্ঘন করলে তিনি অনূর্ধ্ব তিন মাস বিনাশ্রম কারাদণ্ড বা অনধিক এক লাখ টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন এবং পুনরায় করলে দ্বিগুণ হারে দণ্ডিত হবেন।
বাংলাদেশে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন থাকা জরুরি। কারণ, বাজেট বক্তৃতায় বলা হয়েছে, এখানে প্রতিবছর প্রায় ৬০ হাজার মানুষ তামাকের কারণে প্রাণ হারায় এবং চার লাখ মানুষ পঙ্গুত্ব বরণ করে, কিন্তু বাস্তবতা আরও ভয়াবহ। এই পরিসংখ্যান ২০০৪ সালের গবেষণায় প্রাপ্ত তথ্য। বর্তমানে প্রতিবছর তামাকজনিত মৃত্যুর সংখ্যা প্রায় আড়াই লাখ। এ কারণে প্রতিদিন প্রায় ৬৮০ জন মানুষ মৃত্যুবরণ করছেন। অর্থাৎ তামাকের কারণে প্রতি ঘণ্টায় ২৮ জন ও প্রতি দুই মিনিটে একজনের মৃত্যু ঘটেছে।
আমরা যদি তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন মেনে না চলি, তবে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম শুধু যে তামাকজনিত রোগে অর্ধেক মারা যাবে তা-ই নয়, তাদের মধ্যে অর্ধেকেরও বেশি তরুণ ধূমপানে মাদকাসক্ত হবে এবং ৪৪ শতাংশ নানা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড বা অপরাধে জড়িয়ে পড়বে। সুতরাং জনসাধারণের উপকার হয় এমন ব্যবস্থা গ্রহণ করা শুধু স্বাস্থ্যসম্মত নয়, এটা আইন ও বিধিসম্মত। অতএব আমরা আশা করব,
যাঁরা টিভি, নাটক, সিনেমা নির্মাণ করেন, তাঁরা এ ব্যাপারে যথেষ্ট আন্তরিক ও আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হবেন, যাতে মানুষ তামাকের এই ব্যবহারের কারণে ক্যানসার, হৃদ্রোগ, স্ট্রোক, গর্ভপাত, মৃত শিশু প্রসবের মতো জটিল পরিস্থিতির শিকার না হয়।
একটি পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, বর্তমানে বাংলাদেশে যারা খুন, রাহাজানি প্রভৃতি অপরাধ করছে, তাদের বেশির ভাগই মাদকাসক্ত। তাই আসুন, প্রচারমাধ্যমে, বিশেষ করে টিভি নাটক ও চলচ্চিত্রে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের বিধিবিধান আমরা মেনে চলি, যাতে দর্শকেরা বিভ্রান্ত না হয় এবং তামাকের ক্ষয়ক্ষতি ও ভয়াবহতা সম্পর্কে সচেতন হয়।
অধ্যাপক ড. অরূপ রতন চৌধুরী: ডেন্টাল সার্জন, বারডেম।
prof.arupratanchoudhury@yahoo.com
No comments