ব্রাদারহুডকে নিয়ে ভোল পাল্টালো মিশরের স্বৈরশাসক সিসি
মিশরীয়
স্বৈরশাসক আবদেল ফাত্তাহ আল-সিসি বলেছেন, তার দেশের বৃহত্তম রাজনৈতিক দল
মুসলিম ব্রাদারহুড আবার প্রকাশ্য ভূমিকা রাখতে পারে। ব্রিটেন সফরের
প্রাক্কালে বিবিসিকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে সিসি এ মন্তব্য করেন।
এর মাধ্যমে সিসি দৃশ্যত ব্রাদারহুডের প্রতি সুর নরম করার ইঙ্গিত দিলেন, যিনি ক্ষমতা দখলের পর এই দলটিকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে রাখা হয়েছে।
‘সমস্যা সরকার বা আমাকে নিয়ে নয়। এটা জনমত নিয়ে, মিশরীয়দের নিয়ে। মিশরীয়রা শান্তিপ্রিয় এবং তারা সহিংসতা পছন্দ করেন না। তারা ব্রাদারহুডের বিরুদ্ধে প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছিল এবং তাদের নিয়ে শঙ্কিত,’ দাবি করেন সিসি।
সিসি জনগণের দোহাই দিলেও ২০১১ সালে স্বৈরশাসক হোসনি মোবারকের পতনের পর সিসির ক্ষমতা দখলের আগে মিশরে যতগুলো নির্বাচন হয়েছে তার প্রতিটিতেই ব্রাদারহুড বিপুল জয় পেয়েছে এবং এসব নির্বাচন নিয়ে কেউ প্রশ্নও তোলেনি।
ব্রাদারহুডের ব্যাপারের নমনীয় অবস্থানের ইঙ্গিত দিয়ে সাক্ষাৎকারে সিসি আরো বলেন, ‘এই দেশটা এত বড় যে তা আমাদের সবাইকে সঙ্কুলানের জন্য যথেষ্ট। তারা (ব্রাদারহুড) মিশরের অংশ এবং মিশরীয় জনগণকে অবশ্যই নির্ধারণ করতে হবে যে তারা কি ভূমিকা পালন করতে পারে।’
২০১৩ সালের জুলাইয়ে বন্দুকের নলের মাথায় ক্ষমতা দখলের পর সিসি ব্রাদারহুডের শত শত নেতাকর্মীকে হত্যা করেছেন এবং অন্তত ৪০,০০০ নেতাকর্মীকে কারাবন্দী করেছেন। এদের মধ্যে সাবেক প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুরসিসহ অনেককেই প্রহসনের বিচারের মাধ্যমে ফাঁসির দণ্ড দেয়া হয়েছে।
বুধবার ব্রিটেন সফর শুরু করেছেন সিসি। তবে ব্রিটেনের বহু গণমাধ্যমে সিসিকে স্বৈরশাসক আখ্যা দিয়ে তাকে স্বাগত জানানোর জন্য ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরনের কঠোর সমালোচনা করা হয়েছে।
ব্রিটেনের বিরোধীদলীয় নেতা সিসিকে ব্রিটেনে স্বাগত জানানোর সমালোচনা করে একে ‘মানবিক ও গণতান্ত্রিক অধিকারের অবমাননা’ বলে মন্তব্য করেছেন।
এর মাধ্যমে সিসি দৃশ্যত ব্রাদারহুডের প্রতি সুর নরম করার ইঙ্গিত দিলেন, যিনি ক্ষমতা দখলের পর এই দলটিকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে রাখা হয়েছে।
‘সমস্যা সরকার বা আমাকে নিয়ে নয়। এটা জনমত নিয়ে, মিশরীয়দের নিয়ে। মিশরীয়রা শান্তিপ্রিয় এবং তারা সহিংসতা পছন্দ করেন না। তারা ব্রাদারহুডের বিরুদ্ধে প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছিল এবং তাদের নিয়ে শঙ্কিত,’ দাবি করেন সিসি।
সিসি জনগণের দোহাই দিলেও ২০১১ সালে স্বৈরশাসক হোসনি মোবারকের পতনের পর সিসির ক্ষমতা দখলের আগে মিশরে যতগুলো নির্বাচন হয়েছে তার প্রতিটিতেই ব্রাদারহুড বিপুল জয় পেয়েছে এবং এসব নির্বাচন নিয়ে কেউ প্রশ্নও তোলেনি।
ব্রাদারহুডের ব্যাপারের নমনীয় অবস্থানের ইঙ্গিত দিয়ে সাক্ষাৎকারে সিসি আরো বলেন, ‘এই দেশটা এত বড় যে তা আমাদের সবাইকে সঙ্কুলানের জন্য যথেষ্ট। তারা (ব্রাদারহুড) মিশরের অংশ এবং মিশরীয় জনগণকে অবশ্যই নির্ধারণ করতে হবে যে তারা কি ভূমিকা পালন করতে পারে।’
২০১৩ সালের জুলাইয়ে বন্দুকের নলের মাথায় ক্ষমতা দখলের পর সিসি ব্রাদারহুডের শত শত নেতাকর্মীকে হত্যা করেছেন এবং অন্তত ৪০,০০০ নেতাকর্মীকে কারাবন্দী করেছেন। এদের মধ্যে সাবেক প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুরসিসহ অনেককেই প্রহসনের বিচারের মাধ্যমে ফাঁসির দণ্ড দেয়া হয়েছে।
বুধবার ব্রিটেন সফর শুরু করেছেন সিসি। তবে ব্রিটেনের বহু গণমাধ্যমে সিসিকে স্বৈরশাসক আখ্যা দিয়ে তাকে স্বাগত জানানোর জন্য ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরনের কঠোর সমালোচনা করা হয়েছে।
ব্রিটেনের বিরোধীদলীয় নেতা সিসিকে ব্রিটেনে স্বাগত জানানোর সমালোচনা করে একে ‘মানবিক ও গণতান্ত্রিক অধিকারের অবমাননা’ বলে মন্তব্য করেছেন।
No comments