সিলেট নগরে রিকশাভাড়ার নীতিমালা হলেও প্রয়োগ নেই
গত সেপ্টেম্বরের শেষ সপ্তাহে নগরে রিকশাভাড়ার একটি তালিকা প্রণয়ন করা হয়। প্রতি কিলোমিটার ১০ টাকা এবং ঘণ্টাপ্রতি ৫০ টাকা হারে ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছিল |
বুধবার
বেলা সাড়ে ১১টা! সিলেট নগরের কোর্ট পয়েন্ট! মধুবন সুপার মার্কেটের সামনে
দাঁড়িয়েছিলেন এক ব্যক্তি। একটি খালি রিকশা এগিয়ে আসতে দেখেই হাঁক দিলেন,
‘ভাই, যাইবেন?’ জবাবে চালক বললেন, ‘হ, যাইমু। তয় ভাড়া বলাইয়া (বাড়িয়ে) দিতে
হইব।’
‘চৌহাট্টা কত নেবেন?’ জিজ্ঞেস করতেই চালক বললেন, ‘২০ টেকা।’ যাত্রী ক্ষুব্ধ হয়ে বললেন, ‘ভাড়া তো ১০ টাকা, ২০ টাকা চাচ্ছেন কেন?’ যাত্রীর প্রশ্নের জবাবে চালকও হেঁড়ে গলায় বলেন, ‘গেলে যাইবেন, না গেলে, না। তর্কাতর্কি কইরা কুনু লাভ নাই।’ এ কথা বলেই চালক রিকশায় প্যাডেল মেরে চলে গেলেন।
সিটি করপোরেশন রিকশাভাড়ার নীতিমালা প্রণয়নের পরও এমন ঘটনা অহরহ ঘটছে বলে দরগাগেট এলাকার বাসিন্দা হাবিবুর রহমান নামের ওই যাত্রী অভিযোগ করেন। তিনি বলেন, প্রতিদিন রিকশাচালকদের সঙ্গে ভাড়া নিয়া ঝগড়া-বিবাদ লাগে। গত সেপ্টেম্বরের শেষদিকে সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষ ভাড়ার তালিকাও নির্ধারণ করে দিয়েছে। বাস্তবে ওই তালিকার কোনো প্রয়োগ না হওয়ায় চালক-যাত্রীদের মধ্যে নিয়মিত বচসা লেগেই আছে।
গতকাল বেলা ১১টা থেকে ১টা পর্যন্ত নগরের ১৩টি এলাকায় সরেজমিনে চালক-যাত্রীর মধ্যে পাঁচটি বচসার ঘটনা দেখা গেছে। এ সময় কথা হয় তিন যাত্রীর সঙ্গে। তাঁরা অনেকটা অভিন্ন সুরেই জানালেন, ভাড়ার নীতিমালাটি বাস্তবে প্রয়োগ না হওয়ায় রিকশাচালকদের কাছে যাত্রীরা জিম্মি হয়ে পড়েছেন। সামান্য দূরত্বের নির্দিষ্ট স্থানে গিয়ে বকশিশের নামে চালকেরা দাবি করেন অতিরিক্ত টাকা। সিটি করপোরেশনের লাইসেন্স শাখার দুজন কর্মকর্তা, চারজন ওয়ার্ড কাউন্সিলর জানান, গত সেপ্টেম্বরের শেষ সপ্তাহে নগরে রিকশাভাড়ার একটি তালিকা প্রণয়ন করা হয়। এ তালিকায় প্রতি কিলোমিটার ১০ টাকা এবং ঘণ্টাপ্রতি ৫০ টাকা হারে ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছিল। নগরের কোর্ট পয়েন্ট এলাকাকে মধ্যবর্তী স্থান ধরে পাড়া-মহল্লার দূরত্ব অনুযায়ী এসব ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে। তালিকায় সর্বনিম্ন ১০ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ৪০ টাকা ভাড়া ধরা হয়েছে।
গত ৩০ সেপ্টেম্বর সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এনামুল হাবীব প্রথম আলোকে বলেছিলেন, ১৫ অক্টোবরের মধ্যে রিকশাভাড়ার তালিকা-সংবলিত সাইনবোর্ড সাঁটানোর কাজ শেষ হবে এবং ১৬ অক্টোবর থেকে ওই নির্ধারিত ভাড়া অনুযায়ী চালকদের যাত্রী পরিবহন করতে হবে। গতকাল প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি বলেন, ‘নগরের ৫১টি গুরুত্বপূর্ণ স্থানে রিকশাভাড়ার তালিকা-সংবলিত সাইনবোর্ড সাঁটানোর কাজ কিছুদিনের মধ্যে শেষ হয়ে যাবে। সাইনবোর্ড সাঁটানো হলেই মূলত নগরবাসী সেটি ভালোভাবে জানতে পারবেন।’
‘চৌহাট্টা কত নেবেন?’ জিজ্ঞেস করতেই চালক বললেন, ‘২০ টেকা।’ যাত্রী ক্ষুব্ধ হয়ে বললেন, ‘ভাড়া তো ১০ টাকা, ২০ টাকা চাচ্ছেন কেন?’ যাত্রীর প্রশ্নের জবাবে চালকও হেঁড়ে গলায় বলেন, ‘গেলে যাইবেন, না গেলে, না। তর্কাতর্কি কইরা কুনু লাভ নাই।’ এ কথা বলেই চালক রিকশায় প্যাডেল মেরে চলে গেলেন।
সিটি করপোরেশন রিকশাভাড়ার নীতিমালা প্রণয়নের পরও এমন ঘটনা অহরহ ঘটছে বলে দরগাগেট এলাকার বাসিন্দা হাবিবুর রহমান নামের ওই যাত্রী অভিযোগ করেন। তিনি বলেন, প্রতিদিন রিকশাচালকদের সঙ্গে ভাড়া নিয়া ঝগড়া-বিবাদ লাগে। গত সেপ্টেম্বরের শেষদিকে সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষ ভাড়ার তালিকাও নির্ধারণ করে দিয়েছে। বাস্তবে ওই তালিকার কোনো প্রয়োগ না হওয়ায় চালক-যাত্রীদের মধ্যে নিয়মিত বচসা লেগেই আছে।
গতকাল বেলা ১১টা থেকে ১টা পর্যন্ত নগরের ১৩টি এলাকায় সরেজমিনে চালক-যাত্রীর মধ্যে পাঁচটি বচসার ঘটনা দেখা গেছে। এ সময় কথা হয় তিন যাত্রীর সঙ্গে। তাঁরা অনেকটা অভিন্ন সুরেই জানালেন, ভাড়ার নীতিমালাটি বাস্তবে প্রয়োগ না হওয়ায় রিকশাচালকদের কাছে যাত্রীরা জিম্মি হয়ে পড়েছেন। সামান্য দূরত্বের নির্দিষ্ট স্থানে গিয়ে বকশিশের নামে চালকেরা দাবি করেন অতিরিক্ত টাকা। সিটি করপোরেশনের লাইসেন্স শাখার দুজন কর্মকর্তা, চারজন ওয়ার্ড কাউন্সিলর জানান, গত সেপ্টেম্বরের শেষ সপ্তাহে নগরে রিকশাভাড়ার একটি তালিকা প্রণয়ন করা হয়। এ তালিকায় প্রতি কিলোমিটার ১০ টাকা এবং ঘণ্টাপ্রতি ৫০ টাকা হারে ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছিল। নগরের কোর্ট পয়েন্ট এলাকাকে মধ্যবর্তী স্থান ধরে পাড়া-মহল্লার দূরত্ব অনুযায়ী এসব ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে। তালিকায় সর্বনিম্ন ১০ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ৪০ টাকা ভাড়া ধরা হয়েছে।
গত ৩০ সেপ্টেম্বর সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এনামুল হাবীব প্রথম আলোকে বলেছিলেন, ১৫ অক্টোবরের মধ্যে রিকশাভাড়ার তালিকা-সংবলিত সাইনবোর্ড সাঁটানোর কাজ শেষ হবে এবং ১৬ অক্টোবর থেকে ওই নির্ধারিত ভাড়া অনুযায়ী চালকদের যাত্রী পরিবহন করতে হবে। গতকাল প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি বলেন, ‘নগরের ৫১টি গুরুত্বপূর্ণ স্থানে রিকশাভাড়ার তালিকা-সংবলিত সাইনবোর্ড সাঁটানোর কাজ কিছুদিনের মধ্যে শেষ হয়ে যাবে। সাইনবোর্ড সাঁটানো হলেই মূলত নগরবাসী সেটি ভালোভাবে জানতে পারবেন।’
No comments