ইউনূস তাদের শক্তি ও স্বপ্ন
অসুস্থতার কারণে শান্তির দূত প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস আসতে পারেননি। তবে তার সামাজিক ব্যবসার ধারণা এখন যে শুধু আর স্বপ্ন নয়, সেটা প্রমাণ করতেই সারা দুনিয়া থেকে বিশিষ্টজন আর উদ্যোক্তারা হাজির হয়েছেন। যে কারণে সামাজিক ব্যবসার বার্লিন শীর্ষ সম্মেলনে তেমন একটা ছন্দপতন হয়নি। ইউনূস সেন্টারের নির্বাহী পরিচালক লামিয়া মোর্শেদ জানালেন, ইতিমধ্যে ৮০০ প্রতিনিধি রেজিস্ট্রেশন করেছেন। বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ জামিলুর রেজা চৌধুরী বলেন, সামাজিক ব্যবসা এরই মধ্যে একটি প্রাতিষ্ঠানিক রূপ পেয়েছে। ব্যক্তি এখন আর এখানে মুখ্য ভূমিকায় নেই। প্রফেসর ইউনূস অত্যন্ত সফলভাবে, কার্যকরভাবে এ ধারণা ছড়িয়ে দিয়েছেন পৃথিবীর এ প্রান্ত থেকে ওপ্রান্তে। তিনি বলেন, তরুণ সমাজের মধ্যে এ ধারণা দ্রুত জনপ্রিয়তা পাচ্ছে। তরুণরা মনে করে সামাজিক ব্যবসা তাদের ভাগ্যের পরিবর্তন ঘটাতে পারে। বড় বড় কোম্পানিগুলো যদি এখন একচেটিয়া মুনাফার দিকে না ছুটে সামাজিক ব্যবসার দিকে এগিয়ে আসে সেটাই হবে প্রফেসর ইউনূসের সবচেয়ে বড় সাফল্য। সাত বছর আগে প্রফেসর ইউনূস দারিদ্র্যতা, বেকারত্ব ও জলবায়ু পরিবর্তনের যে ৩টি লক্ষ্য নিয়ে সামাজিক ব্যবসার যাত্রা শুরু করেছিলেন এখন আমরা যদি মূল্যায়ন করি তাহলে সহজে বলতে পারবো এই ধারণা কতটা সফল হয়েছে। জামিলুর রেজা চৌধুরী বলেন, শুরুর দিকে অনেক অর্থনীতিবিদ সামাজিক ব্যবসার এই ধারণার সঙ্গে একমত ছিলেন না। কেউ কেউ সমালোচনাও করতেন। কিন্তু এখন অনেক অর্থনীতিবিদই এ ধারণার সঙ্গে একমত পোষণ করছেন। বলছেন, প্রফেসর ইউনূস এই ধারণার জন্ম দিয়ে তরুণদের মধ্যে নতুন স্বপ্নের সৃষ্টি করেছেন। আর লামিয়া মোর্শেদ বলেন, স্যারের অসুস্থতাও অন্যদের দমাতে পারেনি। বরং অনেকেই এসেছেন এটা দেখাতে সামাজিক ব্যবসার রূপকার তাদের শক্তি ও সাহস। লামিয়া বলেন, বিশ্বের ২৩টি বিশ্ববিদ্যালয়ে সামাজিক ব্যবসা ইন্সটিটিউট প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এসব বিশ্ববিদ্যালয়ে অসংখ্য শিক্ষার্থী সামাজিক ব্যবসা অধ্যায়ন করছেন। সামাজিক ব্যবসা এখন আর বক্তব্যের মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই, এটা এখন এক নতুন স্বপ্ন।
No comments