দোষারোপের সংস্কৃতি নয়- সত্য উদ্ঘাটনে সহায়তা করুন
যেকোনো
অঘটন ঘটলে রাজনৈতিক পক্ষগুলোর মধ্যে দোষারোপের যে অসুস্থ প্রতিযোগিতা
চলে আসছে, অতিসম্প্রতি সন্ত্রাসীদের হাতে জাগৃতির প্রকাশক ফয়সল আরেফিন নিহত
এবং তিনজন প্রকাশক-লেখক গুরুতর আহত হওয়ার ঘটনায় তারই পুনরাবৃত্তি লক্ষ করা
গেল। এর আগে দুই বিদেশি নাগরিক হত্যার ঘটনায় তদন্তকাজ শেষ না হলেও আমরা
উৎকট রাজনৈতিক বাহাস চলতে দেখেছি।
যেহেতু জনগণের জানমালের নিরাপত্তা দেওয়ার দায়িত্ব সরকারের, সেহেতু এ রকম সন্ত্রাসী ঘটনায় বিরোধী দল বা নাগরিক সমাজের পক্ষ থেকে উদ্বেগ প্রকাশ অস্বাভাবিক নয়। সরকারের প্রথম ও প্রধান দায়িত্ব হবে সেই উদ্বেগ নিরসনে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া এবং প্রয়োজনে সরকারের পক্ষ থেকে দায়িত্বপ্রাপ্ত কেউ সেটি জনগণের কাছে তুলেও ধরতে পারেন।
কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে সরকার কিংবা ক্ষমতাসীন দলটি সেই দায়িত্ব প্রতিপালনে ব্যর্থ হয়েছে। কোনো অঘটন ঘটলেই মন্ত্রী ও ক্ষমতাসীন দলের নেতারা সমস্বরে কোনো তথ্য–প্রমাণ ছাড়াই রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে বিষোদ্গার করতে থাকেন। এ ক্ষেত্রে এক মন্ত্রীর সঙ্গে আরেক মন্ত্রীর কিংবা এক নেতার সঙ্গে আরেক নেতার বক্তব্যেরও মিল থাকে না। কোনো মন্ত্রী উদ্ভূত পরিস্থিতিতে অসহায়ত্ব প্রকাশ করলে আরেক মন্ত্রী সবকিছু ভালোভাবে চলছে বলে জানিয়ে দেন। এ অবস্থায় জনগণ কার কথায় আস্থা রাখবে?
জনপ্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থাগুলো যেহেতু সরকারি নির্দেশে কাজ করে, সেহেতু দায়িত্বশীল ব্যক্তিরা আগাম কোনো ইঙ্গিত করলে সংশ্লিষ্টদের পক্ষে তার বাইরে যাওয়া কঠিন হয়ে পড়ে। সরকারের দায়িত্ব ঘটনার সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও বিশ্বাসযোগ্য তদন্ত করে প্রকৃত অপরাধীদের চিহ্নিত ও গ্রেপ্তার করা। এরপর দ্রুততম সময়ে অপরাধীদের বিচারের মুখোমুখি করা। মামলার তদন্ত কিংবা বিচার–প্রক্রিয়ার কোনো পর্যায়ে দায়িত্বশীল মহলের দায়িত্বহীন উক্তি ন্যায়বিচারের পথই রুদ্ধ করে না, জনগণের উদ্বেগ ও নিরাপত্তাহীনতাও বাড়িয়ে দেয়।
অতএব, মাননীয় মন্ত্রী ও রাজনৈতিক নেতাদের কাছে আমাদের আহ্বান থাকবে, তদন্তের আগে আগাম মন্তব্য তথা দোষারোপের সংস্কৃতি থেকে বিরত থাকুন। সত্য উদ্ঘাটনে সহায়তা করুন।
যেহেতু জনগণের জানমালের নিরাপত্তা দেওয়ার দায়িত্ব সরকারের, সেহেতু এ রকম সন্ত্রাসী ঘটনায় বিরোধী দল বা নাগরিক সমাজের পক্ষ থেকে উদ্বেগ প্রকাশ অস্বাভাবিক নয়। সরকারের প্রথম ও প্রধান দায়িত্ব হবে সেই উদ্বেগ নিরসনে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া এবং প্রয়োজনে সরকারের পক্ষ থেকে দায়িত্বপ্রাপ্ত কেউ সেটি জনগণের কাছে তুলেও ধরতে পারেন।
কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে সরকার কিংবা ক্ষমতাসীন দলটি সেই দায়িত্ব প্রতিপালনে ব্যর্থ হয়েছে। কোনো অঘটন ঘটলেই মন্ত্রী ও ক্ষমতাসীন দলের নেতারা সমস্বরে কোনো তথ্য–প্রমাণ ছাড়াই রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে বিষোদ্গার করতে থাকেন। এ ক্ষেত্রে এক মন্ত্রীর সঙ্গে আরেক মন্ত্রীর কিংবা এক নেতার সঙ্গে আরেক নেতার বক্তব্যেরও মিল থাকে না। কোনো মন্ত্রী উদ্ভূত পরিস্থিতিতে অসহায়ত্ব প্রকাশ করলে আরেক মন্ত্রী সবকিছু ভালোভাবে চলছে বলে জানিয়ে দেন। এ অবস্থায় জনগণ কার কথায় আস্থা রাখবে?
জনপ্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থাগুলো যেহেতু সরকারি নির্দেশে কাজ করে, সেহেতু দায়িত্বশীল ব্যক্তিরা আগাম কোনো ইঙ্গিত করলে সংশ্লিষ্টদের পক্ষে তার বাইরে যাওয়া কঠিন হয়ে পড়ে। সরকারের দায়িত্ব ঘটনার সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও বিশ্বাসযোগ্য তদন্ত করে প্রকৃত অপরাধীদের চিহ্নিত ও গ্রেপ্তার করা। এরপর দ্রুততম সময়ে অপরাধীদের বিচারের মুখোমুখি করা। মামলার তদন্ত কিংবা বিচার–প্রক্রিয়ার কোনো পর্যায়ে দায়িত্বশীল মহলের দায়িত্বহীন উক্তি ন্যায়বিচারের পথই রুদ্ধ করে না, জনগণের উদ্বেগ ও নিরাপত্তাহীনতাও বাড়িয়ে দেয়।
অতএব, মাননীয় মন্ত্রী ও রাজনৈতিক নেতাদের কাছে আমাদের আহ্বান থাকবে, তদন্তের আগে আগাম মন্তব্য তথা দোষারোপের সংস্কৃতি থেকে বিরত থাকুন। সত্য উদ্ঘাটনে সহায়তা করুন।
No comments