সতর্কতার শৈথিল্য আছে
মুহাম্মাদ নুরুল হুদা |
মাত্র ১৩ দিনের ব্যবধানে দুর্বৃত্তরা ছুরিকাঘাত করে ও কুপিয়ে হত্যা করেছে দায়িত্বরত দুই পুলিশ সদস্যকে। গতকাল এ বিষয়ে পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক নূরুল হুদার সঙ্গে কথা বলেন শেখ সাবিহা আলম
প্রথম আলো: দুই সপ্তাহেরও কম সময়ের ব্যবধানে নিরাপত্তাচৌকিতে হামলা হলো...
নূরুল হুদা: মনে হচ্ছে নিরাপত্তাচৌকিতে পুলিশের যতটুকু সতর্কতা নেওয়া প্রয়োজন ছিল, ততটুকু নেওয়া হয়নি। নিয়ম অনুযায়ী একজন যখন তল্লাশি করবেন, অন্যজন তখন সতর্কভাবে পাহারা দেবেন। যাঁরা নিরাপত্তাচৌকিতে দায়িত্ব পালন করেন, তাঁরা তো এ বিষয়গুলো জানেন। তল্লাশির বিষয়টি খুবই সূক্ষ্ম একটা বিষয়। মানুষ হয়রানির অভিযোগ তোলে, বলে যে তার চলাচলের স্বাধীনতা ক্ষুণ্ন হচ্ছে। মনে হচ্ছে, ঠিক যে মাত্রায় সতর্কতা নেওয়া দরকার, সে মাত্রায় নেওয়া হয়নি।
প্রথম আলো: পরপর পুলিশের ওপর হামলা সামগ্রিকভাবে বাহিনীর মনোবলের ওপর কোনো প্রভাব কি ফেলছে?
নূরুল হুদা: সেটা মনে করছি না। পুলিশের চাকরিটাই ঝুঁকির। কেউ একজন অতর্কিতে এসে কোনো একজন পুলিশকে হত্যা করলে পুরো বাহিনীর মনোবল ভেঙে যাবে, বিষয়টা তা নয়। অন্য পেশার ক্ষেত্রে হয়তো এমনটা হতে পারে। তবে যেটা মনে হচ্ছে, এ পরিস্থিতিতে যথেষ্ট সতর্কতা নেওয়ার ক্ষেত্রে কিছুটা শৈথিল্য আছে। যারা হামলা করছে, তারা তো মনে হচ্ছে মরিয়া।
প্রথম আলো: শুধু লেখালেখির জন্য এ পর্যন্ত বেশ কয়েকজনকে হত্যা করা হলো, পরপর দুজন বিদেশি খুন হলেন, জাগৃতির কর্ণধারকে খুন করা হলো, হামলার শিকার হলেন বেশ কয়েকজন। পুলিশ কোনো ঘটনারই সুরাহা করতে পারছে না। আপনি কি মনে করেন, পুলিশের দক্ষতার অভাব রয়েছে?
নূরুল হুদা: একেবারেই অগ্রগতি নেই তা কিন্তু বলা যাবে না। রাজীবের হত্যাকারীদের কিন্তু পুলিশ ধরে ফেলেছে। এটা অবশ্য সত্য যে যত দ্রুত হত্যাকারীদের ধরে আইনের হাতে সোপর্দ করা দরকার ছিল, সেটা হয়নি। আসলে কোনো কোনো নীতির ক্ষেত্রে রাজনৈতিক দলগুলোর দৃষ্টিভঙ্গি সব সময়ের জন্য এক হওয়া দরকার। একটি নীতি স্থির করে সে অনুযায়ী কৌশল ঠিক করতে হবে। দেখা যাচ্ছে, কোনো সরকারের সময় এ ধরনের অপরাধের বিষয়ে যতটা গুরুত্ব দেওয়া দরকার ছিল, ততটা গুরুত্ব দেওয়া হয়নি। সরকার বদলের সঙ্গে সঙ্গে দৃষ্টিভঙ্গি বদলে গেলে চলবে না।
প্রথম আলো: তার মানে, আপনি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কোনো গাফিলতি দেখছেন না?
নূরুল হুদা: এ ধরনের হামলা সম্পর্কে গোয়েন্দা তথ্যের অপর্যাপ্ততা আছে। সুনির্দিষ্টভাবে যে দক্ষতা থাকা দরকার, সেদিকে আরও মনোযোগী হতে হবে। ওরা তো আর সাজ সাজ রব নিয়ে হামলাটা করছে না। সে কারণে প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থাটা যথেষ্ট শক্ত হওয়া দরকার ছিল। গোয়েন্দা তথ্য সময়মতো হাতে থাকা প্রয়োজন ছিল।
প্রথম আলো: দুই সপ্তাহেরও কম সময়ের ব্যবধানে নিরাপত্তাচৌকিতে হামলা হলো...
নূরুল হুদা: মনে হচ্ছে নিরাপত্তাচৌকিতে পুলিশের যতটুকু সতর্কতা নেওয়া প্রয়োজন ছিল, ততটুকু নেওয়া হয়নি। নিয়ম অনুযায়ী একজন যখন তল্লাশি করবেন, অন্যজন তখন সতর্কভাবে পাহারা দেবেন। যাঁরা নিরাপত্তাচৌকিতে দায়িত্ব পালন করেন, তাঁরা তো এ বিষয়গুলো জানেন। তল্লাশির বিষয়টি খুবই সূক্ষ্ম একটা বিষয়। মানুষ হয়রানির অভিযোগ তোলে, বলে যে তার চলাচলের স্বাধীনতা ক্ষুণ্ন হচ্ছে। মনে হচ্ছে, ঠিক যে মাত্রায় সতর্কতা নেওয়া দরকার, সে মাত্রায় নেওয়া হয়নি।
প্রথম আলো: পরপর পুলিশের ওপর হামলা সামগ্রিকভাবে বাহিনীর মনোবলের ওপর কোনো প্রভাব কি ফেলছে?
নূরুল হুদা: সেটা মনে করছি না। পুলিশের চাকরিটাই ঝুঁকির। কেউ একজন অতর্কিতে এসে কোনো একজন পুলিশকে হত্যা করলে পুরো বাহিনীর মনোবল ভেঙে যাবে, বিষয়টা তা নয়। অন্য পেশার ক্ষেত্রে হয়তো এমনটা হতে পারে। তবে যেটা মনে হচ্ছে, এ পরিস্থিতিতে যথেষ্ট সতর্কতা নেওয়ার ক্ষেত্রে কিছুটা শৈথিল্য আছে। যারা হামলা করছে, তারা তো মনে হচ্ছে মরিয়া।
প্রথম আলো: শুধু লেখালেখির জন্য এ পর্যন্ত বেশ কয়েকজনকে হত্যা করা হলো, পরপর দুজন বিদেশি খুন হলেন, জাগৃতির কর্ণধারকে খুন করা হলো, হামলার শিকার হলেন বেশ কয়েকজন। পুলিশ কোনো ঘটনারই সুরাহা করতে পারছে না। আপনি কি মনে করেন, পুলিশের দক্ষতার অভাব রয়েছে?
নূরুল হুদা: একেবারেই অগ্রগতি নেই তা কিন্তু বলা যাবে না। রাজীবের হত্যাকারীদের কিন্তু পুলিশ ধরে ফেলেছে। এটা অবশ্য সত্য যে যত দ্রুত হত্যাকারীদের ধরে আইনের হাতে সোপর্দ করা দরকার ছিল, সেটা হয়নি। আসলে কোনো কোনো নীতির ক্ষেত্রে রাজনৈতিক দলগুলোর দৃষ্টিভঙ্গি সব সময়ের জন্য এক হওয়া দরকার। একটি নীতি স্থির করে সে অনুযায়ী কৌশল ঠিক করতে হবে। দেখা যাচ্ছে, কোনো সরকারের সময় এ ধরনের অপরাধের বিষয়ে যতটা গুরুত্ব দেওয়া দরকার ছিল, ততটা গুরুত্ব দেওয়া হয়নি। সরকার বদলের সঙ্গে সঙ্গে দৃষ্টিভঙ্গি বদলে গেলে চলবে না।
প্রথম আলো: তার মানে, আপনি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কোনো গাফিলতি দেখছেন না?
নূরুল হুদা: এ ধরনের হামলা সম্পর্কে গোয়েন্দা তথ্যের অপর্যাপ্ততা আছে। সুনির্দিষ্টভাবে যে দক্ষতা থাকা দরকার, সেদিকে আরও মনোযোগী হতে হবে। ওরা তো আর সাজ সাজ রব নিয়ে হামলাটা করছে না। সে কারণে প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থাটা যথেষ্ট শক্ত হওয়া দরকার ছিল। গোয়েন্দা তথ্য সময়মতো হাতে থাকা প্রয়োজন ছিল।
No comments