চীন–তাইওয়ান সম্পর্কঃ ঐতিহাসিক বৈঠক শনিবার
চীনের
প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং ও তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট মা ইং-জিউ আগামী শনিবার
সিঙ্গাপুরে বৈঠক করবেন। এটিই হবে তাঁদের প্রথম বৈঠক। বৈঠকটি রাজনৈতিক দিক
থেকে অত্যন্ত স্পর্শকাতর। বৈঠকে উভয় পক্ষ পারস্পরিক সম্পর্কের বিষয়ে জোর
দেবে বলে মনে করা হচ্ছে। খবর বিবিসির।
চীন তাইওয়ানের ওপর সার্বভৌমত্ব দাবি করে এবং একটি বিচ্ছিন্নতাকামী প্রদেশ হিসেবে বিবেচনা করে থাকে। চীন মনে করে, তাইওয়ান একদিন মূল ভূখণ্ডের সঙ্গে পুনরায় একত্র হবে। তাইওয়ান যদি পুরোপুরি স্বাধীন হওয়ার চেষ্টা করলে চীন সামরিক শক্তি ব্যবহার করবে বলে হুমকি দিয়ে আসছে।
তবে ২০০৮ সালে তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট মা ইং-জিউ ক্ষমতা নেওয়ার পর দেশ দুটির মধ্যে সম্পর্কের উন্নতি ঘটে। তাইওয়ান সরকারের এক মুখপাত্র বলেছেন, প্রেসিডেন্ট মা ইং-জিউয়ের লক্ষ্য হলো তাইওয়ানে শান্তি প্রতিষ্ঠা ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখা।
তাইওয়ানের নির্বাচনের তিন মাসের কম সময় আগে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে তাইওয়ানের সঙ্গে সম্পর্কের উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি ঘটায় চীন। কিন্তু তাইওয়ানের স্বাধীনতাপন্থী দলের প্রার্থী যদি প্রেসিডেন্ট হন, তবে ওই সম্পর্ক ঝুঁকির মধ্যে পড়বে।
মতামত জরিপে দেখা গেছে, তাইওয়ানের স্বাধীনতাপন্থী দলের প্রার্থী ছা ইং-ওয়েন জনপ্রিয়তার শীর্ষে রয়েছেন। এটা চীনের জন্য বড় ধরনের উদ্বেগের বিষয়। এই বৈঠক আয়োজনের মধ্য দিয়ে চীন কতটা উদ্বিগ্ন তার আভাস পাওয়া যায়।
ছা ইং-ওয়েন বলেছেন, চীনের নেতার সঙ্গে বৈঠককে তিনি স্বাগত জানান। তবে বেইজিং তাঁর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে। এতে বেইজিং যে তাঁকে বিশ্বাস করে না সেটিই প্রতীয়মান হয়। ছা ইং-ওয়েন আগের প্রশাসনে উন্নয়ননীতি-সংক্রান্ত মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত মন্ত্রী ছিলেন। ওই মন্ত্রণালয় আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাধীনতার পক্ষে পদক্ষেপ নেওয়ার চেষ্টা করায় বেইজিং ক্ষুব্ধ হয়।
জিনপিং মনে করেন, তাইওয়ানের ভোটারদের ওপর প্রভাব বিস্তারের ক্ষমতা তাঁর রয়েছে। তবে সেটা করলে উল্টো বিপদের আশঙ্কা রয়েছে। ভোটারদের কেউ কেউ চীনের সঙ্গে স্থিতিশীল সম্পর্ক রাখার পক্ষে। চীন যদি প্রভাব বিস্তার করে তবে ওই ভোটাররাও তাঁদের মত পরিবর্তন করতে পারেন।
মা ইং-জিউয়ের দপ্তর থেকে জোর দিয়ে বলা হয়েছে, বৈঠকে কোনো চুক্তিতে স্বাক্ষর করা হবে না। যৌথ কোনো বিবৃতিও প্রকাশ করা হবে না।
মা ইং-জিউ তাঁর ওই বৈঠকে অংশ নেওয়ার সিদ্ধান্তের কারণ ব্যাখ্যা করতে আজ বৃহস্পতিবার সংবাদ সম্মেলন করবেন। চীনের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা সিনহুয়ার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শান্তিপূর্ণভাবে উন্নয়নকে এগিয়ে নেওয়ার বিষয়ে দুই পক্ষ আলোচনায় অংশ নেবে।
‘ওই বৈঠকের ফল মূলত কী—তা আমাদের দেখতে হবে’ উল্লেখ করে হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র জোশ আর্নেস্ট বলেছেন, উত্তেজনা হ্রাস করতে ও সম্পর্কের উন্নয়নের জন্য যেকোনো ধরনের পদক্ষেপকে সাধুবাদ জানায় যুক্তরাষ্ট্র।
চীন তাইওয়ানের ওপর সার্বভৌমত্ব দাবি করে এবং একটি বিচ্ছিন্নতাকামী প্রদেশ হিসেবে বিবেচনা করে থাকে। চীন মনে করে, তাইওয়ান একদিন মূল ভূখণ্ডের সঙ্গে পুনরায় একত্র হবে। তাইওয়ান যদি পুরোপুরি স্বাধীন হওয়ার চেষ্টা করলে চীন সামরিক শক্তি ব্যবহার করবে বলে হুমকি দিয়ে আসছে।
তবে ২০০৮ সালে তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট মা ইং-জিউ ক্ষমতা নেওয়ার পর দেশ দুটির মধ্যে সম্পর্কের উন্নতি ঘটে। তাইওয়ান সরকারের এক মুখপাত্র বলেছেন, প্রেসিডেন্ট মা ইং-জিউয়ের লক্ষ্য হলো তাইওয়ানে শান্তি প্রতিষ্ঠা ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখা।
তাইওয়ানের নির্বাচনের তিন মাসের কম সময় আগে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে তাইওয়ানের সঙ্গে সম্পর্কের উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি ঘটায় চীন। কিন্তু তাইওয়ানের স্বাধীনতাপন্থী দলের প্রার্থী যদি প্রেসিডেন্ট হন, তবে ওই সম্পর্ক ঝুঁকির মধ্যে পড়বে।
মতামত জরিপে দেখা গেছে, তাইওয়ানের স্বাধীনতাপন্থী দলের প্রার্থী ছা ইং-ওয়েন জনপ্রিয়তার শীর্ষে রয়েছেন। এটা চীনের জন্য বড় ধরনের উদ্বেগের বিষয়। এই বৈঠক আয়োজনের মধ্য দিয়ে চীন কতটা উদ্বিগ্ন তার আভাস পাওয়া যায়।
ছা ইং-ওয়েন বলেছেন, চীনের নেতার সঙ্গে বৈঠককে তিনি স্বাগত জানান। তবে বেইজিং তাঁর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে। এতে বেইজিং যে তাঁকে বিশ্বাস করে না সেটিই প্রতীয়মান হয়। ছা ইং-ওয়েন আগের প্রশাসনে উন্নয়ননীতি-সংক্রান্ত মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত মন্ত্রী ছিলেন। ওই মন্ত্রণালয় আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাধীনতার পক্ষে পদক্ষেপ নেওয়ার চেষ্টা করায় বেইজিং ক্ষুব্ধ হয়।
জিনপিং মনে করেন, তাইওয়ানের ভোটারদের ওপর প্রভাব বিস্তারের ক্ষমতা তাঁর রয়েছে। তবে সেটা করলে উল্টো বিপদের আশঙ্কা রয়েছে। ভোটারদের কেউ কেউ চীনের সঙ্গে স্থিতিশীল সম্পর্ক রাখার পক্ষে। চীন যদি প্রভাব বিস্তার করে তবে ওই ভোটাররাও তাঁদের মত পরিবর্তন করতে পারেন।
মা ইং-জিউয়ের দপ্তর থেকে জোর দিয়ে বলা হয়েছে, বৈঠকে কোনো চুক্তিতে স্বাক্ষর করা হবে না। যৌথ কোনো বিবৃতিও প্রকাশ করা হবে না।
মা ইং-জিউ তাঁর ওই বৈঠকে অংশ নেওয়ার সিদ্ধান্তের কারণ ব্যাখ্যা করতে আজ বৃহস্পতিবার সংবাদ সম্মেলন করবেন। চীনের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা সিনহুয়ার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শান্তিপূর্ণভাবে উন্নয়নকে এগিয়ে নেওয়ার বিষয়ে দুই পক্ষ আলোচনায় অংশ নেবে।
‘ওই বৈঠকের ফল মূলত কী—তা আমাদের দেখতে হবে’ উল্লেখ করে হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র জোশ আর্নেস্ট বলেছেন, উত্তেজনা হ্রাস করতে ও সম্পর্কের উন্নয়নের জন্য যেকোনো ধরনের পদক্ষেপকে সাধুবাদ জানায় যুক্তরাষ্ট্র।
No comments