কে হচ্ছেন জামায়াতের আমীর? by আহমেদ জামাল
শীর্ষ
নেতৃত্বের পুনর্গঠন নিয়ে বেশ দুশ্চিন্তায় পড়েছে জামায়াত। তরুণ প্রজন্মের
কাছে গ্রহণযোগ্য আমীর, সেক্রেটারি জেনারেলের মতো গুরুত্বপূর্ণ নেতৃত্ব
নির্বাচন নিয়ে দলটির যত চিন্তা। মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলায় দলটির আমীর
মাওলানা মতিউর রহমান নিজামী, নায়েবে আমীর মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী,
সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদসহ প্রথম সারির প্রায় সকল
শীর্ষ নেতা দণ্ডপ্রাপ্ত। তাদের আর নেতৃত্বে ফেরার সম্ভাবনা একেবারেই ক্ষীণ।
অপরদিকে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে ইতিমধ্যে মৃত্যুদণ্ড ভোগ করেছেন দুই
সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মুহাম্মদ কামারুজ্জামান ও আবদুল কাদের মোল্লা।
২০১৪ সালের ৯ই ফেব্রুয়ারি কারাগারে মারা গেছেন সিনিয়র নায়েবে আমীর মাওলানা
একেএম ইউসুফ। বার্ধক্যজনিত কারণে মারা যান আরেক নায়েবে আমীর অধ্যাপক নাজির
আহমদ। গত মাসে একটি বিস্ফোরক মামলায় গ্রেপ্তার হন শেষ নায়েবে আমীর অধ্যাপক
মুজিবুর রহমান। এ পর্যায়ে চলমান প্রতিকূল অবস্থার মধ্যে দুই শীর্ষ নেতৃত্ব
নির্বাচন দলটিকে বাড়তি চাপে ফেলেছে। দলের দায়িত্বশীল সূত্রে এই তথ্য
নিশ্চিত করা হয়েছে। তবে কৌশলগত কারণে উদ্ধৃত হতে চাননি কেউ।
সূত্র মতে, ২০১০ সালে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে জামায়াতের আমীর, নায়েবে আমীর, সেক্রেটারি জেনারেলসহ শীর্ষ নেতাদের মানবতাবিরোধী মামলার বিচার কাজ শুরু হয়। তখন থেকে ভারপ্রাপ্ত আমীরের দায়িত্ব পালন করছেন নায়েবে আমীর মকবুল আহমাদ। ওই সময় ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল হন এটিএম আজহারুল ইসলাম। তবে ২০১১ সালের ১৯শে সেপ্টেম্বর এটিএম আজহারুল ইসলাম গ্রেপ্তার হলে দায়িত্ব নেন ডা. শফিকুর রহমান। ২০১২ সালে শফিকুর রহমান গ্রেপ্তার হলে ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল হন ঢাকা মহানগর আমীর মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান। তবে শফিকুর রহমান জামিনে মুক্তি পেলে মাওলানা রফিক স্বপদে ফিরে যান। দীর্ঘ প্রায় পাঁচ বছর নানা চড়াই উৎরাইয়ে ভারপ্রাপ্ত আমীর, ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল জামায়াতের হাল ধরে আছেন। আত্মগোপনে থেকে বক্তৃতা বিবৃতিসহ নানা মাধ্যমে দল পরিচালনা করছেন। কিন্তু সম্প্রতি ভারপ্রাপ্ত আমীর মকবুল আহমাদের নামে মানবতাবিরোধী অপরাধের তদন্ত শুরু হওয়ার খবরে নতুন করে ভাবনায় পড়েন দায়িত্বশীলরা। জামায়াতের কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের একাধিক সদস্য বলেন, দলের এই সংকটময় মুহূর্তে মকবুল আহমাদ কোন কারণে গ্রেপ্তার হলে ভারপ্রাপ্ত আমীর নির্বাচন নিয়ে সমস্যা দেখা দিতে পারে। দুই নায়েবে আমীর অধ্যাপক নাজির আহমদ ও একেএম ইউসুফ ইতিপূর্বে মারা গেছেন। অধ্যাপক মুজিবুর রহমান আছেন কারাগারে। তাই জামায়াতের এই পদে আপাতত সিনিয়র কোন নেতাকে পাওয়া কঠিন হয়ে পড়েছে। তবু সঙ্কটকালীন পরিস্থিতি মোকাবিলায় তিন জনের নাম বিবেচনা করা হচ্ছে বলে দলের দায়িত্বশীল সূত্র জানায়। এরা হলেন- ডা. শফিকুর রহমান, মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান ও ডা. সৈয়দ আবদুল্লাহ মো. তাহের। সূত্র মতে, গত দুই বছর আন্দোলন-সংগ্রামে ‘রক্ষণাত্মক’ কৌশল অবলম্বন করায় জামায়াতের একটি অংশ বিশেষ করে তরুণরা শফিকুর রহমানের ওপর তেমন সন্তুষ্ট নয়। আবার খানিকটা ‘আক্রমণাত্মক’ হওয়ায় দলের সিনিয়র নেতাকর্মীরা মাওলানা রফিকের ব্যাপারে উৎসাহী নয়। অন্যদিকে আবদুল্লাহ তাহেরের ওপরও দলের অনেকে আস্থাশীল হতে পারছেন না। এ নিয়ে জামায়াতের নেপথ্য সহযোগী, শুভাকাঙ্ক্ষীরাও চিন্তিত।
সূত্র জানায়, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতার কারণে আত্মগোপনে থাকা জামায়াতের ভারপ্রাপ্ত নীতিনির্ধারকরা অনেক দিন একত্রে বসতে পারছেন না। স্কাইপিসহ তথ্যপ্রযুক্তি নির্ভর যোগাযোগের মাধ্যমে সংক্ষিপ্ত মতবিনিময় করছেন বটে। তবে তাতে দল পুনর্গঠন করার মতো গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিতে পারছে না তারা। ফলে আমীর, সেক্রেটারি জেনারেলের মতো শীর্ষ পদের পূর্ণতা নিয়ে নানা জল্পনা এবং কৌতূহল বাড়ছে। আছে উদ্বেগ উত্তেজনাও।
সূত্র মতে, ২০১০ সালে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে জামায়াতের আমীর, নায়েবে আমীর, সেক্রেটারি জেনারেলসহ শীর্ষ নেতাদের মানবতাবিরোধী মামলার বিচার কাজ শুরু হয়। তখন থেকে ভারপ্রাপ্ত আমীরের দায়িত্ব পালন করছেন নায়েবে আমীর মকবুল আহমাদ। ওই সময় ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল হন এটিএম আজহারুল ইসলাম। তবে ২০১১ সালের ১৯শে সেপ্টেম্বর এটিএম আজহারুল ইসলাম গ্রেপ্তার হলে দায়িত্ব নেন ডা. শফিকুর রহমান। ২০১২ সালে শফিকুর রহমান গ্রেপ্তার হলে ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল হন ঢাকা মহানগর আমীর মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান। তবে শফিকুর রহমান জামিনে মুক্তি পেলে মাওলানা রফিক স্বপদে ফিরে যান। দীর্ঘ প্রায় পাঁচ বছর নানা চড়াই উৎরাইয়ে ভারপ্রাপ্ত আমীর, ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল জামায়াতের হাল ধরে আছেন। আত্মগোপনে থেকে বক্তৃতা বিবৃতিসহ নানা মাধ্যমে দল পরিচালনা করছেন। কিন্তু সম্প্রতি ভারপ্রাপ্ত আমীর মকবুল আহমাদের নামে মানবতাবিরোধী অপরাধের তদন্ত শুরু হওয়ার খবরে নতুন করে ভাবনায় পড়েন দায়িত্বশীলরা। জামায়াতের কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের একাধিক সদস্য বলেন, দলের এই সংকটময় মুহূর্তে মকবুল আহমাদ কোন কারণে গ্রেপ্তার হলে ভারপ্রাপ্ত আমীর নির্বাচন নিয়ে সমস্যা দেখা দিতে পারে। দুই নায়েবে আমীর অধ্যাপক নাজির আহমদ ও একেএম ইউসুফ ইতিপূর্বে মারা গেছেন। অধ্যাপক মুজিবুর রহমান আছেন কারাগারে। তাই জামায়াতের এই পদে আপাতত সিনিয়র কোন নেতাকে পাওয়া কঠিন হয়ে পড়েছে। তবু সঙ্কটকালীন পরিস্থিতি মোকাবিলায় তিন জনের নাম বিবেচনা করা হচ্ছে বলে দলের দায়িত্বশীল সূত্র জানায়। এরা হলেন- ডা. শফিকুর রহমান, মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান ও ডা. সৈয়দ আবদুল্লাহ মো. তাহের। সূত্র মতে, গত দুই বছর আন্দোলন-সংগ্রামে ‘রক্ষণাত্মক’ কৌশল অবলম্বন করায় জামায়াতের একটি অংশ বিশেষ করে তরুণরা শফিকুর রহমানের ওপর তেমন সন্তুষ্ট নয়। আবার খানিকটা ‘আক্রমণাত্মক’ হওয়ায় দলের সিনিয়র নেতাকর্মীরা মাওলানা রফিকের ব্যাপারে উৎসাহী নয়। অন্যদিকে আবদুল্লাহ তাহেরের ওপরও দলের অনেকে আস্থাশীল হতে পারছেন না। এ নিয়ে জামায়াতের নেপথ্য সহযোগী, শুভাকাঙ্ক্ষীরাও চিন্তিত।
সূত্র জানায়, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতার কারণে আত্মগোপনে থাকা জামায়াতের ভারপ্রাপ্ত নীতিনির্ধারকরা অনেক দিন একত্রে বসতে পারছেন না। স্কাইপিসহ তথ্যপ্রযুক্তি নির্ভর যোগাযোগের মাধ্যমে সংক্ষিপ্ত মতবিনিময় করছেন বটে। তবে তাতে দল পুনর্গঠন করার মতো গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিতে পারছে না তারা। ফলে আমীর, সেক্রেটারি জেনারেলের মতো শীর্ষ পদের পূর্ণতা নিয়ে নানা জল্পনা এবং কৌতূহল বাড়ছে। আছে উদ্বেগ উত্তেজনাও।
No comments