সময় এখন আমব্রিনের
সময় মেনে চলা মেয়েটির নিত্যদিনকার অভ্যাস। দেখা হওয়ার কথা ছিল বেলা ১১টায়। ঠিক সময়ের আগেই যথাস্থানে হাজির। সময়ের প্রতি আনুগত্য প্রকাশের ভাবটা এখনকার শিল্পীদের মধ্যে সাধারনত দেখা যায় না। আমব্রিন তার ব্যতিক্রম। সময়ের কাজ সময়ে করতেই ভালোবাসেন। তার সঙ্গে কথা হচ্ছিল এসএ হক অলিক পরিচালিত ‘আয়না ঘর’ ধারাবাহিক নাটকের শুটিং স্পটে বসে। সেদিনের আড্ডাটাও জমেছিল বেশ। কথার ফাঁকে ফটোসেশন। তাড়া ছিল শুটিংয়ের। পরিচালকও চেয়ে আছেন সময়ের পানে। এরমধ্যেই চলছে ক্যামেরার ক্লিক আর আড্ডা। ২০০৭ সালে লাক্স চ্যানেলে আই প্রতিযোগিতায় শীর্ষ দশে ঠাঁই হয়েছিল আমব্রিন। সেটাকে পুঁজি করেই সামনে এগিয়ে চলা। পথ চলেছেন নিজের আঁকা ছকে। ক্যারিয়ারের শুরুতেই কাজ করার সুযোগ পেয়ে যান আফজাল হোসেনের পরিচালনায় ‘চলো বিয়ে করি’ নাটকে। প্রথম নাটকেই অভিনয়ে নিজেকে প্রমান করার চেষ্টা ছিল তার। এরপর থেকে এখন পর্যন্ত বহু নাটকে অভিনয় করেছেন আমব্রিন। ধারাবাহিক নাটকেও তার প্রথম পথচলা আফজাল হোসেনের নির্দেশনায় বিটিভিতে প্রচারিত ‘ফুল মিয়া’ নাটকের মাধ্যমেস। বিজ্ঞাপনে আমব্রিনের প্রথম দেখা মিলে তানভীর হাসানের নির্দেশনায় বাংলা লিংকের কল ব্লকের কমার্শিয়ালে। এখন পর্যন্ত এক ডজনেরও অধিক বিজ্ঞাপনে মডেল হিসেবে কাজ করেছেন তিনি। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে বনফুল, বসুন্ধরা, বেঙ্গল ও বাংলালিংকের বিজ্ঞাপন।
সর্বশেষ আমব্রিন নাদিমের নির্দেশনায় একটি ফ্রিজের বিজ্ঞাপনে মডেল হিসেবে কাজ করেছেন। তবে যেখানে আমব্রিনের শৈল্পিক উপস্থিতি এ সময়ে সবচেয়ে বেশি দেখা যায় তা হচ্ছে উপস্থাপনা। এ মাধ্যমে তার উপস্থিতি দর্শককে মুগ্ধ করছে নিয়মিত। প্রথম উপস্থাপনা করেন এনটিভি’র ‘মিউজিক-ই ফোনি’ অনুষ্ঠানে। এতে টানা দু’বছর উপস্থাপনা করে বেশ দর্শকপ্রিয়তা পান তিনি। বর্তমানে উপস্থাপনা নিয়েই বেশি ব্যস্ত আমব্রিন। এনটিভি’র ‘উদ্দীপন’, দেশ টিভিতে ‘সিনেমা এক্সপ্রেস’, আরটিভিতে ‘মিউজিক স্টেশন’ ও এশিয়ান টিভিতে ‘এশিয়ান কিচেন’ অনুষ্ঠানের নিয়মিত উপস্থাপনা করছেন। তার সবচেয়ে বেশি কৃতজ্ঞতা হুমায়ুন আহমেদের প্রতি। প্রয়াত এ কথাসাহিত্যিকের পরিচালনায় ‘নিশিকাব্য’ নাটকে কাজ করার সুযোগ পেয়েছিলেন তিনি। এ প্রসঙ্গে আমব্রিন বলেন, ‘স্যারের সঙ্গে কাজ করতে পারাটা আসলেই সৌভাগ্যের। যারা কাজ করেছেন তারা নিশ্চয়ই বিষয়টি অনুভব করেন। অসাধারন সব গল্পের রূপকার তিনি। ক্যারিয়ারে এ কাজটিই আমাকে অভিনয়ে সবচেয়ে বেশি পরিচিতি এনে দিয়েছে। কারণ স্যারের নাটকের প্রতি আলাদা নজর থাকে দর্শকের।’ অন্যসব নির্মাতার প্রতিও তার কৃতজ্ঞতার শেষ নেই। আমব্রিন বলেন, ‘আমার সৌভাগ্য যে এদেশের প্রতিথযশা অনেক নির্মাতার নির্দেশনায় কাজ করতে পেরেছি। সবার প্রতিই কৃতজ্ঞআমি। মডেলিং, অভিনয়, উপস্থাপনা তিনটিতেই কাজ করতে আমার ভীষণ ভালো লাগে।’ ইন্টেরিয়র আর্কিটেক্চার বিষয়ে পড়াশোনা করলেও মিডিয়াতে কাজ করাকেই জীবনের ব্রত হিসেবে নিয়েছেন তিনি। এ প্রসঙ্গে আমব্রিন বলেন, ‘মিডিয়া আমার অনেক ভালো লাগার। আজীবন এখানেই থাকতে চাই।’
No comments