আদালত চত্বরে সংঘর্ষ, গুলি এমপি লিটন কারাগারে
শিশু
সৌরভকে গুলির ঘটনায় আওয়ামী লীগের এমপি মনজুরুল ইসলাম লিটনের জামিন আবেদন
নাকচ করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। গতকাল ভোর সাড়ে
৬টায় ঢাকা থেকে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের একটি টিম গাইবান্ধা ডিবি পুলিশ
কার্যালয়ে এমপি লিটনকে নিয়ে আসে। বেলা পৌনে ১১টায় গাইবান্ধার অতিরিক্ত
বিচারিক হাকিম মো. ময়নুল হাসান (রনি)’র আদালতে এ সংক্রান্ত শুনানি হয়।
আসামি পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট সিরাজুল ইসলাম বাবুসহ তিন জন সিনিয়র
আইনজীবী।
এর আগে সকাল ৭টা থেকে বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার সংবাদকর্মী ও কৌতূহলী উৎসুক জনতা গাইবান্ধা আদালত চত্বরে ভিড় করতে থাকে। আদালতে এমপি লিটনের শুনানিকে কেন্দ্র করে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ ক েপুলিশ। তা সত্ত্বেও এমপি লিটনের সমর্থক কিছু নেতাকর্মী আকস্মিকভাবে একটি ব্যানার নিয়ে মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে কোর্ট চত্বর থেকে গাইবান্ধা-পলাশবাড়ী সড়কে মিছিল বের করে। এ সময় পুলিশ, বিজিবি, গোয়েন্দা পুলিশসহ নিরাপত্তা বাহিনীর লোকজন তা ছত্রভঙ্গ করে দেয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ লাঠিচার্জ, টিয়ার শেল নিক্ষেপ ও ১৭ রাউন্ড ফাঁকাগুলি বর্ষণ করে। গুলির শব্দে গাইবান্ধা কোর্টের অন্য নিয়মিত মামলার আসামি ও বাদীদের আত্মীয়-স্বজনসহ উৎসুক জনতা দিগ্বিদিক ছুটোছুটি শুরু করে। এতে কমপক্ষে ২৫ জন আহত হয়।
এর আগে বুধবার রাত ১০টার দিকে রাজধানীর উত্তরায় এক আত্মীয়ের বাসা থেকে এমপি লিটনকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ।
এদিকে এমপি লিটনকে আটক করে জামিন নামঞ্জুর করার ঘটনায় আহত সৌরভের পিতা সাজু মিয়া রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে মানবজমিনকে মোবাইল ফোনে জানান, এতে তিনি খুশি। সৌরভের মা বলেন, হাসপাতালে চিকিৎসা করতে গিয়ে তারা এখন চরম আর্থিক সংকটে।
গাইবান্ধার-১ (সুন্দরগঞ্জ) আসনের আওয়ামী লীগ দলীয় সংসদ সদস্য মো. মঞ্জুরুল ইসলাম লিটনের ছোঁড়া গুলিতে সৌরভ মিয়া (৯) নামে এক শিশু গুরুতর আহত হয়। আশংকাজনক অবস্থায় সৌরভকে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সে হুড়াভায়া খাঁ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণীর ছাত্র। শিশুটি তার এক নিকট আত্মীয়সহ রাস্তায় ব্যায়াম ও হাঁটাহাঁটি করছিল। সংসদ সদস্য ও উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি মঞ্জুরুল ইসলাম লিটন ভোরে তার নিজস্ব গাড়িতে করে বামনডাঙ্গা থেকে সুন্দরগঞ্জ যাচ্ছিলেন। এসময় তিনি বামনডাঙ্গা-সুন্দরগঞ্জ সড়কে ব্র্যাক মোড়ের পশ্চিম পাশে গোপালচরণ এলাকায় পৌঁছে তার চাচা সাজা মিয়াকে কোন কারণ ছাড়াই জোরপূর্বক তার গাড়িতে উঠাতে চেষ্টা করেন। কিন্তু ওই ব্যক্তি এমপির গালিগালাজ ও আচরণে ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে গাড়িতে না উঠে দৌড়ে পালায়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে সংসদ সদস্য লিটন তাকে লক্ষ্য করে রিভলবার দিয়ে এলোপাতাড়ি পরপর ৫ রাউন্ড গুলি ছোড়েন। এর মধ্যে ২টি গুলি সৌরভের দুই পায়ে লাগে এবং পাশে দাঁড়িয়ে থাকা তাজুল ইসলাম নামে অপর এক ব্যক্তির পরনের কাপড় ভেদ করে একটি গুলি বেরিয়ে যায়।
এর আগে সকাল ৭টা থেকে বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার সংবাদকর্মী ও কৌতূহলী উৎসুক জনতা গাইবান্ধা আদালত চত্বরে ভিড় করতে থাকে। আদালতে এমপি লিটনের শুনানিকে কেন্দ্র করে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ ক েপুলিশ। তা সত্ত্বেও এমপি লিটনের সমর্থক কিছু নেতাকর্মী আকস্মিকভাবে একটি ব্যানার নিয়ে মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে কোর্ট চত্বর থেকে গাইবান্ধা-পলাশবাড়ী সড়কে মিছিল বের করে। এ সময় পুলিশ, বিজিবি, গোয়েন্দা পুলিশসহ নিরাপত্তা বাহিনীর লোকজন তা ছত্রভঙ্গ করে দেয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ লাঠিচার্জ, টিয়ার শেল নিক্ষেপ ও ১৭ রাউন্ড ফাঁকাগুলি বর্ষণ করে। গুলির শব্দে গাইবান্ধা কোর্টের অন্য নিয়মিত মামলার আসামি ও বাদীদের আত্মীয়-স্বজনসহ উৎসুক জনতা দিগ্বিদিক ছুটোছুটি শুরু করে। এতে কমপক্ষে ২৫ জন আহত হয়।
এর আগে বুধবার রাত ১০টার দিকে রাজধানীর উত্তরায় এক আত্মীয়ের বাসা থেকে এমপি লিটনকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ।
এদিকে এমপি লিটনকে আটক করে জামিন নামঞ্জুর করার ঘটনায় আহত সৌরভের পিতা সাজু মিয়া রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে মানবজমিনকে মোবাইল ফোনে জানান, এতে তিনি খুশি। সৌরভের মা বলেন, হাসপাতালে চিকিৎসা করতে গিয়ে তারা এখন চরম আর্থিক সংকটে।
গাইবান্ধার-১ (সুন্দরগঞ্জ) আসনের আওয়ামী লীগ দলীয় সংসদ সদস্য মো. মঞ্জুরুল ইসলাম লিটনের ছোঁড়া গুলিতে সৌরভ মিয়া (৯) নামে এক শিশু গুরুতর আহত হয়। আশংকাজনক অবস্থায় সৌরভকে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সে হুড়াভায়া খাঁ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণীর ছাত্র। শিশুটি তার এক নিকট আত্মীয়সহ রাস্তায় ব্যায়াম ও হাঁটাহাঁটি করছিল। সংসদ সদস্য ও উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি মঞ্জুরুল ইসলাম লিটন ভোরে তার নিজস্ব গাড়িতে করে বামনডাঙ্গা থেকে সুন্দরগঞ্জ যাচ্ছিলেন। এসময় তিনি বামনডাঙ্গা-সুন্দরগঞ্জ সড়কে ব্র্যাক মোড়ের পশ্চিম পাশে গোপালচরণ এলাকায় পৌঁছে তার চাচা সাজা মিয়াকে কোন কারণ ছাড়াই জোরপূর্বক তার গাড়িতে উঠাতে চেষ্টা করেন। কিন্তু ওই ব্যক্তি এমপির গালিগালাজ ও আচরণে ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে গাড়িতে না উঠে দৌড়ে পালায়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে সংসদ সদস্য লিটন তাকে লক্ষ্য করে রিভলবার দিয়ে এলোপাতাড়ি পরপর ৫ রাউন্ড গুলি ছোড়েন। এর মধ্যে ২টি গুলি সৌরভের দুই পায়ে লাগে এবং পাশে দাঁড়িয়ে থাকা তাজুল ইসলাম নামে অপর এক ব্যক্তির পরনের কাপড় ভেদ করে একটি গুলি বেরিয়ে যায়।
No comments