সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু হয়নি সংখ্যালঘুরা সহিংসতার শিকার
২০১৪
সালের ৫ই জানুয়ারি বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু
হয়নি। অর্ধেকেরও বেশি আসনে প্রার্থী নির্বাচিত হয়েছেন বিনা
প্রতিদ্বন্দ্বিতায়। প্রধান বিরোধী দল বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি তার
১৮ দলীয় রাজনৈতিক জোট নির্বাচন বর্জন করে। নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতা ছড়িয়ে
পড়ে বাংলাদেশের ৬৪টি জেলার মধ্যে ১৬টিতে। এর বেশির ভাগ হামলা করেছে বিএনপি
ও জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি বা গ্রুপ। ভূমি দখলের সঙ্গে
জড়িত স্থানীয় পুলিশ, জাতীয় সংসদের কিছু সদস্য সহ রাজনৈতিক নেতারা। সব
সম্প্রদায় এতে আক্রান্ত হলেও হিন্দুরা বেশি আক্রান্ত হচ্ছে। তাদেরকে ভূমি
থেকে উচ্ছেদ করার জন্য এমনটা করা হয় অনেক সময়। তারা প্রজন্মের পর প্রজন্ম এ
অভিযোগ করে আসছেন। পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তিচুক্তিসহ সরকারের কিছু সাফল্য
থাকলেও ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও অন্য রাজনৈতিক দলগুলো ধর্মীয় বিভেদ সৃষ্টি
করতে পারে এমন ভাষা ব্যবহার করে। এতে ধর্মীয় ও সম্প্রদায়গত উত্তেজনা কমানোর
পরিবর্তে তাকে উস্কে দেয়। যুক্তরাষ্ট্র সরকার কর্তৃক প্রকাশিত
‘ইন্টারন্যাশনাল রিলিজিয়াস ফ্রিডম’ বা ‘আন্তর্জাতিক ধর্মীয় স্বাধীনতা’
শীর্ষক বার্ষিক প্রতিবেদনের বাংলাদেশ অধ্যায়ে এ কথা বলা হয়েছে। এতে বলা হয়,
নির্বাচনের পর সবচেয়ে ভয়াবহ হামলা হয়েছে সংখ্যালঘু অধ্যুষিত গ্রামগুলোতে।
হিন্দু সম্প্রদায়ের বিপুল পরিমাণ সম্পত্তি লুট করা হয়েছে। ভাঙচুর করা
হয়েছে। অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। শত শত হিন্দু তাদের বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়েছেন।
খ্রিস্টান ও বৌদ্ধ সম্প্রদায়ও টার্গেটে পরিণত হয়েছে। ২৩৭ পৃষ্ঠার দীর্ঘ ওই
প্রতিবেদনে বাংলাদেশ অংশে বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এসব
সহিংসতার পর ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের সমর্থন করে বিবৃতি দিয়েছেন। কিন্তু যে
রিপোর্ট বেরিয়ে এসেছে তাতে দেখা যায় সরকার আক্রান্ত এলাকায় যেসব পুলিশ ও
নিরাপত্তা রক্ষীদের পাঠিয়েছে তারা সেখানে সহিংসতা বন্ধ করতে পারে নি। এমনকি
কিছু এলাকায় তারা নিজেরাই সহিংসতায় অংশ নিয়েছে। দেশের ২০১১ সালের শুমারি
অনুযায়ী বাংলাদেশের শতকরা প্রায় ৯০ ভাগ মানুষই সুন্নি মুসলিম। মোট
জনসংখ্যার শতকরা ৯.৫ ভাগ হলো হিন্দু। বাকি শতকরা এক ভাগেরও কম রয়েছে
খ্রিস্টান, বৌদ্ধ সহ অন্য ধর্মের মানুষ। ইউনাইটেড স্টেট কমিশন
ইন্টারন্যাশনাল রিলিজিয়াস ফ্রিডম (ইউএসসিআইআরএফ) প্রকাশিত ওই রিপোর্টে বলা
হয়েছে, বাংলাদেশে ধর্মীয় স্বাধীনতা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করতে তাদের একজন
কর্মকর্তা বাংলাদেশ সফর করেন। রিপোর্টিংকালে ঢাকার রাজপথে আলাদাভাবে
নৃশংসভাবে হত্যা করা হয় দু’জন ধর্মনিরপেক্ষ ব্লগারকে। তার একজন বাংলাদেশী
বংশোদ্ভূত মার্কিনি অভিজিৎ রায়। তাকে এ বছরের ২৬শে ফেব্রুয়ারি কুপিয়ে হত্যা
করা হয়। তার স্ত্রীকে করা হয় মারাত্মক আহত। এ বছরের মার্চের শুরুতে এ
ঘটনায় সন্দেহজনকভাবে একজনকে গ্রেপ্তার করে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়।
৩০শে মার্চ ওয়াশিকুর রহমানকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় চারজনকে
গ্রেপ্তার করে তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়েছে। রিপোর্টিংকালে তিনজন
নাস্তিককে জেল থেকে মুক্তি দেয়া হয়েছে। তারা ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধের
অপরাধীদের বিচারের জন্য গঠিত যুদ্ধাপরাধ আদালত নিয়ে ব্লগ প্রকাশের পর
তাদেরকে গ্রেপ্তার করে অভিযোগ গঠন করা হয় যে, তারা ধর্মীয় অনুভূতিকে আঘাত
দিয়েছেন। বলা হয়েছে, ২০১৩ সালে জামায়াতের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কিছু ব্যক্তি
সরকারকে ৮৪ জনের একটি তালিকা দিয়েছিল। তাতে বলা হয়েছিল তাদের বিরুদ্ধে
ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেয়ার বিষয় তদন্ত করতে হবে।
ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০১১ সালে ভেস্টেট প্রপার্টি রিটার্ন অ্যাক্ট করা হয় যাতে ১৯৭১ সালে বা তার পরে যেসব হিন্দুর জমি বা সম্পত্তি কেড়ে নেয়া হয়েছিল তা ফেরত দিতে হবে অথবা ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। তবে হিন্দু সম্প্রদায় ও কিছু এনজিও অভিযোগ করে যে, এই আইন এতটাই সংকীর্ণ যে, এর প্রয়োগ প্রক্রিয়া অসুবিধাজনক ও দীর্ঘমেয়াদি। সামান্য মাত্রায় এসব সম্প্রতি ফেরত দেয়া হয়েছে। সংখ্যালঘু সম্প্রদায় যুক্তরাষ্ট্রের ওই কর্মকর্তার কাছে বলেছেন, ভূমি দখল একটি উল্লেখযোগ্য উদ্বেগের বিষয়। বাংলাদেশজুড়ে এমন ঘটনা ঘটছে। ধর্মীয় সংখ্যালঘু, বিশেষ করে হিন্দুরা দৃশ্যত অসমভাবে তাদের ভূমি থেকে উচ্ছেদের টার্গেটে থাকলেও ভূমি দখলের ফলে সব সম্প্রদায় আক্রান্ত হচ্ছে। ভূমি দখলে কোন কোন ক্ষেত্রে জড়িত স্থানীয় পুলিশ, জাতীয় সংসদের কিছু সদস্য সহ রাজনৈতিক নেতারা। অথবা তারা রাজনৈতিক প্রভাবশালীদের বিচারের হাত থেকে দূরে রাখছেন। রাস্তার পাশে অথবা শিল্প এলাকায় যেখানে জমির দাম বেশি সেখানে ভূমি দখল হয় সবচেয়ে বেশি। ফলে ধর্মীয় সংখ্যালঘুরা তাদের ধর্মীয় বিশ্বাসের কারণে টার্গেটে পরিণত হচ্ছেন কিনা তা নির্ধারণ করা জটিল।
ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তিচুক্তি একটি রাজনৈতিক চুক্তি। এ চুক্তি হয়েছে বাংলাদেশ সরকার, আদিবাসী প্রতিনিধিত্বকারী রাজনৈতিক দল ও ওই এলাকার আদিবাসীদের মধ্যে। সেখানে শতকরা প্রায় ৫০ ভাগ মানুষ বৌদ্ধ ধর্মের অনুসারী। বাংলাদেশ সরকার ইউএসসিআইআরএফ’কে যে তথ্য দিয়েছে তাতে দেখা যায়, পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তির ৭২টি অনুচ্ছেদের মধ্যে ৪৮টি পূর্ণাঙ্গভাবে বাস্তবায়িত হয়েছে। ১৫টি আংশিক বাস্তবায়ন হয়েছে। ৯টি এখনও বাস্তবায়ন করতে হবে। ওই এলাকার প্রতিনিধিরা বলেছেন, চুক্তির মাত্র ২৫টি পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন করা হয়েছে। এ বছরের ফেব্রুয়ারিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ওই এলাকায় বিদেশী নাগরিকদের, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সংগঠনের প্রবেশে কড়াকড়ি আরোপ করে। দৃশ্যত এর মাধ্যমে স্থানীয় লোকদের সঙ্গে নিরাপত্তার দায়িত্বে লিপ্তদের মধ্যেকার বিরোধ নিয়ে রিপোর্ট সীমিত করার চেষ্টা করাই উদ্দেশ্য। রোহিঙ্গা সম্প্রদায় সম্পর্কে ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশ সরকার প্রায় ৩০ হাজার রোহিঙ্গা মুসলিমকে গ্রহণ করেছে। তারা বসবাস করছে সরকার পরিচালিত কক্সবাজারে দুটি শিবিরে। এটি বাংলাদেশ ও মিয়ানমার সীমান্তের কাছে। এ ছাড়া প্রায় দুই থেকে পাঁচ লাখ রোহিঙ্গা মুসলিম এসব শিবিরের বাইরে বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে বসবাস করছে। তাদেরকে অবৈধ অভিবাসী হিসেবে দেখা হয়। গত বছর ফেব্রুয়ারিতে বাংলাদেশে রোহিঙ্গা মুসলিমদের বিষয়ে বাংলাদেশ সরকার একটি জাতীয় কৌশল নেয়। এর মধ্যে রয়েছে অধিক মানবিক সহায়তা ও সমস্যা সমাধানের জন্য মিয়ানমারের সঙ্গে অধিকতর যোগাযোগ। গত বছর নভেম্বরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষণা করেন যে, জাতিসংঘ শরণার্থীবিষয়ক হাইকমিশন সমর্থিত দুটি শরণার্থী শিবিরে শরণার্থীদের বর্তমান জীবনমানের উন্নয়ন করা হবে। বলা হয়, তারা অমানবিক অবস্থায় বসবাস করছে। তার এ ঘোষণাকে জাতিসংঘ শরণার্থীবিষয়ক হাইকমিশন স্বাগত জানায়। একই সঙ্গে তারা ইঙ্গিত দেয় যে, এ উদ্যোগ বেশ ব্যয়বহুল হবে। এতে রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের মধ্যে আতঙ্ক ও উত্তেজনা বাড়াতে পারে। ইউএনএইচসিআর রিপোর্ট করে যে, এসব শিবিরের বাইরে বসবাসকারী রোহিঙ্গা মুসলিমরা কোন এজেন্সির পক্ষ থেকে কোন সহায়তা পায় না। তাই তারা শোচনীয় পরিস্থিতিতে বসবাস করেন।
ওই প্রতিবেদনের সুপারিশে বলা হয়, বাংলাদেশের সঙ্গে যোগাযোগের ভিত্তিতে ইউএসসিআইআরএফ তার সুপারিশে বলছে যে, ধর্মীয় বিভক্তি সৃষ্টি করে এবং ধর্মীয় উদ্দেশ্যে সহিংসতা ও হয়রানির বিষয়ে প্রকাশ্যে এবং বার বার নিন্দা জানাতে হবে প্রধানমন্ত্রী ও সরকারি অন্য সব কর্মকর্তাদের। স্থানীয় সরকারি কর্মকর্তা, পুলিশ অফিসার ও বিচারকদের আন্তর্জাতিক মানবাধিকারের মানদণ্ডের বিষয়ে প্রশিক্ষণ দিয়ে সহায়তা করতে হবে। তাদেরকে প্রশিক্ষণ দিতে হবে কিভাবে ধর্মীয় সহিংসতার বিষয় অনুসন্ধান করতে হবে। একই সঙ্গে বাংলাদেশ সরকারের প্রতি ইউএসসিআইআরএফ আহ্বান জানায় ভূমি দখলের অভিযোগ তদন্ত করার, এনজিওগুলোর ওপর পার্বত্য চট্টগ্রামে যাওয়ার ওপর কড়াকড়ি তুলে নেয়ার ও ব্লাসফেমি আইন বাতিল করার জন্য।
ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০১১ সালে ভেস্টেট প্রপার্টি রিটার্ন অ্যাক্ট করা হয় যাতে ১৯৭১ সালে বা তার পরে যেসব হিন্দুর জমি বা সম্পত্তি কেড়ে নেয়া হয়েছিল তা ফেরত দিতে হবে অথবা ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। তবে হিন্দু সম্প্রদায় ও কিছু এনজিও অভিযোগ করে যে, এই আইন এতটাই সংকীর্ণ যে, এর প্রয়োগ প্রক্রিয়া অসুবিধাজনক ও দীর্ঘমেয়াদি। সামান্য মাত্রায় এসব সম্প্রতি ফেরত দেয়া হয়েছে। সংখ্যালঘু সম্প্রদায় যুক্তরাষ্ট্রের ওই কর্মকর্তার কাছে বলেছেন, ভূমি দখল একটি উল্লেখযোগ্য উদ্বেগের বিষয়। বাংলাদেশজুড়ে এমন ঘটনা ঘটছে। ধর্মীয় সংখ্যালঘু, বিশেষ করে হিন্দুরা দৃশ্যত অসমভাবে তাদের ভূমি থেকে উচ্ছেদের টার্গেটে থাকলেও ভূমি দখলের ফলে সব সম্প্রদায় আক্রান্ত হচ্ছে। ভূমি দখলে কোন কোন ক্ষেত্রে জড়িত স্থানীয় পুলিশ, জাতীয় সংসদের কিছু সদস্য সহ রাজনৈতিক নেতারা। অথবা তারা রাজনৈতিক প্রভাবশালীদের বিচারের হাত থেকে দূরে রাখছেন। রাস্তার পাশে অথবা শিল্প এলাকায় যেখানে জমির দাম বেশি সেখানে ভূমি দখল হয় সবচেয়ে বেশি। ফলে ধর্মীয় সংখ্যালঘুরা তাদের ধর্মীয় বিশ্বাসের কারণে টার্গেটে পরিণত হচ্ছেন কিনা তা নির্ধারণ করা জটিল।
ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তিচুক্তি একটি রাজনৈতিক চুক্তি। এ চুক্তি হয়েছে বাংলাদেশ সরকার, আদিবাসী প্রতিনিধিত্বকারী রাজনৈতিক দল ও ওই এলাকার আদিবাসীদের মধ্যে। সেখানে শতকরা প্রায় ৫০ ভাগ মানুষ বৌদ্ধ ধর্মের অনুসারী। বাংলাদেশ সরকার ইউএসসিআইআরএফ’কে যে তথ্য দিয়েছে তাতে দেখা যায়, পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তির ৭২টি অনুচ্ছেদের মধ্যে ৪৮টি পূর্ণাঙ্গভাবে বাস্তবায়িত হয়েছে। ১৫টি আংশিক বাস্তবায়ন হয়েছে। ৯টি এখনও বাস্তবায়ন করতে হবে। ওই এলাকার প্রতিনিধিরা বলেছেন, চুক্তির মাত্র ২৫টি পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন করা হয়েছে। এ বছরের ফেব্রুয়ারিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ওই এলাকায় বিদেশী নাগরিকদের, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সংগঠনের প্রবেশে কড়াকড়ি আরোপ করে। দৃশ্যত এর মাধ্যমে স্থানীয় লোকদের সঙ্গে নিরাপত্তার দায়িত্বে লিপ্তদের মধ্যেকার বিরোধ নিয়ে রিপোর্ট সীমিত করার চেষ্টা করাই উদ্দেশ্য। রোহিঙ্গা সম্প্রদায় সম্পর্কে ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশ সরকার প্রায় ৩০ হাজার রোহিঙ্গা মুসলিমকে গ্রহণ করেছে। তারা বসবাস করছে সরকার পরিচালিত কক্সবাজারে দুটি শিবিরে। এটি বাংলাদেশ ও মিয়ানমার সীমান্তের কাছে। এ ছাড়া প্রায় দুই থেকে পাঁচ লাখ রোহিঙ্গা মুসলিম এসব শিবিরের বাইরে বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে বসবাস করছে। তাদেরকে অবৈধ অভিবাসী হিসেবে দেখা হয়। গত বছর ফেব্রুয়ারিতে বাংলাদেশে রোহিঙ্গা মুসলিমদের বিষয়ে বাংলাদেশ সরকার একটি জাতীয় কৌশল নেয়। এর মধ্যে রয়েছে অধিক মানবিক সহায়তা ও সমস্যা সমাধানের জন্য মিয়ানমারের সঙ্গে অধিকতর যোগাযোগ। গত বছর নভেম্বরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষণা করেন যে, জাতিসংঘ শরণার্থীবিষয়ক হাইকমিশন সমর্থিত দুটি শরণার্থী শিবিরে শরণার্থীদের বর্তমান জীবনমানের উন্নয়ন করা হবে। বলা হয়, তারা অমানবিক অবস্থায় বসবাস করছে। তার এ ঘোষণাকে জাতিসংঘ শরণার্থীবিষয়ক হাইকমিশন স্বাগত জানায়। একই সঙ্গে তারা ইঙ্গিত দেয় যে, এ উদ্যোগ বেশ ব্যয়বহুল হবে। এতে রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের মধ্যে আতঙ্ক ও উত্তেজনা বাড়াতে পারে। ইউএনএইচসিআর রিপোর্ট করে যে, এসব শিবিরের বাইরে বসবাসকারী রোহিঙ্গা মুসলিমরা কোন এজেন্সির পক্ষ থেকে কোন সহায়তা পায় না। তাই তারা শোচনীয় পরিস্থিতিতে বসবাস করেন।
ওই প্রতিবেদনের সুপারিশে বলা হয়, বাংলাদেশের সঙ্গে যোগাযোগের ভিত্তিতে ইউএসসিআইআরএফ তার সুপারিশে বলছে যে, ধর্মীয় বিভক্তি সৃষ্টি করে এবং ধর্মীয় উদ্দেশ্যে সহিংসতা ও হয়রানির বিষয়ে প্রকাশ্যে এবং বার বার নিন্দা জানাতে হবে প্রধানমন্ত্রী ও সরকারি অন্য সব কর্মকর্তাদের। স্থানীয় সরকারি কর্মকর্তা, পুলিশ অফিসার ও বিচারকদের আন্তর্জাতিক মানবাধিকারের মানদণ্ডের বিষয়ে প্রশিক্ষণ দিয়ে সহায়তা করতে হবে। তাদেরকে প্রশিক্ষণ দিতে হবে কিভাবে ধর্মীয় সহিংসতার বিষয় অনুসন্ধান করতে হবে। একই সঙ্গে বাংলাদেশ সরকারের প্রতি ইউএসসিআইআরএফ আহ্বান জানায় ভূমি দখলের অভিযোগ তদন্ত করার, এনজিওগুলোর ওপর পার্বত্য চট্টগ্রামে যাওয়ার ওপর কড়াকড়ি তুলে নেয়ার ও ব্লাসফেমি আইন বাতিল করার জন্য।
No comments