কারাগারে কেমন আছেন জি কে গউছ
পুরোদমে
দিনভর অফিসের ব্যস্ততা। রাতে নিজ বাসায় কিংবা দলীয় অফিসে নেতাকর্মীদের
নিয়ে সরগরম। দাপিয়ে ঘুরে বেড়িয়েছেন শহরের এ প্রান্ত থেকে ওই প্রান্ত।
সভা-সমাবেশের মাধ্যমে উত্তপ্ত করে রেখেছিলেন রাজপথ। সেই মানুষটি আজ চার
দেয়ালে বন্দি। অফিসে কিংবা বাসায় নয়, আছেন সিলেট কারাগারে। তিনি হবিগঞ্জ
পৌরসভার মেয়র আলহাজ জি কে গউছ। মেয়র জি কে গউছের ছোট ভাই জি কে গাফফার
জানান, দীর্ঘদিন কারান্তরীণ থাকার কারণে জি কে গউছের শরীরে বিভিন্ন সমস্যা
দেখা দিয়েছে। গত ঈদুল ফিতরের দিন হামলার শিকার হওয়ার পর থেকেই মূলত তার
শরীরে বিভিন্ন রোগের উপসর্গ দেখা দিতে শুরু করে। তিনি এখন বুকে-পিঠে ব্যথা ও
উচ্চ রক্তচাপজনিত সমস্যায় ভুগছেন। মঙ্গলবার (১৩ অক্টোবর) বুকে ব্যথা অনুভব
করলে সঙ্গে সঙ্গে মেয়র জি কে গউছকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ
হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার পর চিকিৎসা
দিয়ে আবারও কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়। ছোট্ট একটি ঘরে ভিআইপি বন্দি হিসেবে
সময় কাটছে তার। দিনের অধিকাংশ সময় কাটাচ্ছেন কোরআন শরিফ তিলাওয়াত, ধর্মীয়
বিভিন্ন বই পড়ে ও নামাজের মধ্য দিয়ে। সপ্তাহের প্রতি সোম ও বৃহস্পতিবার
রোজা রাখছেন। এশার নামাজের পর রাতের খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে পড়েন। তাহাজ্জুতের
সময় উঠে নামাজ পড়েন। ফজরের নামাজের পর কিছু সময় কোরআন তিলাওয়াত করেন।
পরক্ষণে ঘুমিয়ে পড়েন। সকাল ৯টার দিকে ঘুম থেকে উঠে চাশতের নামাজ পড়েন।
জোহরের নামাজ পড়ে দুপুরের খাবার খান। তবে তার আফসোস, আজানের ধ্বনি শোনেন
কিন্তু জামায়াতে নামাজ আদায় করতে পাড়েন না। রমজানের সময় তারাবির নামাজও
জামায়াতে পড়তে পাড়েননি। ২০১৫ সালে যেতে পাড়েননি পবিত্র হজ পালন করতে।
কিন্তু তার পরও তিনি হতাশ নন। মহান আল্লাহর ওপরই বিচারের ভার ছেড়ে দিয়েছেন।
কারণ কিবরিয়া হত্যাকাণ্ডের সময় তিনি ছিলেন মহান আল্লাহর ঘর পবিত্র কাবার
সামনে বসা। হবিগঞ্জ থেকে প্রায় প্রতিদিনই মেয়র জি কে গউছকে দেখতে
আত্মীয়স্বজন, সহকর্মী ও বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার লোকজন সিলেট কারাগারে যান।
সাক্ষাৎকালে তিনি হবিগঞ্জবাসীর খোঁজখবর নেন। তাদের মাধ্যমে হবিগঞ্জবাসীর
দোয়া কামনা করেন।
No comments