টেলিযোগাযোগ খাতে বিনিয়োগ কমছে -জিএসএমএর গবেষণা by আশরাফুল ইসলাম
বাংলাদেশের
টেলিযোগাযোগ খাতে প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগ (এফডিআই) কমছে বলে মনে করছে
মোবাইল অপারেটরদের বৈশ্বিক সংগঠন গ্রুপ স্পেশাল মোবাইল অ্যাসোসিয়েশন বা
জিএসএমএ। সংগঠনটি বলছে, ২০০৯ সালে বাংলাদেশে যত এফডিআই এসেছে তার ৬০ শতাংশ
টেলিযোগাযোগ খাতে এলেও ২০১৪ সালে তা কমে ১৮ শতাংশে নেমে এসেছে।
জিএসএমএর ‘ডিজিটাল ইনক্লুশন ও মোবাইল সেক্টর ট্যাক্সেশন ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক এ গবেষণায় বলা হয়েছে, ২০০৯ সালে বাংলাদেশে টেলিযোগাযোগ খাতে এফডিআই এসেছে ৫৮ কোটি মার্কিন ডলার, আর ২০১৪ সালে তা কমে ২৮ কোটি ডলার হয়েছে।
মোবাইল ফোন অপারেটরদের বিনিয়োগ কমে যাওয়ার এ বিষয়টি বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) তথ্যেও উঠে এসেছে। বিটিআরসির তথ্য অনুযায়ী, ২০১৪-১৫ অর্থবছরে বিদেশি মালিকানাধীন চার বেসরকারি মোবাইল ফোন অপারেটর ৫ হাজার ৪৬৯ কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছে। ২০১৩-১৪ অর্থবছরে এ বিনিয়োগ ছিল সাড়ে ৯ হাজার কোটি টাকা আর ২০১২-১৩ অর্থবছরে ১১ হাজার ৪১৪ কোটি টাকা। তবে তৃতীয় প্রজন্মের (থ্রিজি) লাইসেন্স ফি পরিশোধের জন্য ২০১৩ সালে অপারেটরদের বেশি বিনিয়োগ করতে হয়।
এই খাতে বিদেশি বিনিয়োগ কমে যাওয়ার কারণ হিসেবে উচ্চ কর, গ্রাহকপ্রতি গড় নিম্ন আয়, নীতিনির্ধারণী সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রে অনিশ্চয়তার মতো বিষয়গুলোকে তুলে ধরা হয়েছে জিএসএমএর প্রতিবেদনে। ব্যবসা-সহায়ক পরিবেশ নিশ্চিতে বাংলাদেশের পিছিয়ে যাওয়াকে বিদেশি বিনিয়োগ কমার আরেকটি কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। বিশ্বব্যাংকের ‘ইজ অব ডুয়িং বিজনেস’ সূচকে ২০১৩ সালে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ১২৯, আর ২০১৪ সালে তা ১৭০ হয়েছে।
বিনিয়োগ কমে যাওয়ার ফলে থ্রিজি নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে জিএসএমএর প্রতিবেদনে। বিদ্যুৎ, জ্বালানি, যোগাযোগের মতো মৌলিক অবকাঠামোর দুর্বলতার কারণে মোবাইল ফোন অপারেটরদের নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণের খরচ বাড়িয়ে দিচ্ছে।
জিএসএমএর হিসাব অনুযায়ী, গ্রাহকপ্রতি গড় আয়ের (এআরপিইউ) দিক দিয়ে বাংলাদেশের অবস্থান এখন দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে সর্বনিম্ন। বাংলাদেশের তিন শীর্ষ মোবাইল ফোন অপারেটরের এআরপিইউ বর্তমানে ১ দশমিক ৮ ডলার বা ১৪৪ টাকা। থ্রিজি ও চতুর্থ প্রজন্মের (ফোরজি) নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণের খরচের তুলনায় আয় তেমন না হওয়ায় বিনিয়োগ কম হওয়ার আরেকটি কারণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে এ প্রতিবেদনে।
বাংলাদেশে মোবাইল ফোন অপারেটরদের উচ্চ কর হার এ খাতে বিদেশি বিনিয়োগ কমার আরেকটি কারণ বলে উল্লেখ করা হয়েছে প্রতিবেদনে। দেশে মুঠোফোন অপারেটরদের বর্তমান করপোরেট কর হার ৪৫ শতাংশ। তবে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত অপারেটরের ক্ষেত্রে এ হার ৪০ শতাংশ।
বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের নির্বাহী পরিচালক আহসান এইচ মনসুর বলেন, বিদেশি বিনিয়োগের জন্য সহনশীলতা (ফ্লেক্সিবিলিটি) খুব গুরুত্বপূর্ণ। টেলিযোগাযোগ খাতের যে প্রতিষ্ঠানগুলো উচ্চ কর দিচ্ছে, তাদের ওপর নানাভাবে অতিরিক্ত করের বোঝা চাপানো হচ্ছে। এভাবে স্বল্প সময়ের জন্য বেশি আয় হলেও তা বিদেশি বিনিয়োগকারীদের ভবিষ্যৎ বিনিয়োগ সিদ্ধান্তে নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে।
জিএসএমএর ‘ডিজিটাল ইনক্লুশন ও মোবাইল সেক্টর ট্যাক্সেশন ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক এ গবেষণায় বলা হয়েছে, ২০০৯ সালে বাংলাদেশে টেলিযোগাযোগ খাতে এফডিআই এসেছে ৫৮ কোটি মার্কিন ডলার, আর ২০১৪ সালে তা কমে ২৮ কোটি ডলার হয়েছে।
মোবাইল ফোন অপারেটরদের বিনিয়োগ কমে যাওয়ার এ বিষয়টি বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) তথ্যেও উঠে এসেছে। বিটিআরসির তথ্য অনুযায়ী, ২০১৪-১৫ অর্থবছরে বিদেশি মালিকানাধীন চার বেসরকারি মোবাইল ফোন অপারেটর ৫ হাজার ৪৬৯ কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছে। ২০১৩-১৪ অর্থবছরে এ বিনিয়োগ ছিল সাড়ে ৯ হাজার কোটি টাকা আর ২০১২-১৩ অর্থবছরে ১১ হাজার ৪১৪ কোটি টাকা। তবে তৃতীয় প্রজন্মের (থ্রিজি) লাইসেন্স ফি পরিশোধের জন্য ২০১৩ সালে অপারেটরদের বেশি বিনিয়োগ করতে হয়।
এই খাতে বিদেশি বিনিয়োগ কমে যাওয়ার কারণ হিসেবে উচ্চ কর, গ্রাহকপ্রতি গড় নিম্ন আয়, নীতিনির্ধারণী সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রে অনিশ্চয়তার মতো বিষয়গুলোকে তুলে ধরা হয়েছে জিএসএমএর প্রতিবেদনে। ব্যবসা-সহায়ক পরিবেশ নিশ্চিতে বাংলাদেশের পিছিয়ে যাওয়াকে বিদেশি বিনিয়োগ কমার আরেকটি কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। বিশ্বব্যাংকের ‘ইজ অব ডুয়িং বিজনেস’ সূচকে ২০১৩ সালে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ১২৯, আর ২০১৪ সালে তা ১৭০ হয়েছে।
বিনিয়োগ কমে যাওয়ার ফলে থ্রিজি নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে জিএসএমএর প্রতিবেদনে। বিদ্যুৎ, জ্বালানি, যোগাযোগের মতো মৌলিক অবকাঠামোর দুর্বলতার কারণে মোবাইল ফোন অপারেটরদের নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণের খরচ বাড়িয়ে দিচ্ছে।
জিএসএমএর হিসাব অনুযায়ী, গ্রাহকপ্রতি গড় আয়ের (এআরপিইউ) দিক দিয়ে বাংলাদেশের অবস্থান এখন দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে সর্বনিম্ন। বাংলাদেশের তিন শীর্ষ মোবাইল ফোন অপারেটরের এআরপিইউ বর্তমানে ১ দশমিক ৮ ডলার বা ১৪৪ টাকা। থ্রিজি ও চতুর্থ প্রজন্মের (ফোরজি) নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণের খরচের তুলনায় আয় তেমন না হওয়ায় বিনিয়োগ কম হওয়ার আরেকটি কারণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে এ প্রতিবেদনে।
বাংলাদেশে মোবাইল ফোন অপারেটরদের উচ্চ কর হার এ খাতে বিদেশি বিনিয়োগ কমার আরেকটি কারণ বলে উল্লেখ করা হয়েছে প্রতিবেদনে। দেশে মুঠোফোন অপারেটরদের বর্তমান করপোরেট কর হার ৪৫ শতাংশ। তবে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত অপারেটরের ক্ষেত্রে এ হার ৪০ শতাংশ।
বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের নির্বাহী পরিচালক আহসান এইচ মনসুর বলেন, বিদেশি বিনিয়োগের জন্য সহনশীলতা (ফ্লেক্সিবিলিটি) খুব গুরুত্বপূর্ণ। টেলিযোগাযোগ খাতের যে প্রতিষ্ঠানগুলো উচ্চ কর দিচ্ছে, তাদের ওপর নানাভাবে অতিরিক্ত করের বোঝা চাপানো হচ্ছে। এভাবে স্বল্প সময়ের জন্য বেশি আয় হলেও তা বিদেশি বিনিয়োগকারীদের ভবিষ্যৎ বিনিয়োগ সিদ্ধান্তে নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে।
No comments