সিরিয়ান অবজারভেটরির নেপথ্যে কারা?
সিরিয়ার বিভিন্ন যুদ্ধক্ষেত্র থেকে পাঠানো খবর সারা বিশ্বে প্রচার করার জন্য সূত্র হিসেবে সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস একটি বহুল ব্যবহৃত নাম। এটি যুক্তরাজ্যভিত্তিক একটি মানবাধিকার সংগঠন। এর ব্যাপারে মানুষ কতটা জানে, তা অনুসন্ধানের চেষ্টা করেছে রাশিয়ার সরকারি সংবাদ সংস্থা আরটি। চার বছর আগে সিরীয় গৃহযুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে মূলধারার পশ্চিমা সংবাদমাধ্যম (রয়টার্স, বিবিসি, সিএনএন ইত্যাদি) নিয়মিত সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটসের বরাত দিয়ে খবর প্রচার করছে। সংগঠনটি দাবি করে, তাদের যোগাযোগ সিরিয়া ও আশপাশের অঞ্চলজুড়ে বিস্তৃত। সেখান থেকে যুক্তরাজ্যের সদর দপ্তরে নিয়মিত খবর পৌঁছায়। পরে সেগুলো সম্পাদনার মাধ্যমে সংগঠনের ওয়েবসাইট ও সামাজিক যোগাযোগের অনলাইন মাধ্যমে (ফেসবুক ও টুইটার) প্রকাশ করা হয়। আইএসের বিরুদ্ধে মার্কিন নেতৃত্বাধীন জোটের বিমান হামলা বা সাম্প্রতিক রুশ বিমান হামলায় হতাহত হওয়ার ঘটনার খবরও দ্রুত প্রকাশ করছে সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস।
এ ব্যাপারে মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএর সাবেক কর্মকর্তা রে ম্যাকগভার্ন আরটিকে বলেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশিত তথ্য বিশ্বাস করার ব্যাপারটি জনসাধারণের নিজস্ব পছন্দের ব্যাপার। কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা (যেমন: মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি) কী কী বলেছেন, সেটা জানার জন্য এসব সূত্রের খবর একেবারেই বিশ্বাসের অযোগ্য। ২০০৬ সালের মে মাসে প্রতিষ্ঠিত সিরিয়ান অবজারভেটরির নেতৃত্ব দিচ্ছেন সিরীয় নাগরিক রামি আবদুল রহমান ওরফে ওসামা সুলেইমান। তিনি সিরিয়া থেকে যুক্তরাজ্যে অভিবাসী হয়েছেন। কভেন্ট্রি এলাকায় তাঁর বাড়িটিই সংগঠনের প্রধান কার্যালয় হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। কিন্তু তাঁর জন্য কারা সিরিয়ার ভূখণ্ডে তথ্য সংগ্রহের দায়িত্ব পালন করছেন, সেটা কেউ জানে না। তবে তথ্য সরবরাহ নিয়মিত এবং সেগুলো নাটকীয়ভাবে দ্রুত প্রকাশিত হচ্ছে বিশদ বিবরণ ছাড়াই। আরটির পক্ষ থেকে যোগাযোগ করে আবদুল রহমানকে তাঁর বাড়িতে পাওয়া যায়নি। ফোন করলে তিনি বলেন, তিনি দোকানে গিয়েছেন। সেখানে কারও সঙ্গে দেখা করা বিপজ্জনক। ‘ওরা’ তাঁকে মেরে ফেলতে চায়। তিনি কোনো সংবাদ প্রতিষ্ঠান নন। ব্যক্তিগত বাড়িতেই কাজ করেন। সূত্র: আরটি
No comments