কামরুলকে পলাতক দেখিয়ে দেওয়া হচ্ছে অভিযোগপত্র
সিলেটের শিশু শেখ সামিউল আলম রাজন (১৪) হত্যা মামলার অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দাখিল করার প্রস্তুতি নিয়েছে মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। সৌদি আরব পালিয়ে গিয়ে ধরা পড়া ঘটনার মূল হোতা কামরুল ইসলামকে পলাতক রেখে অভিযোগপত্র দেওয়া হবে বলে তদন্ত-সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানিয়েছে।
অন্যদিকে, এ মামলার পলাতক এক আসামির নাম নিয়ে বিভ্রান্তি কেটে গেছে। সুনামগঞ্জে বাড়ি ওই আসামিকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা করছে পুলিশ।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের পরিদর্শক সুরঞ্জিত তালুকদার অভিযোগপত্র লেখার কাজ দ্রুতগতিতে চলছে বলে জানান। তবে কোনো নির্দিষ্ট দিনক্ষণের কথা উল্লেখ না করে তিনি বলেন, ‘আসামি সবাইকে চিহ্নিত করে অপরাধও লিপিবদ্ধ করা হয়েছে। সাক্ষীদের বক্তব্যও নেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া মাঠপর্যায়ের সব কাজ গুছিয়ে এনেছি। শিগগিরই আদালতে চার্জশিট দাখিল করা হবে।’
গত ৮ জুলাই চুরির মিথ্যা অপবাদে সিলেট-সুনামগঞ্জ সড়কের কুমারগাঁও বাসস্ট্যান্ডের শেখপাড়ায় নির্যাতন করে হত্যা করা হয় সিলেটের জালালাবাদ থানা এলাকার বাদেয়ালি গ্রামের সবজিবিক্রেতা শিশু সামিউলকে। লাশ গুম করার চেষ্টার সময় ধরা পড়েন একজন। পরে ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করা হয়।
সামিউলকে নির্যাতন করার সময় নির্যাতনকারীরা ভিডিও চিত্র ধারণ করেছিল। ঘটনার চার দিন পর ১২ জুলাই ভিডিও চিত্র নিয়ে প্রথম আলোয় ‘নির্মম পৈশাচিক’! শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশের পর ভিডিও চিত্র ছড়িয়ে পড়লে তোলপাড় শুরু হয়। একে একে জনতা ধরিয়ে দেয় সামিউল হত্যা মামলার আসামিদের। পালিয়ে সৌদি আরব গিয়ে জনতার হাতে ধরা পড়েন ঘটনার মূল হোতা কামরুল ইসলাম।
এক আসামির দেশ ছেড়ে পালানোয় ঘটনার শুরুর দিকে গাফিলতির অভিযোগে গত ২৭ জুলাই সিলেট মহানগর পুলিশের জালালাবাদ থানার তৎকালীন পরিদর্শক (তদন্ত) আলমগীর হোসেন, উপপরিদর্শক (এসআই) আমিনুল ইসলাম ও মো. জাকির হোসেনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।
সামিউল হত্যা মামলায় এ পর্যন্ত গ্রেপ্তার হয়েছেন ১২ জন। আসামিদের মধ্যে এ পর্যন্ত পাঁচজন ও প্রত্যক্ষদর্শী তিনজন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
ডিবি পুলিশ সূত্র জানায়, আদালতে দেওয়া আসামিদের জবানবন্দিতে নির্যাতনে সরাসরি জড়িত আরও একজনের নাম প্রকাশ পায়। প্রায় ২২-২৪ বছর বয়সী ওই যুবকের নাম আসামিদের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে ‘পাভেল’ বলে উল্লেখ করা হয়। ঘটনাস্থল কুমারগাঁওসহ আশপাশ এলাকায় এ নামে কেউ না থাকায় এ নিয়ে বিভ্রান্তির সৃষ্টি হয়। এ কারণে তাঁকে গ্রেপ্তার করাও বিলম্বিত হচ্ছিল। সম্প্রতি ডিবি পুলিশ তাঁর আসল নাম ও ঠিকানা পেয়েছে। সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার গাঘটিয়া গ্রামে ওই যুবকের বাড়ি। কুমারগাঁও বাসস্ট্যান্ড এলাকায় একটি আইসক্রিম ফ্যাক্টরিতে চাকরি করতেন তিনি।
তদন্ত-সংশ্লিষ্ট একজন কর্মকর্তা জানান, ওই যুবককে গ্রেপ্তার করতে পারলে ঘটনায় সহযোগিতাকারী আরও দু-তিনজনের সংশ্লিষ্টতার তথ্য মিলবে। এ কারণে অভিযোগপত্র চূড়ান্ত করার আগেই যুবককে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
সাংসদের ক্ষোভ: গতকাল সকালে সিলেটের জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে অনুষ্ঠিত গত জুলাই মাসের আইনশৃঙ্খলা সমন্বয় কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সিলেটের সাংসদদের মধ্যে কেবল সংরক্ষিত নারী আসনের সাংসদ আমাতুল কিবরিয়া কেয়া চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন। সভায় মহানগর পুলিশের কাছে সামিউল হত্যা মামলার পলাতক আসামি কামরুল ইসলামকে দেশে ফিরিয়ে আনার বিষয়ে জানতে চান সাংসদ। পুলিশ বিষয়টি সরাসরি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় পর্যবেক্ষণ করছে বলে জানালে সাংসদ কেয়া চৌধুরী ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তিনি মহানগর পুলিশকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ করে এ বিষয়ে সর্বশেষ পরিস্থিতি সম্পর্কে অবহিত হওয়ার আহ্বান জানান।
প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা: পলাতক কামরুলকে দেশে ফিরিয়ে আনা ও দ্রুত বিচারের দাবিতে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চেয়েছেন সামিউলের বাবা শেখ মো. আজিজুর রহমান। গত রোববার বিকেলে সিলেটের জেলা প্রশাসকের কাছে এলাকাবাসীর পক্ষে একটি স্মারকলিপি দিয়ে চারটি বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চেয়েছেন। দ্রুত বিচার ও কামরুলকে দেশে ফিরিয়ে আনা ছাড়াও হত্যাকাণ্ডের পর লাশ গুমের চেষ্টার সঙ্গে জড়িত পুলিশ ও ‘দালাল’দের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানান আজিজুর।
অন্যদিকে, এ মামলার পলাতক এক আসামির নাম নিয়ে বিভ্রান্তি কেটে গেছে। সুনামগঞ্জে বাড়ি ওই আসামিকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা করছে পুলিশ।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের পরিদর্শক সুরঞ্জিত তালুকদার অভিযোগপত্র লেখার কাজ দ্রুতগতিতে চলছে বলে জানান। তবে কোনো নির্দিষ্ট দিনক্ষণের কথা উল্লেখ না করে তিনি বলেন, ‘আসামি সবাইকে চিহ্নিত করে অপরাধও লিপিবদ্ধ করা হয়েছে। সাক্ষীদের বক্তব্যও নেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া মাঠপর্যায়ের সব কাজ গুছিয়ে এনেছি। শিগগিরই আদালতে চার্জশিট দাখিল করা হবে।’
গত ৮ জুলাই চুরির মিথ্যা অপবাদে সিলেট-সুনামগঞ্জ সড়কের কুমারগাঁও বাসস্ট্যান্ডের শেখপাড়ায় নির্যাতন করে হত্যা করা হয় সিলেটের জালালাবাদ থানা এলাকার বাদেয়ালি গ্রামের সবজিবিক্রেতা শিশু সামিউলকে। লাশ গুম করার চেষ্টার সময় ধরা পড়েন একজন। পরে ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করা হয়।
সামিউলকে নির্যাতন করার সময় নির্যাতনকারীরা ভিডিও চিত্র ধারণ করেছিল। ঘটনার চার দিন পর ১২ জুলাই ভিডিও চিত্র নিয়ে প্রথম আলোয় ‘নির্মম পৈশাচিক’! শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশের পর ভিডিও চিত্র ছড়িয়ে পড়লে তোলপাড় শুরু হয়। একে একে জনতা ধরিয়ে দেয় সামিউল হত্যা মামলার আসামিদের। পালিয়ে সৌদি আরব গিয়ে জনতার হাতে ধরা পড়েন ঘটনার মূল হোতা কামরুল ইসলাম।
এক আসামির দেশ ছেড়ে পালানোয় ঘটনার শুরুর দিকে গাফিলতির অভিযোগে গত ২৭ জুলাই সিলেট মহানগর পুলিশের জালালাবাদ থানার তৎকালীন পরিদর্শক (তদন্ত) আলমগীর হোসেন, উপপরিদর্শক (এসআই) আমিনুল ইসলাম ও মো. জাকির হোসেনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।
সামিউল হত্যা মামলায় এ পর্যন্ত গ্রেপ্তার হয়েছেন ১২ জন। আসামিদের মধ্যে এ পর্যন্ত পাঁচজন ও প্রত্যক্ষদর্শী তিনজন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
ডিবি পুলিশ সূত্র জানায়, আদালতে দেওয়া আসামিদের জবানবন্দিতে নির্যাতনে সরাসরি জড়িত আরও একজনের নাম প্রকাশ পায়। প্রায় ২২-২৪ বছর বয়সী ওই যুবকের নাম আসামিদের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে ‘পাভেল’ বলে উল্লেখ করা হয়। ঘটনাস্থল কুমারগাঁওসহ আশপাশ এলাকায় এ নামে কেউ না থাকায় এ নিয়ে বিভ্রান্তির সৃষ্টি হয়। এ কারণে তাঁকে গ্রেপ্তার করাও বিলম্বিত হচ্ছিল। সম্প্রতি ডিবি পুলিশ তাঁর আসল নাম ও ঠিকানা পেয়েছে। সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার গাঘটিয়া গ্রামে ওই যুবকের বাড়ি। কুমারগাঁও বাসস্ট্যান্ড এলাকায় একটি আইসক্রিম ফ্যাক্টরিতে চাকরি করতেন তিনি।
তদন্ত-সংশ্লিষ্ট একজন কর্মকর্তা জানান, ওই যুবককে গ্রেপ্তার করতে পারলে ঘটনায় সহযোগিতাকারী আরও দু-তিনজনের সংশ্লিষ্টতার তথ্য মিলবে। এ কারণে অভিযোগপত্র চূড়ান্ত করার আগেই যুবককে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
সাংসদের ক্ষোভ: গতকাল সকালে সিলেটের জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে অনুষ্ঠিত গত জুলাই মাসের আইনশৃঙ্খলা সমন্বয় কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সিলেটের সাংসদদের মধ্যে কেবল সংরক্ষিত নারী আসনের সাংসদ আমাতুল কিবরিয়া কেয়া চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন। সভায় মহানগর পুলিশের কাছে সামিউল হত্যা মামলার পলাতক আসামি কামরুল ইসলামকে দেশে ফিরিয়ে আনার বিষয়ে জানতে চান সাংসদ। পুলিশ বিষয়টি সরাসরি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় পর্যবেক্ষণ করছে বলে জানালে সাংসদ কেয়া চৌধুরী ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তিনি মহানগর পুলিশকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ করে এ বিষয়ে সর্বশেষ পরিস্থিতি সম্পর্কে অবহিত হওয়ার আহ্বান জানান।
প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা: পলাতক কামরুলকে দেশে ফিরিয়ে আনা ও দ্রুত বিচারের দাবিতে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চেয়েছেন সামিউলের বাবা শেখ মো. আজিজুর রহমান। গত রোববার বিকেলে সিলেটের জেলা প্রশাসকের কাছে এলাকাবাসীর পক্ষে একটি স্মারকলিপি দিয়ে চারটি বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চেয়েছেন। দ্রুত বিচার ও কামরুলকে দেশে ফিরিয়ে আনা ছাড়াও হত্যাকাণ্ডের পর লাশ গুমের চেষ্টার সঙ্গে জড়িত পুলিশ ও ‘দালাল’দের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানান আজিজুর।
No comments