নীলাদ্রি হত্যার তদন্তে অগ্রগতি নেই, কেউ গ্রেপ্তার হয়নি
ব্লগার নীলাদ্রি চট্টোপাধ্যায় হত্যা মামলার তদন্তে গতকাল সোমবার পর্যন্ত দৃশ্যত কোনো অগ্রগতি নেই। তবে মামলার তদন্তকারী সংস্থা ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের দাবি, এটা জঙ্গি সংগঠন আনসারুল্লাহ বাংলা টিমেরই কাজ।
দাপ্তরিকভাবে মামলার তদন্তভার পাওয়ার পর গতকাল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন ডিবির কর্মকর্তারা। দুপুরে ঢাকা মহানগর পুলিশের মিডিয়া সেন্টারে অনির্ধারিত সংবাদ ব্রিফিংয়ে ডিবির যুগ্ম কমিশনার মনিরুল ইসলাম বলেন, গত রোববার মামলাটির তদন্তভার ডিবিতে এসেছে। গতকাল সকাল ৯টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত গোড়ানের ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন কর্মকর্তারা। তাঁরা ঘটনাস্থল ও আশপাশের লোকজনের সঙ্গে কথা বলেছেন। গুপ্তচরেরা কাজ করছেন, প্রযুক্তিগতভাবে ও আলামত বিশ্লেষণ করেও অপরাধীদের শনাক্ত করার চেষ্টা চলছে।
গত শুক্রবার গোড়ানে ভাড়া বাসায় খুন হন ব্লগার নীলাদ্রি চট্টোপাধ্যায়। ওই দিন রাতেই তাঁর স্ত্রী আশা মনি অজ্ঞাতনামা চারজনের বিরুদ্ধে খিলগাঁও থানায় মামলা করেন। গতকাল পর্যন্ত এ মামলায় কাউকে আটক বা গ্রেপ্তার করা হয়নি বলে জানান মনিরুল ইসলাম।
মনিরুল ইসলাম বলেন, হত্যাকাণ্ডের পর ঘটনাস্থল থেকে সংগৃহীত আলামত পরীক্ষার জন্য সিআইডির ফরেনসিক ও ডিএনএ ল্যাবে পাঠানো হবে। ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করা রক্তমাখা টি–শার্টটি ডিএনএ পরীক্ষার জন্য সিআইডির ডিএনএ পরীক্ষাগারে পাঠানো হবে। তিনি বলেন, অভিজিৎ হত্যার আলামত পরীক্ষার জন্য যুক্তরাষ্ট্রে এফবিআইয়ের পরীক্ষাগারে পাঠানো হয়েছিল। দীর্ঘসূত্রতার কারণে সেই আলামত পরীক্ষার প্রতিবেদন এখনো মেলেনি। রোববার এফবিআই প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকেও এ বিষয়ে তাগাদা দেওয়া হয়েছে। তাঁরা বলেছেন, এখনো পরীক্ষার কাজ শেষ হয়নি। এবার দ্রুততম সময়ের মধ্যে ফল পাওয়ার জন্য সিআইডির পরীক্ষাগারে আলামত পাঠানো হবে।
মনিরুল বলেন, লেখক অভিজিৎ রায় যেহেতু যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক, তাই এফবিআই মূলত ওই হত্যা মামলার তদন্তে আগ্রহী। নীলাদ্রির মামলা থেকে অভিজিতের মামলার কোনো সূত্র মিলতে পারে, সে কারণে তাঁরা এই মামলায় আগ্রহ দেখিয়েছেন। তাঁরা অন্য কারিগরি সহযোগিতাও দিতে চেয়েছেন। তিনি বলেন, এর আগে আনসার আল ইসলাম বা এর কাছাকাছি নামে তিনটি হত্যার দায় স্বীকার করা হয়েছে। ডিবির ধারণা, আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের ছোট গ্রুপ বা সেল এসব কাজ করছে।
এর আগে গ্রেপ্তার হওয়া আনসারুল্লাহর সদস্যরা কি কোনো তালিকার কথা বলেছেন—এ প্রশ্নে মনিরুল বলেন, আনসারুল্লাহ বাংলা টিম ক্ষুদ্র দলে (স্লিপার সেল) বিভক্ত হয়ে কাজ করে। এক সেলের সদস্যরা অন্য সেলের তথ্য বা পুরো কর্মপরিকল্পনা সম্পর্কে কোনো ধারণা পায় না। তিনি বলেন, যারা ব্লগারদের হত্যা করছে তারা যেমন উগ্রবাদী, তেমনি যারা পবিত্র কোরআন, হজরত মুহাম্মদ (সা.) বা ধর্মের বিরুদ্ধে কুৎসিত ভাষায় যুক্তিহীন আক্রমণ করে লেখে, তারাও উগ্রবাদী। তাদের ওপর ডিবির নজরদারি রয়েছে। ২০১৩ সালে চারজন ব্লগারকে গ্রেপ্তারের কথাও উল্লেখ করেন তিনি।
হত্যার দায় স্বীকার করে পাঠানো ই–মেইল প্রসঙ্গে মনিরুল বলেন, নতুন খোলা একটি ই–মেইল ও ফেসবুক আইডি থেকে বার্তা পাঠিয়ে দায় স্বীকার করা হয়েছে। এগুলোর ব্যবহারকারীদের ধরতে পারলে বোঝা যাবে, হত্যাকারীদের সঙ্গে তাদের সম্পর্ক রয়েছে কি না।
দাপ্তরিকভাবে মামলার তদন্তভার পাওয়ার পর গতকাল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন ডিবির কর্মকর্তারা। দুপুরে ঢাকা মহানগর পুলিশের মিডিয়া সেন্টারে অনির্ধারিত সংবাদ ব্রিফিংয়ে ডিবির যুগ্ম কমিশনার মনিরুল ইসলাম বলেন, গত রোববার মামলাটির তদন্তভার ডিবিতে এসেছে। গতকাল সকাল ৯টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত গোড়ানের ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন কর্মকর্তারা। তাঁরা ঘটনাস্থল ও আশপাশের লোকজনের সঙ্গে কথা বলেছেন। গুপ্তচরেরা কাজ করছেন, প্রযুক্তিগতভাবে ও আলামত বিশ্লেষণ করেও অপরাধীদের শনাক্ত করার চেষ্টা চলছে।
গত শুক্রবার গোড়ানে ভাড়া বাসায় খুন হন ব্লগার নীলাদ্রি চট্টোপাধ্যায়। ওই দিন রাতেই তাঁর স্ত্রী আশা মনি অজ্ঞাতনামা চারজনের বিরুদ্ধে খিলগাঁও থানায় মামলা করেন। গতকাল পর্যন্ত এ মামলায় কাউকে আটক বা গ্রেপ্তার করা হয়নি বলে জানান মনিরুল ইসলাম।
মনিরুল ইসলাম বলেন, হত্যাকাণ্ডের পর ঘটনাস্থল থেকে সংগৃহীত আলামত পরীক্ষার জন্য সিআইডির ফরেনসিক ও ডিএনএ ল্যাবে পাঠানো হবে। ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করা রক্তমাখা টি–শার্টটি ডিএনএ পরীক্ষার জন্য সিআইডির ডিএনএ পরীক্ষাগারে পাঠানো হবে। তিনি বলেন, অভিজিৎ হত্যার আলামত পরীক্ষার জন্য যুক্তরাষ্ট্রে এফবিআইয়ের পরীক্ষাগারে পাঠানো হয়েছিল। দীর্ঘসূত্রতার কারণে সেই আলামত পরীক্ষার প্রতিবেদন এখনো মেলেনি। রোববার এফবিআই প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকেও এ বিষয়ে তাগাদা দেওয়া হয়েছে। তাঁরা বলেছেন, এখনো পরীক্ষার কাজ শেষ হয়নি। এবার দ্রুততম সময়ের মধ্যে ফল পাওয়ার জন্য সিআইডির পরীক্ষাগারে আলামত পাঠানো হবে।
মনিরুল বলেন, লেখক অভিজিৎ রায় যেহেতু যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক, তাই এফবিআই মূলত ওই হত্যা মামলার তদন্তে আগ্রহী। নীলাদ্রির মামলা থেকে অভিজিতের মামলার কোনো সূত্র মিলতে পারে, সে কারণে তাঁরা এই মামলায় আগ্রহ দেখিয়েছেন। তাঁরা অন্য কারিগরি সহযোগিতাও দিতে চেয়েছেন। তিনি বলেন, এর আগে আনসার আল ইসলাম বা এর কাছাকাছি নামে তিনটি হত্যার দায় স্বীকার করা হয়েছে। ডিবির ধারণা, আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের ছোট গ্রুপ বা সেল এসব কাজ করছে।
এর আগে গ্রেপ্তার হওয়া আনসারুল্লাহর সদস্যরা কি কোনো তালিকার কথা বলেছেন—এ প্রশ্নে মনিরুল বলেন, আনসারুল্লাহ বাংলা টিম ক্ষুদ্র দলে (স্লিপার সেল) বিভক্ত হয়ে কাজ করে। এক সেলের সদস্যরা অন্য সেলের তথ্য বা পুরো কর্মপরিকল্পনা সম্পর্কে কোনো ধারণা পায় না। তিনি বলেন, যারা ব্লগারদের হত্যা করছে তারা যেমন উগ্রবাদী, তেমনি যারা পবিত্র কোরআন, হজরত মুহাম্মদ (সা.) বা ধর্মের বিরুদ্ধে কুৎসিত ভাষায় যুক্তিহীন আক্রমণ করে লেখে, তারাও উগ্রবাদী। তাদের ওপর ডিবির নজরদারি রয়েছে। ২০১৩ সালে চারজন ব্লগারকে গ্রেপ্তারের কথাও উল্লেখ করেন তিনি।
হত্যার দায় স্বীকার করে পাঠানো ই–মেইল প্রসঙ্গে মনিরুল বলেন, নতুন খোলা একটি ই–মেইল ও ফেসবুক আইডি থেকে বার্তা পাঠিয়ে দায় স্বীকার করা হয়েছে। এগুলোর ব্যবহারকারীদের ধরতে পারলে বোঝা যাবে, হত্যাকারীদের সঙ্গে তাদের সম্পর্ক রয়েছে কি না।
Goti?
ReplyDelete