মরা মৌমাছি দিয়ে ‘ওষুধ’ তৈরি!
ডায়রিয়া,
আমাশয়, সর্দি, কাশিসহ বিভিন্ন রোগের ‘ওষুধ’ তৈরি করেন তিনি। আর তা তৈরি
করা হয় ‘মরা মৌমাছি ফর্মুলায়’। রাজধানীর যাত্রাবাড়ীর কাজীরগাঁও এলাকায়
সোমবার এমন একটি কারখানার সন্ধান পেয়েছে র্যাব।
মৌমাছি দিয়ে ওষুধ তৈরির দায়ে কারখানার মালিক বুলবুল আহমেদকে (৪০) দুই বছরের কারাদণ্ড ও দুই লাখ টাকা জরিমানা করেন র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলম।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে সারওয়ার আলম প্রথম আলোকে বলেন, আজ দুপুর ১২টার দিকে যাত্রাবাড়ীর কাজীরগাঁও এলাকায় পদ্মা হোমিও ল্যাবরেটরিজ নামের একটি কারখানায় অভিযান চালান র্যাব-১০-এর ভ্রাম্যমাণ আদালত। সাততলা ভবনের প্রথম, দ্বিতীয় ও সপ্তম তলায় কারখানাটির অবস্থান। এই তিনতলায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে ছিল অসংখ্য ওষুধ, ওষুধের প্যাকেট ও বিভিন্ন কাঁচামাল। অভিযানের সময় কারখানার মালিক বুলবুল আহমেদ ভেতরে ছিলেন। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি জানান, মৌমাছি দিয়েই ওষুধ তৈরি করেন তিনি। এ কথা শুনে অভিযানকারী দল অবাক হয়ে যায়।
ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলম আরও বলেন, কারখানায় এক জায়গায় রাখা হয়েছে কিছু মরা মৌমাছি। জিজ্ঞাসাবাদে বুলবুল জানান, তিনি মৌমাছি সংগ্রহ করে তা বস্তাচাপা দিয়ে মেরে ফেলেন। এরপর তা পিষে আমলকী, হরীতকী ও অ্যালকোহলের সঙ্গে মিশিয়ে প্রায় ৪০ ধরনের ওষুধ তৈরি করেন। তাঁর কারখানায় শারীরিক দুর্বলতা, ডায়রিয়া, আমাশয়, গ্যাস্ট্রিক, সর্দি-কাশিসহ বিভিন্ন রোগের ওষুধ তৈরি হয়। ওষুধগুলোর উল্লেখযোগ্য নাম হলো আলফা লাপা, ওসুকা, জাস্টিসিয়া, ইফিনেসিয়া, ডিলফেন সেক্স বর্ধক, সানবোনেরিয়া, একোনাইটন্যাপ, আয়োডাব, রাসটস্ক, লিকুরিন, গ্যাস্টোকিয়ার, এফএস, আমলকী প্লাস, হলারিনা, কমো ক্লেরিয়া ও নিগামডিয়াম।
ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার বলেন, কারখানার নাম হোমিও দেওয়া হলেও মূলত আয়ুর্বেদিক ও কয়েকটি অ্যালোপ্যাথিক ট্যাবলেট তৈরি করছিলেন বুলবুল। কর দেওয়ার ক্ষেত্রে বাড়তি সুবিধা আদায়ের জন্য তিনি কারখানার নাম ‘হোমিও’ দিয়েছেন। কিন্তু তারও কোনো অনুমোদন নেই। যে ‘মৌমাছি ফর্মুলায়’ ওষুধ তৈরি করা হচ্ছে, তাও ভয়ংকর ও উদ্ভট। তা ছাড়া ওষুধ তৈরিতে তাঁর কোনো শিক্ষাগত যোগ্যতাও নেই। শুধু রাজধানীর কারওয়ান বাজারে সোনারগাঁও হোটেলের বিপরীত পাশে একটি আয়ুর্বেদিক প্রতিষ্ঠানে দুই বছর তিনি চাকরি করেছেন।
ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলম বলেন, বুলবুলকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে, বিভিন্ন এলাকা থেকে মৌমাছি সংগ্রহের জন্য তাঁর কয়েকজন লোক আছে। তাঁর কারখানায় কয়েকটি বস্তায় থাকা আমলকী পচে গেছে। হরীতকীগুলোরও একই অবস্থা। আবার মৌমাছি, আমলকী ও হরীতকী মিশিয়ে তৈরি দ্রব্য থেকেও বের হচ্ছিল উৎকট গন্ধ। তিনি আরও বলেন, ‘আমি জীবনে অনেক ওষুধ কারখানায় অভিযান চালিয়েছি, কিন্তু মৌমাছি দিয়ে ওষুধ তৈরির কারবার দেখলাম এই প্রথম। জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল, মৌমাছি দিয়ে ওষুধ তৈরির ফর্মুলা তিনি কোথায় পেয়েছেন। উত্তরে শুধু বলেছেন, “এটা ভালো”। কিন্তু কীভাবে ভালো তা জিজ্ঞেস করা হলে তিনি আর কোনো উত্তর দিতে পারেননি।’
মৌমাছি দিয়ে ওষুধ তৈরির দায়ে কারখানার মালিক বুলবুল আহমেদকে (৪০) দুই বছরের কারাদণ্ড ও দুই লাখ টাকা জরিমানা করেন র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলম।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে সারওয়ার আলম প্রথম আলোকে বলেন, আজ দুপুর ১২টার দিকে যাত্রাবাড়ীর কাজীরগাঁও এলাকায় পদ্মা হোমিও ল্যাবরেটরিজ নামের একটি কারখানায় অভিযান চালান র্যাব-১০-এর ভ্রাম্যমাণ আদালত। সাততলা ভবনের প্রথম, দ্বিতীয় ও সপ্তম তলায় কারখানাটির অবস্থান। এই তিনতলায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে ছিল অসংখ্য ওষুধ, ওষুধের প্যাকেট ও বিভিন্ন কাঁচামাল। অভিযানের সময় কারখানার মালিক বুলবুল আহমেদ ভেতরে ছিলেন। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি জানান, মৌমাছি দিয়েই ওষুধ তৈরি করেন তিনি। এ কথা শুনে অভিযানকারী দল অবাক হয়ে যায়।
ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলম আরও বলেন, কারখানায় এক জায়গায় রাখা হয়েছে কিছু মরা মৌমাছি। জিজ্ঞাসাবাদে বুলবুল জানান, তিনি মৌমাছি সংগ্রহ করে তা বস্তাচাপা দিয়ে মেরে ফেলেন। এরপর তা পিষে আমলকী, হরীতকী ও অ্যালকোহলের সঙ্গে মিশিয়ে প্রায় ৪০ ধরনের ওষুধ তৈরি করেন। তাঁর কারখানায় শারীরিক দুর্বলতা, ডায়রিয়া, আমাশয়, গ্যাস্ট্রিক, সর্দি-কাশিসহ বিভিন্ন রোগের ওষুধ তৈরি হয়। ওষুধগুলোর উল্লেখযোগ্য নাম হলো আলফা লাপা, ওসুকা, জাস্টিসিয়া, ইফিনেসিয়া, ডিলফেন সেক্স বর্ধক, সানবোনেরিয়া, একোনাইটন্যাপ, আয়োডাব, রাসটস্ক, লিকুরিন, গ্যাস্টোকিয়ার, এফএস, আমলকী প্লাস, হলারিনা, কমো ক্লেরিয়া ও নিগামডিয়াম।
ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার বলেন, কারখানার নাম হোমিও দেওয়া হলেও মূলত আয়ুর্বেদিক ও কয়েকটি অ্যালোপ্যাথিক ট্যাবলেট তৈরি করছিলেন বুলবুল। কর দেওয়ার ক্ষেত্রে বাড়তি সুবিধা আদায়ের জন্য তিনি কারখানার নাম ‘হোমিও’ দিয়েছেন। কিন্তু তারও কোনো অনুমোদন নেই। যে ‘মৌমাছি ফর্মুলায়’ ওষুধ তৈরি করা হচ্ছে, তাও ভয়ংকর ও উদ্ভট। তা ছাড়া ওষুধ তৈরিতে তাঁর কোনো শিক্ষাগত যোগ্যতাও নেই। শুধু রাজধানীর কারওয়ান বাজারে সোনারগাঁও হোটেলের বিপরীত পাশে একটি আয়ুর্বেদিক প্রতিষ্ঠানে দুই বছর তিনি চাকরি করেছেন।
ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলম বলেন, বুলবুলকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে, বিভিন্ন এলাকা থেকে মৌমাছি সংগ্রহের জন্য তাঁর কয়েকজন লোক আছে। তাঁর কারখানায় কয়েকটি বস্তায় থাকা আমলকী পচে গেছে। হরীতকীগুলোরও একই অবস্থা। আবার মৌমাছি, আমলকী ও হরীতকী মিশিয়ে তৈরি দ্রব্য থেকেও বের হচ্ছিল উৎকট গন্ধ। তিনি আরও বলেন, ‘আমি জীবনে অনেক ওষুধ কারখানায় অভিযান চালিয়েছি, কিন্তু মৌমাছি দিয়ে ওষুধ তৈরির কারবার দেখলাম এই প্রথম। জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল, মৌমাছি দিয়ে ওষুধ তৈরির ফর্মুলা তিনি কোথায় পেয়েছেন। উত্তরে শুধু বলেছেন, “এটা ভালো”। কিন্তু কীভাবে ভালো তা জিজ্ঞেস করা হলে তিনি আর কোনো উত্তর দিতে পারেননি।’
No comments