‘যুক্তরাষ্ট্রে শুল্ক-কোটামুক্ত পণ্য প্রবেশের যৌক্তিকতা আছে’
যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাবশালী কংগ্রেসওম্যান ক্যারোলিন বি. ম্যালোনি আমেরিকার বাজারে বাংলাদেশি পণ্যের শুল্ক ও কোটামুক্ত প্রবেশের দীর্ঘদিনের দাবির যথার্থতা সমর্থন করেছেন। যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন গতকাল সোমবার নিউইয়র্ক ম্যানহাটনে কংগ্রেসওম্যানের অফিসে ম্যালোনির সঙ্গে এক বৈঠকে মিলিত হলে তিনি এই সমর্থনের কথা জানান।
ওয়াশিংটন ডিসির বাংলাদেশ দূতাবাস থেকে আজ মঙ্গলবার ঢাকায় পাঠানো এক বার্তায় এ কথা বলা হয়। খবর বাসসের।
ম্যালোনি উগ্র-ধর্মীয় কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে বর্তমান বাংলাদেশ সরকারের লড়াই এবং বর্তমান গণতান্ত্রিক পরিবেশে নারীর ক্ষমতায়নের প্রশংসা করেন।
ম্যালোনি বলেন, বাংলাদেশ একটি গণতান্ত্রিক দেশ। বর্তমানে যখন দেশটি সন্ত্রাসবাদ এবং ধর্মীয় উগ্রবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করছে তখন কেন তারা যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে শুল্ক ও কোটামুক্ত প্রবেশাধিকার পাবে না?
ম্যালোনি বাংলাদেশ ককাসের একজন সদস্য। বাংলাদেশি রাষ্ট্রদূতকে তিনি জানান, ককাসের অন্য সদস্যদের সঙ্গে নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র প্রশাসনের কাছে বিষয়টি তুলে ধরা হবে, যাতে বাংলাদেশ দেশটিতে বিশেষ বাণিজ্যিক সুবিধা পেতে পারে।
প্রায় ৩০ মিনিট স্থায়ী বৈঠকে রাষ্ট্রদূত জিয়াউদ্দিন বাংলাদেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ধর্মীয় উগ্রবাদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স, নারী ক্ষমতায়ন, দ্বিপক্ষীয় ব্যবসা-বাণিজ্য এবং বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্রের বহুমুখী সহযোগিতাসহ বিভিন্ন স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট বিষয়ে ম্যালোনিকে অবহিত করেন।
দূতাবাসের প্রেস মিনিস্টার শামিম আহমদ এবং কাউন্সিলর (রাজনৈতিক) নাঈম আহমেদ বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
রাষ্ট্রদূত জিয়াউদ্দিন বলেন, বাংলাদেশে এখন শান্তি ও স্থিতিশীলতা বিরাজ করছে এবং দেশে বৈদেশিক বিনিয়োগ ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পাচ্ছে। বাংলাদেশ এখন একটি মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হওয়ার দোরগোড়ায় উপস্থিত বলে তিনি উল্লেখ করেন।
জিয়াউদ্দিন বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে বাংলাদেশের রপ্তানি পণ্য বিশেষ বাণিজ্যিক সুবিধা পাওয়ার যোগ্যতা রাখে। যা চূড়ান্তভাবে নারীর ক্ষমতায়নের অবদান রাখবে।
রাষ্ট্রদূত আরও বলেন, বর্তমানে ঢাকা এবং ওয়াশিংটনের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক প্রসারিত এবং গভীর হচ্ছে এবং পার্টনারশিপ ডায়ালগ, সিকিউরিটি ডায়ালগ এবং টিকফা বাস্তবায়নে দু’দেশের সম্পর্ক আরও প্রসারিত করছে।
কংগ্রেসওম্যান ম্যালোনি জানতে চান, কেন বাংলাদেশ সরকার এই সকল ধর্মীয় উগ্রবাদী দলগুলোকে পরিহার করছে না। উত্তরে রাষ্ট্রদূত জিয়াউদ্দিন বলেন যে, বিষয়টি সরকারের সক্রিয় চিন্তা-ভাবনায় রয়েছে।
রাষ্ট্রদূত জিয়াউদ্দিন ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের সংঘটিত ইতিহাসের কলঙ্কজনক হত্যাকাণ্ড সম্পর্কে কংগ্রেসওম্যান ম্যালোনিকে অবহিত করেন। তিনি বলেন, ওই কালোরাতে বাংলাদেশের জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং তাঁর পরিবারের প্রায় সকল সদস্যকে হত্যা করা হয়। বিদেশে অবস্থান করায় বঙ্গবন্ধুর দুই মেয়ে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তাঁর ছোট বোন শেখ রেহানা প্রাণে বেঁচে যান। কংগ্রেসওম্যান ম্যালোনি এই মর্মান্তিক ঘটনা শোনার পর বাহ্যত শোকাহত হয়ে পড়েন এবং বলেন ‘‘কী মর্মান্তিক ঘটনা’!
তিনি আসন্ন জাতিসংঘ অধিবেশন চলাকালীন সময়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে সাক্ষাৎ করার অভিপ্রায় ব্যক্ত করেন।
কংগ্রেসওম্যান ম্যালোনি অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিকভাবে বাংলাদেশে নারীর ক্ষমতায়ন সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রীর সার্বিক প্রচেষ্টার প্রশংসা করেন।
ওয়াশিংটন ডিসির বাংলাদেশ দূতাবাস থেকে আজ মঙ্গলবার ঢাকায় পাঠানো এক বার্তায় এ কথা বলা হয়। খবর বাসসের।
ম্যালোনি উগ্র-ধর্মীয় কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে বর্তমান বাংলাদেশ সরকারের লড়াই এবং বর্তমান গণতান্ত্রিক পরিবেশে নারীর ক্ষমতায়নের প্রশংসা করেন।
ম্যালোনি বলেন, বাংলাদেশ একটি গণতান্ত্রিক দেশ। বর্তমানে যখন দেশটি সন্ত্রাসবাদ এবং ধর্মীয় উগ্রবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করছে তখন কেন তারা যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে শুল্ক ও কোটামুক্ত প্রবেশাধিকার পাবে না?
ম্যালোনি বাংলাদেশ ককাসের একজন সদস্য। বাংলাদেশি রাষ্ট্রদূতকে তিনি জানান, ককাসের অন্য সদস্যদের সঙ্গে নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র প্রশাসনের কাছে বিষয়টি তুলে ধরা হবে, যাতে বাংলাদেশ দেশটিতে বিশেষ বাণিজ্যিক সুবিধা পেতে পারে।
প্রায় ৩০ মিনিট স্থায়ী বৈঠকে রাষ্ট্রদূত জিয়াউদ্দিন বাংলাদেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ধর্মীয় উগ্রবাদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স, নারী ক্ষমতায়ন, দ্বিপক্ষীয় ব্যবসা-বাণিজ্য এবং বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্রের বহুমুখী সহযোগিতাসহ বিভিন্ন স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট বিষয়ে ম্যালোনিকে অবহিত করেন।
দূতাবাসের প্রেস মিনিস্টার শামিম আহমদ এবং কাউন্সিলর (রাজনৈতিক) নাঈম আহমেদ বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
রাষ্ট্রদূত জিয়াউদ্দিন বলেন, বাংলাদেশে এখন শান্তি ও স্থিতিশীলতা বিরাজ করছে এবং দেশে বৈদেশিক বিনিয়োগ ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পাচ্ছে। বাংলাদেশ এখন একটি মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হওয়ার দোরগোড়ায় উপস্থিত বলে তিনি উল্লেখ করেন।
জিয়াউদ্দিন বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে বাংলাদেশের রপ্তানি পণ্য বিশেষ বাণিজ্যিক সুবিধা পাওয়ার যোগ্যতা রাখে। যা চূড়ান্তভাবে নারীর ক্ষমতায়নের অবদান রাখবে।
রাষ্ট্রদূত আরও বলেন, বর্তমানে ঢাকা এবং ওয়াশিংটনের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক প্রসারিত এবং গভীর হচ্ছে এবং পার্টনারশিপ ডায়ালগ, সিকিউরিটি ডায়ালগ এবং টিকফা বাস্তবায়নে দু’দেশের সম্পর্ক আরও প্রসারিত করছে।
কংগ্রেসওম্যান ম্যালোনি জানতে চান, কেন বাংলাদেশ সরকার এই সকল ধর্মীয় উগ্রবাদী দলগুলোকে পরিহার করছে না। উত্তরে রাষ্ট্রদূত জিয়াউদ্দিন বলেন যে, বিষয়টি সরকারের সক্রিয় চিন্তা-ভাবনায় রয়েছে।
রাষ্ট্রদূত জিয়াউদ্দিন ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের সংঘটিত ইতিহাসের কলঙ্কজনক হত্যাকাণ্ড সম্পর্কে কংগ্রেসওম্যান ম্যালোনিকে অবহিত করেন। তিনি বলেন, ওই কালোরাতে বাংলাদেশের জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং তাঁর পরিবারের প্রায় সকল সদস্যকে হত্যা করা হয়। বিদেশে অবস্থান করায় বঙ্গবন্ধুর দুই মেয়ে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তাঁর ছোট বোন শেখ রেহানা প্রাণে বেঁচে যান। কংগ্রেসওম্যান ম্যালোনি এই মর্মান্তিক ঘটনা শোনার পর বাহ্যত শোকাহত হয়ে পড়েন এবং বলেন ‘‘কী মর্মান্তিক ঘটনা’!
তিনি আসন্ন জাতিসংঘ অধিবেশন চলাকালীন সময়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে সাক্ষাৎ করার অভিপ্রায় ব্যক্ত করেন।
কংগ্রেসওম্যান ম্যালোনি অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিকভাবে বাংলাদেশে নারীর ক্ষমতায়ন সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রীর সার্বিক প্রচেষ্টার প্রশংসা করেন।
No comments