নেতা কর্মীদের ‘খাই খাই’ ছাড়তে বললেন আশরাফ
জনপ্রশাসন
মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন, ১৯৭৫
সালের ১৫ আগস্ট সপরিবারে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার জন্য ‘একটা পরিবেশ’ সৃষ্টি করা
হয়েছিল। সেই ‘পরিবেশ’ আবার যাতে সৃষ্ট না হয় সে জন্য নেতা কর্মীদের ‘খাই
খাই স্বভাব’ ছাড়তে হবে। তাঁদের আরও সতর্ক থাকতে হবে। মঙ্গলবার রাজধানীর
ধানমন্ডির ৩২ নম্বর সড়কের পাশে আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ আয়োজিত শোক দিবসের
আলোচনা সভায় সৈয়দ আশরাফ এ কথা বলেন।
আশরাফ বলেন, ‘এই ১৫ আগস্টের ঘটনা সম্পূর্ণ ভিন্ন। এই কারণেই আমি মাঝে মাঝে আতঙ্কিত হই। শেখ হাসিনা এখন বাংলাদেশ ও আওয়ামী লীগের হাল ধরেছেন। বহু শক্তি আছে, বহু শক্তি আছে; শেখ হাসিনার মঙ্গল হোক সেটা কামনা করেন না। আমি একটাই অনুরোধ রাখব—আসুন আরেকটু সতর্ক হই।’ তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুকে হত্যার জন্য একটা পরিবেশ সৃষ্টি করা হয়েছিল। সেই পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছিল বলেই, তাঁকে হত্যার সুযোগ হয়।’ তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষতিগ্রস্ত হন, দল ক্ষতিগ্রস্ত হয়; নেতা কর্মীরা যেন এমন পরিবেশ সৃষ্টি না করেন।
দলের নেতা-কর্মীদের উদ্দেশ করে সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম বলেন, ‘ক্ষমতার স্বাদ ভবিষ্যতেও পাবেন। কিন্তু এই যে খাই খাই করা; দলকে খাটো করা; প্রধানমন্ত্রীকে খাটো করা; নিজেকে খাটো করা;—এই অভ্যাসগুলো ছাড়তে হবে।’
আশরাফ বলেন, ‘অনেক দেশের প্রধানমন্ত্রীকে হত্যা করা হয়েছে। এইভাবে তাঁর (বঙ্গবন্ধু) স্ত্রী, তাঁর ছেলে সমস্ত বংশকে নির্বংশ করে দেওয়ার যে হত্যাকাণ্ড, এই বর্বরতার কোনো সীমা নাই।’
৭৫ সালের ঘটনার প্রেক্ষাপট তুলে ধরে সৈয়দ আশরাফ বলেন, ‘আমরা বাঙালি জাতি কি ওই সময় ছিলাম না? বঙ্গবন্ধুর অনুসারীরা ছিল না? আমাদের সেনাবাহিনী, বিমানবাহিনী, নৌবাহিনী কি ছিল না? আমাদের রাজনৈতিক দল ছিল না? ছাত্রলীগ, আওয়ামী লীগ ছিল না? তো কোথায় ছিলেন? এই ঘটনা ঘটতে পারে তা কি আন্দাজ করা যায় নাই? গোয়েন্দা সংস্থারাই বা কী করল? এ ধরনের ঘটনা ঘটতে পারত, তার তথ্য নিতে পারত, নেয় নাই। এটা গোয়েন্দা সংস্থা জানে না, পুলিশ জানে না, দলও জানে না, দেশের মানুষেরা জেনেছে—এটা তো হতে পারে না। আমি মনে করি, এর পেছনে একটা গভীর ষড়যন্ত্র আছে।’
আশরাফ বলেন, যারা এখন পর্যন্ত এসব চেষ্টায় লিপ্ত আছে, তাঁদের স্বরূপ উদ্ঘাটন করা যাবে। এসবের পেছনে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক শক্তি রয়েছে বলে মনে করেন তিনি।
সৈয়দ আশরাফ বলেন, ‘যখন আমাদের মধ্যে শৃঙ্খলা থাকে না; যখন আমরা আমাদের ওপর বিশ্বাস রাখি না; তখনই কেবল এই ধরনের ঘটনা ঘটতে পারে। আমি আজকের এই অনুষ্ঠানের মাধ্যমে আওয়ামী পরিবারের সবাইকে অনুরোধ করব-আপনারা সোচ্চার থাকুন। সব সময় অ্যালার্ট থাকবেন। আমাদের যেকোনো পরিবেশ মোকাবিলার জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে।’
আশরাফ বলেন, ‘আমি কোনো দল, সংগঠন কিংবা গ্রুপকে ইঙ্গিত করে কথাগুলো বলছি না। আমি আপনাদেরই উদ্দেশ করে বলছি। আমাদের কি ১৫ আগস্টে ব্যর্থতা ছিল না? এত বড় একটা দল; আমরাতো বঙ্গবন্ধুকে রক্ষা করতে পারি নাই। যদি আবার এ ধরনের ঘটনা ঘটে আমরা কি পারব? দ্বিতীয়বার এ ঘটনার জন্য আমরা প্রস্তুত? আমার মনে হয় তো না। দল ক্ষমতায় থাকলে কিছু হবে না। ১৯৭৫ সালেও তো দল ক্ষমতায় ছিল। রক্ষা করতে পারছে ক্ষমতা? সুতরাং এখানে আমি আপনাদের আরেকটু সজাগ থাকতে বলব। এখন আরেকটু সতর্ক হতে হবে। আমি যে কথাগুলো বলছি-তা একটু গুরুত্ব দিয়েন। আমি কী কথা বলছি সেটা অনুধাবন করলেই আপনারা বুঝতে পারবেন।’
স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মোল্লা মো. আবু কাওছারের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের একাংশের সভাপতি মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপক বিশ্বজিত ঘোষ, স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক পঙ্কজ দেবনাথ, সহসভাপতি মতিউর রহমান, তানভীর শাকিল প্রমুখ।
আশরাফ বলেন, ‘এই ১৫ আগস্টের ঘটনা সম্পূর্ণ ভিন্ন। এই কারণেই আমি মাঝে মাঝে আতঙ্কিত হই। শেখ হাসিনা এখন বাংলাদেশ ও আওয়ামী লীগের হাল ধরেছেন। বহু শক্তি আছে, বহু শক্তি আছে; শেখ হাসিনার মঙ্গল হোক সেটা কামনা করেন না। আমি একটাই অনুরোধ রাখব—আসুন আরেকটু সতর্ক হই।’ তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুকে হত্যার জন্য একটা পরিবেশ সৃষ্টি করা হয়েছিল। সেই পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছিল বলেই, তাঁকে হত্যার সুযোগ হয়।’ তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষতিগ্রস্ত হন, দল ক্ষতিগ্রস্ত হয়; নেতা কর্মীরা যেন এমন পরিবেশ সৃষ্টি না করেন।
দলের নেতা-কর্মীদের উদ্দেশ করে সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম বলেন, ‘ক্ষমতার স্বাদ ভবিষ্যতেও পাবেন। কিন্তু এই যে খাই খাই করা; দলকে খাটো করা; প্রধানমন্ত্রীকে খাটো করা; নিজেকে খাটো করা;—এই অভ্যাসগুলো ছাড়তে হবে।’
আশরাফ বলেন, ‘অনেক দেশের প্রধানমন্ত্রীকে হত্যা করা হয়েছে। এইভাবে তাঁর (বঙ্গবন্ধু) স্ত্রী, তাঁর ছেলে সমস্ত বংশকে নির্বংশ করে দেওয়ার যে হত্যাকাণ্ড, এই বর্বরতার কোনো সীমা নাই।’
৭৫ সালের ঘটনার প্রেক্ষাপট তুলে ধরে সৈয়দ আশরাফ বলেন, ‘আমরা বাঙালি জাতি কি ওই সময় ছিলাম না? বঙ্গবন্ধুর অনুসারীরা ছিল না? আমাদের সেনাবাহিনী, বিমানবাহিনী, নৌবাহিনী কি ছিল না? আমাদের রাজনৈতিক দল ছিল না? ছাত্রলীগ, আওয়ামী লীগ ছিল না? তো কোথায় ছিলেন? এই ঘটনা ঘটতে পারে তা কি আন্দাজ করা যায় নাই? গোয়েন্দা সংস্থারাই বা কী করল? এ ধরনের ঘটনা ঘটতে পারত, তার তথ্য নিতে পারত, নেয় নাই। এটা গোয়েন্দা সংস্থা জানে না, পুলিশ জানে না, দলও জানে না, দেশের মানুষেরা জেনেছে—এটা তো হতে পারে না। আমি মনে করি, এর পেছনে একটা গভীর ষড়যন্ত্র আছে।’
আশরাফ বলেন, যারা এখন পর্যন্ত এসব চেষ্টায় লিপ্ত আছে, তাঁদের স্বরূপ উদ্ঘাটন করা যাবে। এসবের পেছনে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক শক্তি রয়েছে বলে মনে করেন তিনি।
সৈয়দ আশরাফ বলেন, ‘যখন আমাদের মধ্যে শৃঙ্খলা থাকে না; যখন আমরা আমাদের ওপর বিশ্বাস রাখি না; তখনই কেবল এই ধরনের ঘটনা ঘটতে পারে। আমি আজকের এই অনুষ্ঠানের মাধ্যমে আওয়ামী পরিবারের সবাইকে অনুরোধ করব-আপনারা সোচ্চার থাকুন। সব সময় অ্যালার্ট থাকবেন। আমাদের যেকোনো পরিবেশ মোকাবিলার জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে।’
আশরাফ বলেন, ‘আমি কোনো দল, সংগঠন কিংবা গ্রুপকে ইঙ্গিত করে কথাগুলো বলছি না। আমি আপনাদেরই উদ্দেশ করে বলছি। আমাদের কি ১৫ আগস্টে ব্যর্থতা ছিল না? এত বড় একটা দল; আমরাতো বঙ্গবন্ধুকে রক্ষা করতে পারি নাই। যদি আবার এ ধরনের ঘটনা ঘটে আমরা কি পারব? দ্বিতীয়বার এ ঘটনার জন্য আমরা প্রস্তুত? আমার মনে হয় তো না। দল ক্ষমতায় থাকলে কিছু হবে না। ১৯৭৫ সালেও তো দল ক্ষমতায় ছিল। রক্ষা করতে পারছে ক্ষমতা? সুতরাং এখানে আমি আপনাদের আরেকটু সজাগ থাকতে বলব। এখন আরেকটু সতর্ক হতে হবে। আমি যে কথাগুলো বলছি-তা একটু গুরুত্ব দিয়েন। আমি কী কথা বলছি সেটা অনুধাবন করলেই আপনারা বুঝতে পারবেন।’
স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মোল্লা মো. আবু কাওছারের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের একাংশের সভাপতি মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপক বিশ্বজিত ঘোষ, স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক পঙ্কজ দেবনাথ, সহসভাপতি মতিউর রহমান, তানভীর শাকিল প্রমুখ।
No comments