মহাসড়কে সর্বোচ্চ গতিসীমা ৮০ কি: বাস্তবায়নের পথ খুঁজছে সরকার
মহাসড়কে
যানবাহনের সর্বোচ্চ গতিসীমা ঘণ্টায় ৮০ কিলোমিটার নির্ধারণ করে দেওয়ার
সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের পদ্ধতি খুঁজছে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়।
সড়ক পরিবহন মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, দুই পদ্ধতিতে গতিসীমা নির্ধারণ করার বিষয়টি বিবেচনায় রয়েছে। প্রথম পদ্ধতি হচ্ছে যানবাহনে থাকা স্পিড গভর্নর যন্ত্রে নির্ধারিত গতিসীমা স্থাপন (সিল)। আর দ্বিতীয় পদ্ধতি হচ্ছে গতি পরিমাপক যন্ত্র স্পিডগানের ব্যবহার।
অবশ্য এই দুই পদ্ধতিতে সব ধরনের যানবাহন নিয়ন্ত্রণ করা যাবে না বলেও মনে করছে সংশ্লিষ্ট সূত্রটি। এ জন্য তারা বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষজ্ঞদের মতামত নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। পদ্ধতি চূড়ান্ত করার পর প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে।
এ ছাড়া মোটরযান আইন ১৯৮৩-এ মহানগর ও মহাসড়কে কোন ধরনের যান কত গতিতে চলতে পারবে তা উল্লেখ করে দেওয়া আছে। তাই বর্তমান সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে আইনি কোনো বাধা আছে কি না তা-ও বিবেচনা করছে সড়ক পরিবহন ও মহসড়ক বিভাগ।
জানতে চাইলে গতকাল মঙ্গলবার সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এম এ এন সিদ্দিক প্রথম আলোকে বলেন, আইনি ও কারিগরি দিক পর্যালোচনা করে মহাসড়কে সর্বোচ্চ গতিসীমা ঘণ্টায় ৮০ কিলোমিটার নির্ধারণের পদ্ধতি ঠিক করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে। এর জন্য কিছুদিন সময় লাগবে। সব ধরনের যানবাহনকে এর আওতায় আনার জন্য কোন পদ্ধতি ব্যবহার করা যায় সে বিষয়টি নিয়েই তাঁরা এখন কাজ করছেন।
গত সোমবার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে জাতীয় সড়ক নিরাপত্তা কাউন্সিলের বৈঠকে মহাসড়কে যান চলাচলের সর্বোচ্চ গতিসীমা ঘণ্টায় ৮০ কিলোমিটার নির্ধারণ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এটি বাস্তবায়নের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়কে।
ডিজেলচালিত যানবাহনে (বিশেষত বাস ও ট্রাক) স্পিড গভর্নর নামের একটি যন্ত্র থাকে। এতে নির্দিষ্ট গতিসীমা স্থাপন করে দেওয়া যায়। এটি করা হলে চালক চাইলেও নির্ধারিত গতিসীমার বেশি গতিতে যান চলবে না। বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) বিভিন্ন কার্যালয়ে এভাবে গতিসীমা নির্দিষ্ট করে দেওয়ার ব্যবস্থা আছে। তবে সিএনজি ও পেট্রলচালিত যানবাহনে স্পিড গভর্নর যন্ত্রটি থাকে না। ফলে এই পদ্ধতিতে সব ধরনের যানবাহনের গতিসীমা নির্দিষ্ট করে দেওয়া সম্ভব নয়। এ জন্যেই বিকল্প কোনো ব্যবস্থা আছে কি না তা জানার জন্য বিশেষজ্ঞদের মতামত নেবে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ।
সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ সূত্র জানায়, যানবাহনের গতি পরিমাপের জন্য হাইওয়ে পুলিশকে এর আগে স্পিডগান দেওয়া হয়েছিল। পুলিশের পক্ষ থেকে আরও স্পিডগান কেনার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। কেউ নির্দিষ্ট গতিসীমা অমান্য করলে পুলিশের স্পিডগানে ধরা পড়বে এবং সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়ারও পরিকল্পনা আছে। তবে এটি কতটা কার্যকর হবে তা নিয়ে সড়ক পরিবহন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা সন্দিহান।
জাতীয় সড়ক নিরাপত্তা কাউন্সিল হচ্ছে সড়ক নিরাপত্তা নিশ্চিত করার সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী কর্তৃপক্ষ। সোমবারের বৈঠকে বাংলাদেশ বাস-ট্রাক ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ফারুক তালুকদার বলেন, মহাসড়কে যানবাহনের গতি কমিয়ে দিলে সড়ক দুর্ঘটনা কমে যাবে। তিনি নিজের পরিবহন প্রতিষ্ঠানের উদাহরণ দিয়ে বলেন, আগে তাঁর প্রতিষ্ঠানের চালকেরা ঘণ্টায় ১২০ কিলোমিটার গতিতে বাস চালাতেন। চালকদের সর্বোচ্চ গতিসীমা ঘণ্টায় ৮০ কিলোমিটার বেঁধে দেওয়ার পর ৯৯ শতাংশ দুর্ঘটনাই কমে গেছে। এই বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে মহাসড়কে যানবাহনের সর্বোচ্চ গতিসীমা ঘণ্টায় ৮০ কিলোমিটার নির্ধারণ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
সড়ক পরিবহন মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, দুই পদ্ধতিতে গতিসীমা নির্ধারণ করার বিষয়টি বিবেচনায় রয়েছে। প্রথম পদ্ধতি হচ্ছে যানবাহনে থাকা স্পিড গভর্নর যন্ত্রে নির্ধারিত গতিসীমা স্থাপন (সিল)। আর দ্বিতীয় পদ্ধতি হচ্ছে গতি পরিমাপক যন্ত্র স্পিডগানের ব্যবহার।
অবশ্য এই দুই পদ্ধতিতে সব ধরনের যানবাহন নিয়ন্ত্রণ করা যাবে না বলেও মনে করছে সংশ্লিষ্ট সূত্রটি। এ জন্য তারা বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষজ্ঞদের মতামত নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। পদ্ধতি চূড়ান্ত করার পর প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে।
এ ছাড়া মোটরযান আইন ১৯৮৩-এ মহানগর ও মহাসড়কে কোন ধরনের যান কত গতিতে চলতে পারবে তা উল্লেখ করে দেওয়া আছে। তাই বর্তমান সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে আইনি কোনো বাধা আছে কি না তা-ও বিবেচনা করছে সড়ক পরিবহন ও মহসড়ক বিভাগ।
জানতে চাইলে গতকাল মঙ্গলবার সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এম এ এন সিদ্দিক প্রথম আলোকে বলেন, আইনি ও কারিগরি দিক পর্যালোচনা করে মহাসড়কে সর্বোচ্চ গতিসীমা ঘণ্টায় ৮০ কিলোমিটার নির্ধারণের পদ্ধতি ঠিক করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে। এর জন্য কিছুদিন সময় লাগবে। সব ধরনের যানবাহনকে এর আওতায় আনার জন্য কোন পদ্ধতি ব্যবহার করা যায় সে বিষয়টি নিয়েই তাঁরা এখন কাজ করছেন।
গত সোমবার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে জাতীয় সড়ক নিরাপত্তা কাউন্সিলের বৈঠকে মহাসড়কে যান চলাচলের সর্বোচ্চ গতিসীমা ঘণ্টায় ৮০ কিলোমিটার নির্ধারণ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এটি বাস্তবায়নের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়কে।
ডিজেলচালিত যানবাহনে (বিশেষত বাস ও ট্রাক) স্পিড গভর্নর নামের একটি যন্ত্র থাকে। এতে নির্দিষ্ট গতিসীমা স্থাপন করে দেওয়া যায়। এটি করা হলে চালক চাইলেও নির্ধারিত গতিসীমার বেশি গতিতে যান চলবে না। বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) বিভিন্ন কার্যালয়ে এভাবে গতিসীমা নির্দিষ্ট করে দেওয়ার ব্যবস্থা আছে। তবে সিএনজি ও পেট্রলচালিত যানবাহনে স্পিড গভর্নর যন্ত্রটি থাকে না। ফলে এই পদ্ধতিতে সব ধরনের যানবাহনের গতিসীমা নির্দিষ্ট করে দেওয়া সম্ভব নয়। এ জন্যেই বিকল্প কোনো ব্যবস্থা আছে কি না তা জানার জন্য বিশেষজ্ঞদের মতামত নেবে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ।
সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ সূত্র জানায়, যানবাহনের গতি পরিমাপের জন্য হাইওয়ে পুলিশকে এর আগে স্পিডগান দেওয়া হয়েছিল। পুলিশের পক্ষ থেকে আরও স্পিডগান কেনার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। কেউ নির্দিষ্ট গতিসীমা অমান্য করলে পুলিশের স্পিডগানে ধরা পড়বে এবং সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়ারও পরিকল্পনা আছে। তবে এটি কতটা কার্যকর হবে তা নিয়ে সড়ক পরিবহন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা সন্দিহান।
জাতীয় সড়ক নিরাপত্তা কাউন্সিল হচ্ছে সড়ক নিরাপত্তা নিশ্চিত করার সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী কর্তৃপক্ষ। সোমবারের বৈঠকে বাংলাদেশ বাস-ট্রাক ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ফারুক তালুকদার বলেন, মহাসড়কে যানবাহনের গতি কমিয়ে দিলে সড়ক দুর্ঘটনা কমে যাবে। তিনি নিজের পরিবহন প্রতিষ্ঠানের উদাহরণ দিয়ে বলেন, আগে তাঁর প্রতিষ্ঠানের চালকেরা ঘণ্টায় ১২০ কিলোমিটার গতিতে বাস চালাতেন। চালকদের সর্বোচ্চ গতিসীমা ঘণ্টায় ৮০ কিলোমিটার বেঁধে দেওয়ার পর ৯৯ শতাংশ দুর্ঘটনাই কমে গেছে। এই বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে মহাসড়কে যানবাহনের সর্বোচ্চ গতিসীমা ঘণ্টায় ৮০ কিলোমিটার নির্ধারণ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
No comments