মনে হচ্ছে তিনি আজ এখানে আমার সঙ্গে আছেন -সালমা সোবহানের জন্মজয়ন্তীতে রেহমান সোবহান
ছায়ানট মিলনায়তনে আইন ও সালিশ কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা নির্বাহী পরিচালক সালমা সোবহানের ৭৮তম জন্মজয়ন্তীতে শ্রদ্ধা জানাচ্ছেন অতিথিরা |
রবীন্দ্রনাথ
ও নজরুলের গানের সঙ্গে নাচ, সুফিয়া কামালের কবিতা আবৃত্তি আর একসময়ের
সহকর্মীদের অন্তরঙ্গ স্মৃতিচারণা—সব মিলিয়ে জীবন্ত হয়ে উঠেছিল
অনুষ্ঠানটি। প্রয়াত স্ত্রীর জন্মজয়ন্তী উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানের এই
সুরটি ধরা পড়েছিল অধ্যাপক রেহমান সোবহানের হৃদয়েও। সে কথাই তিনি বললেন
অনুষ্ঠানে দেওয়া বক্তৃতায়।
ব্যারিস্টার সালমা সোবহানের ৭৮তম জন্মজয়ন্তী অনুষ্ঠানে রেহমান সোবহান বললেন, ‘তাঁর জন্মদিন উদ্যাপনের এই অনুষ্ঠানে বসে মনে হচ্ছে তিনি আজ এখানে, আমার সঙ্গে আছেন। এভাবে স্মরণ করা হলে তিনি চিরদিনই আমাদের মধ্যে থাকবেন।’
গতকাল ছায়ানট মিলনায়তনে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক)। প্রতিষ্ঠানটির প্রতিষ্ঠাতা নির্বাহী পরিচালক ছিলেন সালমা সোবহান। দীর্ঘ ১৫ বছর বিনা বেতনে কাজ করেছেন। অনেক চরাই-উতরাই পার করে রচনা করেছেন একটি শক্ত ভিত্তি। সেই ভিত্তির ওপর ডালাপালা মেলে আজ প্রায় মহীরুহ হয়ে উঠেছে আসক। অনুষ্ঠানটি প্রাণবন্ত হয়ে ওঠার বড় কারণ বোধ হয় নাচ-গান-আবৃত্তি। এ সবই করেছে আসকের ‘ড্রপ ইন সেন্টার’-এর ‘যখন-তখন বিদ্যালয়’-এর শিশুরা। বিদ্যালয়গুলো চালু হয়েছে আসক প্রতিষ্ঠার সময়ই, সংস্থাটির শিশু অধিকার ইউনিটের আওতায়।
অনুষ্ঠান শুরু হয় সালমা সোবহান সম্পর্কে আসকের প্রয়াত জ্যেষ্ঠ আইনজীবী দিলরুবা হক পাপিয়া রচিত পঙ্ক্তিমালা পাঠ ও মঙ্গলপ্রদীপ প্রজ্বালনের মধ্য দিয়ে। প্রদীপ প্রজ্বালন করেন উপস্থিত আসক সদস্যরা, নার্গিস আক্তার ও সালমা সোবহানের সন্তান জাফর সোবহান।
এরপর স্মৃতিচারণার ফাঁকে ফাঁকে চলে গান, নাচ, আবৃত্তি। শুরুতে স্মৃতিচারণা করেন আসকের নির্বাহী পরিচালক সুলতানা কামাল। তিনি বলেন, সালমা সোবহানের মতো কোনো মানুষ যখন জন্মান, তখনই একটা করে নতুন দুয়ার খুলে যায়। সেই দুয়ার দিয়ে অনেক সুবিধাবঞ্চিত মানুষের জন্য আলো এসে পৃথিবীতে পড়ে। শুরু হয় সেই আলোর পথে যাত্রা।
সুলতানা কামাল বলেন, দেশ এখন এক দুঃসময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। প্রতিদিন একাধিক মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটছে। সালমা সোবহান বলতেন, মানবাধিকার লঙ্ঘিত হলে প্রত্যেক মানুষকে ক্রোধান্বিত হতে হবে। মানবাধিকার লঙ্ঘন কোনোভাবে সহ্য করা যাবে না। আসক সেই পথেই চলছে। সেই পথেই চলতে হবে।
আসকের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য হামিদা হোসেনের স্মৃতিচারণায় সালমা সোবহান জীবন্ত উপস্থাপিত হন। সালমা সোবহানের সঙ্গে তাঁর পরিচয়, দুজনেরই বাংলাদেশে আসা এবং আসকে একসঙ্গে কাজ করার অনেক অজানা কথা সবিস্তারে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, সালমা আসককে শিশুর মতো আগলে রেখেছেন। তার জন্য একটি শক্ত ভিত্তি তৈরি করেছেন। সংস্থার মধ্যে গণতন্ত্রচর্চা, সবাইকে কথা বলার সুযোগ করে দেওয়া এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটলে ঝাঁপিয়ে পড়া—এগুলো ছিল তাঁর অনন্য বৈশিষ্ট্য।
সালমা সোবহানের জন্মজয়ন্তী উপলক্ষে দুই দিনের কর্মসূচি নিয়েছিল আসক। প্রথম দিন গত সোমবার তাঁর কবরে শ্রদ্ধা নিবেদন ও শিশুদের চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। গতকালের অনুষ্ঠানে সেই প্রতিযোগিতায় বিজয়ী ১০ শিশুকে পুরস্কার দেওয়া হয়।
ব্যারিস্টার সালমা সোবহানের ৭৮তম জন্মজয়ন্তী অনুষ্ঠানে রেহমান সোবহান বললেন, ‘তাঁর জন্মদিন উদ্যাপনের এই অনুষ্ঠানে বসে মনে হচ্ছে তিনি আজ এখানে, আমার সঙ্গে আছেন। এভাবে স্মরণ করা হলে তিনি চিরদিনই আমাদের মধ্যে থাকবেন।’
গতকাল ছায়ানট মিলনায়তনে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক)। প্রতিষ্ঠানটির প্রতিষ্ঠাতা নির্বাহী পরিচালক ছিলেন সালমা সোবহান। দীর্ঘ ১৫ বছর বিনা বেতনে কাজ করেছেন। অনেক চরাই-উতরাই পার করে রচনা করেছেন একটি শক্ত ভিত্তি। সেই ভিত্তির ওপর ডালাপালা মেলে আজ প্রায় মহীরুহ হয়ে উঠেছে আসক। অনুষ্ঠানটি প্রাণবন্ত হয়ে ওঠার বড় কারণ বোধ হয় নাচ-গান-আবৃত্তি। এ সবই করেছে আসকের ‘ড্রপ ইন সেন্টার’-এর ‘যখন-তখন বিদ্যালয়’-এর শিশুরা। বিদ্যালয়গুলো চালু হয়েছে আসক প্রতিষ্ঠার সময়ই, সংস্থাটির শিশু অধিকার ইউনিটের আওতায়।
অনুষ্ঠান শুরু হয় সালমা সোবহান সম্পর্কে আসকের প্রয়াত জ্যেষ্ঠ আইনজীবী দিলরুবা হক পাপিয়া রচিত পঙ্ক্তিমালা পাঠ ও মঙ্গলপ্রদীপ প্রজ্বালনের মধ্য দিয়ে। প্রদীপ প্রজ্বালন করেন উপস্থিত আসক সদস্যরা, নার্গিস আক্তার ও সালমা সোবহানের সন্তান জাফর সোবহান।
এরপর স্মৃতিচারণার ফাঁকে ফাঁকে চলে গান, নাচ, আবৃত্তি। শুরুতে স্মৃতিচারণা করেন আসকের নির্বাহী পরিচালক সুলতানা কামাল। তিনি বলেন, সালমা সোবহানের মতো কোনো মানুষ যখন জন্মান, তখনই একটা করে নতুন দুয়ার খুলে যায়। সেই দুয়ার দিয়ে অনেক সুবিধাবঞ্চিত মানুষের জন্য আলো এসে পৃথিবীতে পড়ে। শুরু হয় সেই আলোর পথে যাত্রা।
সুলতানা কামাল বলেন, দেশ এখন এক দুঃসময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। প্রতিদিন একাধিক মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটছে। সালমা সোবহান বলতেন, মানবাধিকার লঙ্ঘিত হলে প্রত্যেক মানুষকে ক্রোধান্বিত হতে হবে। মানবাধিকার লঙ্ঘন কোনোভাবে সহ্য করা যাবে না। আসক সেই পথেই চলছে। সেই পথেই চলতে হবে।
আসকের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য হামিদা হোসেনের স্মৃতিচারণায় সালমা সোবহান জীবন্ত উপস্থাপিত হন। সালমা সোবহানের সঙ্গে তাঁর পরিচয়, দুজনেরই বাংলাদেশে আসা এবং আসকে একসঙ্গে কাজ করার অনেক অজানা কথা সবিস্তারে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, সালমা আসককে শিশুর মতো আগলে রেখেছেন। তার জন্য একটি শক্ত ভিত্তি তৈরি করেছেন। সংস্থার মধ্যে গণতন্ত্রচর্চা, সবাইকে কথা বলার সুযোগ করে দেওয়া এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটলে ঝাঁপিয়ে পড়া—এগুলো ছিল তাঁর অনন্য বৈশিষ্ট্য।
সালমা সোবহানের জন্মজয়ন্তী উপলক্ষে দুই দিনের কর্মসূচি নিয়েছিল আসক। প্রথম দিন গত সোমবার তাঁর কবরে শ্রদ্ধা নিবেদন ও শিশুদের চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। গতকালের অনুষ্ঠানে সেই প্রতিযোগিতায় বিজয়ী ১০ শিশুকে পুরস্কার দেওয়া হয়।
No comments