রায়গ্রাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে খোলা আকাশের নিচে চলছে পাঠদান
শ্রেণিকক্ষের অভাবে নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার রায়গ্রাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা খোলা আকাশের নিচে পড়াশোনা করছে। ছবিটি সম্প্রতি তোলা l প্রথম আলো |
শ্রেণিকক্ষের
অভাবে নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার নোয়াগ্রাম ইউনিয়নের রায়গ্রাম সরকারি
প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ক্লাস করছে খোলা আকাশের নিচে। বৃষ্টি
হলেই বন্ধ রাখতে হচ্ছে পাঠদান। এতে ব্যাহত হচ্ছে বিদ্যালয়ের শিক্ষা
কার্যক্রম।
সম্প্রতি সরেজমিনে দেখা যায়, বিদ্যালয় চত্বরে পাকা সড়কের পাশে গাছতলায় মাদুর পেতে শিশুশ্রেণির প্রায় ৩০ জন ক্লাস করছে। গাছের পাতার ফাঁক দিয়ে কারও গায়ে রোদ পড়েছে। রাস্তায় যানবাহন চলাচল করায় ধুলাবালি উড়ে এসে শিশুদের গায়ে লাগছে। এ অবস্থায় কখনো দাঁড়িয়ে আবার কখনো বসে পাঠ নিতে হচ্ছে। বৃষ্টি এলেই পাঠদান বন্ধ হয়ে যায়।
বিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, ১৯০১ সালে ৭৯ শতাংশ জমির ওপর এই বিদ্যালয় গড়ে ওঠে। বর্তমানে এখানে ৩২২ জন শিক্ষার্থী ও আটজন শিক্ষক আছেন। বিদ্যালয়ের দুই কক্ষের একটি একতলা ভবন এবং তিন কক্ষের একটি টিনশেড ঘর আছে। ১৯৯২ সালে বিদ্যালয়ের জমিতে গড়ে তোলা হয় আর কে কে জনতা মাধ্যমিক বিদ্যালয় নামে আরেকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।
রায়গ্রাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আজিজুর রহমান বলেন, কক্ষের অভাবে শিশুশ্রেণির শিক্ষার্থীদের খোলা আকাশের নিচে পাঠ দিতে হচ্ছে। এদিকে টিনশেড ঘরের সব কক্ষই সাত-আট বছর ধরে জরাজীর্ণ। দেয়ালে ফাটল ধরেছে। বৃষ্টি হলে চালের ফুটো দিয়ে পানি পড়ে। এ অবস্থাতেই এখানে তিনটি শ্রেণির শিক্ষার্থীদের পাঠদান চলে।
শিক্ষক বিপ্লব কুমার বালা বলেন, এই পরিবেশে শিশুরা পড়ালেখায় মনোযোগ দিতে পারছে না।
লোহাগড়া সহকারী উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মাকসুদুল হক বলেন, এ বিষয়ে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরে লিখিত প্রতিবেদন পাঠানো হয়েছে। শিক্ষার্থীদের পাঠদানের বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দ্রুত ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সম্প্রতি সরেজমিনে দেখা যায়, বিদ্যালয় চত্বরে পাকা সড়কের পাশে গাছতলায় মাদুর পেতে শিশুশ্রেণির প্রায় ৩০ জন ক্লাস করছে। গাছের পাতার ফাঁক দিয়ে কারও গায়ে রোদ পড়েছে। রাস্তায় যানবাহন চলাচল করায় ধুলাবালি উড়ে এসে শিশুদের গায়ে লাগছে। এ অবস্থায় কখনো দাঁড়িয়ে আবার কখনো বসে পাঠ নিতে হচ্ছে। বৃষ্টি এলেই পাঠদান বন্ধ হয়ে যায়।
বিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, ১৯০১ সালে ৭৯ শতাংশ জমির ওপর এই বিদ্যালয় গড়ে ওঠে। বর্তমানে এখানে ৩২২ জন শিক্ষার্থী ও আটজন শিক্ষক আছেন। বিদ্যালয়ের দুই কক্ষের একটি একতলা ভবন এবং তিন কক্ষের একটি টিনশেড ঘর আছে। ১৯৯২ সালে বিদ্যালয়ের জমিতে গড়ে তোলা হয় আর কে কে জনতা মাধ্যমিক বিদ্যালয় নামে আরেকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।
রায়গ্রাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আজিজুর রহমান বলেন, কক্ষের অভাবে শিশুশ্রেণির শিক্ষার্থীদের খোলা আকাশের নিচে পাঠ দিতে হচ্ছে। এদিকে টিনশেড ঘরের সব কক্ষই সাত-আট বছর ধরে জরাজীর্ণ। দেয়ালে ফাটল ধরেছে। বৃষ্টি হলে চালের ফুটো দিয়ে পানি পড়ে। এ অবস্থাতেই এখানে তিনটি শ্রেণির শিক্ষার্থীদের পাঠদান চলে।
শিক্ষক বিপ্লব কুমার বালা বলেন, এই পরিবেশে শিশুরা পড়ালেখায় মনোযোগ দিতে পারছে না।
লোহাগড়া সহকারী উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মাকসুদুল হক বলেন, এ বিষয়ে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরে লিখিত প্রতিবেদন পাঠানো হয়েছে। শিক্ষার্থীদের পাঠদানের বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দ্রুত ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
No comments