‘বিচার না হওয়ায় বাড়ছে এমন ঘটনা’ by সিরাজুস সালেকিন
নারী
নির্যাতন ও যৌন হয়রানির ঘটনা বাড়ার পেছনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর
ব্যর্থতা ও বিচারহীনতাকে দায়ী করেছেন নারী নেত্রীরা। তারা বলছেন, নারীদের
নিরাপত্তা দিতে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা ব্যর্থ হচ্ছে। প্রশাসনের প্রশ্রয়ের
কারণে অপরাধীরা পার পেয়ে যাচ্ছে। বিচার না হওয়ায় তারা নারীদের ওপর আঘাত
করার সাহস পাচ্ছে। তাছাড়া দেশে ইন্টারনেটের অবাধ ব্যবহারের কারণে তরুণ
প্রজন্ম পর্নোগ্রাফিতে আসক্ত হচ্ছে। যার প্রভাব পড়ছে সমাজে। এভাবে চলতে
থাকলে সমাজব্যবস্থা ভেঙে পড়বে। নারীরা রাস্তায় চলাফেলা করতে পারবে না।
গতকাল মানবজমিন-এর সঙ্গে আলাপকালে তারা এসব কথা বলেন। যৌন হয়রানির ঘটনা
বৃৃদ্ধির জন্য পুলিশের ব্যর্থতাকে দায়ী করে নারী প্রগতি সংঘের প্রতিষ্ঠাতা
রোকেয়া কবীর বলেন, আমাদের দেশের বিচারহীনতার সংস্কৃতি গড়ে উঠেছে।
আইনশৃঙ্খলাবাহিনী অপরাধীদের আইনের আওতায় আনছে না। পুলিশের এ ব্যর্থতার
কারণে ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটছে।
অবস্থার পরিবর্তনের জন্য সমাজের সকলকে কাজ করার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, এখন পরিবার থেকে ধর্ষকের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেয়া হয় না। তিরস্কার করা হয় না। সমাজে প্রচলিত সালিশের মাধ্যমে মিটমাট করার প্রবণতা রয়েছে। কমিউনিটির ব্যর্থতা রয়েছে। যেসব ছেলে অপরাধের সঙ্গে জড়িত তাদের শাস্তি দেয়া হচ্ছে না কমিউনিটির পক্ষ থেকে। আগে তাদের একঘরে করে দেয়া হতো। এখন তা করা হয় না। কমিউনিটির প্রত্যেককে এগিয়ে আসতে হবে। রাজনৈতিক দল কর্মসূচি দিয়ে এদের প্রতিহত করতে হবে। সালিশে ৫ থেকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করে এসব সমস্যার সমাধান করা যাবে না। তিনি আরও বলেন, এখন যা ঘটছে এসব আগেও হয়েছে। কিন্তু গণমাধ্যমে রিপোর্ট না হওয়ায় আমরা জানতে পারিনি। মেয়েরা এখন ভোগের পণ্যে পরিণত হয়েছে। বর্তমানে মেয়েদের হয়রানির সুযোগ বেড়েছে। কারণ আগের চেয়ে মেয়েরা ঘরের বাইরে বেশি চলাফেরা করে। নারী নেত্রী ও মানবাধিকার কর্মী খুশি কবীর বিচারহীনতাকে নারী নির্যাতনের কারণ উল্লেখ করে বলেন, বর্তমানে অপরাধীরা পার পেয়ে যাচ্ছে। একটা ঘটনা ঘটলে অপরাধীদের ধরা হয় না। বরং বক্তব্য দেয়া হয় যে দুষ্টুমি হয়েছে। সেখানে কিছু ঘটেনি। বিরাট আন্দোলন না করলে কোন সমাধান পাওয়া যায় না। মোহাম্মদপুর প্রিপারেটরি স্কুলে আমরা দেখেছি। আন্দোলন না করলে প্রশাসন ব্যবস্থা নেয় না। তারা ধরে নিচ্ছে তাদের কিছু হবে না। একের পর এক ঘটনায় সাহস পেয়ে যাচ্ছে। তিনি আরও বলেন, নারীরা কোনদিনই নিরাপদ ছিল না। আগে সমাজে রাখঢাক ছিল। একটা সমস্যা হলে সামাজিকভাবে সমাধান করার চেষ্টা করা হতো। এখন সরাসরি প্রশ্রয় দেয়া হচ্ছে। আমাদের সামাজিক ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। পুলিশ প্রশাসনের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন আছে। এখন পুলিশ পদক্ষেপ নেয়না। বরঞ্চ অপরাধীদের প্রশ্রয় দিচ্ছে। আমাদের আইন কেন, শাস্তির বিধান কেন? অপরাধ যেন বারবার সংঘটিত না হয় সেজন্যই আইন করা হয়েছে। এভাবেই চলতে থাকলে আমাদের সমাজ বসবাসের অযোগ্য হয়ে পড়বে।
বাংলাদেশ মহিলা আইনজীবী সমিতির নির্বাহী পরিচালক এডভোকেট সালমা আলী যৌন নির্যাতনের ঘটনা বৃদ্ধির পেছনে পর্নোগ্রাফি আইনের সীমাবদ্ধতাকে দায়ী করেছেন। তিনি বলেন, মোবাইলে ইন্টারনেট সহজলভ্য হওয়ায় তরুণ প্রজন্ম যা খুশি তাই দেখছে। অশিক্ষিত লোকদের হাতে ইন্টারনেট চলে গেছে। এসবের ওপর সরকারের নিয়ন্ত্রণ নেই। মোবাইলে পর্নো ভিডিও সহজলভ্য হওয়ায় তা ছড়িয়ে পড়ছে। তরুণ প্রজন্ম উচ্ছৃঙ্খল হয়ে যাচ্ছে। বাবা মা বলতে পারেন না ছেলে কোথায় যায়। মোবাইলে কি দেখে। এ প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, শহরে খেলার মাঠ নেই। নিম্ন আয়ের মানুষদের বিনোদনের কোন মাধ্যম নেই। তারা এখন সহজলভ্য মোবাইলে ইন্টারনেট কানেকশন নিয়ে বিনোদন নেয়ার চেষ্টা করে। পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইন আছে, কিন্তু অনেক কিছু বন্ধ রাখার কথা থাকলেও তা করা হয়নি। টেলিভিশনে অনেক কিছু দেখানো হয় যা বাইরের অনেক দেশে নিষিদ্ধ। প্রশাসন ও পুলিশের ব্যর্থতাকে দায়ী করে তিনি বলেন, দেশে আইন আছে কিন্তু আইনের প্রয়োগ নাই। অপরাধীরা পার পেয়ে যাচ্ছে। মিডিয়া কিছুদিন লেখালেখি করে। কিছুদিন পর বন্ধ হয়ে যায়। মামলা হলে বছরের পর বছর চলতে থাকে। এর মধ্যে দ্বিতীয়বারের মতো ভিকটিম আক্রান্ত হয়। সুনির্দিষ্টভাবে বলতে গেলে প্রশাসনের কোন জবাবদিহিতা নেই। সরকারের কোন জবাবদিহিতা নেই। পুলিশ দুর্নীতিগ্রস্ত। টাকা পয়সা নিয়ে নিষ্ক্রিয় হয়ে যায়। তদন্তের নামে কালক্ষেপণ করে। যারা সৎ আছে ওপরের চাপ থাকে তাদের ওপর। সবকিছুর জবাবদিহিতা সরকারকে করতে হবে। সবকিছু শেষ হয়ে গেলে সরকারের টনক নড়ে। তাই সময় থাকতে সকলকে নিজ নিজ জায়গা থেকে প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানান।
অবস্থার পরিবর্তনের জন্য সমাজের সকলকে কাজ করার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, এখন পরিবার থেকে ধর্ষকের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেয়া হয় না। তিরস্কার করা হয় না। সমাজে প্রচলিত সালিশের মাধ্যমে মিটমাট করার প্রবণতা রয়েছে। কমিউনিটির ব্যর্থতা রয়েছে। যেসব ছেলে অপরাধের সঙ্গে জড়িত তাদের শাস্তি দেয়া হচ্ছে না কমিউনিটির পক্ষ থেকে। আগে তাদের একঘরে করে দেয়া হতো। এখন তা করা হয় না। কমিউনিটির প্রত্যেককে এগিয়ে আসতে হবে। রাজনৈতিক দল কর্মসূচি দিয়ে এদের প্রতিহত করতে হবে। সালিশে ৫ থেকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করে এসব সমস্যার সমাধান করা যাবে না। তিনি আরও বলেন, এখন যা ঘটছে এসব আগেও হয়েছে। কিন্তু গণমাধ্যমে রিপোর্ট না হওয়ায় আমরা জানতে পারিনি। মেয়েরা এখন ভোগের পণ্যে পরিণত হয়েছে। বর্তমানে মেয়েদের হয়রানির সুযোগ বেড়েছে। কারণ আগের চেয়ে মেয়েরা ঘরের বাইরে বেশি চলাফেরা করে। নারী নেত্রী ও মানবাধিকার কর্মী খুশি কবীর বিচারহীনতাকে নারী নির্যাতনের কারণ উল্লেখ করে বলেন, বর্তমানে অপরাধীরা পার পেয়ে যাচ্ছে। একটা ঘটনা ঘটলে অপরাধীদের ধরা হয় না। বরং বক্তব্য দেয়া হয় যে দুষ্টুমি হয়েছে। সেখানে কিছু ঘটেনি। বিরাট আন্দোলন না করলে কোন সমাধান পাওয়া যায় না। মোহাম্মদপুর প্রিপারেটরি স্কুলে আমরা দেখেছি। আন্দোলন না করলে প্রশাসন ব্যবস্থা নেয় না। তারা ধরে নিচ্ছে তাদের কিছু হবে না। একের পর এক ঘটনায় সাহস পেয়ে যাচ্ছে। তিনি আরও বলেন, নারীরা কোনদিনই নিরাপদ ছিল না। আগে সমাজে রাখঢাক ছিল। একটা সমস্যা হলে সামাজিকভাবে সমাধান করার চেষ্টা করা হতো। এখন সরাসরি প্রশ্রয় দেয়া হচ্ছে। আমাদের সামাজিক ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। পুলিশ প্রশাসনের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন আছে। এখন পুলিশ পদক্ষেপ নেয়না। বরঞ্চ অপরাধীদের প্রশ্রয় দিচ্ছে। আমাদের আইন কেন, শাস্তির বিধান কেন? অপরাধ যেন বারবার সংঘটিত না হয় সেজন্যই আইন করা হয়েছে। এভাবেই চলতে থাকলে আমাদের সমাজ বসবাসের অযোগ্য হয়ে পড়বে।
বাংলাদেশ মহিলা আইনজীবী সমিতির নির্বাহী পরিচালক এডভোকেট সালমা আলী যৌন নির্যাতনের ঘটনা বৃদ্ধির পেছনে পর্নোগ্রাফি আইনের সীমাবদ্ধতাকে দায়ী করেছেন। তিনি বলেন, মোবাইলে ইন্টারনেট সহজলভ্য হওয়ায় তরুণ প্রজন্ম যা খুশি তাই দেখছে। অশিক্ষিত লোকদের হাতে ইন্টারনেট চলে গেছে। এসবের ওপর সরকারের নিয়ন্ত্রণ নেই। মোবাইলে পর্নো ভিডিও সহজলভ্য হওয়ায় তা ছড়িয়ে পড়ছে। তরুণ প্রজন্ম উচ্ছৃঙ্খল হয়ে যাচ্ছে। বাবা মা বলতে পারেন না ছেলে কোথায় যায়। মোবাইলে কি দেখে। এ প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, শহরে খেলার মাঠ নেই। নিম্ন আয়ের মানুষদের বিনোদনের কোন মাধ্যম নেই। তারা এখন সহজলভ্য মোবাইলে ইন্টারনেট কানেকশন নিয়ে বিনোদন নেয়ার চেষ্টা করে। পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইন আছে, কিন্তু অনেক কিছু বন্ধ রাখার কথা থাকলেও তা করা হয়নি। টেলিভিশনে অনেক কিছু দেখানো হয় যা বাইরের অনেক দেশে নিষিদ্ধ। প্রশাসন ও পুলিশের ব্যর্থতাকে দায়ী করে তিনি বলেন, দেশে আইন আছে কিন্তু আইনের প্রয়োগ নাই। অপরাধীরা পার পেয়ে যাচ্ছে। মিডিয়া কিছুদিন লেখালেখি করে। কিছুদিন পর বন্ধ হয়ে যায়। মামলা হলে বছরের পর বছর চলতে থাকে। এর মধ্যে দ্বিতীয়বারের মতো ভিকটিম আক্রান্ত হয়। সুনির্দিষ্টভাবে বলতে গেলে প্রশাসনের কোন জবাবদিহিতা নেই। সরকারের কোন জবাবদিহিতা নেই। পুলিশ দুর্নীতিগ্রস্ত। টাকা পয়সা নিয়ে নিষ্ক্রিয় হয়ে যায়। তদন্তের নামে কালক্ষেপণ করে। যারা সৎ আছে ওপরের চাপ থাকে তাদের ওপর। সবকিছুর জবাবদিহিতা সরকারকে করতে হবে। সবকিছু শেষ হয়ে গেলে সরকারের টনক নড়ে। তাই সময় থাকতে সকলকে নিজ নিজ জায়গা থেকে প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানান।
No comments