১০০ দিনে কী করলেন কেজরিওয়াল?
বিধানসভার
প্রায় সব (৭০ টির মধ্যে ৬৭ টি) আসন ছিনিয়ে এ বছরের ভালোবাসা দিবসে (১৪
ফেব্রুয়ারি) দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন আম আদমি পার্টির (এএপি)
প্রধান অরবিন্দ কেজরিওয়াল। নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের দায়ভার
কেজরিওয়ালকে এই আনন্দ উদ্যাপনের অবসর দেয়নি।
দায়িত্ব গ্রহণের প্রথম ১০০ দিনকে ‘মধুচন্দ্রিমা’ হিসেবে দেখা হয়। দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতৃত্বকে এই সময়টুকুর জন্য সমালোচনা থেকে ছাড় দেওয়ার রেওয়াজ আছে। তবে লোকটি যেহেতু কেজরিওয়াল, তাই তাঁর বেলাতে সবার দৃষ্টিভঙ্গি ভিন্ন।
আগামীকাল রোববার কেজরিওয়াল সরকারের ১০০ দিন পূরণ হচ্ছে। তাই শুরু হয়েছে কেজরিওয়ালের ১০০ দিনের সাফল্য-ব্যর্থতার চুলচেরা বিশ্লেষণ।
মূল্যছাড়, ভর্তুকি আর শহরের মধ্যে অটোরিকশা চালানোর মতো প্রশ্নবিদ্ধ সিদ্ধান্ত নেওয়ার পরও তিনি তাঁর এলাকার জনগণকে এখন পর্যন্ত খুশি রাখতে পেরেছেন। দুর্নীতি বিরুদ্ধে শক্ত অবস্থান নেওয়া কেজরিওয়াল কিছুটা হলেও দুর্নীতি নিয়ন্ত্রণ করতে পেরেছেন। কেন্দ্রের সঙ্গে রাজ্যের সম্পর্ক পুনঃস্থাপন ছিল তাঁর অন্যতম রাজনৈতিক লক্ষ্য। কিন্তু পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদার দাবি করে কেন্দ্রের সঙ্গে বরং তাঁর দূরত্ব আরও বাড়িয়েছেন। কেজরিওয়াল সরকারের কর্ম আর অর্জন নিয়ে আজ শনিবার টাইমস অব ইন্ডিয়া একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নির্বাচনী ইশতেহারে বিদ্যুতের দাম অর্ধেকে নামিয়ে আনার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন কেজরিওয়াল। আর সেটি ইতিমধ্যেই বাস্তবায়ন করেছেন তিনি।
প্রতি পরিবারের জন্য বিনা মূল্যে ৭০০ লিটার পানি সরবরাহের প্রতিশ্রুতিও তিনি রেখেছেন। পানি সরবরাহ কাজ শুরু হয়ে হয়েছে। দিল্লিকে সৌর বিদ্যুতের শহরে বানাতে দিল্লি ডায়ালগ কমিশন পরিকল্পনা খতিয়ে দেখছে। পানি মাফিয়াদের ধরতে ডিজেবিতে জিপিএস ব্যবস্থা চালু ও ট্যাংকার ভাড়া করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। জিপিএস ব্যবস্থা না থাকলে ট্যাংকারকে জরিমানা করা হবে।
শিক্ষার্থীদের উচ্চ শিক্ষার জন্য ঋণ দেওয়ার প্রস্তাব প্রস্তুত করা হয়েছে। বাস্তবায়নের জন্য পরীক্ষা-নিরীক্ষা হচ্ছে। ব্যক্তিগত মালিকানাধীন বিদ্যালয়গুলোতে উচ্চ হারের ফি নিয়ন্ত্রণের বিলটি আগামী বাজেট সেশনে পাস হতে পারে।
এ ছাড়া ইশতেহার অনুযায়ী ৫০০ সরকারি বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ৩০টি মডেল বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার জন্য ডিডব্লিউডিকে বলা হয়েছে। আরও ১৫ টির জন্য জায়গা চিহ্নিত করা হচ্ছে।
নিরাপত্তার জন্য জনপরিসরে ও বাসে সিসিটিভি কাজ শুরু হয়েছে। তবে শুরুতে বাসকেই প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছে। এ জন্য পরীক্ষামূলক প্রকল্প নেওয়া হয়েছে।
নারী রক্ষা বাহিনী গঠন ও সুরক্ষা বাটনের কাজও এগিয়ে চলছে। হোম গার্ডদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। প্রশিক্ষণ শেষে তাদের বাসে নিয়োগ করা হবে। ওয়াই-ফাই এর সঙ্গে সুরক্ষা বাটনকে যুক্ত করা হচ্ছে। এ বছরের শেষের দিকে এটি কার্যকর হতে পারে।
চুক্তিভিত্তিক পদগুলোকে বিধিসম্মত করতে নীতিগত কাজ চলছে। চূড়ান্তভাবে কাউকে নিয়োগের পূর্বে কাউকে চুক্তিভিত্তিক পদ থেকে না সরানোর পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। পুনর্বাসিত আবাসিক এলাকা ব্যবস্থাপনার ম্যাপিংয়ের কাজ চলছে।
নির্বাচনের ইশতেহার কেজরিওয়াল দিল্লির বিচারালয়কে শক্তিশালী করতে চেয়েছিলেন। এ সংক্রান্ত নীতির খসড়া করা হয়েছে।
স্বাস্থ্যসেবার উন্নত করতে আমবেদকর হাসপাতালের শয্যা সংখ্যা ২৫০ থেকে ৬০০-তে উন্নীত করা হয়েছে। প্রতিশ্রুত অনুযায়ী, দুই লাখ গণশৌচাগার তৈরির কাজের একটিও এখনো করা হয়নি, তবে জায়গা নির্ধারণ করা হয়েছে।
সাশ্রয়ী মূল্যের আবাসনের শুধু জমি চিহ্নিতকরণের কাজ শুরু হয়েছে। আর দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণের জন্য দ্রব্যমূল্যের পূর্বাভাস ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে।
দিল্লির নিজস্ব বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য কয়লা ব্লক বরাদ্দ জন্য আলোচনা শুরু হয়েছে। তবে সমন্বিত পরিবহন কর্তৃপক্ষের কোনো কাজই হয়নি। বাসের সংখ্যা বৃদ্ধির প্রতিশ্রুতি থাকলেও এ সেবা বাড়ানোর কোনো লক্ষণ নেই। ২০১৬ সালের মধ্যে ২০০০ ওয়াই-ফাই হটস্পট হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
দায়িত্ব গ্রহণের প্রথম ১০০ দিনকে ‘মধুচন্দ্রিমা’ হিসেবে দেখা হয়। দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতৃত্বকে এই সময়টুকুর জন্য সমালোচনা থেকে ছাড় দেওয়ার রেওয়াজ আছে। তবে লোকটি যেহেতু কেজরিওয়াল, তাই তাঁর বেলাতে সবার দৃষ্টিভঙ্গি ভিন্ন।
আগামীকাল রোববার কেজরিওয়াল সরকারের ১০০ দিন পূরণ হচ্ছে। তাই শুরু হয়েছে কেজরিওয়ালের ১০০ দিনের সাফল্য-ব্যর্থতার চুলচেরা বিশ্লেষণ।
মূল্যছাড়, ভর্তুকি আর শহরের মধ্যে অটোরিকশা চালানোর মতো প্রশ্নবিদ্ধ সিদ্ধান্ত নেওয়ার পরও তিনি তাঁর এলাকার জনগণকে এখন পর্যন্ত খুশি রাখতে পেরেছেন। দুর্নীতি বিরুদ্ধে শক্ত অবস্থান নেওয়া কেজরিওয়াল কিছুটা হলেও দুর্নীতি নিয়ন্ত্রণ করতে পেরেছেন। কেন্দ্রের সঙ্গে রাজ্যের সম্পর্ক পুনঃস্থাপন ছিল তাঁর অন্যতম রাজনৈতিক লক্ষ্য। কিন্তু পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদার দাবি করে কেন্দ্রের সঙ্গে বরং তাঁর দূরত্ব আরও বাড়িয়েছেন। কেজরিওয়াল সরকারের কর্ম আর অর্জন নিয়ে আজ শনিবার টাইমস অব ইন্ডিয়া একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নির্বাচনী ইশতেহারে বিদ্যুতের দাম অর্ধেকে নামিয়ে আনার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন কেজরিওয়াল। আর সেটি ইতিমধ্যেই বাস্তবায়ন করেছেন তিনি।
প্রতি পরিবারের জন্য বিনা মূল্যে ৭০০ লিটার পানি সরবরাহের প্রতিশ্রুতিও তিনি রেখেছেন। পানি সরবরাহ কাজ শুরু হয়ে হয়েছে। দিল্লিকে সৌর বিদ্যুতের শহরে বানাতে দিল্লি ডায়ালগ কমিশন পরিকল্পনা খতিয়ে দেখছে। পানি মাফিয়াদের ধরতে ডিজেবিতে জিপিএস ব্যবস্থা চালু ও ট্যাংকার ভাড়া করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। জিপিএস ব্যবস্থা না থাকলে ট্যাংকারকে জরিমানা করা হবে।
শিক্ষার্থীদের উচ্চ শিক্ষার জন্য ঋণ দেওয়ার প্রস্তাব প্রস্তুত করা হয়েছে। বাস্তবায়নের জন্য পরীক্ষা-নিরীক্ষা হচ্ছে। ব্যক্তিগত মালিকানাধীন বিদ্যালয়গুলোতে উচ্চ হারের ফি নিয়ন্ত্রণের বিলটি আগামী বাজেট সেশনে পাস হতে পারে।
এ ছাড়া ইশতেহার অনুযায়ী ৫০০ সরকারি বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ৩০টি মডেল বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার জন্য ডিডব্লিউডিকে বলা হয়েছে। আরও ১৫ টির জন্য জায়গা চিহ্নিত করা হচ্ছে।
নিরাপত্তার জন্য জনপরিসরে ও বাসে সিসিটিভি কাজ শুরু হয়েছে। তবে শুরুতে বাসকেই প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছে। এ জন্য পরীক্ষামূলক প্রকল্প নেওয়া হয়েছে।
নারী রক্ষা বাহিনী গঠন ও সুরক্ষা বাটনের কাজও এগিয়ে চলছে। হোম গার্ডদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। প্রশিক্ষণ শেষে তাদের বাসে নিয়োগ করা হবে। ওয়াই-ফাই এর সঙ্গে সুরক্ষা বাটনকে যুক্ত করা হচ্ছে। এ বছরের শেষের দিকে এটি কার্যকর হতে পারে।
চুক্তিভিত্তিক পদগুলোকে বিধিসম্মত করতে নীতিগত কাজ চলছে। চূড়ান্তভাবে কাউকে নিয়োগের পূর্বে কাউকে চুক্তিভিত্তিক পদ থেকে না সরানোর পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। পুনর্বাসিত আবাসিক এলাকা ব্যবস্থাপনার ম্যাপিংয়ের কাজ চলছে।
নির্বাচনের ইশতেহার কেজরিওয়াল দিল্লির বিচারালয়কে শক্তিশালী করতে চেয়েছিলেন। এ সংক্রান্ত নীতির খসড়া করা হয়েছে।
স্বাস্থ্যসেবার উন্নত করতে আমবেদকর হাসপাতালের শয্যা সংখ্যা ২৫০ থেকে ৬০০-তে উন্নীত করা হয়েছে। প্রতিশ্রুত অনুযায়ী, দুই লাখ গণশৌচাগার তৈরির কাজের একটিও এখনো করা হয়নি, তবে জায়গা নির্ধারণ করা হয়েছে।
সাশ্রয়ী মূল্যের আবাসনের শুধু জমি চিহ্নিতকরণের কাজ শুরু হয়েছে। আর দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণের জন্য দ্রব্যমূল্যের পূর্বাভাস ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে।
দিল্লির নিজস্ব বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য কয়লা ব্লক বরাদ্দ জন্য আলোচনা শুরু হয়েছে। তবে সমন্বিত পরিবহন কর্তৃপক্ষের কোনো কাজই হয়নি। বাসের সংখ্যা বৃদ্ধির প্রতিশ্রুতি থাকলেও এ সেবা বাড়ানোর কোনো লক্ষণ নেই। ২০১৬ সালের মধ্যে ২০০০ ওয়াই-ফাই হটস্পট হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
No comments