ছাত্রী লাঞ্ছনার ঘটনায় ছাত্রলীগের পাঁচ নেতা-কর্মীকে বহিষ্কার
পয়লা
বৈশাখে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের এক আদিবাসী ছাত্রীকে লাঞ্ছনার পর
ছিনতাই ও মারধরের অভিযোগে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের পাঁচজন
নেতা-কর্মীকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে।
বহিষ্কৃত নেতারা হলেন, বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের কার্যকরী কমিটির সদস্য এবং সাংবাদিকতা ও গণমাধ্যম অধ্যয়ন বিভাগের শিক্ষার্থী নিশাত ইমতিয়াজ বিজয়, ছাত্রলীগ কর্মী এবং নৃবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী আবদুর রহমান ইফতি ও নুরুল কবির, হল শাখা ছাত্রলীগের প্রচার সম্পাদক ও রসায়ন বিভাগের শিক্ষার্থী নাফিজ ইমতিয়াজ, ছাত্রলীগ কর্মী এবং ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের শিক্ষার্থী রাকীব হাসান। এই পাঁচজনই বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ সালাম-বরকত হলের আবাসিক শিক্ষার্থী।
আজ শনিবার সন্ধ্যায় অনুষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষ সিন্ডিকেট সভায় ছাত্রলীগের ওই পাঁচ নেতা-কর্মীকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে জানিয়েছেন রেজিস্ট্রার আবু বকর সিদ্দিক।
সিন্ডিকেট সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ওই ঘটনার সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা না পাওয়ায় ছাত্রলীগের তিন কর্মী বিকাশ কুমার মহন্ত, মো. আশরাফুল ইসলাম ও অর্ণপ দত্তকে অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
আজ রাত সাড়ে আটটার দিকে সিন্ডিকেট সভা শেষে উপাচার্য ফারজানা ইসলাম শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলেন। শিক্ষার্থীদের প্রশ্নের উত্তরে উপাচার্য বলেন, আজীবন বহিষ্কৃতরা যদি আদালতের আশ্রয় নেয় তবে বিশ্ববিদ্যালয়ও আইনি লড়াই করবে।
বহিষ্কৃতদের ক্যাম্পাসে অবস্থানের বিষয়ে উপাচার্য বলেন, যেহেতু তারা আজীবন বহিষ্কৃত সেহেতু তারা এই ক্যাম্পাসে বা আবাসিক হলগুলোতে অবস্থান করতে পারবে না।
এর আগে গত ১৬ এপ্রিল ছাত্রলীগের ওই পাঁচ নেতা-কর্মীকে সংগঠন থেকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করা হয়।
জানা গেছে, বাংলা বর্ষবরণের দিন উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের অনুষ্ঠান শেষে সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে বিভাগের এক বন্ধুকে সঙ্গে নিয়ে প্রীতিলতা হলে ফিরছিলেন ওই বিভাগের প্রথম বর্ষের এক আদিবাসী ছাত্রী। ক্যাম্পাসের পরিবহন চত্বর সংলগ্ন চৌরঙ্গীতে আসার পর ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা তাঁদের দাঁড় করিয়ে কথা বলেন। কথা বলার একপর্যায়ে তাঁদের কেউ একজন ওই ছাত্রীর ব্যাগ ছিনিয়ে পাশের ঝোপে ঢুকে পড়েন। তখন তাঁরা দুজনও ঝোপের ভেতর ঢুকে পড়েন। ঝোপের মধ্যেই ওই পাঁচজনের সঙ্গে ওই ছাত্রীর বাগ্বিতণ্ডা হয়। এ নিয়ে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা তাঁদের দুজনকে মারধর এবং গালিগালাজ করেন। ছাত্রলীগের কর্মী নুরুল কবির ছাত্রীর ব্যাগ থেকে ৫০০ টাকা ও মোবাইল ছিনিয়ে নেন। নিশাত ইমতিয়াজ ওই ছাত্রীকে উদ্দেশ করে ‘অশ্লীল’ মন্তব্য করেন। এ সময় তাঁরা ওই ছাত্রীর হাত ধরে জোর করে বসানোর চেষ্টা করেন। এ পর্যায়ে রাকীব হাসান ছাত্রীর শাড়ি ধরে টান দিলে তিনি চিৎকার দেন। চিৎকার শুনে আশপাশের মানুষ জড়ো হলে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা পালিয়ে যান।
ওই ছাত্রী তাঁর হলের জ্যেষ্ঠ ছাত্রীদের এ ঘটনা জানান। পরদিন দিনভর ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা তাঁদের সঙ্গে সমঝোতার চেষ্টা করেন। ছাত্রীরা রাজি না হওয়ায় ওই দিন রাত নয়টার দিকে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা প্রীতিলতা হলের জ্যেষ্ঠ কয়েকজন ছাত্রী এবং কয়েকজন আদিবাসী শিক্ষার্থীর সঙ্গে আলোচনা করেন। খবর পেয়ে শিক্ষার্থী ও সাংবাদিকেরা হলের সামনে গেলে আলোচনা অসমাপ্ত রেখেই ছিনিয়ে নেওয়া মোবাইলটি এক ছাত্রীর হাতে দিয়ে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা চলে যান।
পরদিন বৃহস্পতিবার হলের জ্যেষ্ঠ ছাত্রীদের সঙ্গে নিয়ে প্রথমে প্রক্টর তপন কুমার সাহার কাছে এবং পরে উপাচার্য ফারজানা ইসলামের কাছে লিখিত অভিযোগ জমা দেন ওই ছাত্রী।
বহিষ্কৃত নেতারা হলেন, বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের কার্যকরী কমিটির সদস্য এবং সাংবাদিকতা ও গণমাধ্যম অধ্যয়ন বিভাগের শিক্ষার্থী নিশাত ইমতিয়াজ বিজয়, ছাত্রলীগ কর্মী এবং নৃবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী আবদুর রহমান ইফতি ও নুরুল কবির, হল শাখা ছাত্রলীগের প্রচার সম্পাদক ও রসায়ন বিভাগের শিক্ষার্থী নাফিজ ইমতিয়াজ, ছাত্রলীগ কর্মী এবং ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের শিক্ষার্থী রাকীব হাসান। এই পাঁচজনই বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ সালাম-বরকত হলের আবাসিক শিক্ষার্থী।
আজ শনিবার সন্ধ্যায় অনুষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষ সিন্ডিকেট সভায় ছাত্রলীগের ওই পাঁচ নেতা-কর্মীকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে জানিয়েছেন রেজিস্ট্রার আবু বকর সিদ্দিক।
সিন্ডিকেট সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ওই ঘটনার সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা না পাওয়ায় ছাত্রলীগের তিন কর্মী বিকাশ কুমার মহন্ত, মো. আশরাফুল ইসলাম ও অর্ণপ দত্তকে অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
আজ রাত সাড়ে আটটার দিকে সিন্ডিকেট সভা শেষে উপাচার্য ফারজানা ইসলাম শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলেন। শিক্ষার্থীদের প্রশ্নের উত্তরে উপাচার্য বলেন, আজীবন বহিষ্কৃতরা যদি আদালতের আশ্রয় নেয় তবে বিশ্ববিদ্যালয়ও আইনি লড়াই করবে।
বহিষ্কৃতদের ক্যাম্পাসে অবস্থানের বিষয়ে উপাচার্য বলেন, যেহেতু তারা আজীবন বহিষ্কৃত সেহেতু তারা এই ক্যাম্পাসে বা আবাসিক হলগুলোতে অবস্থান করতে পারবে না।
এর আগে গত ১৬ এপ্রিল ছাত্রলীগের ওই পাঁচ নেতা-কর্মীকে সংগঠন থেকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করা হয়।
জানা গেছে, বাংলা বর্ষবরণের দিন উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের অনুষ্ঠান শেষে সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে বিভাগের এক বন্ধুকে সঙ্গে নিয়ে প্রীতিলতা হলে ফিরছিলেন ওই বিভাগের প্রথম বর্ষের এক আদিবাসী ছাত্রী। ক্যাম্পাসের পরিবহন চত্বর সংলগ্ন চৌরঙ্গীতে আসার পর ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা তাঁদের দাঁড় করিয়ে কথা বলেন। কথা বলার একপর্যায়ে তাঁদের কেউ একজন ওই ছাত্রীর ব্যাগ ছিনিয়ে পাশের ঝোপে ঢুকে পড়েন। তখন তাঁরা দুজনও ঝোপের ভেতর ঢুকে পড়েন। ঝোপের মধ্যেই ওই পাঁচজনের সঙ্গে ওই ছাত্রীর বাগ্বিতণ্ডা হয়। এ নিয়ে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা তাঁদের দুজনকে মারধর এবং গালিগালাজ করেন। ছাত্রলীগের কর্মী নুরুল কবির ছাত্রীর ব্যাগ থেকে ৫০০ টাকা ও মোবাইল ছিনিয়ে নেন। নিশাত ইমতিয়াজ ওই ছাত্রীকে উদ্দেশ করে ‘অশ্লীল’ মন্তব্য করেন। এ সময় তাঁরা ওই ছাত্রীর হাত ধরে জোর করে বসানোর চেষ্টা করেন। এ পর্যায়ে রাকীব হাসান ছাত্রীর শাড়ি ধরে টান দিলে তিনি চিৎকার দেন। চিৎকার শুনে আশপাশের মানুষ জড়ো হলে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা পালিয়ে যান।
ওই ছাত্রী তাঁর হলের জ্যেষ্ঠ ছাত্রীদের এ ঘটনা জানান। পরদিন দিনভর ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা তাঁদের সঙ্গে সমঝোতার চেষ্টা করেন। ছাত্রীরা রাজি না হওয়ায় ওই দিন রাত নয়টার দিকে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা প্রীতিলতা হলের জ্যেষ্ঠ কয়েকজন ছাত্রী এবং কয়েকজন আদিবাসী শিক্ষার্থীর সঙ্গে আলোচনা করেন। খবর পেয়ে শিক্ষার্থী ও সাংবাদিকেরা হলের সামনে গেলে আলোচনা অসমাপ্ত রেখেই ছিনিয়ে নেওয়া মোবাইলটি এক ছাত্রীর হাতে দিয়ে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা চলে যান।
পরদিন বৃহস্পতিবার হলের জ্যেষ্ঠ ছাত্রীদের সঙ্গে নিয়ে প্রথমে প্রক্টর তপন কুমার সাহার কাছে এবং পরে উপাচার্য ফারজানা ইসলামের কাছে লিখিত অভিযোগ জমা দেন ওই ছাত্রী।
No comments