তীব্র তাপদাহে হাঁসফাঁস জীবন
প্রচণ্ড গরমে একটু স্বস্তির জন্য সোনারগাঁও হোটেলের পেছনে গাছের তলে বিশ্রাম নিচ্ছেন কয়েক পথচারী-শামীম নূর |
তাপমাত্রা
এখনও ৩৬ ডিগ্রি ছোঁয়নি। তীব্র নয়, মৃদু তাপমাত্রা বইছে এখনও। অথচ মনে
হচ্ছে তার বহুগুণ বেশি গরম। বাতাসে অত্যধিক জলীয় বাষ্প। সঙ্গে যোগ হয়েছে
বৃষ্টিশূন্যতা। এ অবস্থায় জনজীবনে নেমে এসেছে চরম অস্বস্তি। তাপদাহে
ওষ্ঠাগত জনজীবন। ব্যাঘাত ঘটছে মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রায়। গরমে খুব
বেশি প্রয়োজন না পড়লে ঘরের বাইরে বের হচ্ছে না মানুষ। তবে গরমের কারণে
কর্মজীবী মানুষকে পড়তে হচ্ছে চরম ভোগান্তিতে। অতিরিক্ত ঘামে পানিশূন্যতায়
একটুতেই অসুস্থ হয়ে পড়ছে শিশু ও বয়স্ক মানুষ। আবহাওয়া অফিস বলছে, এ গরম আরও
কয়েকদিন থাকবে। তবে দুই-একদিনের মধ্যে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। বৃষ্টি
হলে তাপমাত্রা কিছুটা কমতে পারে। প্রচণ্ড তাপদাহের ফলে নিত্যনৈমিত্তিক
কাজকর্মে ক্লান্ত হয়ে পড়ছেন সাধারণ মানুষ। গরমে একটু প্রশান্তির খোঁজে কেউ
বা আশ্রয় নিচ্ছেন গাছের নিচে, আবার কেউ বা বৈদ্যুতিক পাখার নিচে। অতি
গুরুত্বপূর্ণ কাজ ছাড়া কেউই ঘর থেকে বের হচ্ছেন না। গরমের তীব্রতা বাড়ার
সঙ্গে সঙ্গে বাজারের দোকানগুলোতে ঠাণ্ডা পানীয় পান ও ফলমূল খাওয়া বেড়ে
গেছে। এ ছাড়াও সরকারি- বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে প্রচুর পরিমাণ
স্যালাইন ও ডাবের পানি পান করতে দেখা গেছে। অতিরিক্ত গরমে বিদ্যুতের
চাহিদাও বেড়ে গেছে কমপক্ষে ৫শ’ মেগাওয়াট। বাসাবাড়ি ও অফিস আদালতের কোনো
এয়ারকন্ডিশন এক মুহূর্তের জন্যও বন্ধ হচ্ছে না। এ অবস্থায় অতিরিক্ত
বিদ্যুতের জোগান দিতে গিয়ে প্রায়শ নগরীর বিভিন্ন এলাকায় বিদ্যুতের সঞ্চালন
লাইন ও ট্রান্সফরমার ট্রিপ করছে।
আবহাওয়া অফিস বলছে, আজকালের মধ্যে ঢাকাসহ দেশের মধ্যাঞ্চলে তাপপ্রবাহের আরও বিস্তার হতে পারে। এ আর্দ্রতার দাপটে শুক্রবার ঢাকা ও আশপাশের এলাকা তপ্ত হয়ে ওঠে। মানুষজনের জীবন ছিল হাঁসফাঁস। আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, প্রকৃতির যা হালচাল, তাতে আগামী ক’দিনে তা আরও বেশি হওয়ার আশংকা। সকালের মেঘলা আকাশ খানিক আশা জাগালেও বেলা বাড়তেই তা ভেঙেচুরে খানখান হয়ে যায়। কেননা ততক্ষণে গনগন করে তাপ ছড়াতে শুরু করে সূর্য। মাটি থেকে তাপ ঠিকরে বেরোয়। শরীর থেকে ঘাম ঝরে। কিন্তু সেই ঘাম শুকোতে পারছে না, উল্টে গায়ে জমে থাকছে। একটু হাওয়া নেই কোথাও।
জমা ঘামের চাপে শরীরের ভেতরের তাপমাত্রা বেড়ে যাচ্ছে, বাড়ছে হার্টবিট, বাড়ছে শ্বাস-প্রশ্বাসের হারও। সব মিলিয়ে অস্বস্তিতে জনগণ।
শুক্রবার সকালে আবহাওয়া অধিদফতরের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত পূর্বাভাসে জানানো হয়, বৃহস্পতিবার দেশের প্রায় সব এলাকায় তাপমাত্রা ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ওপরে ছিল। বৃষ্টিও বেশ কম হয়েছে। সবচেয়ে বেশি বৃষ্টি হয়েছে সৈয়দপুরে ২৫ মিলিমিটার। রাজধানী ঢাকায় ১১, রংপুরে ২০ ও ময়মনসিংহে ১৮ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে।
তাপপ্রবাহের জন্য দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল যশোর ও রাজশাহী জেলায়, ৩৭ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
খুলনায় ৩৭ দশমিক ৫, বরিশালে ৩৬ দশমিক ৫, চট্টগ্রামে ৩৪ দশমিক ৬ ও রাজধানী ঢাকার তাপমাত্রা ছিল ৩৫ দশমিক ৮ ডিগি সেলসিয়াস।
তবে গরম পড়লেও আজ রংপুর, ঢাকা, চট্টগ্রাম ও সিলেটে বজ বৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর। ঝাঁজাল রোদ থেকে রক্ষা পেতে ঢাকাসহ বিভিন্ন এলাকার মানুষদের ছাতার ছাউনিতে আশ্রয় নিতে দেখা গেছে। তবে আবহাওয়া অধিদফতর বৃষ্টির সুখবর দিয়ে রেখেছে। বলেছে, মৌসুমী বায়ু প্রতিবেশী মিয়ানমারের ইয়াগুন শহর পর্যন্ত চলে এসেছে। তারা জ্যৈষ্ঠের এই দহন খুব একটা স্থায়ী হবে বলে মনে করছেন। তাদের মতে, খানিকটা ঝড়বৃষ্টি, এর সঙ্গে মৌসুমী বায়ু যোগ হলে গরমের দাপট কমে যাবে।
আবহাওয়া অধিদফতরের পরিচালক শাহ আলম যুগান্তরকে বলেন, ১০ জুনের মধ্যে মৌসুমী বায়ু বাংলাদেশের আকাশে চলে আসতে পারে। তাই বৃষ্টি হলে এবার গরমের মাত্রা অন্যান্য বছরের মতো বাড়বে না।
তীব্র গরমে রাজধানীসহ সারা দেশের অফিস-আদালত ও বাসাবাড়িতে বিদ্যুতের চাহিদা অনেক বেড়ে গেছে বলে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড সূত্র জানায়। তারা বলছে, বাসাবাড়ি ও অফিস আদালতের এয়ারকন্ডিশনগুলো এখন অফ করা হচ্ছে না। দিনরাত ২৪ ঘণ্টা এগুলো চালু থাকছে। এ কারণে ২-৩ দিন ধরে কমপক্ষে ৫শ’ থেকে ৬শ’ মেগাওয়াট বিদ্যুতের অতিরিক্ত চাহিদা বেড়ে গেছে। এ অবস্থায় অতিরিক্ত চাহিদা মেটাতে পিডিবিকে হিমশিম খেতে দেখা গেছে। তবে পিডিবি বলছে, পর্যাপ্ত বিদ্যুৎ থাকলেও জরাজীর্ণ সঞ্চালন লাইনের কারণে তারা অতিরিক্ত চাহিদার বিদ্যুৎ দিতে পারছেন না। কোনো এলাকায় অতিরিক্ত বিদ্যুৎ দিতে গেলেই সঞ্চালন লাইন ও ট্রান্সফরমার ট্রিপ করছে। রাজধানীর ধানমণ্ডি এলাকার বাসিন্দা কামাল উদ্দিন পাটোয়ারী জানান, গ্রীষ্মের ছুটিতে মালয়েশিয়া থেকে বেড়াতে এসেছে ছেলে। কিন্তু দু’দিনেই ছেলে পালাই-পালাই করছে। মালয়েশিয়া ফেরার টিকিটের জন্য বৃহস্পতিবার সকালে বিমান অফিসে গিয়ে টিকিট কেটে এনেছেন।
এদিকে অতিরিক্ত চাহিদার কারণে শুক্রবার ছুটির দিনেও রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় বিদ্যুতের লোডশেডিং করতে দেখা গেছে। শহরের নানা জায়গায় বিদ্যুৎ বিভ্রাট, এমনকি অনেক হাসপাতালেও তীব্র গরমে রোগীদের ছটফট করতে দেখা গেছে। তীব্র গরমের মধ্যে যোগ হয়েছে পানির সমস্যা। গত কয়েকদিন ধরে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় তীব্র পানির কষ্ট দেখা গেছে। কোনো কোনো এলাকায় পানি পাওয়া গেলেও সে পানি ছিল ময়লা-আবর্জনা আর কালো কেমিক্যাল যুক্ত। যার কারণে মানুষের কষ্ট ও বিরক্তি অসহনীয় পর্যায়ে পৌঁছে যায়। গত কয়েকদিনে দু’-এক পশলা বৃষ্টি হলেও তাতে অস্বস্তি কমেনি।
গরমের কারণে বাড়িতে বাড়িতে শিশুরা জ্বর ও পেটের পীড়ায় আক্রান্ত হচ্ছে। মহাখালী ডায়রিয়া হাসপাতালে অতিরিক্ত রোগীর ভিড় করছে। মোহাম্মদপুর এলাকার আবদুল মজিদ বলেন, গত কয়েকদিন ধরে গরমের তীব্রতা যেভাবে বেড়ে গেছে তাতে মনে হচ্ছে মানুষ মরেই যাবে। তীব্র গরমে শরীরের সবকিছু বেরিয়ে যাওয়ার অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। তবে গরম থেকে কিছুটা স্বস্তি পেতে প্রচুর পরিমাণ স্যালাইন ও ডাবের পানি খাচ্ছেন বলে জানান।
তবে প্রচণ্ড গরমকে পুঁজি করে নগরীর বিভিন্ন স্কুল-কলেজ, সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের সামনে ও ফুটপাতে ক্ষুদে ব্যবসায়ীরা তরমুজ, ডাব, লেবুর শরবত, আখের রস, পানীয় ও ফলমূলের দোকান বসিয়ে রমরমা ব্যবসা করছে। এসব দোকানে মানুষের প্রচণ্ড ভিড়। তবে গরমের মধ্যে তরমুজ সবচেয়ে বেশি বিক্রি হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। তরমুজ ব্যবসায়ীরা প্রতি পিস ১০ টাকা ও প্রতিটি তরমুজ ১৫০ থেকে ৩০০ টাকা ধরে বিক্রি করছেন। এছাড়া প্রতি গ্লাস বরফ মিশ্রিত আখের রস, লেবুর শরবত ১০ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে।
আবহাওয়া অফিস বলছে, আজকালের মধ্যে ঢাকাসহ দেশের মধ্যাঞ্চলে তাপপ্রবাহের আরও বিস্তার হতে পারে। এ আর্দ্রতার দাপটে শুক্রবার ঢাকা ও আশপাশের এলাকা তপ্ত হয়ে ওঠে। মানুষজনের জীবন ছিল হাঁসফাঁস। আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, প্রকৃতির যা হালচাল, তাতে আগামী ক’দিনে তা আরও বেশি হওয়ার আশংকা। সকালের মেঘলা আকাশ খানিক আশা জাগালেও বেলা বাড়তেই তা ভেঙেচুরে খানখান হয়ে যায়। কেননা ততক্ষণে গনগন করে তাপ ছড়াতে শুরু করে সূর্য। মাটি থেকে তাপ ঠিকরে বেরোয়। শরীর থেকে ঘাম ঝরে। কিন্তু সেই ঘাম শুকোতে পারছে না, উল্টে গায়ে জমে থাকছে। একটু হাওয়া নেই কোথাও।
জমা ঘামের চাপে শরীরের ভেতরের তাপমাত্রা বেড়ে যাচ্ছে, বাড়ছে হার্টবিট, বাড়ছে শ্বাস-প্রশ্বাসের হারও। সব মিলিয়ে অস্বস্তিতে জনগণ।
শুক্রবার সকালে আবহাওয়া অধিদফতরের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত পূর্বাভাসে জানানো হয়, বৃহস্পতিবার দেশের প্রায় সব এলাকায় তাপমাত্রা ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ওপরে ছিল। বৃষ্টিও বেশ কম হয়েছে। সবচেয়ে বেশি বৃষ্টি হয়েছে সৈয়দপুরে ২৫ মিলিমিটার। রাজধানী ঢাকায় ১১, রংপুরে ২০ ও ময়মনসিংহে ১৮ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে।
তাপপ্রবাহের জন্য দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল যশোর ও রাজশাহী জেলায়, ৩৭ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
খুলনায় ৩৭ দশমিক ৫, বরিশালে ৩৬ দশমিক ৫, চট্টগ্রামে ৩৪ দশমিক ৬ ও রাজধানী ঢাকার তাপমাত্রা ছিল ৩৫ দশমিক ৮ ডিগি সেলসিয়াস।
তবে গরম পড়লেও আজ রংপুর, ঢাকা, চট্টগ্রাম ও সিলেটে বজ বৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর। ঝাঁজাল রোদ থেকে রক্ষা পেতে ঢাকাসহ বিভিন্ন এলাকার মানুষদের ছাতার ছাউনিতে আশ্রয় নিতে দেখা গেছে। তবে আবহাওয়া অধিদফতর বৃষ্টির সুখবর দিয়ে রেখেছে। বলেছে, মৌসুমী বায়ু প্রতিবেশী মিয়ানমারের ইয়াগুন শহর পর্যন্ত চলে এসেছে। তারা জ্যৈষ্ঠের এই দহন খুব একটা স্থায়ী হবে বলে মনে করছেন। তাদের মতে, খানিকটা ঝড়বৃষ্টি, এর সঙ্গে মৌসুমী বায়ু যোগ হলে গরমের দাপট কমে যাবে।
আবহাওয়া অধিদফতরের পরিচালক শাহ আলম যুগান্তরকে বলেন, ১০ জুনের মধ্যে মৌসুমী বায়ু বাংলাদেশের আকাশে চলে আসতে পারে। তাই বৃষ্টি হলে এবার গরমের মাত্রা অন্যান্য বছরের মতো বাড়বে না।
তীব্র গরমে রাজধানীসহ সারা দেশের অফিস-আদালত ও বাসাবাড়িতে বিদ্যুতের চাহিদা অনেক বেড়ে গেছে বলে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড সূত্র জানায়। তারা বলছে, বাসাবাড়ি ও অফিস আদালতের এয়ারকন্ডিশনগুলো এখন অফ করা হচ্ছে না। দিনরাত ২৪ ঘণ্টা এগুলো চালু থাকছে। এ কারণে ২-৩ দিন ধরে কমপক্ষে ৫শ’ থেকে ৬শ’ মেগাওয়াট বিদ্যুতের অতিরিক্ত চাহিদা বেড়ে গেছে। এ অবস্থায় অতিরিক্ত চাহিদা মেটাতে পিডিবিকে হিমশিম খেতে দেখা গেছে। তবে পিডিবি বলছে, পর্যাপ্ত বিদ্যুৎ থাকলেও জরাজীর্ণ সঞ্চালন লাইনের কারণে তারা অতিরিক্ত চাহিদার বিদ্যুৎ দিতে পারছেন না। কোনো এলাকায় অতিরিক্ত বিদ্যুৎ দিতে গেলেই সঞ্চালন লাইন ও ট্রান্সফরমার ট্রিপ করছে। রাজধানীর ধানমণ্ডি এলাকার বাসিন্দা কামাল উদ্দিন পাটোয়ারী জানান, গ্রীষ্মের ছুটিতে মালয়েশিয়া থেকে বেড়াতে এসেছে ছেলে। কিন্তু দু’দিনেই ছেলে পালাই-পালাই করছে। মালয়েশিয়া ফেরার টিকিটের জন্য বৃহস্পতিবার সকালে বিমান অফিসে গিয়ে টিকিট কেটে এনেছেন।
এদিকে অতিরিক্ত চাহিদার কারণে শুক্রবার ছুটির দিনেও রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় বিদ্যুতের লোডশেডিং করতে দেখা গেছে। শহরের নানা জায়গায় বিদ্যুৎ বিভ্রাট, এমনকি অনেক হাসপাতালেও তীব্র গরমে রোগীদের ছটফট করতে দেখা গেছে। তীব্র গরমের মধ্যে যোগ হয়েছে পানির সমস্যা। গত কয়েকদিন ধরে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় তীব্র পানির কষ্ট দেখা গেছে। কোনো কোনো এলাকায় পানি পাওয়া গেলেও সে পানি ছিল ময়লা-আবর্জনা আর কালো কেমিক্যাল যুক্ত। যার কারণে মানুষের কষ্ট ও বিরক্তি অসহনীয় পর্যায়ে পৌঁছে যায়। গত কয়েকদিনে দু’-এক পশলা বৃষ্টি হলেও তাতে অস্বস্তি কমেনি।
গরমের কারণে বাড়িতে বাড়িতে শিশুরা জ্বর ও পেটের পীড়ায় আক্রান্ত হচ্ছে। মহাখালী ডায়রিয়া হাসপাতালে অতিরিক্ত রোগীর ভিড় করছে। মোহাম্মদপুর এলাকার আবদুল মজিদ বলেন, গত কয়েকদিন ধরে গরমের তীব্রতা যেভাবে বেড়ে গেছে তাতে মনে হচ্ছে মানুষ মরেই যাবে। তীব্র গরমে শরীরের সবকিছু বেরিয়ে যাওয়ার অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। তবে গরম থেকে কিছুটা স্বস্তি পেতে প্রচুর পরিমাণ স্যালাইন ও ডাবের পানি খাচ্ছেন বলে জানান।
তবে প্রচণ্ড গরমকে পুঁজি করে নগরীর বিভিন্ন স্কুল-কলেজ, সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের সামনে ও ফুটপাতে ক্ষুদে ব্যবসায়ীরা তরমুজ, ডাব, লেবুর শরবত, আখের রস, পানীয় ও ফলমূলের দোকান বসিয়ে রমরমা ব্যবসা করছে। এসব দোকানে মানুষের প্রচণ্ড ভিড়। তবে গরমের মধ্যে তরমুজ সবচেয়ে বেশি বিক্রি হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। তরমুজ ব্যবসায়ীরা প্রতি পিস ১০ টাকা ও প্রতিটি তরমুজ ১৫০ থেকে ৩০০ টাকা ধরে বিক্রি করছেন। এছাড়া প্রতি গ্লাস বরফ মিশ্রিত আখের রস, লেবুর শরবত ১০ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে।
No comments