আত্মঘাতী বোমা হামলায় রক্তাক্ত হলো সৌদি আরব, নিহত ২১
ভয়াবহ আত্মঘাতী হামলায় প্রায় তছনছ হয়ে যাওয়া সৌদি আরবের কাতিফ শহরের শিয়া মুসলিম সম্প্রদায়ের একটি মসজিদ। গতকাল জুমার নামাজের সময় মসজিদটিতে চালানো এ হামলায় অনেক মুসল্লি হতাহত হন |
এবার
আত্মঘাতী বোমা হামলায় রক্তাক্ত হলো সৌদি আরব। গত শুক্রবার দেশটির
পূর্বাঞ্চলীয় একটি শিয়া মসজিদে আত্মঘাতী হামলায় অন্তত ২১ জন মুসল্লি প্রাণ
হারিয়েছেন। আহত ব্যক্তির সংখ্যাও কমপক্ষে ৭০ জন। খবর বিবিসি, এএফপি ও
রয়টার্সের।
ভয়াবহ এ হামলার দায়িত্ব স্বীকার করেছে ইরাক ও সিরিয়ায় সক্রিয় সুন্নি মুসলিম জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেট (আইএস)। তাদের দাবি সঠিক হলে সৌদি আরবে এটাই জঙ্গিগোষ্ঠীটির প্রথম হামলার ঘটনা। যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন অভিযানে অংশগ্রহণের প্রতিশোধ হিসেবে সৌদি আরবকে হামলার হুমকি দিয়েছিল আইএস।
সৌদি সরকারি বার্তা সংস্থা এসপিএর খবরের বরাত দিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে বলা হয়, শিয়া মুসলিম-অধ্যুষিত পূর্বাঞ্চলীয় কাতিফ শহরের কুদেইহ্ এলাকার আলী ইবনে আবি তালেব মসজিদে এক শক্তিশালী বোমার সাহায্যে ওই আত্মঘাতী হামলা চালানো হয়েছে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন মুখপাত্র এক বিবৃতিতে বলেন, একজন আত্মঘাতী হামলাকারী জামার নিচে বোমা লুকিয়ে এনে জুমার নামাজের সময় ওই হামলা চালায়।
সৌদি আরবের টেলিভিশনে সম্প্রচারিত দৃশ্যে হামলার পর মসজিদের মেঝেতে হতাহত ব্যক্তিদের রক্তের মাঝে পড়ে থাকতে দেখা যায়। হামলার পর কাতিফের হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ আহত ব্যক্তিদের জীবন বাঁচাতে জরুরি ভিত্তিতে রক্তদানের আহ্বান জানায়।
নাসিমা আসাদা নামে ওই শহরের একজন বাসিন্দা বলছিলেন, যখন বোমাটি ফাটানো হয় তখন হজরত ইমাম হোসাইনের (রাহ.) জন্মবার্ষিকীর অনুষ্ঠান উদ্যাপন করছিলেন মুসল্লিরা। হামলায় স্থানীয় লোকজন এতই খেপে যান যে তাঁরা পুলিশকে ঘটনাস্থলে ভিড়তে দিচ্ছিলেন না। কেননা, বাসিন্দারা আগে থেকেই এ রকম হামলার আশঙ্কা করছিলেন। কিন্তু সরকার তা কাটাতে ব্যবস্থা নেয়নি।
নাসিমা আরও বলেন, ‘সিরিয়া ও ইরাকে যা ঘটছে, সেটার পুনরাবৃত্তি এ দেশেও হোক, তা আমরা চাই না। এটা আমাদের মাতৃভূমি এবং আমরা একে ভালোবাসি।’
সৌদি আরবের সুন্নি সম্প্রদায়ের শীর্ষ নেতা এই হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন। রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে তিনি বলেন, ‘এ দেশের মানুষকে বিভক্ত করার চেষ্টায় এটা একটা ঘৃণ্য অপরাধ। এটা আমাদের দেশে অস্থিরতার বীজ বোনার চেষ্টা।’
প্রসঙ্গত, ইরাক ও সিরিয়ায় আইএসের বিরুদ্ধে চলা মার্কিন নেতৃত্বাধীন অভিযানে অংশ নিচ্ছে সৌদি আরব। এর বাইরে গত ২৬ মার্চ থেকে সৌদি আরবের নেতৃত্বে একটি জোট ইয়েমেনে শিয়া হুতি বিদ্রোহীদের দমনে অভিযান চালাচ্ছে। এই বিদ্রোহীরা সম্প্রতি ইয়েমেনের সুন্নি সরকারকে উৎখাত করেছে।
বিশ্লেষকেরা বলছেন, অতিরক্ষণশীল দেশ সৌদি আরবে সুন্নি মুসলিমরা দেশটির শিয়া মুসলিমদের ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীদের সহযোগী বলে মনে করে থাকে।
মসজিদে আত্মঘাতী হামলার দায় স্বীকার করে অনলাইনে একটি বিবৃতি দিয়েছে আইএস। এতে বলা হয়, আবু আমর আল-নাজদি নামে তাদের এক যোদ্ধা ওই হামলা চালিয়েছে। তাঁকে ‘খিলাফতের সেনা’ অভিহিত করে তাঁর একটি ছবিও প্রকাশ করা হয়।
মসজিদে এই হামলার ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও ইরান।
ভয়াবহ এ হামলার দায়িত্ব স্বীকার করেছে ইরাক ও সিরিয়ায় সক্রিয় সুন্নি মুসলিম জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেট (আইএস)। তাদের দাবি সঠিক হলে সৌদি আরবে এটাই জঙ্গিগোষ্ঠীটির প্রথম হামলার ঘটনা। যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন অভিযানে অংশগ্রহণের প্রতিশোধ হিসেবে সৌদি আরবকে হামলার হুমকি দিয়েছিল আইএস।
সৌদি সরকারি বার্তা সংস্থা এসপিএর খবরের বরাত দিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে বলা হয়, শিয়া মুসলিম-অধ্যুষিত পূর্বাঞ্চলীয় কাতিফ শহরের কুদেইহ্ এলাকার আলী ইবনে আবি তালেব মসজিদে এক শক্তিশালী বোমার সাহায্যে ওই আত্মঘাতী হামলা চালানো হয়েছে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন মুখপাত্র এক বিবৃতিতে বলেন, একজন আত্মঘাতী হামলাকারী জামার নিচে বোমা লুকিয়ে এনে জুমার নামাজের সময় ওই হামলা চালায়।
সৌদি আরবের টেলিভিশনে সম্প্রচারিত দৃশ্যে হামলার পর মসজিদের মেঝেতে হতাহত ব্যক্তিদের রক্তের মাঝে পড়ে থাকতে দেখা যায়। হামলার পর কাতিফের হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ আহত ব্যক্তিদের জীবন বাঁচাতে জরুরি ভিত্তিতে রক্তদানের আহ্বান জানায়।
নাসিমা আসাদা নামে ওই শহরের একজন বাসিন্দা বলছিলেন, যখন বোমাটি ফাটানো হয় তখন হজরত ইমাম হোসাইনের (রাহ.) জন্মবার্ষিকীর অনুষ্ঠান উদ্যাপন করছিলেন মুসল্লিরা। হামলায় স্থানীয় লোকজন এতই খেপে যান যে তাঁরা পুলিশকে ঘটনাস্থলে ভিড়তে দিচ্ছিলেন না। কেননা, বাসিন্দারা আগে থেকেই এ রকম হামলার আশঙ্কা করছিলেন। কিন্তু সরকার তা কাটাতে ব্যবস্থা নেয়নি।
নাসিমা আরও বলেন, ‘সিরিয়া ও ইরাকে যা ঘটছে, সেটার পুনরাবৃত্তি এ দেশেও হোক, তা আমরা চাই না। এটা আমাদের মাতৃভূমি এবং আমরা একে ভালোবাসি।’
সৌদি আরবের সুন্নি সম্প্রদায়ের শীর্ষ নেতা এই হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন। রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে তিনি বলেন, ‘এ দেশের মানুষকে বিভক্ত করার চেষ্টায় এটা একটা ঘৃণ্য অপরাধ। এটা আমাদের দেশে অস্থিরতার বীজ বোনার চেষ্টা।’
প্রসঙ্গত, ইরাক ও সিরিয়ায় আইএসের বিরুদ্ধে চলা মার্কিন নেতৃত্বাধীন অভিযানে অংশ নিচ্ছে সৌদি আরব। এর বাইরে গত ২৬ মার্চ থেকে সৌদি আরবের নেতৃত্বে একটি জোট ইয়েমেনে শিয়া হুতি বিদ্রোহীদের দমনে অভিযান চালাচ্ছে। এই বিদ্রোহীরা সম্প্রতি ইয়েমেনের সুন্নি সরকারকে উৎখাত করেছে।
বিশ্লেষকেরা বলছেন, অতিরক্ষণশীল দেশ সৌদি আরবে সুন্নি মুসলিমরা দেশটির শিয়া মুসলিমদের ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীদের সহযোগী বলে মনে করে থাকে।
মসজিদে আত্মঘাতী হামলার দায় স্বীকার করে অনলাইনে একটি বিবৃতি দিয়েছে আইএস। এতে বলা হয়, আবু আমর আল-নাজদি নামে তাদের এক যোদ্ধা ওই হামলা চালিয়েছে। তাঁকে ‘খিলাফতের সেনা’ অভিহিত করে তাঁর একটি ছবিও প্রকাশ করা হয়।
মসজিদে এই হামলার ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও ইরান।
No comments