২০১০-এর পর বিশ্বজুড়ে বড় ধরনের ভূমিকম্প
২৫শে
এপ্রিল নেপালে আঘাত হানে রিখটার স্কেলে প্রায় ৮ মাত্রার শক্তিশালী এক
ভূমিকম্প। এতে প্রকম্পিত হয় পার্শ্ববর্তী বাংলাদেশ ও ভারত। এখন পর্যন্ত
প্রলয়ঙ্করী ওই ভূমিকম্পে প্রাণহানি সাড়ে পাঁচ হাজার ছাড়িয়েছে। সাম্প্রতিক
বছরগুলোতে বিশ্বজুড়ে কয়েকটি বড় আকারের ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। ২০১০ সাল থেকে
এখন পর্যন্ত এমন ভূমিকম্পগুলোর ঘটনা এখানে তুলে ধরা হলো-
১২ই জানুয়ারি, ২০১০: হাইতি কাঁপিয়ে দিয়ে যায় ৭.৩ মাত্রার ভূমিকম্প। এতে ২ লাখ ৭০ হাজার মানুষ নিহত হয়। বাস্তুচ্যুত হয়ে পড়ে ১ লাখ মানুষ। জাতিসংঘ মিশনের সদর দপ্তরসহ মাটিতে মিশে যায় অনেক ভবন। ক্ষয়ক্ষতির মাত্রা অনুমান করা হয় ৭০০ কোটি ডলার।
২৭শে ফেব্রুয়ারি, ২০১০: ৮.৮ মাত্রার শক্তিশালী এক ভূমিকম্প আঘাত হানে দক্ষিণ চিলিতে। ভূমিকম্পের ফলে সৃষ্টি হয় সুনামি। পুরো অঞ্চলের যোগাযোগ এবং বিদ্যুৎ ব্যবস্থা বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে। এতে কমপক্ষে ৫২৬৯ জন নিহত হয়। ক্ষয়ক্ষতির আনুমানিক পরিমাণ নির্ধারণ করা হয় ৩ হাজার কোটি ডলার।
১৪ই এপ্রিল, ২০১০: চীনের কিংঘাই প্রদেশে আঘাত হানা ৭.১ মাত্রার ভূমিকম্পে নিহত হয় ২৬৯৮ জন মানুষ। নিখোঁজ ২৭০ জন ব্যক্তি।
২২শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১: নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চ অঞ্চলে আঘাত হানে ৬.৩ মাত্রার ভূমিকম্প। এতে নিহত হয় ১৮৫ জন। নিখোঁজ হয় শতাধিক।
১১ই মার্চ, ২০১১: জাপানের উত্তরপূর্ব এবং পূর্ব প্রশান্ত উপকূলীয় অঞ্চলে আঘাত হানে ৯ মাত্রার শক্তিশালি ভূমিকম্প। এর ফলে সৃষ্টি হয় ভয়াবহ সুনামি। এতে ১৫ সহস্রাধিক মানুষ নিহত হয়। পরবর্তীকালে এ বিপর্যয় সব থেকে ভয়াবহ বেসামরিক পারমাণবিক সংকটে পরিণত হয়। পরিবেশে ছড়িয়ে পড়ে ব্যাপক পরিমাণ তেজস্ক্রিয় উপাদান।
২৪শে মার্চ ২০১১: মিয়ানমারের উত্তরপূর্ব শান রাজ্যে আঘাত হানে ৭ মাত্রার ভূমিকম্প। এতে কমপক্ষে ৬০ জন নিহত হয়। আহত হয় ৯০ জন। ভূপৃষ্ঠের ১০ কিলোমিটার গভীরে ছিল এর উৎপত্তিস্থল। ভূমিকম্পটি মিয়ানমারের সীমান্তবর্তী থাইল্যান্ড ও লাওসেও আঘাত হানে।
২৩শে অক্টোবর ২০১১: ৭.২ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হানে দক্ষিণপূর্ব তুরস্কে। এতে নিহত হয় কমপক্ষে ৫৭০ জন। আহত হয় ২৩০০। এরকিস শহরে ধসে পড়ে ৮০ তলা ভবন।
২৫শে অক্টোবর ২০১১: ইন্দোনেশিয়ার পশ্চিম সুমাত্রায় ৭.২ মাত্রার ভূমিকম্পের ফলে সৃষ্টি হয় ভয়াবহ সুনামি। এতে কমপক্ষে ১১৩ জন নিহত এবং ৫০২ জন নিখোঁজ হন।
২রা ফেব্রুয়ারি, ২০১২: ৬.২ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হানে মধ্য ফিলিপিন্সে। নিহত হয় ৪৪ জন। ভূমিকম্পের ফলে সৃষ্ট ভূমিধসে মারা যায় ৩০ জন।
৭ই সেপ্টেম্বর, ২০১২: ৫.৭ এবং ৫.৬ মাত্রার দুটি ভূমিকম্প আঘাত হানে দক্ষিণ-পশ্চিম চীনের পর্বতশঙ্কুল এলাকায়। এতে ৬৭ জন নিহত এবং ৭৩১ জন আহত হন। ভূমিকম্পে আক্রান্ত হন ৭ লাখ ৪০ হাজার মানুষ। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়ায় ৫৫ কোটি ১০ লাখ ডলারে।
৭ই নভেম্বর ২০১২: গুয়াতেমালার প্রশান্ত উপকূলে আঘাত হানে ৭.৪ মাত্রার ভূমিকম্প। এতে নিহত হয় ৪৮ জন আর আহত হন ১৫৫ জন।
১৬ই এপ্রিল ২০১৩: পাকিস্তানের দক্ষিণ ও দক্ষিণ পশ্চিম অঞ্চলে আঘাত হানে ৭.৯ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প। এতে কমপক্ষে ৪০ জন নিহত এবং ৩০০ আহত হন।
২০শে এপ্রিল ২০১৩: চিনের সিচুয়ান প্রদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমে লুশান কাউন্টির ইয়ান শহরে আঘাত হানে ৭ মাত্রার ভূমিকম্প। এতে ১৮৮ জন নিহত এবং ১১৯৫০ জন আহত হন।
২৪শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩: ৭.৭ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হানে পাকিস্তানের দক্ষিণ-পশ্চিম প্রদেশ বেলুুচিস্তানে। এতে ৩৫০ জন নিহত এবং ৬ শতাধিক আহত হন। শ’ শ’ বাসাবাড়ি মাটির সঙ্গে মিশে যায়। এর চার দিন পর আঘাত হানে ৭.২ মাত্রার আরেকটি ভূমিকম্প। এতে আরও ১২ জনের প্রাণহানি হয়।
১৫ই অক্টোবর ২০১৩: ৭.২ মাত্রার ভূমিকম্পের আঘাতে মধ্য ফিলিপাইনে কমপক্ষে ১৬১ জন নিহত হয়। আহত হয় ৩৭৫ জন। ভূমিকম্পে আক্রান্ত হন ৩৪ লাখ নিবাসী। ধ্বংসপ্রাপ্ত হয় ১৯৩০৬টি বাড়ি।
৩রা আগস্ট, ২০১৪: চীনের দক্ষিণ-পশ্চিম ইউনান প্রদেশের ঝাওটং শহরে ৬.৫ মাত্রার ভূমিকম্পে ৬০০ জনের প্রাণহানি হয়। ২৫৫০০ বাসাবাড়ির প্রায় ৮০ হাজার কক্ষ ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়। গুরুতর ক্ষতিগ্রস্ত হয় ৩৯২০০ বাসাবাড়ির ১ লাখ ২৪ হাজার কক্ষ।
১২ই জানুয়ারি, ২০১০: হাইতি কাঁপিয়ে দিয়ে যায় ৭.৩ মাত্রার ভূমিকম্প। এতে ২ লাখ ৭০ হাজার মানুষ নিহত হয়। বাস্তুচ্যুত হয়ে পড়ে ১ লাখ মানুষ। জাতিসংঘ মিশনের সদর দপ্তরসহ মাটিতে মিশে যায় অনেক ভবন। ক্ষয়ক্ষতির মাত্রা অনুমান করা হয় ৭০০ কোটি ডলার।
২৭শে ফেব্রুয়ারি, ২০১০: ৮.৮ মাত্রার শক্তিশালী এক ভূমিকম্প আঘাত হানে দক্ষিণ চিলিতে। ভূমিকম্পের ফলে সৃষ্টি হয় সুনামি। পুরো অঞ্চলের যোগাযোগ এবং বিদ্যুৎ ব্যবস্থা বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে। এতে কমপক্ষে ৫২৬৯ জন নিহত হয়। ক্ষয়ক্ষতির আনুমানিক পরিমাণ নির্ধারণ করা হয় ৩ হাজার কোটি ডলার।
১৪ই এপ্রিল, ২০১০: চীনের কিংঘাই প্রদেশে আঘাত হানা ৭.১ মাত্রার ভূমিকম্পে নিহত হয় ২৬৯৮ জন মানুষ। নিখোঁজ ২৭০ জন ব্যক্তি।
২২শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১: নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চ অঞ্চলে আঘাত হানে ৬.৩ মাত্রার ভূমিকম্প। এতে নিহত হয় ১৮৫ জন। নিখোঁজ হয় শতাধিক।
১১ই মার্চ, ২০১১: জাপানের উত্তরপূর্ব এবং পূর্ব প্রশান্ত উপকূলীয় অঞ্চলে আঘাত হানে ৯ মাত্রার শক্তিশালি ভূমিকম্প। এর ফলে সৃষ্টি হয় ভয়াবহ সুনামি। এতে ১৫ সহস্রাধিক মানুষ নিহত হয়। পরবর্তীকালে এ বিপর্যয় সব থেকে ভয়াবহ বেসামরিক পারমাণবিক সংকটে পরিণত হয়। পরিবেশে ছড়িয়ে পড়ে ব্যাপক পরিমাণ তেজস্ক্রিয় উপাদান।
২৪শে মার্চ ২০১১: মিয়ানমারের উত্তরপূর্ব শান রাজ্যে আঘাত হানে ৭ মাত্রার ভূমিকম্প। এতে কমপক্ষে ৬০ জন নিহত হয়। আহত হয় ৯০ জন। ভূপৃষ্ঠের ১০ কিলোমিটার গভীরে ছিল এর উৎপত্তিস্থল। ভূমিকম্পটি মিয়ানমারের সীমান্তবর্তী থাইল্যান্ড ও লাওসেও আঘাত হানে।
২৩শে অক্টোবর ২০১১: ৭.২ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হানে দক্ষিণপূর্ব তুরস্কে। এতে নিহত হয় কমপক্ষে ৫৭০ জন। আহত হয় ২৩০০। এরকিস শহরে ধসে পড়ে ৮০ তলা ভবন।
২৫শে অক্টোবর ২০১১: ইন্দোনেশিয়ার পশ্চিম সুমাত্রায় ৭.২ মাত্রার ভূমিকম্পের ফলে সৃষ্টি হয় ভয়াবহ সুনামি। এতে কমপক্ষে ১১৩ জন নিহত এবং ৫০২ জন নিখোঁজ হন।
২রা ফেব্রুয়ারি, ২০১২: ৬.২ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হানে মধ্য ফিলিপিন্সে। নিহত হয় ৪৪ জন। ভূমিকম্পের ফলে সৃষ্ট ভূমিধসে মারা যায় ৩০ জন।
৭ই সেপ্টেম্বর, ২০১২: ৫.৭ এবং ৫.৬ মাত্রার দুটি ভূমিকম্প আঘাত হানে দক্ষিণ-পশ্চিম চীনের পর্বতশঙ্কুল এলাকায়। এতে ৬৭ জন নিহত এবং ৭৩১ জন আহত হন। ভূমিকম্পে আক্রান্ত হন ৭ লাখ ৪০ হাজার মানুষ। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়ায় ৫৫ কোটি ১০ লাখ ডলারে।
৭ই নভেম্বর ২০১২: গুয়াতেমালার প্রশান্ত উপকূলে আঘাত হানে ৭.৪ মাত্রার ভূমিকম্প। এতে নিহত হয় ৪৮ জন আর আহত হন ১৫৫ জন।
১৬ই এপ্রিল ২০১৩: পাকিস্তানের দক্ষিণ ও দক্ষিণ পশ্চিম অঞ্চলে আঘাত হানে ৭.৯ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প। এতে কমপক্ষে ৪০ জন নিহত এবং ৩০০ আহত হন।
২০শে এপ্রিল ২০১৩: চিনের সিচুয়ান প্রদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমে লুশান কাউন্টির ইয়ান শহরে আঘাত হানে ৭ মাত্রার ভূমিকম্প। এতে ১৮৮ জন নিহত এবং ১১৯৫০ জন আহত হন।
২৪শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩: ৭.৭ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হানে পাকিস্তানের দক্ষিণ-পশ্চিম প্রদেশ বেলুুচিস্তানে। এতে ৩৫০ জন নিহত এবং ৬ শতাধিক আহত হন। শ’ শ’ বাসাবাড়ি মাটির সঙ্গে মিশে যায়। এর চার দিন পর আঘাত হানে ৭.২ মাত্রার আরেকটি ভূমিকম্প। এতে আরও ১২ জনের প্রাণহানি হয়।
১৫ই অক্টোবর ২০১৩: ৭.২ মাত্রার ভূমিকম্পের আঘাতে মধ্য ফিলিপাইনে কমপক্ষে ১৬১ জন নিহত হয়। আহত হয় ৩৭৫ জন। ভূমিকম্পে আক্রান্ত হন ৩৪ লাখ নিবাসী। ধ্বংসপ্রাপ্ত হয় ১৯৩০৬টি বাড়ি।
৩রা আগস্ট, ২০১৪: চীনের দক্ষিণ-পশ্চিম ইউনান প্রদেশের ঝাওটং শহরে ৬.৫ মাত্রার ভূমিকম্পে ৬০০ জনের প্রাণহানি হয়। ২৫৫০০ বাসাবাড়ির প্রায় ৮০ হাজার কক্ষ ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়। গুরুতর ক্ষতিগ্রস্ত হয় ৩৯২০০ বাসাবাড়ির ১ লাখ ২৪ হাজার কক্ষ।
No comments