রাজপরিবারে নতুন অতিথি আসা নিয়ে যত প্রথা
‘নকিব’ বা নগরের ঘোষক টনি অ্যাপলটন এভাবেই রাজপরিবারের নতুন সদস্য আসার সুসংবাদ ঘোষণা করেন |
ব্রিটিশ
রাজপরিবারে নতুন সন্তানের জন্মদানকে ঘিরে বেশ কিছু প্রথা রয়েছে। প্রিন্স
উইলিয়াম এবং তাঁর স্ত্রী কেট আধুনিক দম্পতি হলেও তাঁদের নতুন মেয়েসন্তানটির
ক্ষেত্রেও এসব প্রথা মেনে চলতে হবে।
একটা সময় রীতি ছিল, রাজপরিবারে সন্তান জন্মগ্রহণের সময় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর উপস্থিতি প্রত্যাশা করা হতো। তবে ১৯৩৬ সালে প্রিন্সেস আলেক্সান্ডার জন্মের সময় এই রীতি বন্ধ হয়ে যায়। গতকাল শনিবার নতুন কন্যাসন্তানের জন্মদানের সময় বাবা প্রিন্স উইলিয়াম অবশ্য উপস্থিত ছিলেন। এর আগে রানি ভিক্টোরিয়ার স্বামী অ্যালবার্ট, তাঁর পুত্র ষষ্ঠ এডওয়ার্ড এবং প্রিন্স চার্লস—এঁরা প্রত্যেকেই তাঁদের সন্তানের জন্মদান প্রত্যক্ষ করেন।
প্রথামতো, উইলিয়াম-কেট দম্পতির সন্তান জন্মদানের খবর প্রথম জানানো হয় রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ, রাজপরিবারের জ্যেষ্ঠ সদস্য এবং কেটের বাবা-মাকে। জনসমক্ষে এই খবর প্রচার করা হবে রাজপরিবারের টুইটার এবং ফেসবুক পাতার মাধ্যমে। এরপর প্রথানুসারে রাজপরিবারের চিকিৎসকেরা সন্তান জন্মদানের ঘোষণাপত্র বাকিংহাম প্যালেসের আঙিনায় ঝুলিয়ে দেন।
সন্তান জন্মের পর রীতি মেনে কামানের গোলা বর্ষণ করা হবে। এর মধ্যে টাওয়ার অব লন্ডন থেকে ৬২ বার এবং গ্রিন পার্কে ৪১ বার কামান দাগা হবে। যুক্তরাজ্যজুড়ে সব সরকারি ভবনে উড়বে জাতীয় পতাকা। জন্মের ৪২ দিনের মধ্যে ইংল্যান্ড এবং ওয়েলসের সব শিশুর জন্মনিবন্ধন করতে হয় হাসপাতালে বা স্থানীয় নিবন্ধকের কার্যালয়ে। উইলিয়ামের সন্তানের জন্মদানের খবর ব্রিটিশ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানাবেন লন্ডনের লর্ড মেয়রকে।
নতুন রাজকন্যার নাম জানতে সবাইকে কয়েক দিন অপেক্ষা করতে হবে। তার বাবা উইলিয়ামের নাম জানা গিয়েছিল এক সপ্তাহ পর। তবে উইলিয়ামের বাবা চার্লসের নাম জানতে বিশ্বকে অপেক্ষা করতে হয়েছিল এক মাস। উইলিয়ামের প্রথম সন্তান জর্জের নাম জানা গিয়েছিল জন্মের দুই দিনের মধ্যেই। নতুন শিশুর পদবি হবে প্রিন্সেস অব ক্যামব্রিজ। তবে উইলিয়াম এবং কেট তাঁদের সন্তানের পদবি নির্ধারণ করতে পারবেন।
চার্চ অব ইংল্যান্ডের সদস্য হিসেবে রাজপরিবারের নতুন এই অতিথিকে খ্রিষ্টধর্মে দীক্ষা দেওয়া হবে। এ সময় তার পরনে থাকবে রানি ভিক্টোরিয়ার বড় মেয়ের গাউনটির আদলে তৈরি পোশাক। এটি তৈরি হয়েছিল ১৮৪১ সালে। মূল পোশাকটি সর্বশেষ ব্যবহার করা হয়েছিল ২০০৪ সালে। প্রিন্স জর্জের খ্রিষ্টধর্মে দীক্ষা হয়েছিল আর্চবিশপ অব ক্যান্টারবেরির মাধ্যমে। সূত্র: এএফপি
একটা সময় রীতি ছিল, রাজপরিবারে সন্তান জন্মগ্রহণের সময় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর উপস্থিতি প্রত্যাশা করা হতো। তবে ১৯৩৬ সালে প্রিন্সেস আলেক্সান্ডার জন্মের সময় এই রীতি বন্ধ হয়ে যায়। গতকাল শনিবার নতুন কন্যাসন্তানের জন্মদানের সময় বাবা প্রিন্স উইলিয়াম অবশ্য উপস্থিত ছিলেন। এর আগে রানি ভিক্টোরিয়ার স্বামী অ্যালবার্ট, তাঁর পুত্র ষষ্ঠ এডওয়ার্ড এবং প্রিন্স চার্লস—এঁরা প্রত্যেকেই তাঁদের সন্তানের জন্মদান প্রত্যক্ষ করেন।
প্রথামতো, উইলিয়াম-কেট দম্পতির সন্তান জন্মদানের খবর প্রথম জানানো হয় রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ, রাজপরিবারের জ্যেষ্ঠ সদস্য এবং কেটের বাবা-মাকে। জনসমক্ষে এই খবর প্রচার করা হবে রাজপরিবারের টুইটার এবং ফেসবুক পাতার মাধ্যমে। এরপর প্রথানুসারে রাজপরিবারের চিকিৎসকেরা সন্তান জন্মদানের ঘোষণাপত্র বাকিংহাম প্যালেসের আঙিনায় ঝুলিয়ে দেন।
সন্তান জন্মের পর রীতি মেনে কামানের গোলা বর্ষণ করা হবে। এর মধ্যে টাওয়ার অব লন্ডন থেকে ৬২ বার এবং গ্রিন পার্কে ৪১ বার কামান দাগা হবে। যুক্তরাজ্যজুড়ে সব সরকারি ভবনে উড়বে জাতীয় পতাকা। জন্মের ৪২ দিনের মধ্যে ইংল্যান্ড এবং ওয়েলসের সব শিশুর জন্মনিবন্ধন করতে হয় হাসপাতালে বা স্থানীয় নিবন্ধকের কার্যালয়ে। উইলিয়ামের সন্তানের জন্মদানের খবর ব্রিটিশ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানাবেন লন্ডনের লর্ড মেয়রকে।
নতুন রাজকন্যার নাম জানতে সবাইকে কয়েক দিন অপেক্ষা করতে হবে। তার বাবা উইলিয়ামের নাম জানা গিয়েছিল এক সপ্তাহ পর। তবে উইলিয়ামের বাবা চার্লসের নাম জানতে বিশ্বকে অপেক্ষা করতে হয়েছিল এক মাস। উইলিয়ামের প্রথম সন্তান জর্জের নাম জানা গিয়েছিল জন্মের দুই দিনের মধ্যেই। নতুন শিশুর পদবি হবে প্রিন্সেস অব ক্যামব্রিজ। তবে উইলিয়াম এবং কেট তাঁদের সন্তানের পদবি নির্ধারণ করতে পারবেন।
চার্চ অব ইংল্যান্ডের সদস্য হিসেবে রাজপরিবারের নতুন এই অতিথিকে খ্রিষ্টধর্মে দীক্ষা দেওয়া হবে। এ সময় তার পরনে থাকবে রানি ভিক্টোরিয়ার বড় মেয়ের গাউনটির আদলে তৈরি পোশাক। এটি তৈরি হয়েছিল ১৮৪১ সালে। মূল পোশাকটি সর্বশেষ ব্যবহার করা হয়েছিল ২০০৪ সালে। প্রিন্স জর্জের খ্রিষ্টধর্মে দীক্ষা হয়েছিল আর্চবিশপ অব ক্যান্টারবেরির মাধ্যমে। সূত্র: এএফপি
No comments