রাষ্ট্রযন্ত্রের মাধ্যমে দেশে সাংবাদিক নির্যাতন বেড়েছে -আর্টিকেল ১৯-এর প্রতিবেদন
বাংলাদেশে রাষ্ট্রযন্ত্রের মাধ্যমে সাংবাদিকদের ওপর নির্যাতন, হয়রানি ও আক্রমণ আশঙ্কাজনকভাবে বেড়েছে। ২০১৩ সালে বাংলাদেশে রাষ্ট্রযন্ত্রের মাধ্যমে সাংবাদিক নির্যাতনের হার ছিল ১২ দশমিক ৫ শতাংশ। এক বছরের ব্যবধানে ২০১৪ সালে এই হার হয়েছে ৩৩ দশমিক ৬৯ শতাংশ। এর প্রায় ২৩ শতাংশ নির্যাতনই হয়েছে পুলিশ, র্যাব ও গোয়েন্দা পুলিশের হাতে।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বাইরে সরকারি কর্মকর্তাদের হাতে ১১ শতাংশ আক্রমণের ঘটনা ঘটেছে। বাক্স্বাধীনতা নিয়ে কাজ করা যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংগঠন আর্টিকেল-১৯ এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য উল্লেখ করেছে। সংগঠনটি সাংবাদিকদের নিরাপত্তার জন্য একটি কার্যকর সুরক্ষা কৌশল ও নীতিমালা করাসহ কয়েকটি সুপারিশ করেছে।
বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস উপলক্ষে গতকাল রোববার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে আর্টিকেল-১৯ এই প্রতিবেদন প্রকাশ করে। ‘ফ্রিডম অব এক্সপ্রেশন ইন বাংলাদেশ-২০১৪’ শীর্ষক এ প্রতিবেদনে ২০১৪ সালের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত বাংলাদেশে সাংবাদিক হত্যা, নির্যাতন ও হয়রানির তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। প্রতিবেদনের বিভিন্ন তথ্য তুলে ধরেন সংগঠনটির বাংলাদেশ ও দক্ষিণ এশিয়ার পরিচালক তাহমিনা রহমান। তিনি বলেন, এমন নির্যাতন সাংবাদিকদের পেশাগত দায়িত্ব পালনের জন্য হুমকি।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১৪ সালে রাষ্ট্রযন্ত্রের বাইরে সাংবাদিকদের ওপর আক্রমণের ঘটনা ঘটেছে ৬৬ দশমিক ৩১ শতাংশ। এর মধ্যে ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীদের হাতে ৩৩ দশমিক ৬৯ শতাংশ ঘটনা ঘটেছে। ২০১৩ সালের তুলনায় ২০১৪ সালে সাংবাদিকদের হয়রানির পরিমাণ বেড়েছে ১০৬ শতাংশ। হয়রানির মধ্যে মানহানির দেওয়ানি ও ফৌজদারি মামলাও রয়েছে। ২০১৩ সালে হয়রানির ঘটনা ছিল ৩৩টি; ২০১৪ সালে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬৮টিতে। সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে ১০টি ফৌজদারি মামলা হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে তাহমিনা রহমান সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে করা বিভিন্ন মামলার উদাহরণ তুলে ধরেন। তিনি বলেন, আপাতদৃষ্টিতে এসব মামলার সব কটিই হয়রানিমূলক।
প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রথম আলোর সম্পাদক, বার্তা সম্পাদক ও কুমিল্লার নিজস্ব প্রতিবেদকের বিরুদ্ধে ২০০ কোটি টাকার দেওয়ানি মানহানির মামলা করে কর্ণফুলী শিপ বিল্ডার্সের মালিকপক্ষ। অনিয়ম ও দুর্নীতি নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশের কারণে মামলাটি করা হয়।
যুগান্তর পত্রিকার প্রকাশক ও সম্পাদক এবং এক প্রতিবেদকের বিরুদ্ধে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা বাদী হয়ে ক্ষমতাসীন দলের নেতা মহীউদ্দীন খান আলমগীর ও দীপু মনির পক্ষে একটি ফৌজদারি মামলা করেন চাঁদপুরের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে। মামলাটি হওয়ার কারণ ছিল ‘হেভিওয়েট প্রার্থীরা যে কারণে বাদ পড়লেন’ শিরোনামে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন। আর্টিকেল ১৯-এর প্রতিবেদনে এমন আরও কয়েকটি মামলার উদাহরণ দেওয়া হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১৪ সালে মোট ২১৩ জন সাংবাদিক ও আটজন ব্লগার বিভিন্নভাবে আক্রমণের শিকার হয়েছেন। এর মধ্যে চারজন হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন। গুরুতর জখম হয়েছেন ৪০ জন। আর শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন ৬২ জন সাংবাদিক। হত্যাকাণ্ডের শিকার চার সাংবাদিক হলেন শাহ আলম মোল্লা, সরদার নিপুণ, দেলোয়ার হোসেন ও জি এম বাবর আলী। এঁদের মধ্যে নিহত সাংবাদিক শাহ আলম মোল্লা রাজধানী ঢাকার উত্তরা পশ্চিম থানার ছাদ থেকে পড়ে মারা যান। তাঁর স্বজনেরা অভিযোগ করেছেন, পুলিশই ছাদ থেকে ফেলে দিয়ে তাঁকে হত্যা করেছে।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, সম্পাদক, প্রকাশক ও সাংবাদিক নেতারাসহ ১৩ জন মিডিয়া ব্যক্তিত্বকে আদালত অবমাননার অভিযোগের মুখোমুখি করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছেন প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমান, যুগ্ম সম্পাদক মিজানুর রহমান খান, ব্রিটিশ সাংবাদিক ডেভিড বার্গম্যান প্রমুখ। গত বছর আটজন ব্লগার ও অনলাইন ব্যবহারকারীসহ ১৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ১৩ জনকে তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি আইনের আওতায় গ্রেপ্তার করা হয়। আক্রান্ত সাংবাদিকদের মধ্যে ১৯ জন (৮ দশমিক ৯২ শতাংশ) হুমকির শিকার হয়েছেন। কর্মক্ষেত্রে নারী সাংবাদিকেরা লিঙ্গগত হয়রানি ও বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন।
প্রতিবেদনে বলা হয়, গত বছর সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে ঘটা সহিংস ঘটনার একটিরও বিচারের মাধ্যমে কাউকে দোষী সাব্যস্ত করে শাস্তি দেওয়ার তথ্য পাওয়া যায়নি। এসব ঘটনার মধ্যে মাত্র পাঁচটি ঘটনার তদন্ত শেষ করা হয়েছে। ২৭ শতাংশ ঘটনার তদন্ত প্রক্রিয়াধীন। আর প্রায় ৭০ শতাংশ ঘটনা আইনের আওতার বাইরে রয়েছে। ৫৬ দশমিক ৫৫ শতাংশ আক্রমণের ঘটনায় কোনো আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। অধিকাংশ ঘটনায় আক্রান্ত সাংবাদিকেরা সাধারণ ডায়েরিও (জিডি) করেননি। অন্যান্য ঘটনার ক্ষেত্রে পুলিশ কোনো পদক্ষেপ নেয়নি।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আইনের অস্পষ্টতা ও দুর্বলতার কারণে অনেক ক্ষেত্রে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সাংবাদিক, ব্লগার ও অনলাইনের কর্মীদের হয়রানির সুযোগ পায়। যেমন তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারায় সুস্পষ্টভাবে অপরাধকে সংজ্ঞায়িত করা হয়নি। ফলে অনেক ক্ষেত্রে অনলাইনে নির্দোষ প্রচারণার কারণেও সাংবাদিক ও ব্লগাররা আইনি হয়রানির শিকার হন। বিচারহীনতার কারণে রাষ্ট্রযন্ত্র, এমনকি রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীরা অনেক সময় সহিংসতা ও আক্রমণের ঘটনা ঘটান।
প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশে সাংবাদিকদের ওপর অযাচিত আক্রমণ, সহিংস ঘটনার বিচারিক তদন্তে দীর্ঘসূত্রতা, বিচারহীনতার সংস্কৃতি গণমাধ্যমের কর্মীদের জন্য চরম বাস্তবতা হিসেবে দেখা দিয়েছে।
আর্টিকেল-১৯ সাংবাদিকদের নিরাপত্তার জন্য একটি কার্যকর সুরক্ষা কৌশল ও নীতিমালা করার সুপারিশ করেছে। পাশাপাশি তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি আইন, মানহানি ও আদালত অবমাননাসংক্রান্ত আইনকে মতপ্রকাশের স্বাধীনতাবিষয়ক আন্তর্জাতিক আইনের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ করাসহ আরও কয়েকটি সুপারিশ করা হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে আরও বক্তব্য দেন বাংলাদেশ নারী সাংবাদিক কেন্দ্রের সাধারণ সম্পাদক পারভীন সুলতানা ঝুমা।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বাইরে সরকারি কর্মকর্তাদের হাতে ১১ শতাংশ আক্রমণের ঘটনা ঘটেছে। বাক্স্বাধীনতা নিয়ে কাজ করা যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংগঠন আর্টিকেল-১৯ এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য উল্লেখ করেছে। সংগঠনটি সাংবাদিকদের নিরাপত্তার জন্য একটি কার্যকর সুরক্ষা কৌশল ও নীতিমালা করাসহ কয়েকটি সুপারিশ করেছে।
বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস উপলক্ষে গতকাল রোববার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে আর্টিকেল-১৯ এই প্রতিবেদন প্রকাশ করে। ‘ফ্রিডম অব এক্সপ্রেশন ইন বাংলাদেশ-২০১৪’ শীর্ষক এ প্রতিবেদনে ২০১৪ সালের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত বাংলাদেশে সাংবাদিক হত্যা, নির্যাতন ও হয়রানির তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। প্রতিবেদনের বিভিন্ন তথ্য তুলে ধরেন সংগঠনটির বাংলাদেশ ও দক্ষিণ এশিয়ার পরিচালক তাহমিনা রহমান। তিনি বলেন, এমন নির্যাতন সাংবাদিকদের পেশাগত দায়িত্ব পালনের জন্য হুমকি।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১৪ সালে রাষ্ট্রযন্ত্রের বাইরে সাংবাদিকদের ওপর আক্রমণের ঘটনা ঘটেছে ৬৬ দশমিক ৩১ শতাংশ। এর মধ্যে ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীদের হাতে ৩৩ দশমিক ৬৯ শতাংশ ঘটনা ঘটেছে। ২০১৩ সালের তুলনায় ২০১৪ সালে সাংবাদিকদের হয়রানির পরিমাণ বেড়েছে ১০৬ শতাংশ। হয়রানির মধ্যে মানহানির দেওয়ানি ও ফৌজদারি মামলাও রয়েছে। ২০১৩ সালে হয়রানির ঘটনা ছিল ৩৩টি; ২০১৪ সালে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬৮টিতে। সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে ১০টি ফৌজদারি মামলা হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে তাহমিনা রহমান সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে করা বিভিন্ন মামলার উদাহরণ তুলে ধরেন। তিনি বলেন, আপাতদৃষ্টিতে এসব মামলার সব কটিই হয়রানিমূলক।
প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রথম আলোর সম্পাদক, বার্তা সম্পাদক ও কুমিল্লার নিজস্ব প্রতিবেদকের বিরুদ্ধে ২০০ কোটি টাকার দেওয়ানি মানহানির মামলা করে কর্ণফুলী শিপ বিল্ডার্সের মালিকপক্ষ। অনিয়ম ও দুর্নীতি নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশের কারণে মামলাটি করা হয়।
যুগান্তর পত্রিকার প্রকাশক ও সম্পাদক এবং এক প্রতিবেদকের বিরুদ্ধে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা বাদী হয়ে ক্ষমতাসীন দলের নেতা মহীউদ্দীন খান আলমগীর ও দীপু মনির পক্ষে একটি ফৌজদারি মামলা করেন চাঁদপুরের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে। মামলাটি হওয়ার কারণ ছিল ‘হেভিওয়েট প্রার্থীরা যে কারণে বাদ পড়লেন’ শিরোনামে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন। আর্টিকেল ১৯-এর প্রতিবেদনে এমন আরও কয়েকটি মামলার উদাহরণ দেওয়া হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১৪ সালে মোট ২১৩ জন সাংবাদিক ও আটজন ব্লগার বিভিন্নভাবে আক্রমণের শিকার হয়েছেন। এর মধ্যে চারজন হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন। গুরুতর জখম হয়েছেন ৪০ জন। আর শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন ৬২ জন সাংবাদিক। হত্যাকাণ্ডের শিকার চার সাংবাদিক হলেন শাহ আলম মোল্লা, সরদার নিপুণ, দেলোয়ার হোসেন ও জি এম বাবর আলী। এঁদের মধ্যে নিহত সাংবাদিক শাহ আলম মোল্লা রাজধানী ঢাকার উত্তরা পশ্চিম থানার ছাদ থেকে পড়ে মারা যান। তাঁর স্বজনেরা অভিযোগ করেছেন, পুলিশই ছাদ থেকে ফেলে দিয়ে তাঁকে হত্যা করেছে।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, সম্পাদক, প্রকাশক ও সাংবাদিক নেতারাসহ ১৩ জন মিডিয়া ব্যক্তিত্বকে আদালত অবমাননার অভিযোগের মুখোমুখি করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছেন প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমান, যুগ্ম সম্পাদক মিজানুর রহমান খান, ব্রিটিশ সাংবাদিক ডেভিড বার্গম্যান প্রমুখ। গত বছর আটজন ব্লগার ও অনলাইন ব্যবহারকারীসহ ১৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ১৩ জনকে তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি আইনের আওতায় গ্রেপ্তার করা হয়। আক্রান্ত সাংবাদিকদের মধ্যে ১৯ জন (৮ দশমিক ৯২ শতাংশ) হুমকির শিকার হয়েছেন। কর্মক্ষেত্রে নারী সাংবাদিকেরা লিঙ্গগত হয়রানি ও বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন।
প্রতিবেদনে বলা হয়, গত বছর সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে ঘটা সহিংস ঘটনার একটিরও বিচারের মাধ্যমে কাউকে দোষী সাব্যস্ত করে শাস্তি দেওয়ার তথ্য পাওয়া যায়নি। এসব ঘটনার মধ্যে মাত্র পাঁচটি ঘটনার তদন্ত শেষ করা হয়েছে। ২৭ শতাংশ ঘটনার তদন্ত প্রক্রিয়াধীন। আর প্রায় ৭০ শতাংশ ঘটনা আইনের আওতার বাইরে রয়েছে। ৫৬ দশমিক ৫৫ শতাংশ আক্রমণের ঘটনায় কোনো আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। অধিকাংশ ঘটনায় আক্রান্ত সাংবাদিকেরা সাধারণ ডায়েরিও (জিডি) করেননি। অন্যান্য ঘটনার ক্ষেত্রে পুলিশ কোনো পদক্ষেপ নেয়নি।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আইনের অস্পষ্টতা ও দুর্বলতার কারণে অনেক ক্ষেত্রে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সাংবাদিক, ব্লগার ও অনলাইনের কর্মীদের হয়রানির সুযোগ পায়। যেমন তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারায় সুস্পষ্টভাবে অপরাধকে সংজ্ঞায়িত করা হয়নি। ফলে অনেক ক্ষেত্রে অনলাইনে নির্দোষ প্রচারণার কারণেও সাংবাদিক ও ব্লগাররা আইনি হয়রানির শিকার হন। বিচারহীনতার কারণে রাষ্ট্রযন্ত্র, এমনকি রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীরা অনেক সময় সহিংসতা ও আক্রমণের ঘটনা ঘটান।
প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশে সাংবাদিকদের ওপর অযাচিত আক্রমণ, সহিংস ঘটনার বিচারিক তদন্তে দীর্ঘসূত্রতা, বিচারহীনতার সংস্কৃতি গণমাধ্যমের কর্মীদের জন্য চরম বাস্তবতা হিসেবে দেখা দিয়েছে।
আর্টিকেল-১৯ সাংবাদিকদের নিরাপত্তার জন্য একটি কার্যকর সুরক্ষা কৌশল ও নীতিমালা করার সুপারিশ করেছে। পাশাপাশি তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি আইন, মানহানি ও আদালত অবমাননাসংক্রান্ত আইনকে মতপ্রকাশের স্বাধীনতাবিষয়ক আন্তর্জাতিক আইনের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ করাসহ আরও কয়েকটি সুপারিশ করা হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে আরও বক্তব্য দেন বাংলাদেশ নারী সাংবাদিক কেন্দ্রের সাধারণ সম্পাদক পারভীন সুলতানা ঝুমা।
No comments