উত্তরে পানি পেতে কষ্ট, দক্ষিণে দুর্গন্ধ by অরূপ দত্ত
এলাকাজুড়ে বাসাবাড়িতে পানিতে দুর্গন্ধ, তাই ঢাকা ওয়াসার পাম্পে বাসিন্দাদের ভিড়। বাসাবোর কদমতলা সংসদ পাম্প থেকে তোলা ছবি l প্রথম আলো |
রাজধানীর
বাসাবোর কদমতলা সংসদ পানির পাম্পে মানুষের ভিড়। পানি সংগ্রহে জারিকেন,
হাঁড়ি, কলসি নিয়ে এসেছেন বিভিন্ন বয়সের নারী-পুরুষ। কারণ, বাসার পানিতে
দুর্গন্ধ। এলাকাটি ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৫ নম্বর ওয়ার্ডে।
অন্যদিকে মোহাম্মদপুরের নূরজাহান রোডে এক সপ্তাহের বেশি পানির সংকট চলছে। অনেক বাড়িতে পানি আসে গভীর রাতে। এটি ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ৩১ নম্বর ওয়ার্ড।
ঢাকা সিটি করপোরেশন দুভাগ হলেও উত্তর-দক্ষিণ দুটোরই পানি সরবরাহের দায়িত্বে ঢাকা ওয়াসা। কদমতলা ও নূরজাহান রোডের মতো ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণের অনেক এলাকাতেই এখন পানির কষ্ট। দক্ষিণের মুগদা, মানিকনগর, ধলপুর, সায়েদাবাদ, গেন্ডারিয়া, তাঁতীবাজার, রাজার দেউড়ি, কবিরাজ লেনসহ বিভিন্ন জায়গার পানিতে ময়লা ও গন্ধ। উত্তরের শেখেরটেক, মিরপুরের ১৪ নম্বর সেকশন, ইব্রাহিমপুরসহ বিভিন্ন এলাকায় পানি-সংকটের খবর পাওয়া গেছে।
গতকাল বেলা ১১টার দিকে দক্ষিণের কদমতলা সংসদ পানির পাম্পে পানি নিতে এলেও ক্যামেরার সামনে মুখ লুকাচ্ছিলেন একাধিক মহিলা। কদমতলার কালভার্ট রোড-সংলগ্ন এলাকার গৃহবধূ ফারজানা রাজ্জাক তাঁর পরিচারিকাকে পাঠিয়েছেন পানি সংগ্রহে। বললেন, পানিতে শুধু গন্ধ নয়, ময়লাও আছে। পানি গরম করলে ফেনা বেরোয়। অন্য এক বাসিন্দা বলেন, সিটি করপোরেশন নির্বাচনের আগে প্রার্থীরা আশ্বাস দিয়েছিলেন, নির্বাচিত হলে ভালো পানির ব্যবস্থা করবেন। এখন কাউন্সিলর কী করেন, তা দেখার অপেক্ষায় আছেন।
নির্বাচনের আগে ১৭ এপ্রিল এলাকার আওয়ামী লীগের কাউন্সিলর পদপ্রার্থী মো. আশ্রাফুজ্জামান বলেছিলেন, এলাকায় পানির খুব সমস্যা নেই, তবে গন্ধ আছে। নির্বাচিত হলে দেখবেন কী করা যায়। ওই প্রার্থী নির্বাচিত হয়েছেন। গতকাল তিনি বলেন, মিটিংয়ে আছেন, আধা ঘণ্টা পর কথা হবে। পরে আবার যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, ‘পরে বলব, এখন এ ব্যাপারে কিছু বলতে পারব না।’ কদমতলা পাম্পে কর্তব্যরত একজন কর্মচারী বলেন, প্রজেক্টের (সায়েদাবাদ পানি শোধনাগার) পানি খারাপ হওয়ায় এলাকায় পানিতে দুর্গন্ধ।
ঢাকা ওয়াসার উপব্যবস্থাপনা পরিচালক কামরুল আলম চৌধুরী বলেন, শোধনাগার থেকে সরবরাহ হওয়া পানিতে এখন ‘গন্ধ সমস্যা’ নেই। ড্রেনেজ বা পয়োনালা ফুটো হয়ে পানির লাইনে যুক্ত হওয়ার কারণে এমন গন্ধ হতে পারে।
মোহাম্মদপুর নূরজাহান রোডের একজন বাসিন্দা গত বৃহস্পতিবার প্রথম আলো কার্যালয়ে ফোন করে জানান, পাঁচ দিন ধরে পানির কষ্টে আছেন। ‘আর’ নম্বর রোডের ৪১ নম্বর বাড়ির বাসিন্দা মো. নূরুজ্জামান বলেন, রাত ১২টার পর ওয়াসার পানি আসে। পানির জন্য রাত জাগতে হচ্ছে। ‘এস’ নম্বর রোডের প্রথম গলির বাসিন্দা বাহার উদ্দিন অভিযোগ করেন, মোটর ব্যবহার না করে পানি পাওয়ার উপায় নেই। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, এলাকায় পানির স্তর নেমে যাওয়ায় গভীর নলকূপের কার্যক্ষমতাও কমে গেছে। তবে ওয়াসার উপব্যবস্থাপনা পরিচালক বলেন, স্থানীয় অন্য কোনো সমস্যাও হতে পারে। খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
অন্যদিকে মোহাম্মদপুরের নূরজাহান রোডে এক সপ্তাহের বেশি পানির সংকট চলছে। অনেক বাড়িতে পানি আসে গভীর রাতে। এটি ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ৩১ নম্বর ওয়ার্ড।
ঢাকা সিটি করপোরেশন দুভাগ হলেও উত্তর-দক্ষিণ দুটোরই পানি সরবরাহের দায়িত্বে ঢাকা ওয়াসা। কদমতলা ও নূরজাহান রোডের মতো ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণের অনেক এলাকাতেই এখন পানির কষ্ট। দক্ষিণের মুগদা, মানিকনগর, ধলপুর, সায়েদাবাদ, গেন্ডারিয়া, তাঁতীবাজার, রাজার দেউড়ি, কবিরাজ লেনসহ বিভিন্ন জায়গার পানিতে ময়লা ও গন্ধ। উত্তরের শেখেরটেক, মিরপুরের ১৪ নম্বর সেকশন, ইব্রাহিমপুরসহ বিভিন্ন এলাকায় পানি-সংকটের খবর পাওয়া গেছে।
গতকাল বেলা ১১টার দিকে দক্ষিণের কদমতলা সংসদ পানির পাম্পে পানি নিতে এলেও ক্যামেরার সামনে মুখ লুকাচ্ছিলেন একাধিক মহিলা। কদমতলার কালভার্ট রোড-সংলগ্ন এলাকার গৃহবধূ ফারজানা রাজ্জাক তাঁর পরিচারিকাকে পাঠিয়েছেন পানি সংগ্রহে। বললেন, পানিতে শুধু গন্ধ নয়, ময়লাও আছে। পানি গরম করলে ফেনা বেরোয়। অন্য এক বাসিন্দা বলেন, সিটি করপোরেশন নির্বাচনের আগে প্রার্থীরা আশ্বাস দিয়েছিলেন, নির্বাচিত হলে ভালো পানির ব্যবস্থা করবেন। এখন কাউন্সিলর কী করেন, তা দেখার অপেক্ষায় আছেন।
নির্বাচনের আগে ১৭ এপ্রিল এলাকার আওয়ামী লীগের কাউন্সিলর পদপ্রার্থী মো. আশ্রাফুজ্জামান বলেছিলেন, এলাকায় পানির খুব সমস্যা নেই, তবে গন্ধ আছে। নির্বাচিত হলে দেখবেন কী করা যায়। ওই প্রার্থী নির্বাচিত হয়েছেন। গতকাল তিনি বলেন, মিটিংয়ে আছেন, আধা ঘণ্টা পর কথা হবে। পরে আবার যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, ‘পরে বলব, এখন এ ব্যাপারে কিছু বলতে পারব না।’ কদমতলা পাম্পে কর্তব্যরত একজন কর্মচারী বলেন, প্রজেক্টের (সায়েদাবাদ পানি শোধনাগার) পানি খারাপ হওয়ায় এলাকায় পানিতে দুর্গন্ধ।
ঢাকা ওয়াসার উপব্যবস্থাপনা পরিচালক কামরুল আলম চৌধুরী বলেন, শোধনাগার থেকে সরবরাহ হওয়া পানিতে এখন ‘গন্ধ সমস্যা’ নেই। ড্রেনেজ বা পয়োনালা ফুটো হয়ে পানির লাইনে যুক্ত হওয়ার কারণে এমন গন্ধ হতে পারে।
মোহাম্মদপুর নূরজাহান রোডের একজন বাসিন্দা গত বৃহস্পতিবার প্রথম আলো কার্যালয়ে ফোন করে জানান, পাঁচ দিন ধরে পানির কষ্টে আছেন। ‘আর’ নম্বর রোডের ৪১ নম্বর বাড়ির বাসিন্দা মো. নূরুজ্জামান বলেন, রাত ১২টার পর ওয়াসার পানি আসে। পানির জন্য রাত জাগতে হচ্ছে। ‘এস’ নম্বর রোডের প্রথম গলির বাসিন্দা বাহার উদ্দিন অভিযোগ করেন, মোটর ব্যবহার না করে পানি পাওয়ার উপায় নেই। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, এলাকায় পানির স্তর নেমে যাওয়ায় গভীর নলকূপের কার্যক্ষমতাও কমে গেছে। তবে ওয়াসার উপব্যবস্থাপনা পরিচালক বলেন, স্থানীয় অন্য কোনো সমস্যাও হতে পারে। খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
No comments