নির্বাচনী অপরাধ আমলে নেবে না ইসি
সদ্য
সমাপ্ত তিন সিটি করপোরেশন নির্বাচনের অনিয়ম ও কারচুপির অভিযোগ আমলে নিচ্ছে
না নির্বাচন কমিশন (ইসি)। বিজয়ী প্রার্থীদের নামের গেজেট প্রকাশে
তাড়াহুড়োর কারণে ইসি এসব অভিযোগ এড়িয়ে গেছে। তাই সংক্ষুব্ধদের নতুন করে
অভিযোগ করতে হবে নির্বাচন পরবর্তী ট্রাইব্যুনালে। প্রতিটি সিটিতে একজন
যুগ্ম জেলা জজের নেতৃত্বে এসব ট্রাইব্যুনাল গঠিত হবে। সোমবার এ সংক্রান্ত
একটি প্রজ্ঞাপন জারির কথা রয়েছে। গেজেট প্রকাশের ৩০ দিনের মধ্যে
প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা সেখানে অভিযোগ করতে পারবেন। ইসির দায়িত্বশীল
একটি সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। ইসি সূত্রে জানা যায়, আইন অনুযায়ী গেজেট
প্রকাশের আগ পর্যন্ত অনিয়ম তদন্তের সুযোগ ছিল। ফলে জাতিসংঘ-যুক্তরাষ্ট্রসহ
আন্তর্জাতিক মহল নির্বাচনকালে ওঠা অনিয়মের অভিযোগ তদন্তের যে আহ্বান
জানিয়েছিল তা ইসি’র হাতে নেই। গেজেট হওয়ার পর কারও বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থাও
আর নিতে পারবে না সরকার বা কমিশন। স্থানীয় সরকার (সিটি করপোরেশন) নির্বাচন
বিধিমালার পঞ্চম অধ্যায়ে নির্বাচন-পূর্ব ও নির্বাচনকালীন অনিয়ম তদন্তের
ক্ষমতা আছে নির্বাচন কমিশনের। আর গেজেট প্রকাশ হয়ে গেলে আইন অনুযায়ী
তদন্তের দায়িত্ব ট্রাইব্যুনালের। গত বৃহস্পতিবার বিজয়ী প্রার্থীদের তালিকা
গেজেট আকারে প্রকাশিত হয়। নির্বাচনকালীন কোন অনিয়ম তদন্ত হবে কি-না এখন
সেটা ট্রাইব্যুনালের বিচার্য বিষয়। নির্বাচনের আগে থেকে এ পর্যন্ত কয়েক
শতাধিক অভিযোগ পড়েছে ইসিতে। এসব অভিযোগে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের
বিরুদ্ধে নানা রকম হুমকি, ভোটগ্রহণের দিন কেন্দ্র দখল, জালভোট ও ফলাফল বদলে
দেয়ার দাবি করেছেন পরাজিত প্রার্থীরা। এধরনের অভিযোগ বিধিমালার ভাষায়
নির্বাচনী অপরাধ।
এ প্রসঙ্গে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনের রিটার্নিং অফিসার মিহির সারওয়ার মোরশেদ মানবজমিনকে বলেন, কোন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর অভিযোগ থাকলে নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালের মাধ্যমে নিষ্পত্তি করা হবে। ভোটে কারচুপি বা প্রার্থীর যোগ্যতা নিয়ে অভিযোগ করতে পারেন প্রতিদ্বন্দ্বীরা। এতে করে নির্বাচিত প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিল হতে পারে বা পুনরায় নির্বাচন হতে পারে।
স্থানীয় সরকার (সিটি করপোরেশন) নির্বাচন বিধিমালা অনুযায়ী, নির্বাচনী আবেদন বিচারের জন্য কমিশন সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা এ সংক্রান্ত ট্রাইব্যুনাল গঠন করবে। কোড অব সিভিল প্রসিডিউর, ১৯০৮ এর অধীন কোন মোকদ্দমার বিচারকারী দেওয়ানি আদালতের যাবতীয় ক্ষমতা নির্বাচনী ট্রাইব্যুনাল ও নির্বাচনী আপিল ট্রাইব্যুনালে থাকবে। ফৌজদারি কার্যবিধির ধারা ৪৮০ ও ৪৮২-এর অধীন এখতিয়ার সম্পন্ন একটি আদালত বলে গণ্য হবে। এই ট্রাইব্যুনাল নির্বাচিত প্রার্থীর নির্বাচন বাতিল বা নির্বাচনটি সামগ্রিকভাবে বাতিল করতে পারে। এখানে কোন দরখাস্ত এলে তা ১৮০ দিনের মধ্যে নিষ্পত্তির নিয়ম রয়েছে। বিধিমালায় আরও বলা হয়েছে, নির্বাচনী ট্রাইব্যুনাল কোন নির্বাচনী দরখাস্ত প্রাপ্তির পর দরখাস্তে উল্লিখিত সকল বিবাদীকে নোটিশ প্রদান করবেন। ট্রাইব্যুনাল অভিযোগকারী ও বিবাদীকে শুনানির সুযোগ দেবেন এবং উভয়পক্ষের সাক্ষ্যগ্রহণের পর আদেশ দেবেন। নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালের আদেশ দ্বারা সংক্ষুব্ধ ব্যক্তি ৩০ দিনের মধ্যে নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালে আপিল দায়ের করতে পারবেন। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র, নির্বাচনের ফলাফল, দুর্নীতিমূলক কার্যকলাপ, বেআইনি আচরণ ও নির্বাচনী ব্যয়সীমার লঙ্ঘনের ঘটনায় প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা ট্রাইব্যুনালে আবেদন করতে পারবেন। ট্রাইব্যুনালে দোষী প্রমাণিত হলে নির্বাচিত প্রার্থীর নির্বাচন বা সামগ্রিক নির্বাচন হতে পারে। ইসি সূত্রে জানা গেছে, ইতিমধ্যে কয়েক শতাধিক প্রার্থী লিখিত অভিযোগ করেছে। কিন্তু সেগুলো আমলে নেয়নি ইসি। ইসির নিজস্ব পর্যবেক্ষকদের প্রতিবেদন না দেখেই গেজেট প্রকাশ করা হয়েছে। এখন কোন অভিযোগ থাকলে লিখিতভাবে নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালে মামলা করতে হবে। সিটি নির্বাচন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত দাবি করেছিলেন, তারা অনিয়মের বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ পেয়েছেন। জাতিসংঘের মহাসচিব অনিয়মের অভিযোগ তদন্তের জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছিলেন। এছাড়া, পৃথকভাবে বিভিন্ন দেশ ও সংস্থা বিবৃতি দিয়ে একই আহ্বান জানিয়েছিল।
নির্বাচন সংশ্লিষ্টরা জানান, সিটি নির্বাচনে নির্বাচিতদের গেজেট প্রকাশ হওয়ায় প্রার্থীদের বিভিন্ন অভিযোগ তদন্তের যে সুযোগ ছিল তা কমিশনের হাতছাড়া হয়ে গেছে। বর্তমান নির্বাচন কমিশনের অধীনে ২০১৪ সালের ৫ই জানুয়ারি অনুষ্ঠিত দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আচরণবিধি ভঙ্গের অভিযোগে যশোর থেকে নির্বাচিত দুজন এমপি’র গেজেট আটকে অনিয়ম তদন্ত করেছিল ইসি। পরে কমিশনের সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করে উচ্চ আদালতে যান তারা। উচ্চ আদালতের নির্দেশে পরে তাদের গেজেট প্রকাশ করা হয়। আচরণবিধি ভঙ্গের জন্য তাদেরকে সতর্ক করা হয়। এ কারণে ওই দুজন এমপি সংসদের প্রথম অধিবেশনে যোগ দিতে পারেননি। এর আগে আবু হেনার নেতৃত্বাধীন কমিশন টাঙ্গাইল (সখিপুর) আসনের অনিয়ম তদন্তের জন্য বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিশন গঠন করেছিল।
এ প্রসঙ্গে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনের রিটার্নিং অফিসার মিহির সারওয়ার মোরশেদ মানবজমিনকে বলেন, কোন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর অভিযোগ থাকলে নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালের মাধ্যমে নিষ্পত্তি করা হবে। ভোটে কারচুপি বা প্রার্থীর যোগ্যতা নিয়ে অভিযোগ করতে পারেন প্রতিদ্বন্দ্বীরা। এতে করে নির্বাচিত প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিল হতে পারে বা পুনরায় নির্বাচন হতে পারে।
স্থানীয় সরকার (সিটি করপোরেশন) নির্বাচন বিধিমালা অনুযায়ী, নির্বাচনী আবেদন বিচারের জন্য কমিশন সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা এ সংক্রান্ত ট্রাইব্যুনাল গঠন করবে। কোড অব সিভিল প্রসিডিউর, ১৯০৮ এর অধীন কোন মোকদ্দমার বিচারকারী দেওয়ানি আদালতের যাবতীয় ক্ষমতা নির্বাচনী ট্রাইব্যুনাল ও নির্বাচনী আপিল ট্রাইব্যুনালে থাকবে। ফৌজদারি কার্যবিধির ধারা ৪৮০ ও ৪৮২-এর অধীন এখতিয়ার সম্পন্ন একটি আদালত বলে গণ্য হবে। এই ট্রাইব্যুনাল নির্বাচিত প্রার্থীর নির্বাচন বাতিল বা নির্বাচনটি সামগ্রিকভাবে বাতিল করতে পারে। এখানে কোন দরখাস্ত এলে তা ১৮০ দিনের মধ্যে নিষ্পত্তির নিয়ম রয়েছে। বিধিমালায় আরও বলা হয়েছে, নির্বাচনী ট্রাইব্যুনাল কোন নির্বাচনী দরখাস্ত প্রাপ্তির পর দরখাস্তে উল্লিখিত সকল বিবাদীকে নোটিশ প্রদান করবেন। ট্রাইব্যুনাল অভিযোগকারী ও বিবাদীকে শুনানির সুযোগ দেবেন এবং উভয়পক্ষের সাক্ষ্যগ্রহণের পর আদেশ দেবেন। নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালের আদেশ দ্বারা সংক্ষুব্ধ ব্যক্তি ৩০ দিনের মধ্যে নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালে আপিল দায়ের করতে পারবেন। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র, নির্বাচনের ফলাফল, দুর্নীতিমূলক কার্যকলাপ, বেআইনি আচরণ ও নির্বাচনী ব্যয়সীমার লঙ্ঘনের ঘটনায় প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা ট্রাইব্যুনালে আবেদন করতে পারবেন। ট্রাইব্যুনালে দোষী প্রমাণিত হলে নির্বাচিত প্রার্থীর নির্বাচন বা সামগ্রিক নির্বাচন হতে পারে। ইসি সূত্রে জানা গেছে, ইতিমধ্যে কয়েক শতাধিক প্রার্থী লিখিত অভিযোগ করেছে। কিন্তু সেগুলো আমলে নেয়নি ইসি। ইসির নিজস্ব পর্যবেক্ষকদের প্রতিবেদন না দেখেই গেজেট প্রকাশ করা হয়েছে। এখন কোন অভিযোগ থাকলে লিখিতভাবে নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালে মামলা করতে হবে। সিটি নির্বাচন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত দাবি করেছিলেন, তারা অনিয়মের বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ পেয়েছেন। জাতিসংঘের মহাসচিব অনিয়মের অভিযোগ তদন্তের জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছিলেন। এছাড়া, পৃথকভাবে বিভিন্ন দেশ ও সংস্থা বিবৃতি দিয়ে একই আহ্বান জানিয়েছিল।
নির্বাচন সংশ্লিষ্টরা জানান, সিটি নির্বাচনে নির্বাচিতদের গেজেট প্রকাশ হওয়ায় প্রার্থীদের বিভিন্ন অভিযোগ তদন্তের যে সুযোগ ছিল তা কমিশনের হাতছাড়া হয়ে গেছে। বর্তমান নির্বাচন কমিশনের অধীনে ২০১৪ সালের ৫ই জানুয়ারি অনুষ্ঠিত দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আচরণবিধি ভঙ্গের অভিযোগে যশোর থেকে নির্বাচিত দুজন এমপি’র গেজেট আটকে অনিয়ম তদন্ত করেছিল ইসি। পরে কমিশনের সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করে উচ্চ আদালতে যান তারা। উচ্চ আদালতের নির্দেশে পরে তাদের গেজেট প্রকাশ করা হয়। আচরণবিধি ভঙ্গের জন্য তাদেরকে সতর্ক করা হয়। এ কারণে ওই দুজন এমপি সংসদের প্রথম অধিবেশনে যোগ দিতে পারেননি। এর আগে আবু হেনার নেতৃত্বাধীন কমিশন টাঙ্গাইল (সখিপুর) আসনের অনিয়ম তদন্তের জন্য বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিশন গঠন করেছিল।
No comments